আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

রমজানে ছুটি ঘোষণা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র রমজানসহ ছয়টি দিবস উপলক্ষে মোট ১৪ দিন ছুটি থাকবে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আগামী ৭ এপ্রিল থেকে এ ছুটি শুরু হয়ে শেষ হবে ২৬ এপ্রিল। এ ছাড়া মাধ্যমিক স্তরে এই ছুটি চলবে ২৩ মার্চ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত; অর্থাৎ ২৬ দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে দুই মন্ত্রণালয় পৃথক সময়ে ছুটি ঘোষণায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন শিক্ষক এবং অভিভাবকরা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অন্তত ৬০ ভাগ অভিভাবকের সন্তান প্রাথমিক, মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করেন। ছুটির সময় ভিন্ন হওয়ায় তাদের পারিবারিক ভ্রমণ, ভ্রাতৃত্বের বন্ধন ও সম্প্রীতিতে বিঘ্ন ঘটবে। এমনকি, বেশ কিছু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শাখা আছে, তাদের পাঠদানে বিঘ্ন ঘটবে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে মনোপীড়ার সৃষ্টি হয়। কিছু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালু আছে। এসব বিদ্যালয়েও পাঠদানে সমস্যা দেখা দেয়। যেসব অভিভাবকের সন্তান প্রাথমিক ও মাধ্যমিক দুই শাখাতেই পড়ে তাদের যাতায়াত ব্যয় বেড়ে যায়। আবার একটি সন্তান বাড়িতে রেখে অপরকে নিয়ে অভিভাবকদের বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়।

তারা মনে করেন, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সঙ্গে মিল রেখে প্রাথমিকের ছুটি নির্ধারণ করা যৌক্তিক হবে।

মাধ্যমিক স্তরের সঙ্গে একই সময়ে প্রাথমিক স্তরেও ছুটি ঘোষণার দাবিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় হয়েছেন শিক্ষকরা। শিক্ষক সংগঠনগুলোও অভিন্ন ছুটি নির্ধারণের দাবি করেছেন। বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষক সমাজ নামের একটি সংগঠনও এই দাবিতে শামিল হয়েছে।

সংগঠনটির সভাপতি শাহিনুর আল-আমিন ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইলিয়াছ হোসেন জানান, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভিন্ন ছুটি নির্ধারণের যৌক্তিকতা তুলে ধরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চিঠি দেয় হয়েছে। চলতি বছর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫৪ দিন ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭৬ দিন ছুটি রয়েছে। চিঠিতে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভিন্ন ৭৬ দিন ছুটি নির্ধারণের দাবি তোলা হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানান, অভিন্ন ছুটির বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিলে তা বাস্তবায়নের ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ছুটির প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটির তালিকায় ৭ এপ্রিল থেকে ছুটি শুরু হয়ে চলবে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত। ২৭ এপ্রিল থেকে ক্লাস শুরু হবে। পবিত্র রমজান, ইস্টার সানডে, চৈত্র সংক্রান্তী, বাংলা নববর্ষ, শব-ই-কদর, জুমাতুল বিদা ও ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে এ প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া ক্লাস বন্ধ থাকবে ১৪ দিন।

অপরদিকে ২০২৩ সালে সরকারি-বেসরকারি হাইস্কুল, নিম্নমাধ্যমিক স্কুলের ছুটির তালিকা অনুযায়ী ছুটি ২৩ মার্চ শুরু হয়ে চলবে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত। শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। এ প্রতিষ্ঠানগুলো ক্লাস শুরু হবে ৩০ এপ্রিল থেকে। পবিত্র রমজান, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ইস্টার সানডে, বৈসাবি, বাংলা নববর্ষ, শবেকদর, জুমাতুল বিদা ও ঈদুল ফিরত উপলক্ষে এ সময়ে সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়া ২৬ দিন ক্লাস বন্ধ থাকবে।

সরকারি-বেসরকারি কলেজ, সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা ও টিটি কলেজের ২০২৩ সালের ছুটির তালিকা অনুযায়ী ছুটি ২৩ মার্চ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত। ২০২৩ সালে মাদ্রাসার ছুটির তালিকা অনুযায়ী ২২ মার্চ শুরু হয়ে চলবে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত। একই তারিখে ছুটি থাকবে এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল এবং জেএসসি ভোকেশনাল শিক্ষাক্রমের প্রতিষ্ঠানগুলোয়।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




সব ডিসি-এসপির সঙ্গে ইসির বৈঠক ২৫ এপ্রিল

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), বিভাগীয় কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের ডেকেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ২৫ এপ্রিল তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে নির্বাচন কমিশন। ইসির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের যথাসময়ে বৈঠকে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষ্যে সব বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, জেলা প্রশাসক, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং পুলিশ সুপারদের উপস্থিতিতে আগামী ২৫ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) বেলা ১১টায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সভায় নির্বাচন কমিশনারগণ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত থাকবেন।

নির্দেশনাটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, মহাপুলিশ পরিদর্শক, সব বিভাগীয় কমিশনার, উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, সব ডিসি ও এসপিদের পাঠানো হয়েছে।

চার ধাপে অনুষ্ঠেয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তিন ধাপের তফসিল ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাইয়ের সময় শেষ। বৈধ প্রার্থী এক হাজার ৭৮৬ জন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮মে। আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ই মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ই মে এবং ভোট ২৯শে মে। এই ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট হবে।

এই ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।


আরও খবর



মাঝরাতে ফাঁকা রাস্তায় হেনস্তা শিকার তনুশ্রী সাহা

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

মাঝরাতে ফাঁকা রাস্তায় ট্যাক্সি ড্রাইভারের হেনন্তার শিকার হয়েছেন ওপার বাংলার অভিনেত্রী তনুশ্রী সাহা। তিনি কালারস বাংলার রামকৃষ্ণ সিরিয়ালের অভিনেত্রী।

অভিনেত্রী জানান, শুক্রবার রাতে তিনি শ্যুটিং শেষে বাইক বুকিং করে বাড়ি ফিরছিলেন। হঠাৎ ড্রাইভার ফাঁকা রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে তুই-তুকারি ও গালিগালাজ করা শুরু করে।

তিনি বলেন, টালিগঞ্জের টেকনিশিয়ান স্টুডিয়োতে এখন শ্যুটিং চলছে। তাই দেরি হয়ে গেলে আমি ক্যাব বাইক বুকিং করে নিই। যথারীতি গতকাল রাতেও সেটাই করেছি। ড্রাইভার শুরুতেই ১২০-১৩০ বেশি চাইলেন। নিয়মিত এমন বাড়তি ভাড়ার চাপে পড়তে হয়।

তাই আমি সেইভাবেই রাজি হই। কিন্তু গাড়ি স্টার্ট দিতেই বেপরোয়াভাবে চালাতে শুরু করে ড্রাইভার। আমি দু-তিনবার অ্যাক্সিডেন্ট হতে হতেও বেঁচে গিয়েছি। এক সময় আমি বলতে বাধ্য হই, দাদা প্লিজ এভাবে গাড়ি চালাবেন না। আপনার হয়তো বাড়ি ফেরার ইচ্ছে নেই, আমার কিন্তু বাড়ি ফিরতে হবে।

তিনি জানিয়েছেন, এরপরই ফাঁকা রাস্তায় হঠাৎ গাড়ি থামিয়ে তাকে নামতে বলা হয়।

তনুশ্রী বলেছিলেন, আমি তো এখানে নামব না, লোকেশন যেখানে দেয়া সেখানেই নামব। এরপর তুই-তুকারি ও গালিগালাজ করে সে বলে তো যাব না, তুই এখনই গাড়ি থেকে নাম। এরপর গাড়ি থেকে নেমে আমায় মারতে আসে। সেই সময় আমি চিৎকার শুরু করি।

কিছুক্ষণের মধ্যেই আমি কলকাতা পুলিশকে ফোন করি। ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে গোটা টিম ওখানে পৌঁছে যায়। এরপর কলকাতা পুলিশ আমায় গাড়ি বুকিং করে দেয়, আমি সাবধানে বাড়ি ফিরি। তবে আমি একটা কথাই বলব, এটা তো প্রতিদিন কারও না কারও সঙ্গে ঘটছে। তাই আমার মনে হয় ভয় পেয়ে কিছু হবে না। প্রতিবাদ করাটা খুব দরকার। তাহলে আশাকরি বোঝানো যাবে কেউ দুর্বল নয়।

নিউজ ট্যাগ: তনুশ্রী সাহা

আরও খবর



হবিগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

হবিগঞ্জের হুরগাও গ্রামের হারুন মিয়া হত্যা মামলায় সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং অপর ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ২১ বছর পর এ মামলার রায় এলো।

হবিগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ-১-এর বিচারক মো: আজিজুল হক মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জালাল মিয়া, রুহুল আমিন, কুতুব আলী, ফজল মিয়া, রফিক মিয়া, জাকির হোসেন, আব্বাছ উদ্দিন।

আর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ছায়েদ মিয়া, মিজান মিয়া, আব্দুল মতলিব, কালা মিয়া, জিয়াউল হক, আয়াত আলী, ইছাক মিয়া, কুতুব আলী, জজ মিয়া, ইব্রাহিম মিয়া।

২০০৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি হুরগাও গ্রামে গ্রাম্য বিরোধের জের ধরে হারুন মিয়াকে হত্যা করা হয়। একই দিন তার চাচাতো ভাই সুমন আহমেদ ৪৭ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২১ বছরে রাষ্ট্রপক্ষ ৩৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনকে আদালতে উপস্থাপন করে। আসামিদের মধ্যে আটজন বিভিন্ন সময় স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করায় তাদেরকে হত্যা মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

রায় ঘোষণার সময় একজন ছাড়া সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদেরকে সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট সালেহ উদ্দিন আহমেদ।


আরও খবর



ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় খন্দকার মুশতাকের স্থায়ী জামিন

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীকে প্রলোভন ও ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় খন্দকার মুশতাক আহমেদের স্থায়ী জামিন দিয়েছেন আদালত। এছাড়া মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২ জুন দিন ধার্য করেন আদালত।

সোমবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলীর আদালতে মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এজন্য বিচারক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২ জুন ধার্য করেন। অন্যদিকে খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও ফাওজিয়া রাশেদী স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

মামলার বাদী হলেন ওই শিক্ষার্থীর বাবা মো. সাইফুল ইসলাম। খন্দকার মুশতাক প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির দাতা সদস্য ও ফাওজিয়া রাশেদী কলেজটির অধ্যক্ষ।

আসামি পক্ষের আইনজীবী ফারুকুর রহমান ভুইয়া সোহাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ১৪ মার্চ মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলীর আদালত। একই সঙ্গে অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৯ এপ্রিল দিন ধার্য করেন আদালত।

গত বছরে ১ আগস্ট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ওই ছাত্রীর বাবা। আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে নিয়মিত মামলার আদেশ দেন।


আরও খবর



মুন্সীগঞ্জ শহরের পুকুর থেকে ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সীগঞ্জ শহরের মধ্যকোর্টগাও এলাকার একটি পুকুর থেকে ফিরোজ (৫৫) নামের এক ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৮ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিহতের বাড়ির নিকটবর্তী পুকুরে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ। নিহত ফিরোজ স্থানীয় মৃত আফসু মুন্সির ছেলে।

এদিকে ফিরোজের মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে ধুম্রজাল তৈরি হয়েছে। নিহত ফিরোজ বিভিন্ন সময় মাদক গ্রহণ করত বলে জানিয়েছে পুলিশ ও স্থানীয়রা। মাদক সেবনের পর মৃত্যু নাকি হত্যা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এবিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে নিহতের বাড়ির নিকটবর্তী পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে তার পকেট থেকে ঘুমে ঔষধ পাওয়া গেছে, সে বিভিন্ন সময় মাদক সেবন করতো বলেও জানতে পেরেছি। মাদক সেবনের পর পুকুরে পরে গিয়ে মৃত্যু নাকি অন্য কোন ঘটনা আছে সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হবে, ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ যানা যাবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

নিউজ ট্যাগ: মুন্সীগঞ্জ

আরও খবর