বাংলাদেশ ব্যাংকের
রিজার্ভ চুরির মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ফের পিছিয়েছে। এ নিয়ে ৬৭ বার পেছাল
এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন। নতুন তারিখ আগামী ১৬ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত। রোববার
(২ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিব এ আদেশ দেন।
প্রতিবেদন দাখিলের
তারিখ রোববার (২ অক্টোবর) ধার্য থাকলেও তদন্ত সংস্থা সিআইডি দাখিল না করায় আদালত নতুন
তারিখ ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬
সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের
৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করে নেয় হ্যাকাররা। পরে ওই টাকা ফিলিপাইনে পাঠানো হয়। এ ঘটনায়
ওই বছরের ১৫ মার্চ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মতিঝিল থানায় মামলা করেন বাংলাদেশ ব্যাংক।
সংশ্লিষ্টরা ধারণা করেন, দেশের অভ্যন্তরের কোনো চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ
রিজার্ভের অর্থ পাচার করেছে।
বাঁশখালীতে
গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। একই সাথে ৫ টি
গ্যারেজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার
(৭ মার্চ) সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার বাহারচড়া ইউনিয়নের মোশাররফ আলী মিয়া বাজারের পশ্চিম
কুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৮০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে
জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্তরা।
গুরুতর আহত
রাজিব, শামসুল আলম, সাদেক হোসাইন, সাইদ আহমদ, ইমরান, ফরহাদ, আজগর, গফুর উদ্দিনকে বাঁশখালী
ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
বাঁশখালী ফায়ার
সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা আজাদুল ইসলাম জানান, গাড়ির গ্যারেজে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা।
গ্যারেজে ওয়ারিংয়ের কাজ করার সময় আগুন ছড়িয়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম
ঘটনাস্থলে যায়। তবে তার আগেই স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায়
পরে আবারও গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
সাবেক গৃহায়ণ
ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুনের ঘটনা
তদন্ত করে ৬২ জন লোকের বিরুদ্ধে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছিল; কিন্তু চার্জশিট দেওয়ার সময়
অনেকের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে এবং আজ পর্যন্ত সেই মামলার অভিযোগ গঠন পর্যন্ত হয়নি।
তিনি স্পেশাল
ট্রাইব্যুনাল করে এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার করার আহ্বান জানান।
শনিবার (২ মার্চ)
জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে শ ম রেজাউল
করিম এ কথা জানান।
এ সময় স্পিকার
শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
শ ম রেজাউল
করিম বলেন, বড় বড় অপরাধীদের বিচার হয়েছে। সেক্ষেত্রে দায়মুক্তি থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি।
কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় আরও কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুন
লাগার পর সেই সময় আমি গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলাম। আমি তখন গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে
কাজ করেছিলাম, তদন্ত করে ৬২ জন লোকের বিরুদ্ধে আমরা রিপোর্ট দিয়েছিলাম। দুর্ভাগ্য সর্বোচ্চ
পর্যায়ের একটি কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার পরও সবার বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। তার পর চার্জশিট
দেওয়ার সময় অনেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এখানেই শেষ নয় আজ পর্যন্ত সেই মামলার অভিযোগ গঠন
পর্যন্ত হয়নি।
তিনি বলেন,
নারায়ণগঞ্জের একটি ফুড ফ্যাক্টরিতে ৫২ জনকে পুড়িয়ে হত্যা করালো। সেই প্রক্রিয়ার আসামিরা
সব জেলে গেছেন, আজ পর্যন্ত বিচার কার্যক্রম শুরু হয়নি। এ রকম অনেক ঘটনা যেটা বিরোধী
দলের চিপ হুইপ বলেছেন। এই জায়গায় আমার দাবি, এই জাতীয় অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত প্রয়োজনে
আইন পরিবর্তন করে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল করে তাদের বিচার করা না হলে শুধু এই অপরাধের
না, অন্যদের কাছে একটা মেসেজ যাবে না।
সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী
বলেন, আমরা সেই সময় ১৩০০ ভবনকে চিহ্নিত করেছিলাম। গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে যে ভবনের
প্ল্যান সঠিক নাই, যে ভবনের অধিকাংশ ফ্লোর অনুমোদিতভাবে নেওয়া হয়েছে সেই ভবনগুলো কিন্তু
ভাঙা সম্ভব হয়নি। এটাও কিন্তু এক প্রকারের দায়মুক্তি দেওয়া। কাজে আমি আশা করব সেটা
করা দরকার। আর একটা বিষয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসেন, আমি বলব আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ কায়েম
করেছি কিন্তু ডিজিটাল ব্যবস্থা অপব্যবহারে ভয়ংকর ক্ষতিগ্রস্ত যারা তাদেরও বিচার পাওয়ার
অধিকার আছে। আমি একটি মামলার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে গিয়েছি, পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের
কাছে গিয়েছি। আসামিরা স্বীকারোক্তি করার মামলায় তিন বছরে চার্জশিট দেওয়া হয় না। এই
অজুহাতে আসামিরা জেলখানা থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ দরকার কিন্তু ডিজিটাল
ব্যবস্থার অপব্যবহার করে যারা তাদেরও বিচারের জন্য যদি ব্যবস্থা না হয় সেটাও কিন্তু
এক প্রকার দায়মুক্তি তাদের জন্য হয়ে যায়। আমি আশা করি এই বিষয়গুলোকে সম্পৃক্ত করে,
বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য শুধু আর্থ সামাজিক উন্নয়ন না, অবকাঠামো উন্নয়ন না; আইনের
শাসন প্রতিষ্ঠার যে মৌলিক লক্ষ্য যেটা নিয়ে আমরা যুদ্ধ করেছিলাম সেই জায়াগায় আমাদের
পৌঁছাতে হবে। অন্যথায় দেখা যাবে যে, আমাদের একদিকে উন্নয়ন হলো অন্যদিকে আমরা পিছিয়ে
পড়ছি। আশা করি এই বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তারা গুরুত্বেও সঙ্গে বিবেচনা করবেন।
দ্বাদশ জাতীয়
সংসদ নির্বাচন নিয়ে সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্র
সুসংহত করার জন্য যদি নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হতো তাহলে বাংলাদেশে সাংবিধানিক শূন্যতা
দেখা দিত। আমাদের দেশের সর্বোচ্চ আইন বাংলাদেশের সংবিধান। সেখানে সংবিধানের বিধিবিধান
এবং সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে বলা হয়েছে একটি নির্বাচিত সরকার আর একটা নির্বাচিত সরকারের
কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। এর মধ্যবর্তী কোনো অবস্থা নাই। যেটা আমাদের সাংবিধানিক
অবস্থান এবং একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের রায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রের
অগ্রযাত্রার অপ্রতিরোধ্য গতির মধ্য থেকে দেশে গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে এর
ফলে আজকে বাংলাদেশ স্থিতিশীলতা পেয়েছে,উন্নয়ন পেয়েছে, সমৃদ্ধি পেয়েছে। সেই কারণে বাংলাদেশ
বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। উন্নয়নের জাদুকর শেখ হাসিনা বিশ্বের কাছে বিস্ময়।
বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুকন্যা আজকে যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার
পরিকল্পনা করেছেন সে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব হচ্ছে আমার বিশ্বাস, গণতান্ত্রিক
প্রক্রিয়া, সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকার কারণে। আমরা বিশ্বাস করি শেখ হাসিনার
হাতেই নিরাপদ বাংলাদেশ।
ভিয়েতনামের
প্রেসিডেন্ট ভো ভ্যান থুং পদত্যাগ করেছেন। দুর্নীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার দায়ে এক বছরের
বেশি কিছু সময়ের মাথায় পদত্যাগ করলেন তিনি।
তার বিরুদ্ধে
দলীয় নিয়ম ভঙ্গ এবং নেতিবাচকভাবে দলের সুনাম ক্ষতিগ্রস্ত করার কথা জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে
বলা হয়েছে, মাত্র এক বছর দায়িত্ব পালনের পর পদত্যাগ করেছেন ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট
ভো ভ্যান থুং। বুধবার দেশটির ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির বৈঠকের পর সরকার এক বিবৃতিতে
বলেছে, তিনি দলীয় নিয়ম ভঙ্গ করেছেন এবং দলের সুনামকে নেতিবাচকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন।
বিবিসি বলছে,
ভো ভ্যান থুং তার নিজ প্রদেশে দুর্নীতি কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত থাকার কারণে পদত্যাগ
করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। দুর্নীতির কারণে পদত্যাগে বাধ্য হওয়া অন্য একজন প্রেসিডেন্টের
স্থলাভিষিক্ত হতে গত বছর তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
মূলত ভিয়েতনামের
ক্ষমতাসীন দলের নেতৃত্ব দুর্নীতিকে একটি সমস্যা হিসেবে অগ্রাধিকার দিয়েছে এবং সমাধান
করা প্রয়োজন বলে তারা মনে করছে। ভিয়েতনামের নেতৃত্বের পরিবর্তন সাধারণত সাবধানে পরিকল্পিত
এবং নিয়ন্ত্রিতভাবে করা হয়।
সুতরাং মাত্র
এক বছরের মধ্যে দুজন প্রেসিডেন্টকে হারানো এবং উভয়ই দুর্নীতি কেলেঙ্কারির কারণে পদত্যাগ
করার বিষয়টি এটিই দেখায় যে, দেশের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিতে দুর্নীতি মোকাবিলা করা
কমিউনিস্ট পার্টির জন্য কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
বিবিসি বলছে,
ভিয়েতনামের রাজনীতির শীর্ষে থাকা ‘চারটি স্তম্ভের’ একজন
প্রেসিডেন্ট। কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক চারটি পদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী,
যদিও ক্ষমতা কাঠামোতে প্রেসিডেন্টেরও গুরুত্বপূর্ণ কর্তৃত্ব রয়েছে। বাকি দুজন হলেন-
প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় পরিষদের চেয়ারম্যান।
গত বছর যখন
ভো ভ্যান থুংকে নির্বাচিত করা হয়েছিল তখন তাকে একজন দক্ষ ব্যক্তি এবং অপেক্ষাকৃত তরুণ
প্রেসিডেন্ট হিসাবে দেখা হয়েছিল। মূলত দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রচারণার নেতৃত্বদানকারী
শক্তিশালী পার্টি প্রধান নগুয়েন ফু ট্রংয়ের সমর্থন সেসময় পেয়েছিলেন তিনি। আর এখন
পূর্বসূরি নগুয়েন জুয়ান ফুকের মতো ভো ভ্যান থুংকেও তার নিজ প্রদেশে অজ্ঞাত কেলেঙ্কারির
সাথে সংশ্লিষ্টতার কারণে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। যদিও সরকার গোপনীয়ভাবে কেবলমাত্র
সেই ত্রুটিগুলোর কথাই উল্লেখ করেছে যা পার্টির ভাবমূর্তিকে জনসাধারণের কাছে ক্ষতিগ্রস্ত
করেছে।
বিবিসি বলছে,
থুংয়ের পদত্যাগের জন্য জাতীয় পরিষদের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন প্রয়োজন। আর এ জন্য জাতীয়
পরিষদ বৃহস্পতিবারই বৈঠকে বসছে।
প্রসঙ্গত, মাত্র
কয়েক দিন আগে পুলিশ মধ্য ভিয়েতনামের কোয়াং এনগাই প্রদেশের একজন সাবেক নেতাকে দুর্নীতির
অভিযোগে গ্রেপ্তারের কথা ঘোষণা করে। ভো ভ্যান থুং সেখানে দলীয় প্রধান থাকাকালীন ওই
নেতা সেখানে দায়িত্বপালন করেছিলেন।
পাকিস্তানের একটি বাঁধ প্রকল্পে কাজ করা
চীনা প্রকৌশলীদের একটি গাড়িবহরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে
৫ জন চীনা প্রকৌশলী এবং একজন পাকিস্তানি ড্রাইভার।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে
এই ঘটনা ঘটেছে। একটি শীর্ষ পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স
এই খবর জানিয়েছে।
এক সপ্তাহের মধ্যে পাকিস্তানে চীনা স্বার্থের
ওপর তৃতীয় বড় হামলার ঘটনা এটি।
প্রথম দুটি হামলা বেলুচিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিম
প্রদেশের একটি বিমানঘাঁটি এবং একটি কৌশলগত বন্দরে ঘটে। সেখানে অবকাঠামো প্রকল্পে কোটি
কোটি টাকার বিনিয়োগ করছে চীন।
আঞ্চলিক পুলিশ প্রধান মোহাম্মদ আলী গন্ডাপুর
রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হওয়া ওই প্রকৌশলীরা ইসলামাবাদ থেকে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের
দাসুতে বাঁধ নির্মাণের স্থানে তাদের ক্যাম্পে দিকে যাচ্ছিলেন। গন্ডাপুর বলেন, ‘হামলায় পাঁচ
চীনা নাগরিক এবং তাদের পাকিস্তানি ড্রাইভার নিহত হয়েছে।
দাসু একটি বড় বাঁধের স্থান এবং এলাকাটিতে
এর আগেও হামলা হয়েছে। সেখানে ২০২১ সালে একটি বাসে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৯ চীনা নাগরিকসহ
১৩ নিহত হয়েছিল।
দীর্ঘ আট বছর
প্রেমের পর ২০২২ সালের ৯ জুন পরিচালক ভিগনেশ শিবানকে বিয়ে করেন দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয়
অভিনেত্রী নয়নতারা। বিয়ের ঠিক চার মাস পরেই সারোগেসির মাধ্যমে যমজ দুই পুত্রের বাবা–মা হন এই তারকা দম্পতি।
কিন্তু হঠাৎ
কী হলো ইনস্টাগ্রামে ভিগনেশকে আনফলো করলেন নয়নতারা! ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো এই ঘটনাকে
বিচ্ছেদের ইঙ্গিত বলে মনে করছে।
যেমন টাইমস
অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই তারকা দম্পতির সম্পর্ক ভাঙার ইঙ্গিত মিলেছে দক্ষিণের
‘লেডি
সুপারস্টার’ নয়নতারার পক্ষ থেকেই। কারণ, সম্প্রতি সবাইকে চমকে দিয়ে স্বামী ভিগনেশকে
ইনস্টাগ্রামে ‘আনফলো’ করেছেন নয়নতারা।
সংবাদমাধ্যমটি
আরও জানিয়েছে, নয়নতারা ভিগনেশকে শুধু আনফলো করেছেন তা-ই নয়, অভিনেত্রী হঠাৎই তাঁর ইনস্টাগ্রাম
স্টোরিতে একটি রহস্যময় পোস্ট দেন। সেখানে অভিনেত্রী লেখেন, ‘সে চলে গেল সারা জীবনের মতো। ও
বলল আর আমি অশ্রুভেজা চোখে মেনে নিলাম।’
অভিনেত্রীর
এই ইনস্টা–স্টোরিকে ঘিরেই শুরু নানা গুঞ্জন। তাঁর ভক্ত–অনুরাগীদের মাঝেও বিরাজ করছে উদ্বেগ।
কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন, নয়নতারা সত্যিই এমন পোস্ট করেছেন নাকি যান্ত্রিক ত্রুটি!
তবে এক দিন
পেরোনোর আগেই স্বামীকে আবার ‘ফলো’ করতে শুরু করেছেন নয়নতারা। আর ভিগনেশ শিবানকে ইনস্টাগ্রামে নয়নতারার
করা একটি প্রসাধনী সংস্থার নতুন বিজ্ঞাপন পোস্ট করতে দেখা গেছে।
প্রসঙ্গত, পরিচালক
ভিগনেশ শিবানের সঙ্গে দক্ষিণী রীতি মেনে ২০২২ সালের ৯ জুন সাতপাকে বাঁধা পড়েন নয়নতারা।
আর বিয়ের চার মাসের মাথাতেই সারোগেসির মাধ্যমে যমজ সন্তানের মা হওয়ার খবর দেন তাঁরা।
তা নিয়ে সারোগেসি আইন ভাঙার বিতর্কেও জড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী ও তাঁর স্বামী। তবে পরে
জানা যায়, সামাজিক বিয়ের ছ’বছর আগেই রেজিস্ট্রি সেরে রেখেছিলেন নয়নতারা ও ভিগনেশ। তাই বিতর্ক থেকে
সে যাত্রায় মুক্তি পান তাঁরা।