আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

রংপুরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৩

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রংপুর প্রতিনিধি

Image

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় যাত্রীবাহী দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ থেকে ১৫ জন। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের চিকলি দোয়ালীপাড়া মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নীলফামারীর সৈয়দপুর থেকে ছেড়ে আসা রংপুরগামী তৃপ্তি পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা সাইমন পরিবহনের অপর একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে দুইজন মারা যান। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানে আরও একজনের মৃত্যু হয়।


আরও খবর



ড. ইউনূসের দণ্ড স্থগিতের আদেশ বাতিল

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চারজনের দণ্ড (কনভিকশন) স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া আদেশ বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (১৮ মার্চ) এ রায় দেন। গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ প্রতিষ্ঠানটির চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে ২০২১ সালে মামলা করেছিল কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। গত ১ জানুয়ারি ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা এ মামলার রায় দেন।

রায়ে ড. ইউনূস, গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দেন বিচারক। তাদের প্রত্যেককে শ্রম আইনের ৩০৩ ও ৩০৭ ধারায় ৬ মাসের কারাদণ্ডের সঙ্গে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তবে সেদিন তাদের জেলে যেতে হয়নি। রায় ঘোষণার পর পরই জামিন আবেদন করা হলে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার শর্তে তাদের এক মাসের জামিন দেন বিচারক। গত ৩১ জানুয়ারি এ জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করেন ড. ইউনূসসহ দণ্ডিতরা।

গত ২৮ জানুয়ারি ইউনূসসহ দণ্ডিতদের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে তাদের জামিন দেন। সেই সঙ্গে আপিল নিষ্পত্তি পর্যন্ত রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দণ্ড স্থগিতের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর।

এ আবেদনে গত ৫ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক শুনানির পর রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট। গত ২৮ জানুয়ারি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া দণ্ড স্থগিতের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। চূড়ান্ত শুনানির পর রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দিলেন উচ্চ আদালত।

আদালতে রুলের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন। পরে ড. ইউনূসের আইনজীবী বলেন, রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। তার মানে হচ্ছে, তৃতীয় শ্রম আদালতের দণ্ড স্থগিত করে গত ২৮ জানুয়ারি দেওয়া শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া আদেশ বাতিল করা হয়েছে।’

আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, রায়ে হাইকোর্ট চারটি নির্দেশনা দিয়েছেন- এক. তৃতীয় শ্রম আদালতের দেওয়া দণ্ড (কনভিটশন) চলমান থাকবে। দুই. আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সাজা (৬ মাসের কারাদণ্ড) স্থগিত থাকবে। তিন. শ্রম আদালতের দেওয়া ৩০ হাজার টাকা জরিমানাও স্থগিত থাকবে। চার. যত দ্রুত সম্ভব আপিল নিষ্পত্তি করবেন আপিল ট্রাইব্যুনাল। দণ্ডিতরা দেশের বাইরে গেলে সংশ্লিষ্ট আদালতকে জানাতে হবে।’

গত ১১ মার্চ শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালকে বিদেশ যাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছিলেন ড. ইউনূস। এখন তিনি বিদেশে আছেন বলে জানান এ আইনজীবী।


আরও খবর



ছিনতাই হওয়া এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজে যেকোনো সময় অভিযান

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়া জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ এবং ওই জাহাজে থাকা ২৩ নাবিককে উদ্ধারে অভিযান শুরু করার প্রস্তুতি নিয়েছে সোমালিয়ার পুলিশ এবং আন্তর্জাতিক নৌবাহিনীর একটি সম্মিলিত দল।

সোমবার (১৮ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এতে বলা হয়, গত সপ্তাহে সোমালিয়ার উপকূলে ছিনতাই হয় এমভি আবদুল্লাহ। প্রায় এক দশক শান্ত থাকার পর এটি সোমালি জলদস্যুদের হাতে গত নভেম্বর থেকে ২০টিরও বেশি জাহাজ ছিনতাই চেষ্টার সবশেষ ঘটনা।

রয়টার্স বলছে, সোমালিয়ার পুন্টল্যান্ড এলাকাটি অসংখ্য জলদস্যু চক্রের ঘাঁটি। আধা-স্বায়ত্তশাসিত এই অঞ্চলটির পুলিশ বাহিনী জানিয়েছে, তারা উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে এবং এমভি আবদুল্লাহকে জব্দ করা জলদস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযানে অংশ নিতে প্রস্তুতি নিয়েছে।

এক বিবৃতিতে পুন্টল্যান্ড পুলিশ বলেছে, আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী অভিযানের পরিকল্পনা করছেএমন রিপোর্ট পাওয়ার পর পুন্টল্যান্ড পুলিশ বাহিনীও প্রস্তুত রয়েছে।

এ বিষয়ে ভারতের নৌবাহিনীর কাছ থেকে রয়টার্স মন্তব্য চাইলেও, তারা এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।

এদিকে রোববার (১৭ মার্চ) পুন্টল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছিল, তারা বাংলাদেশি জাহাজে থাকা জলদস্যুদের সরবরাহ করার জন্য মাদক পরিবহনকারী একটি গাড়ি জব্দ করেছে।

উল্লেখ্য, মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ।

এর আগে, ভারত মহাসাগরে বিশেষ কমান্ডো অভিযান চালিয়ে সোমালিয়ার জলদস্যুদের ছিনতাই করা একটি বাণিজ্যিক জাহাজ দখলে নিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী। মাল্টার পতাকাবাহী এমভি রুয়েন নামের ওই জাহাজটি গত বছরের শেষ দিকে ছিনতাই করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা।

ভারতের নৌবাহিনী আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ৪০ ঘণ্টার অপারেশনে জলদস্যুদের কবলে থাকা মাল্টার জাহাজ এমভি রুয়েনকে উদ্ধার করা হয়েছে। যুদ্ধজাহাজ আইএনএস কলকাতা শনিবার (১৬ মার্চ) জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ওই জাহাজের ৩৫ জলদস্যুকে কোণঠাসা করে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। পরে তারা আত্মসমর্পণ করে। একইসঙ্গে ওই জাহাজ থেকে ১৭ জন নাবিককে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।


আরও খবর



টিয়া পাখি উদ্ধারে গিয়ে মৃত্যু : ক্ষতিপূরণের রিটে আদেশ আজ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

তারে আটকে থাকা টিয়া পাখি উদ্ধার করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্বেচ্ছাসেবী আতিফ ইসলামের (৩০) মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে মায়ের দায়ের করা রিট আবেদনের বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশ আজ।

রিটকারীর আইনজীবী এ বি এম শাহজাহান আকন্দ মাসুম আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ সংক্রান্ত বিষয়ে দায়ের করা রিটের বিষয়ে বুধবার (১৩মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও মোহাম্মদ আতাবুল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আদেশ দেবেন।

এর আগে গত ১১ মার্চ এ বিষয়ে শুনানি শেষ হয়েছে। তারপর আদেশ দেওয়ার জন্য আজ বুধবার (১৩ মার্চ) দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট।

আদালতে ওইদিন শুনানিতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এবিএম শাহজাহান আকন্দ মাসুম। এসময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যাওয়া আতিফ ইসলামের মা তানজিনা রহমান টুম্পা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট করা হয়। রিট আবেদনে বলা হয়, কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ ও নিবন্ধন ছাড়াই রবিনহুড-দ্য অ্যানিমেল রেসকিউয়ার এবং ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘‘টিয়া পাখি উদ্ধারে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রবিনহুডের স্বেচ্ছাসেবীর মৃত্যু শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট আবেদন করা হয়।

এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র আতিফ ইসলাম। তার মায়ের দাবি, কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ না থাকার পরও জোর করে আতিফকে সেদিন পাখি উদ্ধার করতে বলা হয়েছিল সংগঠনটির পক্ষ থেকে।

প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, বিদ্যুতের তারে আটকে পড়েছিল টিয়া পাখি। সেই টিয়া পাখি উদ্ধার করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রবিনহুড-দ্য অ্যানিমেল রেসকিউয়ার এর তিন স্বেচ্ছাসেবী। পরে তাদের একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় ২১ ডিসেম্বর বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত রবিনহুডের স্বেচ্ছাসেবী আতিফ ইসলাম (৩০) ওই রাত ২টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার শরীরের ৮৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তার বাসা লালবাগ এলাকায়। তার বাবার নাম বাবলা ইসলাম। এ ঘটনায় শফিকুর রহমানের (৪৫) শরীরের ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়। আরেক স্বেচ্ছাসেবক রুপ (২৫) সামান্য আহত হন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, টিয়া পাখিটি বিদ্যুতের তারে আটকে থাকার খবর পেয়ে রবিনহুডের স্বেচ্ছাসেবীরা উদ্ধার করতে যান। পাখিটি তারের সঙ্গে লেগে থাকা ঘুড়ির সুতায় জড়িয়ে ছিল। যেখানে টিয়া পাখিটি আটকে ছিল, সেখানে গিয়ে একটি তিনতলা ভবনের ছাদে যান স্বেচ্ছাসেবীরা। ছাদ থেকে একটি পাইপ দিয়ে সুতা ছিঁড়ে টিয়া পাখিটি ছাড়ানোর চেষ্টা করেন আতিফ। তখন আতিফ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। সঙ্গে থাকা গাড়িচালক শফিকুরও দগ্ধ হন। তারা দুজন রুপকের ওপর পড়লে তিনি সামান্য আহত হন।


আরও খবর



গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে চীন-রাশিয়ার ভেটো

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের উত্থাপিত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে চীন ও রাশিয়া। শুক্রবার (২২ মার্চ) নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটি হয়। এতে ১১টি দেশ সমর্থন দেয়। একটি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে। আর ভেটো দেয় চীন ও রাশিয়া।

ভেটো দেওয়ার পর এ নিয়ে কথা বলেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার দূত ভাসিলি নেবাঞ্জা। তিনি বলেছেন, এই প্রস্তাব হলো যুক্তরাষ্ট্রের একটি ভণ্ডামি। যেখানে গাজায় প্রথমদিকে ইসরায়েলকে থামাতে যুক্তরাষ্ট্র কিছু করেনি। সেখানে তারা এমন সময় যুদ্ধবিরতির কথা বলছে যখন গাজা কার্যত পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। আমরা আমরা এখানে একটি পুরোনো ভণ্ডামির প্রদর্শনী দেখেছি।

অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করেছে, রাজনৈতিক কারণে রাশিয়া-চীন তাদের প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে। কারণ তারা যেভাবেই হোক যুক্তরাষ্ট্রের পরাজয় চায়। এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের দূত লিন্ডা-থমাস গ্রিনফিল্ড বলেছেন, রাশিয়া ও চীন প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়নি কারণ তারা চায় যুক্তরাষ্ট্র যে কোনোভাবে হারুক। আরেকবার রাশিয়া প্রগতির সামনে রাজনীতিকে নিয়ে এসেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের উত্থাপিত প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, তারা গাজায় তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি চায়। যেটির মাধ্যমে যুদ্ধ বন্ধ হবে এবং সব ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্ত করা হবে। একই সঙ্গে গাজায় জীবন বাঁচানো বিপুল ত্রাণ পৌঁছানো হবে।

এই প্রস্তাবের আগে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আরও তিনটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু ওই সবগুলো প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। ওই প্রস্তাবগুলোতেও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু ওই সময় মার্কিনিরা ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে এতে ভেটো দিয়েছিল। ওই সময় তাদের বক্তব্য ছিল, যদি গাজায় এখন যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হয় তাহলে এতে হামাস উপকৃত হবে এবং জিম্মিরা মুক্তি পাবে না।


আরও খবর



ঘানায় সমকামী হিসেবে চিহ্নিত হলেই তিন বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আফ্রিকার দেশ ঘানার সংসদে সমকামী বিরোধী কঠোর আইন পাস করা হয়েছে। এই আইনে বলা হয়েছে, কেউ যদি সমকামী (এলজিবিটিকিউ+) হিসেবে চিহ্নিত হয় তাহলে তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হবে।

এছাড়া যে বা যারা সমকামী গ্রুপ তৈরি ও অর্থায়ন করবেন তাদের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হবে। প্রথমে সমকামীদের কারাদণ্ডের বদলে সামাজিক কর্মকাণ্ড এবং কাউন্সেলিংয়ের প্রস্তাব রাখা হয়েছিল। কিন্তু এটি হতে দেননি আইনপ্রণেতারা।

পূর্ব আফ্রিকার দেশটি কয়েক বছর ধরেই সমকামীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে। এই আইনের মাধমে এটি আরও পরিষ্কারভাবে ফুটে উঠল।

ঘানার প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলই এই নতুন আইনে সম্মতি দিয়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট নানা আকুফো-এড্ডো স্বাক্ষর করার পরই এটি কার্যকর করা শুরু হবে।

প্রেসিডেন্ট নানা আকুফো-এড্ডো এর আগে বলেছিলেন, যদি ঘানার বেশিরভাগ মানুষ এই আইনের পক্ষে রায় দেন; তাহলে এ সংক্রান্ত আইনে তিনি সম্মতি জানাবেন।

সমকামীদের পক্ষের লোকেরা জানিয়েছেন, তারা আশঙ্কা করছেন এই আইনের মাধ্যমে এখন সমকামী ও এবং তাদের সমর্থকদের খুঁজে খুঁজে বের করা হবে।

এছাড়া আইনে বলা হয়েছে, সমকামীদের বিষয়ে কোনো তথ্য জানা থাকলে সেটি কর্তৃপক্ষকে জানাতে। যেন তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

২০২১ সালের জানুয়ারিতে ঘানার রাজধানীতে একটি এলজিবিটিকিউ+ সেন্টার খোলা হয়। ওই সময় সাধারণ মানুষের প্রতিবাদে এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ঘানার আইনপ্রণেতারা জানিয়েছেন, ওই সেন্টার খোলার কারণেই সমকামীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন করা হয়েছে।


আরও খবর