আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

রমজান সামনে রেখে বাড়তি মূল্যে ফল

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

ডলার সংকট, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্কারোপের কারণে এমনিতেই ফলের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। এর মধ্যে রমজান ঘিরে বাড়তি মুনাফা করার ছক তৈরি করছে খুচরা ফল বিক্রেতা সিন্ডিকেট সদস্যরা। তারা পাইকারি বাজার থেকে কম মূল্যে ফল কিনলেও খুচরা পর্যায়ে উচ্চমূল্যে বিক্রি করছে। এতে পরিবারের জন্য যারা নিয়মিত ফল কিনতেন, তারা বাজারের তালিকা থেকে পুষ্টিকর এই পণ্যটি বাদ দিচ্ছেন। এছাড়া খুব প্রয়োজন হলে খরচ সমন্বয় করে একটি-দুটি করে ফল ওজন দিয়ে কিনছেন। এমন পরিস্থিতিতে বাড়তি মূল্যের কারণে ইফতারে ফল কিনে খাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন ভোক্তাসাধারণ।

রাজধানীর পাইকারি আড়ত বাদামতলী গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ক্রাউন আপেল ২০ কেজির বাক্স বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৯০০ থেকে ৪ হাজার টাকা। সেই হিসাবে পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজির দাম হয় ১৯৫-২০০ টাকা। তবে রাজধানীর খুচরা বাজারে এই ক্রাউন আপেল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা, যা গত বছর একই সময় প্রতি কেজি ১৭০-১৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাইকারি আড়তে ১৫ কেজির বাক্সে মাল্টা মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ২৩৫০-২৬০০ টাকায়, যা প্রতি কেজির দাম হয় ১৫৬-১৭৩ টাকা। তবে খুচরা বাজারে এই একই মাল্টা বিক্রি হচ্ছে ২১০-২৩০ টাকা। পাইকারি আড়তে নয় কেজি ওজনের বাক্সে চায়না কমলা বিক্রি হচ্ছে ১৭৫০-১৮০০ টাকা, যার প্রতি কেজির দাম হয় ১৯৪-২০০ টাকা। তবে খুচরা বাজারে এই একই কমলা বিক্রি হচ্ছে ২৬০-২৮০ টাকা।

এছাড়া বাদামতলীর আড়তে ৪ থেকে ৫ কেজি ওজনের তরমুজ ১০০ পিস বিক্রি হচ্ছে ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা। সেক্ষেত্রে প্রতি পিস তরমুজের পাইকারি মূল্য হয় ৮০ থেকে ১০০ টাকা। তবে রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে পিস হিসাবে তরমুজ বিক্রি করতে দেখা যায়নি। বিক্রেতারা খুচরা পর্যায়ে ৪-৫ কেজি ওজনের প্রতি পিস তরমুজ খুচরা ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন ৫০ টাকা কেজি দরে। এতে ৫ কেজির একটি তরমুজের দাম পড়ছে ২৫০ টাকা। অথচ আড়ত থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা প্রতি পিস তরমুজ কিনছেন ১০০ থেকে ১২০ টাকায়।

রাজধানীর নয়াবাজারে পণ্য কিনতে আসা মো. জালাল উদ্দিন বলেন, গত বছরও প্রতি সপ্তাহে ফল কিনতাম। বছরের তুলনায় সব ধরনের ফলের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। পাশাপাশি রোজা সামনে রেখে বিক্রেতারা হঠাৎ করেই দাম আরও বাড়িয়েছে। তাই সংসারের সব খরচ মিটিয়ে এখন আর ফল কেনা হয় না। কিন্তু রোজা রেখে ইফতারে ফল না রাখলে চলে না। তবে এবার উচ্চমূল্যের কারণে মনে হচ্ছে ইফতারে ফল রাখা হবে না।

জানতে চাইলে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, বিদেশি ফলকে বিলাসপণ্য দেখিয়ে অতিরিক্ত ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এতে গত বছর রোজার আগে ঠিক একই সময়ের তুলনায় সব ধরনের ফলের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। এর মধ্যে বিক্রেতাদের সিন্ডিকেট অতি মুনাফার লোভে দাম আরও বাড়াচ্ছে। কারণ পর্যাপ্ত তদারকি না থাকায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তাই শিগগিরই ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে ভোগান্তিতে পড়বে ভোক্তা।

বাদামতলী জননী ফলের আড়তের মহাজন জালাল উদ্দিন বলেন, আমরা আমদানিকারকদের কাছ থেকে যে দরে ফল আনি, পরে কিছু কমিশনে বিক্রি করে দিই। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, রোজা উপলক্ষ্যে খুচরা বিক্রেতারা সিন্ডিকেট তৈরি করেছে। তারা আমাদের কাছ থেকে কম দামে ফল নিলেও খুচরা পর্যায়ে দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছে। এ সিন্ডিকেট না ভাঙলে ক্রেতারা রোজায় ফল কিনতে স্বস্তি পাবে না। তাই তদারকি করা প্রয়োজন।

নয়াবাজারের খুচরা ফল বিক্রেতা মো. রবিন বলেন, পাইকারি বাজার থেকে আমরা যে দরে ফল আনি, কিছু লাভে তা বিক্রি করি। আমাদের কোনো সিন্ডিকেট নেই। পাইকারি পর্যায় থেকে ফল আনতে কিছু ফল নষ্ট হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় চাঁদা দিতে হয়।

জানতে চাইলে বাজার তদারকি সংস্থা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, রোজা ঘিরে একটি রোডম্যাপ অনুযায়ী বাজারে তদারকি করা হচ্ছে। একই সময় বিভিন্ন বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ফলের বাজারেও অভিযান পরিচালনা করা হবে। অনিয়ম পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় আনা হবে। অনিয়ম পেলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

নিউজ ট্যাগ: রমজান

আরও খবর



তীব্র তাপদাহে পুড়ছে দেশ, ভাঙল ৭৬ বছরের রেকর্ড

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র তাপদাহে পুড়ছে দেশ। কখনো তীব্র আবার কখনো অতি তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে দেশের বেশকিছু অঞ্চলের ওপর দিয়ে। টানা এতদিনের তাপদাহ আগে কখনো দেখেনি বাংলাদেশ। এ অবস্থায় চলতি বছর দেশে গত ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে তাপদাহ। যা এপ্রিল মাসজুড়েই অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে জানান, ১৯৪৮ সাল থেকে ইতিহাসে এবারই প্রথম দীর্ঘসময় ধরে তাপপ্রবাহ বইছে বাংলাদেশে। চলতি এপ্রিলে টানা ২৪ দিন তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহী বিভাগে ১ এপ্রিল থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। এরপর ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বিভাগটির তাপমাত্রা ৩৬-৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়। পরবর্তীতে ঢাকা, খুলনা ও রংপুর বিভাগেও তাপমাত্রা বাড়ে এবং দু’দিন তা অব্যাহত থাকে।

এদিকে, গত ৮ এপ্রিল কক্সবাজার ও সীতাকুণ্ডে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। তবে ৯ ও ১০ এপ্রিল সারাদেশে তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে ছিল। এরপর ১১ এপ্রিল থেকে উষ্ণতা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।

টানা অন্তত দু’দিন তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকলে তা তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এদিকে, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আবহাওয়া অধিদপ্তরের সবশেষ ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এই অবস্থায় আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

অন্যদিকে, বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা ও যশোর জেলাসমূহের ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলাসহ খুলনা বিভাগের অন্যান্য জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঢাকা, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, বগুড়া, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়, ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও অব্যাহত থাকতে পারে।

তবে এই সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।


আরও খবর
বৃষ্টি কবে থেকে, জানাল আবহাওয়া অফিস

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




ভারতীয় মসলায় ক্যানসারের উপাদান, নিষিদ্ধ হংকং-সিঙ্গাপুরে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ক্যানসার সৃষ্টিকারী ইথিলিন অক্সাইডের উচ্চ-মাত্রার উপস্থিতি মেলায় ভারতীয় কোম্পানি এমডিএইচ ও এভারেস্টের গুঁড়া মসলা বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে হংকং ও সিঙ্গাপুর।

এ ঘটনার পর ভারতের মশলা রফতানি নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রতিষ্ঠান দুইটিতে তাদের মশলার গুণগত মান যাচাইয়ের বিস্তারিত তথ্য সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছে। ভারতে এ দুই কোম্পানির গুঁড়া মশলা ব্যাপক জনপ্রিয় এবং ইউরোপ, এশিয়া ও উত্তর আমেরিকাতেও রফতানি করা হয়।

এমডিএইচ-এর মাদ্রাজ কারি পাউডার, সম্বার মসলা ও কারি পাউডার মসলা ও এভারেস্ট ফুড প্রোডাক্ট লিমিটেডের ফিশ কারি মসলা, মোট এই চারটি প্রোডাক্টকে ঘিরে তৈরি হয়েছে এই সমস্যা।

ইথিলিন অক্সাইড একটি গন্ধহীন রাসায়নিক। অত্যধিক পরিমাণে থাকলে তা মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

হংকং ও সিঙ্গাপুরের কর্তৃপক্ষ বলেছে, ভারতীয় ওই দুই কোম্পানির গুঁড়া মসলায় উচ্চ মাত্রার ইথিলিন অক্সাইড রয়েছে। যা মানুষের খাওয়ার জন্য অনুপযোগী। আর দীর্ঘ সময় ধরে ইথিলিন অক্সাইডের ব্যবহারে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

ভারতের মশলার বাজারের অন্যতম বৃহৎ দুই কোম্পানি এমডিএইচ ও এভারেস্ট স্পাইসেস। দেশটির বাজার গবেষণা সংস্থা জিওন মার্কেট রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে এই দুই কোম্পানি ১০ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মশলা বিক্রি করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটি ২০২২-২৩ সালে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের মশলা রফতানি করেছে বলে জানিয়েছে ভারতের মশলা বোর্ড।


আরও খবর



ঈদে ফাঁকা ঢাকায় সতর্ক থাকবে পুলিশ: আইজিপি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন জানিয়েছেন, ঈদে ফাঁকা ঢাকায় মানুষের নিরাপত্তা দিতে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে থাকবেন।

শুক্রবার বাদ জুমা রাজারবাগ পুলিশ লাইনের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বার্ষিক আজান, কেরাত ও রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

আইজিপি আরও বলেন, ঈদে যাতায়াত নিরাপদ করতে পুলিশ প্রস্তুতি নিচ্ছে। এছাড়াও পর্যটন স্পটগুলোতে ভিড় বাড়বে, সে অনুযায়ী পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে।

ঈদযাত্রায় সাধারণ মানুষ যাতে নিরাপদে পৌঁছাতে পারে পুলিশ এ ব্যাপারে সচেষ্ট থাকবে। সবাই একসঙ্গে কাজ করবে বলেও জানান পুলিশ প্রধান।

আইজিপি আরও বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে বাস, লঞ্চ কিংবা ট্রেনে বাড়তি ভাড়া আদায়ের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ফাঁকা ঢাকায় নিরাপত্তা বিধানে সতর্ক থাকবে পুলিশ।

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত না করতে যাত্রীদের আহ্বান জানিয়েছেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।


আরও খবর



যুদ্ধজাহাজের পাহারায় দুবাইয়ের পথে ২৩ নাবিক

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালি জলদস্যুর কবলে পড়া ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে মুক্ত করা হয়েছে। মুক্তিপণ দেওয়ার পর নাবিকসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ এখন দুবাইয়ের  আল হারমিয়া বন্দরের দিকে রওনা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ভারতীয় একাধিক যুদ্ধজাহাজের পাহারায় রয়েছে মুক্তি পাওয়া জাহাজটি। দুবাই পৌঁছানোর পর জাহাজের দায়িত্ব নেবে নতুন নাবিক দল। দুবাই পৌঁছাতে নাবিকদের আরও পাঁচদিন লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া নাবিক মো. শামসুদ্দিন।

শামসুদ্দিনের বোন জামাই বদরুল হক বলেন, শামসুদ্দিনের সঙ্গে কথা হয়েছে। সব নাবিক সুস্থ আছে। এখন এমভি আব্দুল্লাহর পাশাপাশি একাধিক যুদ্ধজাহাজ রয়েছে। শামসুদ্দিন জানিয়েছে, দুবাই পৌঁছাতে আরও পাঁচদিন লাগতে পারে।

আরেক নাবিক হোসেন মো. সাজ্জাদের ভাই মো. মোশাররফ  বলেন,  আমি শুনেছি দুবাই আসার পর নতুন নাবিকেরা জাহাজের দায়িত্ব নেবে। জিম্মি ২৩ নাবিক সেখান থেকে বাংলাদেশে ফিরবেন। সে (নাবিক সাজ্জাদ) আম্মাকে বলেছে, জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএমের জন্য দোয়া করতে।

জানা গেছে, জলদস্যুদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ নিয়ে একটি উড়োজাহাজ বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকেলে জিম্মি জাহাজের ওপর চক্কর দেয়। এসময় জাহাজের ওপরে ২৩ নাবিক অক্ষত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর বিমান থেকে ডলারভর্তি তিনটি ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে এসব ব্যাগ জলদস্যুরা কুড়িয়ে নেয়। জাহাজে উঠে দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ গুনে নেয় জলদস্যুরা। তবে চুক্তি অনুযায়ী জাহাজটি যথাসময়ে ছেড়ে দেয়নি দস্যুরা। পরে আশপাশে কেউ আটক করছে কি না, সেটি নিশ্চিত হয়ে জাহাজ থেকে দস্যুরা নেমে যায়।

মুক্ত হয়ে বাংলাদেশ সময় শনিবার মধ্যরাতে ২৩ নাবিক নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ। যদিও মুক্তিপণ কত এবং কীভাবে দেওয়া হয়েছে সেটি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি জাহাজের মালিকপক্ষের কোনো কর্মকর্তা।

কেএসআরএম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান বলেন, সমঝোতার পর নাবিকসহ জাহাজটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। জাহাজের চারপাশে একাধিক আন্তর্জাতিক যুদ্ধজাহাজ রয়েছে।

এর আগে গত ১২ মার্চ দুপুরে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।


আরও খবর



তরমুজের বীজ খেয়ে নিজের ক্ষতি করছেন না তো?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

গরমে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পরলেও এই মৌসুমেই কিন্তু বিভিন্ন রসালো স্বাদের ফল পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ফল তরমুজ। গোটা কিংবা জুস যেভাবেই হোক তরমুজ পছন্দ করেন না এমন মানুষ পাওয়া দায়। তবে তরমুজ খাওয়ার বাধ সাধে তরমুজের বীজ।

একদম সাবধানভাবে বীজ ছাড়া তরমুজ খাওয়া বেশিরভাগ সময় সম্ভব হয় না। তাই দেখা যায় অনেকেই তরমুজের বীজ খেয়ে ফেলেন। বিশেষ করে শিশুরা। এখন প্রশ্ন আসে তরমুজের বীজ কী মানবশরীরের ক্ষতির কারণ হতে পারে। এর জবাব হচ্ছে একেবারেই না। 

অনেকেই ভাবেন, তরমুজের বীজ খেলে বোধ হয় পেটে সমস্যা হতে পারে। পুষ্টিবিদের মতে, তরমুজের বীজের ক্ষতিকর তো নয়ই উল্টো এটা স্বাস্থ্যকর। এই বীজে প্রোটিনের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। সুস্থ থাকতে সারা দিনে যে পরিমাণে প্রোটিনের প্রয়োজন হয় তার ৬০ শতাংশই মিলতে পারে এক কাপ তরমুজের বীজ থেকে।

পুষ্টিবিদের থেকে জানা যায়, তরমুজের বীজে আছে আয়রন, ফোলেট, লাইকোপেন এবং নিয়াসিনের মতো উপাদান। তবে যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে তাদের কারও কারও ক্ষেত্রে এটা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতেই পারে। কারও আবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও হয়ে থাকে।

তরমুজের বীজ খেলে শরীরে নানান উপকার হয়। ভারতীয় গণমাধ্যম এ নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এক নজরে দেখে নিন সেগুলো।

১. প্রোটিনের পাশাপাশি তরমুজের বীজে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। ত্বকে কোনও প্রদাহ হলে তা-ও কমাতে সাহায্য করে। তাই ত্বক ও চুলের যত্ন নিতে খাদ্য তালিকায় যুক্ত করতে পারেন তরমুজের বীজ।

২. রক্তে থাকা এলডিএল কোলেস্টেরল হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ার কারণ। অন্যদিকে তরমুজের বীজে রয়েছে মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড, যা রক্তে এই খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য কিন্তু বেশ উপকারী ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ তরমুজের বীজ।

৩. হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গেলে ক্যালসিয়াম ছাড়াও বেশ কিছু খনিজের প্রয়োজন হয়, এই খনিজগুলি যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে তরমুজের বীজে। এ ছাড়াও তরমুজের বীজ পেশির গঠনের প্রয়োজনীয় এই খনিজগুলোর অন্যতম উৎসব ।


আরও খবর