শুরুতে ব্যাট করতে নেমে কিছুটা বিপদে পড়ে
গিয়েছিল লক্ষ্মৌ সুপার জায়ান্টস। কিন্তু নিকোলাস পুরান ত্রাণকর্তা হন তাদের। এরপর ব্যাটিংয়ে
নেমে ভালো শুরু পেয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। তাদের পরের ব্যাটাররা অবশ্য ধরে রাখতে
পারেননি সেটি। শেষ ১২ বলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের দরকার ছিল ৪১ রান। ব্যাট হাতে এই
দুই ওভারে তাণ্ডব চালিয়ে ৩৯ রান তোলেন রিংকু সিং। দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ানো দুটো ইনিংস,
কিন্তু বিজয়ী একজন। ইডেন গার্ডেনসে রিংকু হতে
পারেননি নায়ক। ১ রানের রোমাঞ্চকর জয়ে লখনউ তৃতীয় দল হিসেবে প্লে অফ নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন: আইপিএলে নতুন ইতিহাস গড়লেন যশস্বী জয়সওয়াল
শনিবার ইডেন গার্ডেন্সে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে
এক রানে হারিয়েছে লক্ষ্মৌ সুপার জায়ান্টস। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৬
রান করে লক্ষ্মৌ। জবাব দিতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে অল্পের জন্য জয় পাওয়া হয়নি কলকাতার।
এই জয়ে ১৪ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে প্লে অফ খেলা নিশ্চিত হয়েছে লক্ষ্মৌর। এই দৌড়ের কাছেও
নেই কলকাতা। ১৪ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট কেবল ১২।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একেবারেই
ভালো হয়নি লক্ষ্মৌ সুপার জায়ান্টসের। ৫ বলে ৩ রান করে কারান শর্মা প্রথম ব্যাটার হিসেবে
সাজঘরে ফেরত যান। এরপর ৪১ রানের ছোট জুটি গড়েন ডি কক ও প্রেরাক মানকাড। যদিও কেউই নিজেদের
ইনিংস বড় করতে পারেননি।
২৭ বলে ২৮ রান করে বরুন চক্রবর্তীর বলে
আউট হন দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটার। ২০ বলে ২৬ রান করে বৈভব আরোরার বলে সাজঘরে ফেরত যান
মানকাড। তাদের বিদায়ের পর পথ হারিয়ে ফেলে লক্ষ্মৌ। একই ওভারে স্টয়নিসকে শূন্য রানে
বিদায় করেন বৈভব।
আরও পড়ুন: পাঞ্জাবকে বিদায় করে প্লে-অফের আশা টিকিয়ে রাখল রাজস্থান
পরে ৮ বলে ৯ রান করা ক্রুনাল পান্ডিয়া
আউট হন সুনীল নারিনের বলে। লক্ষ্মৌর ইনিংসের হাল এরপর ধরেন নিকোলাস পুরান। শার্দুল
ঠাকুরের বলে আউট হওয়ার আগে ৪ চার ও ৫ ছক্কায় ৩০ বলে ৫৮ রান করেন তিনি। আয়ুশ বাদুনী
২১ বলে ২৫ ও অপরাজিত থেকে ৪ বলে ১১ রান করেন কৃষ্ণাপ্পা গৌতমও। কলকাতার পক্ষে দুই উইকেট
করে নেন বৈভব আরোরা, শার্দুল ঠাকুর ও সুনীল নারিন।
জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালোই হয়েছিল কলকাতা
নাইট রাইডার্সের। ৬১ রানের উদ্বোধনী জুটি পেয়েছিল তারা। ১৫ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৪
রান করে ভেঙ্কাটেশ আয়ার ফেরেন। ৭ চার ও ১ ছক্কায় ২৮ বলে ৪৫ রান করে আউট হয়ে যান আরেক
উদ্বোধনী ব্যাটার জেসন রয়ও। কিন্তু এই দুজন ফেরার পর রান তোলার গতি ধরে রাখতে পারেননি
নিতিশ রানা ও রহমানউল্লাহ গুরবাজ।
যথাক্রমে ১০ বলে ৮ রান করে নিতিশ ও ১৫ বলে কোনো বাউন্ডারি না হাঁকিয়ে ১০ রান করে সাজঘরে
ফেরত যান রহমানউল্লাহ গুরবাজ। আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিন, শার্দুল ঠাকুররা ব্যক্তিগত
সংগ্রহ নিতে পারেননি দুই অঙ্কের ঘরেও।
এরপরের লড়াইয়ের পুরোটাই রিঙ্কু সিংয়ের।
পুরো মৌসুমজুড়েই কলকাতার হয়ে দারুণ লড়াই করা এই ব্যাটার শেষ অবধি আশা টিকিয়ে রেখেছিলেন।
অনেকটা একার লড়াইয়ে ৬ বলে ২১ রানের সমীকরণে দলকে নিয়ে আসেন তিনি।
শেষ ওভারের প্রথম বলে তার কাছে স্ট্রাইক
দেন আরোরা। পরে দুটি ওয়াইড ও দুটি ডট দেন রিঙ্কু। তারপরের তিন বলে দুটি ছক্কা ও একটি
চার হাঁকান তিনি। জয়ের জন্য অবশ্য যথেষ্ট হয়নি সেটি, হারতে হয় স্রেফ এক রানে। ৬ চার
ও ৪ ছক্কার ইনিংসে মাত্র ৩৩ বলে ৬৭ রানে অপরাজিত থাকেন রিঙ্কু।