যশোরের শার্শার গোগা সীমান্তে ইছামতি নদীর
খলিসাখালি খাল এলাকা থেকে বুধবার সকালে মশিয়ার রহমান নামে এক সোনা চোরাকারবারির মরদেহ
উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশ।
মরদেহের শরীরে ৫ কেজি ২শ গ্রাম ওজনের ৪০টি
স্বর্ণের বার বাঁধা ছিল।
নিহত মশিয়ার গোগা হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামের
বুদো মড়লের ছেলে। খুলনা ২১ বিজিবির সিও লে. কর্নেল খুরসিদ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত ১০মার্চ বিকেলে
একটি স্বর্ণের চালান নিয়ে ইছামতি নদী দিয়ে ভারতের পিপলি সীমান্তে প্রবেশকালে নদীতে
ডুবে যান মশিয়ার। গত ৩ দিন ধরে সীমান্তের ইছামতি নদীতে তাঁর মরদেহ উদ্ধারে বিজিবি,
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা ও ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) চেষ্টা চালায়।
তবে ভারত অংশে প্রবেশে বিএসএফ বাধা দেওয়ার ডুবুরিরা মরদেহ উদ্ধারে ব্যর্থ হয়। অবশেষে
দীর্ঘ ৪ দিন পর আজ সকালে ঘটনাস্থল থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে খলসিখাল এলাকায় মরদেহটি
ভেসে ওঠে।
স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে বিজিবি ও পুলিশকে
খবর দেয়। এদিন দুপুরে বিজিবি সদস্যরা মরদেহটি উদ্ধার করে শার্শা থানা পুলিশের কাছে
হস্তান্তর করে।
জামাল ও রহিম বক্স নামে দুজন চোরাকারবারি
মশিয়ারকে বাড়ি থেকে ডেকে নিযে গিয়েছিল বলে জানায় স্বজনেরা। তাঁরা হত্যার ঘটনায় জড়িতদের
বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তবিবর রহমান বলেন,
‘নদীতে ভেসে থাকা
মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে প্রশাসনের সহযোগিতা চাই।’
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)
মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ‘মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মর্গে পাঠানো
হবে। ঘটনা উদঘাটনে পুলিশ ও যশোর ডিবি পুলিশ চেষ্টা করছে।’
উদ্ধার স্বর্ণ যশোর ট্রেজারিতে জমা দেওয়া
হবে জানান ওসি মনিরুজ্জামান।