শুরু থেকেই শ্রীলঙ্কার
বোলারদের হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তামিম ইকবাল খান। সাবলীল ব্যাটিংয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের
দশম সেঞ্চুরিও তুলে নিয়েছিলেন তিনি। ধীরে ধীরে এগোচ্ছিলেন দেড়শর দিকে। এর মধ্যেই হাতে
চোট পাওয়ায় রির্টায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন দেশসেরা এই ওপেনার।
চা বিরতির কিছু
সময় আগে ব্যাটিংয়ের সময় হাতে চোট পান তামিম। যদিও চা বিরতি পর্যন্ত ব্যাটিং চালিয়ে
গেছেন। হাতে অস্বস্তি অনুভব করায় চা বিরতির পর আর মাঠে নামেননি তিনি। রির্টায়ার্ড হার্ট
হওয়ার আগে ২১৭ বলে ১৫টি চারে ১৩৩ রান করেছেন তামিম। আর চা বিরতির আগে বাংলাদেশের সংগ্রহ
ছিল ৩ উইকেটে ২২০ রান।
তৃতীয় সেশনে তামিম
উঠে যাওয়ায় ব্যাটিংয়ে নেমেছেন লিটন দাস। অপরপ্রান্তে রয়েছেন মুশফিকুর রহিম।
এর আগে, তৃতীয়
দিনের প্রথম সেশনে শ্রীলঙ্কান বোলারদের কোনো উইকেট দেয়নি বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তামিম
ও মাহমুদুল হাসান জয়ের সাবলীল ব্যাটিংয়ে বারবার হতাশ হতে হয়েছে লঙ্কান বোলারদের। তবে
মধ্যাহ্ন বিরতি থেকে ফিরেই জয়ের উইকেট হারায় টাইগাররা। তিনে নেমে ইনিংস বড় করার আগে
ফিরে গেছেন নাজমুল হাসান শান্ত।
পেসার কাসুন রাজিথার
ফুল আউটসাইড অফের বল খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষক নিকোলাস ডিকভেলার হাতে ক্যাচ দেন শান্ত।
এতে ২২ বলে মাত্র ১ রান করেই ফিরে যান তিনি।
এর মধ্যেই তামিমকে
কট বিহাইন্ডের আবেদন করে আম্পায়ারের সাড়া পেয়েছিলেন রামেশ মেন্ডিস। তবে রিভিউ নিয়ে
বেঁচে যান টেস্ট ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া তামিম।
পরে ব্যক্তিগত
ইনিংসে মাত্র দুই রান করে ফিরে যান মুমিনুল। পেসার কাসুন রাজিথার লেন্থ বলে বোল্ড হয়ে
সাজঘরের পথ ধরেন দলীয় অধিনায়ক। গত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের চার ইনিংসে
একবারও দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি তিনি। সেবার প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসে যথাক্রমে ০ ও
২ রান করেছিলেন তিনি। পরের টেস্টে তার ব্যাট থেকে আসে যথাক্রমে ৬ ও ৫ রান।
তারও আগে, শ্রীলঙ্কার
৩৯৭ রানের জবাবে তৃতীয় দিনে ১৫৭ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
রিপোর্টটি লেখা
পর্যন্ত ৩ উইকেট হারিয়ে ২২৯ রান তুলেছে টাইগাররা। এতে লঙ্কানদের চেয়ে এখনো ১৬৮ রানে
পিছিয়ে রয়েছে তারা।