
হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী, মুমিন রজব মাস থেকে রমজানের প্রস্তুতি শুরু করা উচিত। তবে যারা রজব থেকে শুরু করতে পারেনি, তাদের জন্য সর্বোত্তম সময় শাবান মাস। মহানবী (সা.) শাবান মাসের ব্যাপারে যারা উদাসীন তাদের সতর্ক করেছেন।
উসামা বিন জায়িদ (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘...রাসুল (সা.) বলেন, রমজান ও রজবের মধ্যবর্তী এ মাসের ব্যাপারে মানুষ উদাসীন থাকে। এটা এমন মাস, যে মাসে বান্দার আমল আল্লাহর কাছে পেশ করা হয়। আমি চাই, আল্লাহর কাছে আমার আমল এমন অবস্থায় পেশ করা হোক, যখন আমি রোজাদার।’ -(সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ২৩৫৭)
একেবারে দোরগোড়ায় পবিত্র মাস রমজান। মুসলিম বিশ্ব অপেক্ষায় রয়েছে মাসটিকে বরণ করতে। শেষ মুহুর্তে রমজান মাস নিয়ে পরিকল্পনা সাজাতে বলেছেন মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক মিজানুর রহমান আজহারী।
তিনি বলেন, ‘রমাদানের প্রস্তুতি নিন— মানসিকভাবে, পারিবারিকভাবে, সামাজিকভাবে এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে। পরিমাণে অল্প তবে সুনির্দিষ্ট কিছু পরিকল্পনা করুন। সুপরিকল্পনা কাজের প্রোডাক্টিভিটি বাড়ায়।’
রমজানে কোরআন তেলাওয়াতের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে কুরআন তিলাওয়াত, অর্থসহ কুরআনের অনুবাদ পড়া, কুরআনিক স্টাডি গ্রুপে অংশগ্রহণ— এসব কাজে বেশী সময় ব্যয় করুন। কুরআন নাযিলের এ মাসে আমাদের প্রতিটি দিন হোক কুরআনময়।’