আজঃ সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

রিজার্ভে কত টাকা রেখে গেল আওয়ামী লীগ সরকার?

প্রকাশিত:রবিবার ১১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকেও। প্রশ্ন ওঠেছে কত টাকার আমদানি ব্যয় রেখে বিদায় নিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার।

চলতি মাসের শুরুতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকে মোট রিজার্ভ ছিল ২০.৪৮ বিলিয়ন ডলার। তবে এ কদিনের অস্থিরতায় রিজার্ভ আরও কমেছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা।

শনিবার (১০ আগস্ট) নাম প্রকাশ না করার শর্তে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে। সবচেয়ে শঙ্কার ব্যাপার হচ্ছে, এর মধ্যে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ ১৫ বিলিয়ন ডলারের নিচে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আপাতত রিজার্ভ নিয়ে কোনো তথ্য দেয়া ঝুঁকিপূর্ণ। রিজার্ভের ব্যাপারে এ মুহূর্তে কিছু জানানো সম্ভব না।

এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্ট্রাডিজের (বিআইআইএসএস) গবেষণা পরিচালক মাহফুজ কবির বলেন, আমাদের জানা মতে, ব্যাংকে বর্তমানে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ ১২ বিলিয়ন ডলারের মতো। এত বিশাল অর্থনীতি সামাল দেয়ার জন্য এ পরিমাণের রিজার্ভ অপ্রতুল।

সরকার পতনের পর ৭ আগস্ট থেকে ব্যাপক আন্দোলনের মুখে চার ডেপুটি গভর্নর, বিএফআইইউ প্রধান ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং উপদেষ্টা পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

পরবর্তীতে শুক্রবার (৯ আগস্ট) পদত্যাগ করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। এর আগে, গভর্নরের পদত্যাগের দাবিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শতাধিক কর্মকর্তা বিক্ষোভ করেন।

যেভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বিক্ষোভ হচ্ছে এবং অস্থিরতা তৈরি হয়েছে তাতে করে গচ্ছিত রিজার্ভের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান জাহিদ হোসেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে রিজার্ভ চুরির ইতিহাস আছে। এ মুহূর্তে বড় বিষয় হচ্ছে রিজার্ভে যে পরিমাণ অর্থ আছে তা আদৌ নিরাপদ কিনা। রিজার্ভের অর্থের নিরাপত্তা প্রদানে দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।


আরও খবর
১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৪ হাজার কোটি

রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪




জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে ঢাবি শিক্ষক আবু ইউসুফ

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্দান ইউনিভার্সিটি চেয়ারম্যান ড. আবু ইউসুফ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তাকে রাজধানীর বনানী থেকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ড. আবু ইউসুফ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আজ সন্ধ্যায় বনানী থেকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। তাকে এখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। একটি বিষয়ে তাকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



ময়মন‌সিং‌হে ট্রেন আট‌কি‌য়ে ছাত্র-জনতার বি‌ক্ষোভ

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

Image

ময়মনসিংহে বন্ধ স্টেশনে স্টপেজের দাবিতে ট্রেন আটকে বিক্ষোভ করেছেন ছাত্র-জনতা। প্রায় আড়াই ঘণ্টাপর উপ‌জেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আশ্বাসে আন্দোলনকারীরা লাইন থেকে সরে গেলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আউলিয়া নগর স্টেশনে একটি কমিউটার ট্রেন আটকে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুয়েল আহমেদ ঘটনাস্থলে এসে আশ্বাস দিলে লাইন থেকে সরে যায় আন্দোলনকারীরা।

আউলিয়া নগর স্টেশনে ট্রেন আটকে বিক্ষোভ করায় গফরগাঁও স্টেশনে তিস্তা এক্সপ্রেস, মশাখালী স্টেশনে মহুয়া এক্সপ্রেস, ফাতেমা নগর স্টেশনে ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস, ময়মনসিংহ স্টেশনে হাওর এক্সপ্রেস আটকে ছিল। এতে ট্রেনের যাত্রীরা চরম ভোগান্তি পড়েন।

গফরগাঁও রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ইউএনও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে আন্দোলনকারীদের আশ্বাস দিলে তারা লাইন ছেড়ে দেয়। পরে আটকে থাকা ট্রেনগুলো স্টেশন ছেড়ে গন্তব্যে ছেড়ে গেছে।

এ বিষয়ে ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুয়েল আহমেদ বলেন, বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ১০ দিনের সময় নিয়ে আন্দোলনকারীদের সরে আসতে বলা হয়। এমন আশ্বাসে আন্দোলনকারীরা লাইন থেকে সরে আসে।

নিউজ ট্যাগ: ময়মনসিংহ

আরও খবর



মহানায়ক উত্তম কুমারের জন্মবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

পৃথিবীতে না থেকেও যে জনপ্রিয়তা ধরে রাখা যায়, তার বড় প্রমাণ কিংবদন্তি অভিনেতা উত্তম কুমার। দর্শকদের মনে জায়গা নিতে খুব একটা সময় লাগেনি তার। পঞ্চাশ দশক থেকে এখন পর্যন্ত নিজের অভিনয়শৈলীতে মুগ্ধ করে রেখেছেন দুই বাংলার দর্শকদের। বেঁচে না থেকেও যেন আজও সবার কাছে জীবন্ত। একের পর এক সিনেমা দিয়ে হৃদয় ছুঁয়ে গেছেন দর্শকদের। সিনেমাপ্রেমীরাও উত্তম কুমারের অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে বার বার প্রেমে পড়েছেন তার।

রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) প্রয়াত এই মহানায়কের জন্মদিন। ১৯২৬ সালের আজকের দিনেই পৃথিবীর আলো দেখেছিলেন উত্তম কুমার। বেঁচে থাকলে আজ ৯৮ বছরে পা রাখতেন তিনি।

প্রায় তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলা সিনেমায় কাজ করেছেন উত্তম কুমার। তিনি একাধারে অভিনেতা, চিত্রপ্রযোজক, পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, সংগীত পরিচালক ও গায়ক। অভিনয় জগতে মহানায়ক আখ্যা দেওয়া হয় তাকে। উত্তম কুমার ছিলেন ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল এবং জনপ্রিয় অভিনেতা। অভিনয় জীবনে অসংখ্য বাণিজ‍্যিক সাফল্যের পাশাপাশি সমালোচকদেরও তুমুল প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।

১৯২৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর কলকাতার ভবানীপুরে মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন উত্তম কুমার। তার আসল নাম ছিল অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু চলচ্চিত্র জগতে এসে নিজের নাম পাল্টে রাখেন উত্তম কুমার। তার বাবা সাতকড়ি চট্টোপাধ্যায় এবং মা চপলা দেবী। তারা তিন ভাই এক বোন ছিলেন। উত্তম কুমারের ছোটো ভাই তরুণ কুমারও বাংলা সিনেমার এক জনপ্রিয় অভিনেতা ছিলেন। তার বাবা ছিলেন কলকাতার মেট্রো সিনেমা হলের একজন সাধারণ কর্মচারী।

পরিবারে আর্থিক সমস্যা থাকায় শিক্ষাজীবন শেষ না করেই কলকাতা পোর্টে কেরানির চাকরিতে জয়েন করে সংসারের হাল ধরেন তিনি। কিন্তু অভিনয়ের পোকাটা থেকেই গিয়েছিল এই নায়কের মাথায়। আর তাই তো নিজের স্বপ্ন পূরণে অনড় ছিলেন তিনি।

রুপালি পর্দায় উত্তম কুমারের যাত্রা শুরু হয় মায়াডোর নামের একটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। যদিও সিনেমাটি মুক্তি পায়নি। পরে ১৯৪৮ সালে তার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম সিনেমা হিসেবে দৃষ্টিদান চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেলেও আলোচনায় আসেনি সেটি। পরবর্তীতে বসু পরিবার সিনেমা দিয়ে খানিকটা পরিচিতি পান উত্তম কুমার। ১৯৫৩ সালে সাড়ে চুয়াত্তর সিনেমা দিয়ে রীতিমতো বাংলা চলচ্চিত্রে ঝড় তোলেন তিনি। এই সিনেমার মাধ্যমেই আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা পান এই অভিনেতা। শুরু হয় উত্তম যুগ।

পঞ্চাশ থেকে ষাট দশকে হারানো সুর, পথে হল দেরী, সপ্তপদী, চাওয়া পাওয়া, বিপাশা, জীবন তৃষ্ণা আর সাগরিকা-এর মতো কালজয়ী সব সিনেমার পরিচিত ও কাঙ্ক্ষিত মুখ হয়ে ওঠেন উত্তম। সুচিত্রা সেনের সঙ্গে তার জুটি ছিল তুমুল জনপ্রিয়। একাধিক সিনেমার জন্য এ জুটি কালজয়ী হয়ে আছে। এই জুটির ৩০টি সিনেমার মধ্যে ২৯টিই ছিল ব্লকবাস্টার হিট।

বাংলা সিনেমা ছাড়াও বেশ কয়েকটি হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেও ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন উত্তম কুমার। তার অভিনীত হিন্দি চলচ্চিত্রের মধ্যে ছোটিসি মুলাকাত, অমানুষ, আনন্দ আশ্রম প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। ক্যারিয়ারে অভিনয়ের জন্য ১৯৬৭ সালে অ্যান্টনি ফিরিঙ্গিচিড়িয়াখানা সিনেমার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছিলেন।

১৯৮০ সালের ২৪ জুলাই মাত্র ৫৪ বছর বয়সে সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান উত্তম কুমার। পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেওয়ার পরেও আজও মহানায়ক হয়েই রয়ে গেছেন সিনেমাপ্রেমীদের মনে। বাংলা চলচ্চিত্র যতো দিন আছে, ততোদিন উত্তম কুমার নামটিও অমর হয়ে থাকবে সবার মাঝে।


আরও খবর
সৌদির সিনেমা হলে ছয় মাসে আয় ১৩শ কোটি

রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪




প্রভাবশালীদের নামে-বেনামে ঋণ আত্মসাতের হিসাব হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করা শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নামে-বেনামে কত টাকা ঋণ আত্মসাৎ করেছে, তার হিসাব করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাংকিং খাতে ব্যাপক দুর্নীতি ও প্রতারণার মাধ্যমে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এবং তা বিদেশে পাচার করেছেন, যার সঠিক পরিমাণ নির্ণয়ের কাজ চলমান।

এ আত্মসাৎকৃত অর্থের পরিমাণ লক্ষাধিক কোটি টাকার ওপরে মর্মে ধারণা করা যায় বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

প্রভাবশালীদের নাম উল্লেখ না করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ ধরনের দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহে ইতোমধ্যে সংস্কার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে ইসলামী ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংকের পর্ষদগুলো পুনর্গঠন করা হয়েছে। অবশিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহে সংস্কার কার্যক্রম শুরু হবে। নতুন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আত্মসাৎকৃত এসব অর্থের প্রকৃত তথ্য সংগ্রহ করা হবে এবং তাদের মাধ্যমে আত্মসাৎকৃত অর্থের প্রকৃত পরিমাণ নির্ণয়ের লক্ষ্যে অডিট কার্যক্রম শুরু করা হবে।

অর্থ আত্মসাৎকারীদের বিচারের প্রতি সরকারের কঠোর মনোভাবের ইঙ্গিত করে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে বলা হয়,  ব্যাংকসমূহের নতুন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিএফআইউই, সিআইডি ও দুদকের সহায়তা নিয়ে আত্মসাৎকারীদের স্থানীয় সম্পদ অধিগ্রহণ ও বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার মাধ্যমে আত্মসাৎকৃত অর্থ পুনরুদ্ধারে কাজ শুরু হয়েছে। অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার সহায়তা চেয়ে ইতোমধ্যে যোগাযোগ শুরু করেছে সরকার।

শীঘ্রই ব্যাংকিং কমিশন গঠনের কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে বলা হয়, কমিশন সংশ্লিষ্ট প্রতিটি ব্যাংকে তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত চিত্র প্রকাশ করবে এবং ব্যাংকগুলোর পুনর্গঠনের জন্য ছয়মাসের মধ্যে একটি বাস্তবায়নযোগ্য রোডম্যাপ প্রণয়ন করবে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের লক্ষ্য হলো সকল আর্ন্তজাতিক মানদণ্ড পরিপালনে সক্ষম একটি শক্তিশালী ব্যাংকিং খাত গড়ে তোলা। তবে এই উদ্দেশ্যে সফল করতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সময়, আন্তর্জাতিক কারিগরি সহায়তা ও অর্থের প্রয়োজন হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার অর্থ আত্মসাৎকারীদের দেশি-বিদেশি সম্পদ অধিগ্রহণ এবং বিদেশ হতে ফেরত এনে ব্যাংকগুলোকে পুনর্গঠনের লক্ষ্যে কার্যক্রম হাতে নিচ্ছে।

ব্যাংকগুলোর এই পুনর্গঠন এবং আর্থিক খাতের কাঠামোগত সংস্কার সময় সাপেক্ষ ব্যপার। তবে সরকার বাংলাদেশের আর্থিক খাতকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করার ব্যপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।


আরও খবর



বন্যার্তদের সহায়তায় বাংলাদেশকে আরও ১০ লাখ ডলার দেবে জাপান

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি বছরের আগস্টে অতি ভারী বৃষ্টির মধ্যে ভারত থেকে নেমে আসা তীব্র ঢলে দেশের ১১ জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। হঠাৎ এমন বন্যায় ভেসে যায় ঘরবাড়ি, স্কুল, গ্রাম, মাছের ঘের, ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট। অধিকাংশ জায়গায় বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। দেখা দেয় খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৭১ জনের। এ অবস্থায় বন্যার্তদের সহায়তায় বাংলাদেশকে ১০ লাখ ডলার দেওয়া ঘোষণা দিয়েছে জাপান সরকার।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এক ভিডিওবার্তায় ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, জাপান বাংলাদেশিদের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াতে চায়। এরই ধারাবাহিকতায় জাপান সরকার ইউএনএইচসিআর এবং ইউনিসেফের মাধ্যমে বন্যাকবলিত এলাকায় ১০ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, ইতোমধ্যে জাপানি এনজিওগুলোর প্ল্যাটফর্ম ২০ লাখ ডলারের সহায়তা দিয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় বর্তমানে সাতটি জাপানি এনজিও বন্যাকবলিত এলাকায় বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করছে।

এ ছাড়া ঢাকায় জাপানিজ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন এবং ঢাকায় জাপানিজ অ্যাসোসিয়েশন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিবর্গ ও পরিবারদের সহায়তার জন্য বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিকে মোট দুই লাখ টাকা দান করেছে বলেও জানান তিনি।

রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা বলেন, আমি আশা করি সরকার, ব্যবসায়িক, এনজিও এবং অন্যান্যদের কাছ থেকে এই সহায়তা বাংলাদেশিদের আবারও ভালোভাবে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।

এদিকে, বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী দুদিন (শনিবার ও রোববার) চট্টগ্রাম বিভাগের সব নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে। এর ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর জেলার কতিপয় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানান, দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশ-সংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ অবস্থান করছে এবং আগামী দুদিন উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এর ফলে এই সময় বরিশাল ও খুলনা বিভাগের নদীগুলোর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে।


আরও খবর