আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

রক্তদিয়ে কেনা আমার বর্ণমালা

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ফাহাদ মশিউর রহমান

Image

১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে বাঙালির প্রাণের ভাষার মাস। ১৯৫২ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে ভাষা শহিদের আত্মদানের মধ্য দিয়ে আমরা অজর্ন করেছিলাম মায়ের মুখের ভাষা, রক্তদিয়ে কেনা আমার বর্ণমালা। 

১৯৪৮ সালের ২১শে মার্চ, ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে - (যা এখন সোহরাওয়ার্দি উদ্যান)। এখানে এক ভাষণে পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল, গণপরিষদের সভাপতি এবং মুসলিম লিগে সভাপতি মোহাম্মদ আলি জিন্নাহ স্পষ্ট করে বলেছিলেন, পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় ভাষা হবে উর্দু - অন্য কোন ভাষা নয়। ইংরেজিতে দেয়া সেই বক্তৃতায় তিনি বলেছিলেন, আমি খুব স্পষ্ট করেই আপনাদের বলছি যে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু, এবং অন্য কোন ভাষা নয়। কেউ যদি আপনাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে তাহলে সে আসলে পাকিস্তানের শত্রু

কয়েকদিন পর মোহাম্মদ আলি জিন্নাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে ছাত্রদের সামনে আরো একটি ভাষণ দিলেন। সেখানেও একই কথা বললেন তিনি। বললেন, পাকিস্তানের প্রদেশগুলো নিজেদের সরকারি কাজে যে কোন ভাষা ব্যবহার করতে পারে - তবে রাষ্ট্রীয় ভাষা হবে একটিই এবং তা হবে উর্দু।  কার্জন হলে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার কথা বলার পর কয়েকজন ছাত্র না না বলে চিৎকার করে প্রতিবাদ করেছিলেন - যা জিন্নাহকে কিছুটা অপ্রস্তুত করেছিল।

পাকিস্তানের প্রথম গণপরিষদের অধিবেশন বসেছিল - ১৯৪৮ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি। তাতে গণপরিষদে কার্যক্রমে উর্দু ও ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা ভাষাও যেন ব্যবহৃত হতে পারে - এমন এক প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন কংগ্রেস দলীয় সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত। তাঁর যুক্তি ছিল - পাকিস্তানের ৬ কোটি ৯০ লক্ষ লোকের মধ্যে ৪ কোটিরও বেশি লোকের ভাষা বাংলা - অর্থাৎ সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ভাষাই বাংলা। তাই বাংলাকে পাকিস্তানের একটি প্রাদেশিক ভাষা হিসেবে দেখা উচিত নয়, বাংলারও হওয়া উচিত অন্যতম রাষ্ট্রভাষা। কিন্তু তাঁর এ সংশোধনীর প্রস্তাব গণপরিষদে টেকেনি।  ২৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী তীব্র ভাষায় এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। দুঃখের বিষয়, মুসলিম লীগ দলের কোনো বাঙালি সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে সমর্থন করে কথা বলেননি। পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিনও উর্দুর পক্ষ অবলম্বন করেন। ১১ মার্চ গণপরিষদে প্রস্তাব পাশ হয়, উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। এর প্রতিবাদে ঢাকায় ছাত্ররা ক্লাস বর্জন ও ধর্মঘট করে। ১১ই মার্চ ১৯৪৮ সালে পূর্ব বাংলায় পালিত হয় ভাষা দিবস

১১ মার্চ বাংলা ভাষা দাবি দিবস উপলক্ষ্যে পূর্ব বাংলায় সাধারণ ধর্মঘট পালিত হয়। ওইদিন ভোরবেলা শত শত ছাত্র ইডেন বিল্ডিং, জিপিও ও অন্যান্য জায়গায় পিকেটিং শুরু করে। সমগ্র ঢাকা শহর পোস্টারে ভরে যায়। ছাত্রদের আন্দোলনে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। নানা জায়গায় অনেক ছাত্র আহত হয়। শামসুল হক, শেখ মুজিবুর রহমান, অলি আহাদসহ সত্তর-পঁচাত্তরজন ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর ফলে আন্দোলন দানা বেঁধে ওঠে। স্বাধীন পাকিস্তানে এটিই শেখ মুজিবের প্রথম গ্রেপ্তার। দুজন মন্ত্রীকে পদত্যাগপত্র স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেন বিক্ষোভকারীরা, পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী খাজ নাজিমুদ্দিনকে গণপরিষদ ভবন থেকে বের করে নিতে সেনাবাহিনী ডাকতে হয়েছিল। এই নেতাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ১৩-১৫ই মার্চ ঢাকায় ধর্মঘটও পালিত হয়েছিল।

তখন পূর্ব পাকিস্তান আইনসভার অধিবেশন চলছিল। এ সময় শেরেবাংলা একে ফজলুল হক, বগুড়ার মোহাম্মদ আলী, তোফাজ্জুল আলী, ডা. মালেক, খান এ সবুর, খয়রাত হোসেন, আনোয়ারা খাতুন এবং আরও অনেক সদস্য ছাত্রদের পুলিশ কর্তৃক মারধর ও জেলে পাঠানোর প্রতিবাদ করেন। নাজিমুদ্দিন সাহেব ঘাবড়ে গেলেন এবং সংগ্রাম পরিষদের সঙ্গে আলাপ করতে রাজি হলেন। ছাত্রনেতাদের সঙ্গে নাজিমুদ্দিন সরকারের আলোচনার পর উভয়পক্ষ মিলে একটি সমঝোতা চুক্তি প্রণয়ন করে। বিশিষ্ট ছাত্রনেতারা জেলে থাকায় চুক্তিপত্রটি তাদের অনুমোদনের জন্য অধ্যাপক আবুল কাশেম ও কামরুদ্দিন আহমেদ গোপনে জেলে নিয়ে যান এবং শামসুল হক, শেখ মুজিবুর রহমান ও অলি আহাদ বন্দিদের পক্ষে খসড়া চুক্তির শর্তাবলি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অনুমোদন করেন।

চুক্তির প্রধান প্রধান শর্ত ছিল-বন্দিদের মুক্তি, পুলিশি নির্যাতনের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক তদন্ত, বাংলা ভাষাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা ও শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে গ্রহণ করার জন্য পূর্ব পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তাব উত্থাপন, সংবাদপত্রের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার। আট দফা চুক্তিটি ১৫ মার্চ সরকারের পক্ষে খাজা নাজিমুদ্দিন এবং সংগ্রাম পরিষদের পক্ষে কামরুদ্দিন আহমদ স্বাক্ষর করেন। চুক্তির শর্ত মোতাবেক ১৫ মার্চ শেখ মুজিব ও অন্যান্য নেতাসহ বন্দিরা মুক্তিলাভ করেন।

আন্দোলন যাতে ঝিমিয়ে না পড়ে সেজন্য ১৬ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় ছাত্র সমাবেশ ডাকা হয়। ওই সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমান। বিখ্যাত আমতলায় এটিই শেখ মুজিবের প্রথম সভা। তিনি আন্দোলনের কিছু দিকনির্দেশনা দেন। যেসব শর্তের ভিত্তিতে সংগ্রাম পরিষদের সঙ্গে সরকারের আপস হয়েছে, সেসব মেনে চলতে হবে। তবে সভা খাজা নাজিমুদ্দিন কর্তৃক পুলিশি নির্যাতনের যে তদন্ত হবে তা মানতে রাজি নয়।

শেখ মুজিব বললেন, ঠিক আছে, আমরা প্রস্তাবটি শুধু পরিবর্তন করতে অনুরোধ করতে পারি, এর বেশি কিছু না। বাংলা পাকিস্তানের শতকরা ছাপ্পান্ন ভাগ লোকের মাতৃভাষা। তাই বাংলাই একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হওয়া উচিত। তবুও আমরা বাংলা ও উর্দু দুটি রাষ্ট্রভাষা করার দাবি করেছিলাম। সিদ্ধান্ত হলো শোভাযাত্রা করে আইন পরিষদে গিয়ে খাজা নাজিমুদ্দিনের কাছে এ দাবিটা পেশ করে সবাই চলে আসবে। কিন্তু দিনভর অনেক ছাত্র-জনতা আইন পরিষদের কাছে দাঁড়িয়ে থাকে। পুলিশ লাঠিচার্জ করে ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। ছাত্র-জনতাকে নিবৃত্ত করতে শেখ মুজিব আবারও সেখানে ছুটে যান। শেখ মুজিবকে কাঁদানে গ্যাস ও লাঠিচার্জের মুখোমুখি হতে হয়।

১৯৪৯ সালের ১১ অক্টোবর আওয়ামী মুসলিম লীগের উদ্যোগে ঢাকার আরমানিটোলা ময়দানে অনুষ্ঠিত জনসভায় মওলানা ভাসানী, শামসুল হক ও শেখ মুজিবুর রহমান বক্তৃতা করেন। এ জনসভায় সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রদানের অভিযোগে ৩১ ডিসেম্বর শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করা হয় এবং একটানা ২৬ মাস তাকে রাজনৈতিক (নিরাপত্তা) বন্দি হিসাবে জেলে আটক রাখা হয়।

রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয় ১৯৫২ সালের জানুয়ারি মাসে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে খাজা নাজিমুদ্দিন প্রথম ঢাকায় আসেন ১৯৫২ সালের ২৫ জানুয়ারি। ২৬ জানুয়ারি পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত জনসভায় তিনি ঘোষণা করেন-উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। তার এ ঘোষণার পর ১৯৪৮ সালের চেয়েও ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়। ৩০ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ধর্মঘট পালিত হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সভা করে বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা কমিটি। ওইদিন সন্ধায় ঢাকা জেলা বার লাইব্রেরি মিলনায়তনে সর্বস্তরের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্র ও তরুণদের বাইরে এটিই প্রথম সভা, যেখানে বিশিষ্ট নাগরিক ও রাজনৈতিক নেতারা সমাবেত হন।

এ সভায় পূর্বে গঠিত রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদকে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদে রূপান্তরিত করা হয়। কাজী গোলাম মাহবুব এ পরিষদের আহ্বায়ক নিযুক্ত হন। তরুণ রাজনৈতিক নেতা শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহিউদ্দিন আহমদ তখন জেলে বন্দি ছিলেন। অসুস্থতার ভান করে শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হলেন। হাসপাতাল থেকেই তিনি গোপনে মোহাম্মদ তোয়াহা, অলি আহাদ, শওকত আলি, আবদুস সামাদ আজাদ, গোলাম মাওলা প্রমুখের সঙ্গে সভা করে জানিয়ে দেন ২১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা দিবস পালন করা হবে, হরতাল হবে এবং অ্যাসেম্বলি ঘেরাও কর্মসূচি পালিত হবে।

এদিকে শেখ মুজিবুর রহমান ও মহিউদ্দিন আহমেদ তাদের দীর্ঘ কারাবাস (২৬ মাস) থেকে মুক্তির জন্য ১ ফেব্রুয়ারি সরকারের কাছে আবেদন করেন এবং জানান, ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাদের মুক্তি দেওয়া না হলে ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে তারা জেলের ভেতর অনশন ধর্মঘট করবেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি তাদের দুজনকে ঢাকা থেকে ফরিদপুর জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হলো। শেখ মুজিব ও মহিউদ্দিন সাহেব ফরিদপুর জেলেই অনশন করলেন। দুদিন পর অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে নিয়ে তাদের জোর করে নল দিয়ে তরল খাবার দেওয়া হলো। এদিকে শেখ মুজিবুর রহমানের অনশনের বিষয়টি ২০ ফেব্রুয়ারি তদানীন্তন বঙ্গীয় আইন পরিষদের সদস্য আনোয়ারা খাতুন মুলতুবি প্রস্তাব হিসাবে উত্থাপন করলে মুখ্যমন্ত্রী নুরুল আমিন নির্লজ্জভাবে এর বিরোধিতা করেন।

ইতোমধ্যে ঢাকায় ২০ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৪টার দিকে মাইকে ১৪৪ ধারা জারি করে পরবর্তী এক মাস ঢাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। ঢাকা বেতারেও এ খবর প্রচারিত হয়। এরপরই সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদের নেতারা ৯৪, নবাবপুরের আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জরুরি সভায় বসেন। সভায় অলি আহাদ ১৪৪ ধারা ভঙ্গের পক্ষে যুক্তি দেখালেও কর্মপরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা বিপক্ষে ভোট প্রদান করে। তবে ওই রাতেই ফজলুল হক হলের পুকুরপাড়ে ছাত্রনেতাদের বৈঠকে পরদিন ১৪৪ ধারা ভঙ্গের পক্ষে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সাধারণ ছাত্র ও ছাত্রসমাজের বৃহত্তর অংশ ১৪৪ ধারা ভঙ্গের পক্ষে ছিলেন। ২১ ফেব্রুয়ারি বেলা ১০টা থেকে ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জমা হতে থাকে। বটতলায় দাঁড়িয়ে ছাত্রনেতারা বক্তৃতা দেন। বিশ্ববিদ্যালয় ভাষা কমিটির আহ্বায়ক আবদুল মতিন জ্বালাময়ী বক্তৃতায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গের প্রস্তাব দেন। সহস্র কণ্ঠ গর্জে উঠল-১৪৪ ধারা মানব না, মানব না। সিদ্ধান্তমতে দশজন দশজন করে ছাত্র মিছিল করে অ্যাসেম্বলি ভবনের দিকে যেতে থাকে।

পুলিশ ছাত্রদের প্রথম দলটিকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। ছাত্ররা দলবদ্ধ হয়ে স্লোগান দিয়ে মেডিকেল কলেজ হোস্টেল, মেডিকেল কলেজ ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ গেট থেকে বের হতেই পুলিশ বাহিনী তাড়া করে, কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। বেলা প্রায় সোয়া ৩টার সময় এমএলএ ও মন্ত্রীরা মেডিকেল কলেজের সামনে দিয়ে পরিষদ ভবনে আসতে থাকেন। পুলিশ বেপরোয়াভাবে ছাত্রদের ওপর আক্রমণ চালায়। বাধ্য হয়ে ছাত্ররা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। পুলিশ ছাত্রদের লক্ষ করে গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই রফিকউদ্দিন, আবদুল জব্বার শহিদ হন এবং আরও ১৭ জন গুরুতর আহত হন। রাতে আবুল বরকত মারা যান।

ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পূর্ববাংলায় যে স্বাধিকার আন্দোলনের ভিত্তি রচিত হয়, তার পথ ধরেই চলতে থাকে পরবর্তী আন্দোলন-সংগ্রাম, যা ১৯৭১ সালে মুক্তির সংগ্রামে পূর্ণতা লাভ করে।


আরও খবর



প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মায়ের জানাজায় বিএনপি নেতা চাঁদ

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

আড়াই ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মায়ের জানাজায় অংশ নিয়েছেন রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক ও চারঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সাঈদ চাঁদ।

রোববার দুপুরে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার শলুয়া ইউনিয়নের মাড়িয়ায় নিজ গ্রামে মায়ের জানাজায় অংশ নেন তিনি।

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল জলিল জানান, মায়ের মৃত্যুর পর জানাজায় অংশ নিতে আবু সাঈদ চাঁদ আবেদন করেন। মানবিক কারণে আবেদনটি বিবেচনায় নিয়ে আড়াই ঘণ্টার জন্য তাকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়। বেলা ১২টার দিকে কড়া নিরাপত্তায় তাকে মায়ের জানাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। দুপুর ২টা ১৬ মিনিটে তাকে আবারো কারাগারে নেওয়া হয়।

গত বছর বিএনপির এক সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে আবু সাঈদ চাঁদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় তার বিরুদ্ধে মামলা হতে থাকে। এ অবস্থায় আত্মগোপনে থাকা চাঁদকে গত বছরের ২৫ মে গ্রেফতার করে রাজশাহী মহানগর পুলিশ। সেই থেকে বিএনপির এই নেতা কারাগারেই রয়েছেন।

এরই মধ্যে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার আলাদা একটি মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন তিনি। আবু সাঈদ চাঁদ বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটিরও সদস্য। তার বিরুদ্ধে এখন প্রায় শতাধিক মামলা রয়েছে। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদ বিএনপির প্রার্থী হিসেবে কারাগার থেকেই রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।


আরও খবর



পাকিস্তানে হঠাৎ তুষার ও ভারী বৃষ্টিপাতে নিহত ৩৫

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি ও অপ্রত্যাশিত তুষারপাতে কমপক্ষে ৩৫ জন মারা গেছেন। এ ছাড়া আরও কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে ২২ জন শিশু রয়েছে। তাদের অনেকেই ভূমিধসের ফলে বাড়িঘর চাপা পড়ে মারা গেছে।

দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশে মার্চ মাসে সাধারণত হালকা আবহাওয়া থাকে। এবার হয়েছে ঠিক তার উল্টো। অসময়ে তুষারপাত দেখে বেশ অবাক হয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রকৃতির এমন অস্বাভাবিক আচরণের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন পাকিস্তানের আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক মোশতাক আলি শাহ।

খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কির্ক জেলার বাসিন্দা হাজিত শাহ বলেছেন, তিনি নিজের জীবনে আগে একবার মাত্র এই ধরনের তুষারপাত দেখেছেন। তিনি বিবিসিকে বলেন, যতদূর মনে পড়ে প্রায় ২৫ বা ৩০ বছর আগে কয়েক মিনিটের হালকা তুষারপাত হয়েছিল।

অন্যদিকে ভারী বর্ষণে অন্তত ১৫০টি বাড়ি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। এ ছাড়া আরও ৫০০ বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তান প্রদেশের। অনেক জেলায় গত কয়েক দিন ধরে বিদ্যুৎ নেই।

খাইবার পাখতুনখোয়ার প্রাদেশিক সরকার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণসহায়তা সরবরাহ করেছে। আহত ও যারা মারা গেছে তাদের পরিবারের জন্য আর্থিক সহায়তার ঘোষণা করেছে।

পাকিস্তানের আবহাওয়া অধিদপ্তর সাপ্তাহিক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহের বাকি দিন দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে প্রধানত ঠান্ডা ও শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করবে। তবে বেলুচিস্তান ও কাশ্মীরের কিছু অংশে তুষারপাত হতে পারে।


আরও খবর



ভিকারুননিসায় ভর্তি বাতিল চ্যালেঞ্জ করে ১৬৯ শিক্ষার্থীর আবেদন

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণির ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিল করে চ্যালেঞ্জ করে চেম্বার আদালতে আবেদন করা হয়েছে।

বুধবার (১৩ মার্চ) ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান আবেদন করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ৬ মার্চ প্রথম শ্রেণির ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিলের পর এসব শূন্য আসনে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করে তার তালিকা আদালতে দাখিল করতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আগামী ১৪ মার্চের মধ্যে এই ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে।

১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিলের প্রতিবেদন অ্যাফিডেভিট আকারে আদালতে দাখিলের পর বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এদিকে এই রিট মামলায় ভর্তি বাতিল হওয়া ১৬৯ শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের মধ্যে ৩৬ জন পক্ষভুক্তির আবেদন করেছেন। আদালতে স্কুলের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট রাফিউল ইসলাম ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। কাজী মাইনুল হাসান বলেন, শূন্য আসনে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করে তার তালিকা হাইকোর্টে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

গত ৪ মার্চ ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণির ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিল করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর অভিভাবককে পৃথক পৃথক চিঠি দিয়ে ভর্তি বাতিলের এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। একইসঙ্গে ভর্তি বাতিলের বিষয়টি চিঠি দিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদকে অবহিত করেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী। চলতি বছর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণিতে বিধি বহির্ভূতভাবে ১৬৯ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়েছিল। যাদের জন্মসাল ছিল ২০১৫ ও ২০১৬ সাল। কিন্তু মাউশি প্রজ্ঞাপন দিয়ে বলেছিল ২০১৭ সালে জন্মসনদ রয়েছে এমন শিক্ষার্থীরাই প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করতে পারবে। কিন্তু এই ১৬৯ শিক্ষার্থীর অভিভাবক ২০১৫ ও ২০১৬ সালের জন্মসনদ দিয়ে তাদের সন্তানদের ভর্তির জন্য আবেদন করেন। পরে তদন্তে বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৫ সালে সালে জন্মগ্রহণকারী ১০ জন এবং ২০১৬ সালে জন্মগ্রহণকারী ১৫৯ জন শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করা হলো।

চলতি শিক্ষাবর্ষে ভিকারুননিসা স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তিতে অনিয়ম হয়েছে এবং এই অনিয়মের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে মাউশির মহাপরিচালক বরাবর একটি আবেদন দেন পারভীন আক্তার নামে একজন অভিভাবক। কিন্তু আবেদন নিষ্পত্তি না করায় হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। হাইকোর্ট পারভীন আক্তারের আবেদনটি নিষ্পত্তি করতে মাউশির মহাপরিচালককে নির্দেশ দেন। উচ্চ আদালতের ওই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া সব শিক্ষার্থীর তথ্য চাওয়া হয়। ওই তথ্য পর্যালোচনা করে মাউশি জানতে পারে যে ভিকারুননিসায় ১৬৯ জন শিক্ষার্থী বিধি বহির্ভূতভাবে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছেন। এরপরই এসব শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলের জন্য ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরীকে ২২ ফেব্রুয়ারি চিঠি দেন মাউশির মহাপরিচালক।


আরও খবর



হাইতির দূতাবাস থেকে কর্মীদের সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গ্যাং সহিংসতা বাড়ার কারণে হাইতি থেকে দূতাবাসের অপ্রয়োজনীয় কর্মীদের বিমানযোগে দ্রুত সরিয়ে নিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে রাজধানী পোর্ট-অব-প্রিন্সে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

রবিবার (১০ মার্চ) এক বিবৃতিতে ইউএস সাউদার্ন কমান্ড জানিয়েছে, রাজধানী পোর্ট-অব-প্রিন্স এবং ক্যারিবিয়ান দেশ জুড়ে সহিংসতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাইতিতে মার্কিন দূতাবাস থেকে বিমানযোগে আমেরিকান কর্মীদের সরিয়ে নিতে শনিবার থেকে রবিবার রাতভর অভিযান চালায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। অভিযানের অংশ হিসেবে অতিরিক্ত নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে বলেও কর্মকর্তারা জানান।

রবিবার সকালে সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক বিবৃতিতে মার্কিন সাউদার্ন কমান্ড জানিয়েছে, স্টেট ডিপার্টমেন্টের অনুরোধে মার্কিন সামরিক বাহিনী পোর্ট-অব-প্রিন্সে মার্কিন দূতাবাসের নিরাপত্তা বাড়াতে একটি অপারেশন পরিচালনা করে এবং দূতাবাসের অপ্রয়োজনীয় কর্মীদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

এক বিবৃতিতে মার্কিন সেনাবাহিনীর দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ড বলেছেন, এই মুহূর্তে দূতাবাসে যেসব কর্মীদের খুব একটা প্রয়োজন নেই, তাদেরকে বিমানে করে ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

তবে দূতাবাস খোলা থাকবে। দূতাবাসের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়েছে, দূতাবাস চত্বর ও বিমানবন্দরের কাছাকাছি এলাকায় সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায়, নিরাপত্তা বিবেচনায় অতিরিক্ত কর্মীদের সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।


আরও খবর



সাংবাদিক রানার মুক্তির দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে মানববন্ধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার শেরপুরের নকলা উপজেলা সংবাদদাতা শফিউজ্জামান রানাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে কারাদণ্ড দেওয়ার প্রতিবাদ ও আইন অপব্যবহারকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিকরা।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে বালিয়াডাঙ্গী শহরের চৌরাস্তায় ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন পালন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, অনতিবিলম্বে সাংবাদিক রানাকে মুক্তি দিতে হবে। নয় তো আরও কঠোর আন্দোলন শুরু হবে। সেই সাথে ইউএনও এবং এ্যাসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করতে হবে। সেই মামলায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, জেলের ভয় দেখিয়ে সাংবাদিকদের কলম আটকানো যাবে না। ইতিপূর্বে জিডিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে সাংবাদিকদের হয়রানী করা হয়েছে। এখন ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার দেখিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কলম চলবে। মামলা ও জেলের ভয় করিনা। মামলায় ক্ষতিগ্রস্ত সাংবাদিকদের ক্ষতিপূরণ দাবি করেন বক্তারা।

এ সময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, দেশ রূপান্তরের ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতা ফিরোজ আমিন সরকার রাসেল, ইত্তেফাকের তানভীর হাসান তানু, দীপ্ত টেলিভিশনের মঈনুদ্দিন তালুকদার হিমেল, দৈনিক বাংলার সোহেল রানা, দৈনিক কালেরকণ্ঠের হারুন অর রশিদ, আজকের পত্রিকার আল মামুন জীবন, অধিকারের মাজেদুল ইসলাম হ্নদয়, ইলিয়াস আলী, আনোয়ার হোসেন আকাশসহ অন্যান্য সংবাদকর্মীরা।


আরও খবর
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪