আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

রংপুর সিটি নির্বাচন : ৬৬ কেন্দ্রে লাঙল ৩৮০৭৮, নৌকা ৬৪৫৮

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রংপুর সিটি কর্পোরেশন (রসিক) নির্বাচনে নির্ধারিত সময়ের পরও ভোটগ্রহণ চলছে। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৬৬টি কেন্দ্রের ফলাফলে এগিয়ে আছেন লাঙ্গলের প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।

সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৬৬ কেন্দ্রে লাঙ্গলের প্রার্থী মোস্তফা ৩৮০৭৮ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন। আর নৌকার প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া পেয়েছেন ৬৪৫৮ ভোট। তবে বেসরকারিভাবে কোনো ফল এখনো ঘোষণা করা হয়নি।

উল্লেখ্য, রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মোট ভোটার চার লাখ ২৬ হাজার ৪৭০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ১২ হাজার ৩০২ এবং নারী ভোটার দুই লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন এবং হিজড়া ভোটার একজন।


আরও খবর



নারী দিবসে উপহার, গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কমল ১০০ রুপি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতে প্রতিটি তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডারের দাম ১০০ রুপি কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির সরকার। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া পোস্টে এই ঘোষণা দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

পোস্টে মোদি লিখেছেন, আজ নারী দিবসে সরকার এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১০০ রুপি কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে দেশের কোটি পরিবারের আর্থিক বোঝা উল্লেখযোগ্যভাবে লাঘব হবে। এতে বিশেষভাবে উপকৃত হবে নারী শক্তি।

তিনি বলেন, রান্নার গ্যাসকে আরও সাশ্রয়ী করে, আমরা পরিবারের মঙ্গলকে সমর্থন করা এবং একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্য রাখি। নারীর ক্ষমতায়ন ও তাদের 'জীবনযাত্রায় স্বাচ্ছন্দ্য' আনতে আমাদের অঙ্গীকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন মোদি।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, দিল্লিতে ১৪ দশমিক দুই কেজির একটি রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ৯০০ রুপি। মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে ভারতে গত বছর দুইবার এলপিজি সিলিন্ডারে ভর্তুকি বাড়িয়ে ২০০ রুপি থেকে ৩০০ রুপি করা হয়েছে। সবশেষ গতকাল ভারত সরকার নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর জন্য এই ভর্তুকি অব্যাহত রাখার কথাও জানায়।


আরও খবর



মার্চের নির্বাচনই হবে শেষ নির্বাচন: এরদোয়ান

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান শুক্রবার বলেছেন, মার্চে দেশের স্থানীয় নির্বাচনই হবে তার শেষ নির্বাচন। খবর এএফপির।

২০০৩ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা এরদোয়ান এবারই প্রথম ভবিষ্যতের আর কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিলেন।

দুই দশকের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় রয়েছেন এরদোয়ান। তার এই বক্তব্যে রাজনীতি থেকে বিদায় নেওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। হয়তো এবারের মেয়াদ পূর্ণ করার পর সামনে তাকে আর রাজনীতির মাঠে নাও দেখা যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

তুরস্কের একটি ফাউন্ডেশনের সভায় এরদোয়ান বলেন, আমি অবিরাম কাজ করেছি। আমরা শ্বাসরুদ্ধকরভাবে চারপাশে দৌড়াচ্ছি কারণ আমার জন্য এটিই শেষ। আইন আমাকে যে কর্তৃত্ব দিয়েছে তার অধীনে এই নির্বাচনই আমার শেষ নির্বাচন।

 ৭০ বছর বয়সী এই নেতা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেছেন, তিনি পদ ছাড়ার পরেও তার দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একেপি) ক্ষমতায় থাকবে।

এরদোয়ান বলেছিলেন, ৩১ মার্চের স্থানীয় নির্বাচনের ফলাফল আমার পরে আসা ভাইদের জন্য আশীর্বাদ। জনগণের আস্থার যাবে তাদের ওপর। 

আরও পড়ুন>> রোজার জন্য প্রস্তুত মক্কার ১২ হাজার মসজিদ

মার্চের স্থানীয় নির্বাচনের মাধ্যমে ইস্তাম্বুলের মেয়র পদ ফিরে পাওয়ার আশা করছে একেপি। ২০১৯ সাল থেকে শহরের মেয়র পদে আছেন এরদোয়ানের বিরোধী দল। এমনকী এরদোয়ান নিজেও ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ইস্তাম্বুলের মেয়র ছিলেন।

২০০৩ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। সেসময় প্রধানমন্ত্রী ছিল তুরস্কের রাজনীতিতে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। পরেরবার ২০১৪ সালে এরদোয়ান রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়ে এই ধারা পরিবর্তন করেন। সেই থেকে তুরস্কের প্রধান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেন রাষ্ট্রপতি।

২০১৭ সালে একটি সাংবিধানিক পরিবর্তনের মাধ্যমে তুরস্ককে সংসদীয় ব্যবস্থা থেকে নির্বাহী প্রেসিডেন্সিতে পরিণত করেন এরদোয়ান। প্রধানমন্ত্রীর পদটি বাতিল করা হয় এবং ক্ষমতায় এরদোয়ানের দখল অপরিবর্তিত থাকা নিশ্চিত করা হয়।

ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা এরদোয়ানের রাজনৈতিক আধিপত্যের শেষ হওয়া নিয়ে সমালোচনা করছেন। মানবাধিকার কর্মী এরকান ওজকান এক্সে লিখেছেন, বিশ্বাস করবেন না। আমরা জানি তিনি বারবার তার পুনর্নির্বাচন নিশ্চিত করতে সংবিধান সংশোধন করার চেষ্টা করছেন।

২০০২ সালে একেপি পার্টি ক্ষমতায় আসার পর থেকে এরদোয়ান একজন অপরাজেয় নেতা হিসেবে খ্যাতি গড়ে তুলেছেন। তবে ২০১৯ সালে ইস্তাম্বুল ও রাজধানী আঙ্কারার মেয়র পদ হারায় তার দল। গত মে মাসে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় রাউন্ডে গড়িয়েছে।


আরও খবর



অকটেন-ডিজেল দামের ব্যবধান হবে ১০ টাকা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, চলতি মাস থেকে স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় মূল্য নির্ধারণের সময় অকটেন-ডিজেলের ব্যবধান হবে ১০ টাকা। অর্থাৎ ডিজেলের চেয়ে ১০ টাকা বেশি হবে অকটেনের দাম। এ ছাড়া বিশ্ব বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের মূল্য।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ নির্দেশিকার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।

শুক্রবার (০১ মার্চ) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রজ্ঞাপন প্রকাশের বিষয়টি জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাস্তবতার নিরিখে দেশে ব্যবহৃত অকটেন ও পেট্রল ব্যক্তিগত যানবাহনে অধিক পরিমাণে ব্যবহৃত হয় বিধায় এর মূল্য বিলাসদ্রব্য (লাক্সারি আইটেম) হিসেবে সব সময় ডিজেলের চেয়ে বেশি রাখা হয়। বর্তমানে ডিজেল ও অকটেনের খুচরা বিক্রয় মূল্য পার্থক্য লিটারপ্রতি ২১ টাকা। ফর্মুলা অনুযায়ী অকটেনের মূল্য নির্ধারণকালে ডিজেলের সাথে পার্থক্য লিটার প্রতি ন্যূনতম ১০ টাকা যেন থাকে সে জন্য প্রাইসিং ফর্মুলায় ‘α’ ফ্যাক্টর বিবেচিত হবে।

পেট্রোলিয়াম পণ্য ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রলসহ সরকার যেসব গ্রেডের জ্বালানি তেলের বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করে থাকে সেগুলোর জন্য এই স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি প্রযোজ্য হবে। তবে সরকার/ বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) প্রয়োজন মনে করলে অন্যান্য পেট্রোলিয়াম পণ্যের ক্ষেত্রেও শর্তসাপেক্ষে উক্ত নির্দেশনা প্রয়োগ করতে পারবে। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে প্রাথমিকভাবে প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি মার্চ ২০২৪ থেকে কার্যকর হবে।

ডিজেল ও কেরোসিনের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতিতে আমদানিকৃত পরিশোধিত ডিজেলের কস্ট কম্পোনেন্টসমূহের পাশাপাশি ইস্টার্ন রিফাইনারিতে ক্রুড অয়েল থেকে উৎপাদিত ডিজেলের কস্ট কম্পোনেন্টসমূহ অন্তর্ভুক্ত হবে।

এ দুই ধরনের জ্বালানি তেলের কস্ট কম্পোনেন্টসমূহ বিবেচনা করে ডিজেল ও কেরোসিনের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ করা হবে:

যেভাবে মূল্য নির্ধারণ হবে তা নিম্নরূপ:

ডিজেলের স্বয়ংক্রিয় বিক্রয় মূল্য (H)= পণ্য মূল্য (A) + আমদানি শুল্ক, অগ্রিম আয়কর ও আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট (B) + অপারেশনাল ব্যয় (C) + আর্থিক, প্রশাসনিক ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় (D) + বিপিসির মার্জিন (E) + ভ্যাট (F4) + বিক্রয় ও বিতরণ খরচ (G)।

অকটেন ও পেট্রলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতিতে আমদানিকৃত পরিশোধিত অকটেনের কস্ট কম্পোনেন্টসমূহ বিবেচনা করে নিম্নরূপভাবে অকটেনের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ করা হবে:

অকটেনের স্বয়ংক্রিয় বিক্রয় মূল্য (H)= পণ্য মূল্য (A) + আমদানি শুল্ক, অগ্রিম আয়কর ও আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট (B) + অপারেশনাল ব্যয় (C) + আর্থিক, প্রশাসনিক ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় (D) + বিপিসির মার্জিন (E) + ALPHA (α)+ ভ্যাট (F) +বিক্রয় ও বিতরণ খরচ (G)।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) এই অনুযায়ী জ্বালানি তেলের নতুন মূল্য তালিকা অনুমোদন করবে। এটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।


আরও খবর



মানুষের কষ্ট লাঘবে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জিনিসপত্রের দাম বাড়লে সাধারণ মানুষের কষ্ট হয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকার চেষ্টা করছে সেই কষ্ট লাঘবের। ৫৪তম মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রমজান মাসের শুরুতে খেজুর, আমদানি করা ফল, লেবু, তরমুজ, পেঁয়াজসহ কয়েকটি পণ্যের দাম কিছুটা চড়া ছিল। তবে এসব পণ্যের দাম কয়েক দিনের মধ্যেই স্বাভাবিক ও সহনীয় পর্যায়ে নেমে এসেছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়লে সাধারণ মানুষের, বিশেষ করে সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট হয়। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি মানুষের কষ্ট লাঘবের।

তিনি বলেন, এবারের রমজান মাসকে সামনে রেখে আমরা বেশ আগে থেকেই চিনি, ছোলা, ডাল, ভোজ্য তেলসহ কয়েকটি পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ গড়ে তুলি। একচেটিয়া বাজার তৈরি করে অধিক মুনাফা যাতে কেউ করতে না পারে সেজন্য ভারত হতে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ এবং প্রায় সমপরিমাণ আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি রমজান মাসের শুরু হতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জন্য রাজধানী ঢাকার অন্তত ২৫টি স্থানে ট্রাকে করে মাছ, মাংস, ডিম এবং দুধ সুলভমূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, টিসিবি প্রথম পর্যায়ে সারাদেশের এক কোটি কার্ডধারী পরিবারের জন্য সুলভমূল্যে চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি এবং ছোলা এই পাঁচটি পণ্য বিতরণ করছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ঢাকা ও আশেপাশের এলাকার কার্ডধারী পরিবারের জন্য চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি, ছোলা ও খেজুর এই ৬টি পণ্য বিতরণ করছে। ঈদ উপলক্ষে সারাদেশের ১ কোটি ৬২ হাজার ৫৮০০ পরিবারের জন্য সরকার এক লাখ ৬২৮ মেট্রিক টন চালের বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছে। প্রতি পরিবার বিনামূল্যে ১০ কেজি করে চাল পাবেন।

সরকার প্রধান আরও বলেন, আমরা এ বছর সরকারিভাবে এবং দলগতভাবে ইফতার পার্টির আয়োজন নিরুৎসাহিত করেছি। আওয়ামী লীগ এবং এর সকল সহযোগী সংগঠন নির্দেশমত তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত গরিব-দুঃস্থদের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করছে।


আরও খবর



আদালত অবমাননা: দুই আইনজীবীর বিষয়ে আদেশ ২১ এপ্রিল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বিচার বিভাগের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে, এমন বক্তব্য দেওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদ ও অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদলের আদেশের জন্যে আগামী ২১ এপ্রিল ধার্য করেছেন আদালত। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের আপিল বিভাগ মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) এ দিন ধার্য করেন।

বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের পৃষ্ঠপোষকতায় গঠিত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক হলেন অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ ও সদস্য সচিব হলেন অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল। আদালতে তাদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

গত ১ ডিসেম্বর অ্যাডহক কমিটির প্যাডে প্রধান বিচারপতি বরাবর চিঠি দেন তারা। চিঠিতে বলা হয়, দেশে একটি অনির্বাচিত, জবাবদিহিহীন এবং অস্বচ্ছ ফ্যাসিবাদী শাসনের মাধ্যমে বিরোধী রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীদের ওপর নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। এর ফলে জনগণ প্রজাতন্ত্রের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলছে। জনগণ নজিরবিহীন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগ তামাশার সংসদে সদস্য নির্বাচন করতে যাচ্ছে।

এর প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ হিসেবে আইনজীবীরা ১ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত আদালত বর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এমন একটি নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে আইনজীবী, জনগণ স্বাধীন, বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা রাখছে। আশা করছি মানবাধিকার রক্ষাকারী হিসাবে বিচার বিভাগ কার্যকরভাবে ভূমিকা পালন করবে।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, পুলিশ এবং বিচার বিভাগকে উভয়ই সরকারের ফ্যাসিবাদী নিপীড়নের সহায়ক হয়ে উঠেছে। সাধারণ নাগরিকদের প্রাপ্য জামিন আবেদন নামঞ্জুর এবং দ্রুতগতিতে বিচার পরিচালনা করা ন্যায়বিচারকে কবর দেয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, আদালত বর্জন কর্মসূচি চলাকালে মামলা সংশ্লিষ্ট যেসব আইনজীবী শুনানিতে অংশ নিতে অথবা নির্ধারিত তারিখে আদালতে উপস্থিত থাকতে পারবেন না, সেসব মামলার পরবর্তী কার্যক্রম ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করা হোক। সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের অনুপস্থিতে মামলা খারিজ বা বিরূপ আদেশ দেয়া উচিত হবে না।

এই চিঠিতে আদালত অবমাননাকর ভাষা ব্যবহার করায় এর ব্যাখ্যা দিতে তাদের তলব করা হয়। আদেশ অনুযায়ী দুই আইনজীবী ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগে হাজির হন। সেদিন তাদের পক্ষে সময় আবেদন করলে আদালত ব্যাখ্যা দিতে দুই আইনজীবীকে চার সপ্তাহ সময় দেন। এ সময়ে তারা সুপ্রিম কোর্টে কোনো মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না বলে আদেশ দেন।

তার ধারাবাহিকতায় মামলাটি আবার শুনানির জন্য ওঠে। আজ দুই আইনজীবী নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

নিউজ ট্যাগ: আদালত অবমাননা

আরও খবর