অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে দুদকের দায়ের করা মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ করিমের মামলার রায় আজ (২১ আগস্ট)। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায়ের আদালত এ রায় ঘোষণা করবেন। অস্ত্র আইন মামলায় সাহেদ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। এর আগে বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায় রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০২০ সালের
৫ নভেম্বর ২১ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদের হিসাব জমা দিতে সাহেদকে নোটিশ দেয় দুদক। এসময়ে
তিনি সম্পদের হিসাব জমা না দেওয়ায় আরও ১৫ কার্যদিবস সময় বাড়িয়ে দেয়া হয়। তবে বর্ধিত
সময়ের মধ্যেও সম্পদ বিবরণী জমা না দেওয়ায় অনুসন্ধানে নামে দুদক। অনুসন্ধানে তার
বিরুদ্ধে ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন>> ফরিদপুরে জোড়া খুন, মৃত্যুদণ্ড- যাবজ্জীবনসহ ৯ জনের সাজা
এ অভিযোগে ২০২১ সালের ১ মার্চ সাহেদের
বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত ঢাকা জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা দায়ের করা হয়। পরে ২০২২ সালের
১৭ এপ্রিল মামলায় অভিযোগ গঠন করে সাহেদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরুর আদেশ
দেন আদালত। এ মামলায় মোট দশজন বিভিন্ন সময়ে সাক্ষ্য দেন।
২০২০ সালের ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের
উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট,
করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। এ ঘটনার পর
পালিয়ে যান সাহেদ। ১৫ জুলাই সাহেদকে সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে
র্যাব। পরে তাকে হেলিকপ্টারে সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় আনা হয়।
করোনা পরীক্ষার নামে ভুয়া রিপোর্টসহ বিভিন্ন
প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ১৬ জুলাই সাহেদকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয় র্যাব।
এরপর ১৯ জুলাই তাকে নিয়ে উত্তরার বাসার সামনে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ। সেখানে সাহেদের
নিজস্ব সাদা প্রাইভেটকার থেকে পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ১০ বোতল ফেনসিডিল, একটি পিস্তল
এবং একটি গুলি উদ্ধার করা হয়।
এরপর উত্তরা পশ্চিম থানায় অস্ত্র ও মাদক
নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা করা হয়। এরপর ঢাকাসহ সারা দেশে তার বিরুদ্ধে ৩১টি মামলা
দায়ের করা হয়। এর মধ্যে ঢাকায় ২৫ টি, সিলেটে, চট্রগ্রাম ও সাতক্ষীরায় দুইটি করে মামালা
হয়। অধিকাংশ মামলাই প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা হয়। এর মধ্যে সিলেটের দুইটি মামলা
প্রত্যাহার করা হয়েছে।