আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

রংপুর সিটির ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
রংপুর প্রতিনিধি

Image

রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হয়। এখন চলছে ভোট গণনা। এ নির্বাচনে মেয়র পদে নয়জন, ৩৩টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৮৩ জন ও ১১টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৬৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ইসি বলছে, রসিকের ২০১৭ সালের নির্বাচনে ভোটার ছিল তিন লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৪ জন। এবার নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছে ৩২ হাজার ৪৭৬ জন। বর্তমানে সিটির ৩৩টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার চার লাখ ২৬ হাজার ৪৭০ জন। ভোটার তালিকা অনুযায়ী মোট ভোটারের মধ্যে তৃতীয় লিঙ্গের একজন রয়েছেন।

সকালে নিজের ভোট দিয়ে ভোট সুষ্ঠু হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছিলেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া। তিনি বলেন, রংপুরের মানুষ নৌকার সঙ্গে আছেন। ভোটাররা উন্নয়নের স্বার্থে বিপুল ভোটে নৌকাকে বিজয়ী করবেন।

এদিকে ভোটকেন্দ্রে অব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) মেয়র পদপ্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। তিনি প্রথমে ভোট দিতে গিয়ে ইভিএমে ত্রুটির কারণে ভোট দিতে পারেননি বলে অভিযোগ করেন। যদিও পরে ভোট দেন তিনি। সে সময় তিনি বলেছিলেন, জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।

অন্যদিকে এ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন অভিযোগ করেন, ইভিএমকে বিতর্কিত করতে জাপার প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান ভোট দিতে না পারায় সিনক্রিয়েট করেছেন।

নির্বাচনে অনিয়ম ঠেকাতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবন থেকে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন মনিটরিং করা হয়েছে। মনিটরিং কক্ষে বসে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান বলেন, প্রথম সাড়ে তিন ঘণ্টায় ১০ শতাংশ ভোট পড়েছে।

আর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল দুপুরে বলেন, এখন পর্যন্ত ভোটার উপস্থিতি ভালো। ভোটের পরিবেশও ভালো। এখন পর্যন্ত তেমন কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি।

ইসি জানিয়েছে, নির্বাচনে ৩৩টি ওয়ার্ডের ২২৯টি কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা এক হাজার ৩৪৯টি। নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার ২২৯ জন এবং সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার আছেন এক হাজার ৩৪৯ জন। মোট পোলিং অফিসার দুই হাজার ৬৯৮ জন।

জানা গেছে, রসিক নির্বাচনে মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ দুই লাখ ১২ হাজার ৩০২ এবং নারী দুই লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন।

এ নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থীরা হলেনআওয়ামী লীগের হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাপার মো. মোস্তাফিজার রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আমিরুজ্জামান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. আবু রায়হান, খেলাফত মজলিশের মো. তৌহিদুর রহমান মণ্ডল, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের মো. শফিয়ার রহমান, জাকের পার্টির মো. খোরশেদ আলম এবং স্বতন্ত্র মো. লতিফুর রহমান ও মো. মেহেদি হাসান (বনি)।

সর্বশেষ এই সিটিতে ভোট হয় ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা হয় ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। যেহেতু কোনো সিটির মেয়াদ ধরা হয় প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর, তাই এ সিটিতে নির্বাচিতদের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি।

সিটি করপোরেশন নির্বাচন আইন অনুযায়ী, কোনো সিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণ করতে হয়। এ ক্ষেত্রে এই সিটি নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হয় গত ১৯ আগস্ট। আর রসিক সিটি নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারির থেকে আগের ১৮০ দিনের মধ্যে। ২০৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত রংপুর সিটি করপোরেশন আয়তনে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম।


আরও খবর



রোজায় বাজার নিয়ন্ত্রণে কঠোর হওয়ার নির্দেশ

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন রমজান মাসে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ অব্যাহত রাখতে মজুতদারির বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার (০৩ মার্চ) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে আয়োজিত জেলা প্রশাসক সম্মেলনে-২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, সরবরাহের ক্ষেত্রেও নানা সমস্যার সৃষ্টি হয় অথবা একটা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হয়। কেউ কেউ মজুতদারি করে পচিয়ে ফেলবে কিন্তু বাজারে দেবে নাএই জাতীয় অবস্থার সৃষ্টি করে। সেই দিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি এবং কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। রমজান মাস সামনে রেখেই এই কথাগুলো আমি সবাইকে বললাম। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যেন সাধারণ মানুষের কাছে যথাযথভাবে পৌঁছাতে পারে সেদিকে সবাইকে যথাযথভাবে নজর দিতে হবে।

তিনি বলেন, এই প্রথম আইনের মাধ্যমে গঠিত নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে নির্বাচন পরিচালনা করেছে এবং কমিশনের নির্দেশনা অনুসরণ করে জেলা প্রশাসকরা সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এ সময় জেলা প্রশাসকদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের পর থেকে যতগুলো নির্বাচন আমি দেখেছি, প্রত্যক্ষভাবে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে দেখেছি; কীভাবে জনগণের ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। এবারের নির্বাচন আমি মনে করি যে, সব থেকে সুষ্ঠু একটি নির্বাচন, অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রকৃতপক্ষে যারা নির্বাচনই চায়নি, যাদের লক্ষ্য ছিল এ দেশে যেন কোনো নির্বাচনই না হয়অনির্বাচিত; অস্বাভাবিক পরিস্থিতি আবার সৃষ্টি হয়, পঁচাত্তর সালের ১৫ আগস্টের পর থেকে ২১ বছর এ দেশের মানুষ কষ্ট ভোগ করেছে, এরপর আবার ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত, সেই পরিস্থিতি যেন আসে। তাদের কাছে হয়তো নির্বাচনটা পছন্দ নাও হতে পারে। কারণ তাদের মন মতো কাজ হয়নি। কিন্তু সাধারণ মানুষ, একদম গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত মহিলা এবং প্রথমবার যারা ভোটার; তরুণ ভোটাররা, তাদের আগ্রহ সব থেকে বেশি ছিল। তারা যে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পেরেছে, এটার সমস্ত কৃতিত্ব আপনাদেরই—আমি মনে করি, যারা নির্বাচনী কাজে সাহায্যে ছিলেন।’


আরও খবর



বিবাহবার্ষিকীতে উপহার না দেওয়ায় স্বামীকে ছুরিকাঘাত

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

প্রতি বিবাহবার্ষিকীতে উপহার দেন স্বামী। তবে এবার আর দেননি। এতে ক্ষুব্ধ ছিলেন স্ত্রী। কিন্তু কিছুই বুঝতে না পেরে বাসায় এসে ঘুমিয়ে যান স্বামী। বিবাহবার্ষীকি উপলক্ষে উপহার না দেওয়ায় ঘুমন্ত স্বামীর ওপর ছুরি চালান স্ত্রী।

২৭ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের বেঙ্গালুরুতে। এ ঘটনায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন স্বামী।

স্ত্রীর ছুরিকাঘাতে আহত ব্যক্তি (৩৭) একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তার স্ত্রী (৩৫) একজন গৃহিণী।

ছুরিকাঘাতে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। প্রাণে বেঁচে গেছেন তিনি। আহত ব্যক্তি পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি রাতে ঘুমাচ্ছিলেন। হঠাৎ সন্ধ্যা রান্নার কাজে ব্যবহৃত একটি ছুরি দিয়ে তাকে আঘাত করেন। আঘাতটি তার হাতে লাগে।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই স্ত্রীর বিরুদ্ধে ১ মার্চ থানায় মামলা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পারিবারিক বিষয় হওয়ায় পুলিশ তাদের মধ্যে আলোচনার জন্য সময় দিয়েছে। আলোচনা শেষে তাদের আবারও পুলিশের কাছে আসতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



মালদ্বীপ থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু ভারতের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ব্যাপক কূটনৈতিক টানাপোড়েনের পর অবশেষে মালদ্বীপ থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে ভারত। গত ১০ মার্চ ২৫ জন সেনাকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে, বাকিদেরও মার্চ মাস শেষ হওয়ার আগেই ফিরিয়ে আনা হবে।

মালদ্বীপভিত্তিক দৈনিক মিহারুর বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি। প্রসঙ্গত, মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদের সম্মতির ভিত্তিতে দেশটিতে ৮৯ জন ভারতীয় সেনা মোতায়েন করেছিল ভারত। এই সেনা মোতায়েনের মূল উদ্দেশ্য ছিল ভারত মহাসাগরে চীনের তৎপরতার ওপর নজরদারি করা।

তবে তার পাশাপাশি টিকাদান কর্মসূচি, মালদ্বীপের জনবসতিপূর্ন দ্বিপগুলোতে খাদ্যদ্রব্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দেওয়ার কাজও করতেন ভারতীয় সেনারা।

কিন্তু ভারতীয় সেনাদের উপস্থিতিকে মালদ্বীপের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পরিপন্থী হিসেবে উল্লেখ করে এর বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলেন দেশটির অন্যতম নেতা ও চীনপন্থী রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ মুইজ্জু। গত সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর মালদ্বীপ থেকে নিজ সেনা সদস্যদের ফিরিতে নিতে ভারতকে আহ্বানও জানান তিনি।

সেই সঙ্গে সময়সীমা বেঁধে দেন যে ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে ভারতকে তার সেনাদের ফিরিয়ে নিতে হবে। পরে নয়াদিল্লির সঙ্গে এক বৈঠকের পর এই সময়সীমা ১০ মে পর্যন্ত বর্ধিত করেন তিনি।

মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত ভারত মহাসাগর অঞ্চলে কৌশলগত দিক থেকে নয়াদিল্লির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ছিল মালদ্বীপ। তবে মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর থেকে একদিকে এই সম্পর্কে শীতলতা এসেছে, অন্যদিকে বেড়েছে এ অঞ্চলে চীনের প্রভাব বৃদ্ধির সম্ভাবনা।

গত জানুয়ারিতে চীন সফরে গিয়েছিলেন মোহাম্মদ মুইজ্জু। সেখানে বেইজিংয়ের সঙ্গে মালদ্বীপের অবকাঠামো, জ্বালানি, সমুদ্র গবেষণা ও কৃষি সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষ করে এসেছেন তিনি।

অন্যদিকে ভারত গত মাসে ঘোষণা দিয়েছে এখন থেকে নিজেদের লাক্ষাদ্বীপ অঞ্চলে নৌবাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি করবে দেশটি। মালদ্বীপ থেকে লাক্ষাদ্বীপের দূরত্ব মাত্র ১৩০ কিলোমিটার।


আরও খবর



সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সুপ্রিম কোর্ট বারে মারামারির ঘটনার জেরে বিএনপি সমর্থিত সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস কাজলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় পল্টন চেম্বার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রুহুল কুদ্দুস কাজলের জুনিয়র অ্যাডভোকেট মারুফ ফাহিম বলেন, সন্ধ্যা ৭টা ৫মিনিটের দিকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজলকে তার পল্টনের চেম্বার থেকে নিয়ে যায়। পরে তিনি জানতে পারেন, কাজলকে গতকালের মামলায় শাহবাগ থানায় নেয়া হচ্ছে।

এর আগে শুক্রবার (৮ মার্চ) রাতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথীর গুলশানের বাসায় অভিযান চালিয়েছে ৪ জনকে এবং (৯ মার্চ) দুপুরে এজাহারভুক্ত ৬ নম্বর আসামি ব্যারিস্টার উসমানকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

শুক্রবার (৮ মার্চ) সুপ্রিম কোর্ট বারে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়। এতে ১ নম্বর আসামি করা হয় অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথীকে। এছাড়া ২ নম্বর আসামি করা হয় ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে।

এছাড়া অ্যাডভোকেট মো. জাকির হোসেন ওরফে মাসুদ, অ্যাডভোকেট শাকিলা রৌশন, অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহম্মেদ, অ্যাডভোকেট উসমান, অ্যাডভোকেট আরিফ, অ্যাডভোকেট সুমন, অ্যাডভোকেট তুষার, রবিউল, ব্যারিষ্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা), সাইদুর রহমান জুয়েল, অলিউর, জয়দেব নন্দী, মাইন উদ্দিন রানা, মশিউর রহমান সুমন, ডা. কামাল হোসেন, আসলাম রাইয়ান, অ্যাডভোকেট তরিকুল, অ্যাডভোকেট সোহাগসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৪০ জনকে আসামিরা করা হয়েছে।


আরও খবর



বাউফলে বড় ভাইয়ের গুলিতে ছোট ভাই নিহত!

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দূর্জয় দাস, বাউফল (পটুয়াখালী)

Image

বাউফলে বড় ভাইয়ের অবৈধ পিস্তলের গুলিতে প্রতিবন্ধী ছোট ভাই সাব্বির হোসেন (১৬) নিহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত বড় ভাই মোঃ সজিব হোসেনকে (২১) আজ সোমবার (১১ মার্চ) দুপুর পৌনে দুইটার দিকে আটক করেছে এবং তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রান্না ঘরের রাখা প্লাস্টিকের বস্তার ভিতর থেকে একটি  পিস্তল উদ্ধার করে। তার বাবার নাম বাবুল সরদার।

প্রত্যক্ষদর্শী ও অন্যান্য সূত্রে জানা গেছে, রবিবার (১০ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সূর্যমনি ইউনিয়নের সূর্যমনি গ্রামের বাবুল সরদারের বড় ছেলে বাউফল নবারুন সার্ভে ইনস্টিটিউটের পঞ্চম বর্ষের ছাত্র সজিব একটি পুরানো জংয়ে ধরা পিস্তল নিয়ে নাড়াঁচাড়া করতে গিয়ে হঠাৎ ট্রিগারে চাপ পরে একটি গুলি তার প্রতিবন্ধী ছোট ভাই সাব্বিরের কপালের বাম পাশে চোখের উপরে গিয়ে বিদ্ধ হয়। এরপর স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। পরিবারের লোকজন ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য সাব্বির বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে বলে প্রচার করেন।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. নুরজাহান বলেন, সাব্বরিকে আহত অবস্থায় জরুরী বিভাগে অনার পর তার কপালে বাম চোখের উপরে একটি ছিদ্র দিয়ে রক্ত বেড় হতে দেখি। তখন রোগীর অবস্থা আশংকাজনক ছিল। ওই সময় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে  বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করি।

নিহত সাব্বিরের নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক স্বজন বলেন, ওই দিন বিকালে দিকে সাব্বিরকে নিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছানোর পর। জরুরী বিভাগের চিকিৎসক গুলিবিদ্ধর বিষয়টি জানতে পেরে তাকে ঢাকা নিউরোসায়েন্স হাসাপাতালে রেফার করেন। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হলে রাত ১টার দিকে তিনি মারা যান।

এ ব্যাপারে সূর্যমনি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়র হোনে বাচ্চুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছি। ঘটনাটি আমি জেনেছি। খুবই বেদনাদায়ক। আমি চাই প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসুক। সজিব কোথা থেকে কিভাবে এ অস্ত্র পেলে তাও পুলিশের খতিয়ে দেখবেন বলে আশা করছি। 

এ ব্যাপারে বাউফল থানার পরিদর্শক (তদন্ত)  আতিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশ সুপারের নির্দেশে ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।  জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত সাব্বিরের বড় ভাই সজিবকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। বিস্তারিত পরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করা হবে। নিহত সাব্বিরের লাশ ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর