আজঃ বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

রেলের মালামাল চুরির অভিযোগে রাবি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে রেললাইন থেকে রেলের মালামাল চুরির অভিযোগ এনে মামলা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে রাজশাহীর ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) ভবেশ চন্দ্র রাজবংশী বাদী হয়ে সোমবার জিআরপি থানায় এ মামলা করেন।

মামলাটি নেওয়া হয়েছে কিনা এ বিষয়ে জানতে রাজশাহী জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোপাল কর্মকারের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তিনি তা কেটে দেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, রোববার সন্ধ্যায় রাবির চারুকলা গেটের অদূরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরারেললাইনে আগুন লাগিয়ে দেয়। গুমটি ঘরের জানালা ভাঙচুর করে রেললাইন থেকে ৯২টি প্যান্ডেল ক্লিপ ও একটি স্টিল স্লিপার চুরির ঘটনা ঘটে। তিনটি কাঠের স্লিপার নষ্ট করে দেওয়া হয়।

এতে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে শিক্ষার্থীরা সরে গেলে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।

রাবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বগুড়াগামী মোহাম্মদ পরিবহণের ড্রাইভার, হেলপার ও সুপারভাইজারের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। এর দায় বাস শ্রমিকদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার  প্রতিবাদে মঙ্গলবার মানববন্ধনের ঘোষণা দিয়েছে বিনোদপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতি। রোববার বিকালে এক সাধারণ সভা শেষে এই মানববন্ধনের ঘোষণা দেয় সংগঠনটি।

মানববন্ধন শেষে বিনোদপুর ব্যবসায়ীদের ওপর অতর্কিত হামলা ও অগ্নিসংযোগকারীদের  বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসক, রাসিক মেয়র, রাবি উপাচার্য, পুলিশ কমিশনার, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি প্রদান, সংবাদ সম্মেলন ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানানো হবে বলে জানা গেছে।

 


আরও খবর
নবীগঞ্জে বাস চাপায় প্রাণ গেল দু’জনের

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




‘ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধে বাংলাদেশে কোনো প্রভাব পড়বে না’

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

অনির্দিষ্টকালের জন্য ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় বাংলাদেশে এর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

শনিবার (২৩ মার্চ) বিকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ কথা জানান।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাজার তার আপন গতিতেই চলবে। ৫ থেকে ১০ টাকা বাড়লে সেটা নিয়ে কিছু না করা হলেও কেউ যদি মজুদদারি করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভারত থেকে ইতিমধ্যে যে পেঁয়াজ কেনা হয়েছে সেগুলো ৩ দিনের মধ্যে দেশে এসে পৌঁছাবে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন>> অনির্দিষ্টকালের জন্য পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করল ভারত

প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাভাবিক বাজারে বেচা-কেনায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোনোরকম পুলিশি তৎপরতা বা ম্যাজিস্ট্রেসি তৎপরতা প্রয়োজন নেই। বাজারে যথেষ্ট পরিমাণ পণ্যের সরবরাহ আছে এবং দামও যৌক্তিক পর্যায়ে আছে।

চালের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, চাল খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বিষয়। এ কারণে আরেক মন্ত্রণালয়ের বিষয়ে কোনো কিছু বলা ঠিক হবে না।


আরও খবর
ভোজ্যতেলের দাম বাড়বে কি না জানা যাবে আজ

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪

আলুর দাম বাড়ার কারণ জানা গেল

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪




কেজরিওয়াল গ্রেপ্তার: যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ ভারত

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের একজন মুখপাত্র বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ এবং দ্রুত আইনি প্রক্রিয়া চাই আমরা।

এরপর ভারত সরকার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র মিশনের ভারপ্রাপ্ত উপপ্রধান গ্লোরিয়া বারবানাকে তলব করে। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে ৪০ মিনিটের বৈঠক করেন তার সঙ্গে।

বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এমন আচরণের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি জানায়। তারা জানান, প্রত্যেক রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার ও সার্বভৌমত্বের ওপর শ্রদ্ধাশীল থাকা উচিত। গণতন্ত্রের সঠিক চর্চার জন্য এই শ্রদ্ধাবোধ সবার দায়িত্ব। নাহলে অসুস্থ পরিবেশ তৈরি হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতের আইনি প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও স্বাধীন বিচারব্যবস্থার মাধ্যমে পরিচালিত হয়।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে ভারতে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করে ইডি। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে প্রথম ক্ষমতাসীন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে গ্রেপ্তার হন তিনি। দিল্লির আবগারি নীতি সংক্রান্ত ওই মামলায় কেজরিওয়ালকে জেরা করার জন্য ৯ বার সমন পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু তিনি আসেননি। এই অভিযোগে গ্রেপ্তার হতে হয় তাকে।


আরও খবর



বোনের প্রেমিককে হত্যার দায়ে ভাইসহ দুজনের ফাঁসি

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রবিউল বাশার খান, কুমিল্লা

Image

কুমিল্লার হোমনায় মো. ফয়সল (২২) নামে এক যুবককে হত্যার দায়ে দুই যুবকের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে দুজনকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, হোমনা উপজেলার রাজনগর গ্রামের মো. ফুল মিয়ার ছেলে মো. শামীম মিয়া (২৪) ও একই উপজেলার সাফলেজি গ্রামের মো. বেদন মিয়ার ছেলে মো. দুলাল মিয়া (২০)।

কুমিল্লার অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট শেখ মাসুদ ইকবাল মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্র জানায়, নিহত ফয়সালের সাঙ্গে একই উপজেলার ফুল মিয়ার মেয়ে মেহেদী আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। যা মেনে নিতে পারছিলেন না প্রেমিকা মেহেদী আক্তারের ভাই শামীম। পরে শামীম ফয়সালকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২০ সালের ৫ জুন ফয়সাল তার মামা নজরুল মিয়ার ছাদে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার সময় তার মোবাইলে শামীম ফোন করে আমিরুল ইসলাম উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। ফয়সাল কাউকে কিছু না জানিয়ে ওই স্থানে যান। এক পর্যায়ে তাকে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে এবং পরে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন। পরে ফয়সালের মরদেহ ওই বিদ্যালয়ের মাঠে পুঁতে রাখেন শামীম ও দুলাল।

ওইদিন রাতে ফয়সাল বাসায় না ফেরায় দুশ্চিন্তায় পড়েন স্বজনরা। পরদিন নিহত ফয়সালের বাবা মকবুল হোসেন বাদী হয়ে হোমনা থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রি করেন। সেটি তদন্তের দায়িত্ব পান হোমনা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শামীম সরকার। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ফয়সালের মোবাইল ফোনের কললিস্ট চেক করেন। এ সময় শামীমের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে পুরো ঘটনার বর্ণনা দেন শামীম।

পরে শামীমের দেখানো স্থান থেকে ফয়সালের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শামীমের এ কাজে দুলাল সহযোগিতা করেন বলে জানালে পুলিশ দুলালকেও আটক করে।

এ ঘটনায় নিহত ফয়সালের বড় বোন সালমা আক্তার বাদী হয়ে শামীমকে প্রধান আসামি করে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে হোমনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর আটক শামীম ও দুলালকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে তোলা হলে উভয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

দীর্ঘ শুনানি শেষে সোমবার কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন দুজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। একইসাঙ্গে প্রত্যেক আসামীকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার সময় উভয় আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন।


আরও খবর
নবীগঞ্জে বাস চাপায় প্রাণ গেল দু’জনের

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




ভাড়া নিয়ে বিতণ্ডা, যাত্রীদের পিটুনিতে চালক-হেলপারের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

সাভারের আশুলিয়ায় ভাড়া নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে যাত্রীদের পিটুনিতে ইতিহাস পরিবহনের একটি বাসের চালক ও হেলপারের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (৮ এপ্রিল) রাতে গাজীপুরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকায় (ডিইপিজেড) এ মারধরের ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন ইতিহাস পরিবহনের বাস চালক সোহেল রানা বাবু (২৬) ও হেলপার হৃদয় (৩০)। বাস চালক সোহেল মিরপুরের ফুরকান হোসেনের ছেলে। অপরদিকে হেলপার হৃদয় ময়মনসিংহ ফুলপুর এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে।

পুলিশ জানিয়েছে, দুপুরে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের চন্দ্রাগামী ইতিহাস পরিবহনের বাসের চালক ও হেলপারের সাথে যাত্রীদের ভাড়া নিয়ে বাক-বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত যাত্রীরা বাসের চালক ও হেলপারকে মারধর করে। পরে পথচারীরা তাদের উদ্ধার করে আহত অবস্থায় গাজীপুরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মাসুদুর রহমান ঢাকা ঘটনার সত্যতা ও মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, ভাড়া নিয়ে বিতণ্ডার জের ধরে যাত্রীদের সাথে মারধরের ঘটনা ঘটেছিল। এ ঘটনায় তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর
নবীগঞ্জে বাস চাপায় প্রাণ গেল দু’জনের

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




স্বাধীনতার প্রত্যয় হোক দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান : শ ম রেজাউল করিম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

স্বাধীনতার এতদিনেও দুর্নীতি ও সুশাসনের অভাবই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বধীন সরকারের সাবেক মন্ত্রী এবং সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শ ম রেজাউল করিম।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার মূল লক্ষ্য ছিল ধনী-দরিদ্রের বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণ। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সে পথেই বাংলাদেশকে পরিচালিত করতে সচেষ্ট ছিলেন। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু নিরলস চেষ্টা করতে থাকেন। কোনো প্রকার ছাড় না দিয়ে ছোট-বড় রাজনীতিবিদ যেই হোক না কেন দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে। স্বাধীনতার প্রত্যয় হোক দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া।

কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যার পর বাংলাদেশ দীর্ঘদিন পেছনের দিকে হাঁটতে থাকে। সব ধরনের উন্নয়ন থমকে যায়। সাম্প্রদায়িকতার বিস্তার ঘটতে থাকে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণা করার পরিবর্তে পশ্চাৎপদ হতে থাকে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন হওয়ার পর ফের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পেরেছি। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করতে পেরেছি। মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা ফিরে এসেছে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে লাল-সবুজ পতাকার যে অভিষ্ট লক্ষ্য, তা পূরণ হওয়ার পথে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি পরপর ক্ষমতায় থাকার কারণে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য কমিয়ে বড় ধরনের সফলতা এসেছে। এই সফলতা পূর্ণাঙ্গতা পাবে যদি আমরা সুশাসন দিয়ে সাম্প্রদায়িক শক্তি দমন করে আরও উন্নত বাংলাদেশ গড়তে পারি। তবেই আমরা স্বাধীনতার পরিপূর্ণ সাফল্য পাবো।

সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে না পারাই স্বাধীনতার ঘাটতি মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদের অর্জন আকাশসম। আমরা মধ্যম আয়ের দেশে যেতে পারছি। কিন্তু দুর্নীতি, অনিয়ম স্বমূলে উৎপাটন করতে পারিনি। স্বাধীনতার এত বছরেও রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি রয়েছে। দুর্নীতি স্বমূলে উৎপাটন করতে না পারলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এ কারণে আমি মনে করি, কোনো প্রকার ছাড় না দিয়ে ছোট-বড় রাজনীতিবিদ যেই হোক না কেন দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে। স্বাধীনতার প্রত্যয় হোক দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া।

সুশাসনের স্বার্থেই গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। জনগণ যেন তার সব স্তরের প্রতিনিধি বেছে নিতে পারে। এটিকে নিশ্চিত করা দরকার। কারণ মুক্তিযুদ্ধের প্রধানতম লক্ষ্য ছিল জনগণ তার পছন্দের ব্যক্তিকে প্রতিনিধি হিসেবে বাছাই করতে পারবে। সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা এখনো বড় চ্যালেঞ্জ। অনেক দুর্নীতিবাজের সাজা হচ্ছে। কিন্তু সুকৌশলে দুর্নীতির ফের বিস্তার ঘটছে। দুর্নীতি কমছে না এটিই আমাদের জাতি হিসেবে লজ্জার।

নিউজ ট্যাগ: শ ম রেজাউল করিম

আরও খবর