
ঢাকা মহানগরীর পর দেশের সবচেয়ে বেশি রোগী চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজারে। জেলার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মাঝে বেড়েই চলেছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। চলতি বছরও সহস্রাধিক ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে সেখানে। তবে ভাইরাসটি প্রতিরোধে ব্যবস্থাপনা কঠিন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস আজ
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানুষের মাঝে সচেতনতার যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। তাদের কালচার আলাদা হওয়ায় এ ব্যাপারে কাজও সেভাবে করা যায় না। আজ রোববার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
নাজমুল ইসলাম
বলেন, ঢাকায় ওয়াসার পানি ধরে রাখতে হলেও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পানি সরবরাহের ব্যবস্থা
খুব কম। ফলে তারা বিভিন্ন গর্ত থেকে পানি সংগ্রহ এবং অনেক সময় পানি খোলা পাত্রে রেখে
দেয়। এ ছাড়া তাদের সচেতনতার বিষয়টি আরও কম।
অধিদপ্তরের
এই পরিচালক বলেন, ঢাকায় জনগোষ্ঠী বেশি হলেও সেখানে জায়গা রয়েছে। কিন্তু রোহিঙ্গা ক্যাম্পে
জায়গায় কম মানুষ বেশি। ফলে সেখানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অন্যান্য এলাকার
চেয়ে বেশি। এখন পর্যন্ত সেখানে ১ হাজার ৬৬ জনের দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে।
এদিক, ঢাকা মহানগরীতে রোগী বাড়লেও কোন এলাকায় বেশি সে সম্পর্তে জানতে চাইলে কোনো তথ্য দিতে পারেনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে তুষারধসে চার বছরের শিশুসহ নিহত ১১
এ ব্যাপারে নাজমুল ইসলাম বলেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় যেখানে ঘনবসতি বেশি সেখানে মশার উপদ্রব বেশি। তবে নির্দিষ্ট করে কোন এলাকায় সবচেয়ে বেশি সেটি বলা এই মুহূর্তে কঠিন। রোগীদের তথ্য যাচাই করে তারপর বলা যাবে। আমরা পুরো ঢাকা শহরকেই বিবেচনায় নিচ্ছি। আমাদের কাজ রোগী ব্যবস্থাপনা। ডেঙ্গু কোথায় বেশি এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব স্থানীয় সরকারের।
রোগী জটিলতার ব্যাপারে অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন বলেন, ঢাকা শহরে অপরিকল্পিত নগরী গড়ে উঠছে। ঠিক ব্রাজিলের মতোই। ফলে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ে। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলেই আমরা প্লাটিলেটকে সামনে আনি। অথচ এটি সেভাবেই গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমাদের উচিত সচেতনতায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া।
আরও পড়ুন: ভারতে নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন করলেন নরেন্দ্র মোদী
এ সময় অধিদপ্তরের
অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, ডেঙ্গুর
প্রকোপ বাড়ায় পরীক্ষা বেড়েছে। এজন্য গত বছরের ন্যায় এবারও সরকারিতে ১০০ টাকা এবং বেসরকারিতে
৫০০ টাকার বেশি নেওয়া যাবে না।