আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

রেকর্ড সংখ্যক দেশে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নাজুক

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর খড়গের মাত্রা বেড়েছে বিশ্বজুড়ে। এতে প্রকৃত সংবাদ প্রকাশে অনেকটা চাপের মুখে মিডিয়াগুলো। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, বিভ্রান্তিমূলক তথ্য, অপপ্রচার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। দ্য ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সের তথ্য অনুযায়ী, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখন মারাত্মক হুমকির মুখে। এ বিষয়ে বুধবার এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে দ্য গার্ডিয়ান।

বিশ্ব সংবাদমাধ্যম স্বাধীনতা সূচক ২০২৩ (ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স ২০২৩) এ ৩১টি দেশের পরিস্থিতিকে গুরুতর হিসেবে দেখানো হয়েছে। স্বৈরাচারী শাসকের অধীনে থাকা দেশগুলোতে সংবাদমাধ্যমে দমন-পীড়নের মাত্রা অনেক বেশি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস আজ (৩ মে)। প্রতি বছর এই দিনে সারা বিশ্বে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালিত হয়। এ প্রসঙ্গে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারের (আরএসএফ) মহাসচিব ক্রিস্টোফ ডেলোয়ার সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বাস্তবতার দিক দিয়ে জেগে ওঠতে হবে এবং বিপজ্জনক প্রবণতা পাল্টা দিতে হবে।

মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের ৩০তম বার্ষিকীতে বিশ্বজুড়ে সংবাদমাধ্যমের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেছে আরএসএফ। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সুমন্নত রাখতে দেশগুলোকে স্মরণ করিয়ে দিতেই দিবসটিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন হয়ে থাকে।

আরএসএফ বলছে, সাংবাদিকতায় ১০টি দেশের মধ্যে সাতটি দেশের পরিস্থিতি কাজের জন্য অনুপযুক্ত। ১০টির মধ্যে তিনটিকে সন্তোষজক বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।

জাতিসংঘ বলছে, ৮৫ শতাংশ মানুষ এমন দেশে বাস করে যেখানে গত পাঁচ বছরে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে।

২০২৩ এর সংস্থাটির সূচকে ৯৫.১৮ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে নরওয়ে। পরের অবস্থানে  আয়ারল্যান্ড, ডেনমার্ক, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও লিথুয়ানিয়া। সূচকে সবচেয়ে নিচে রয়েছে উত্তর কোরিয়া (১৮০)। নিচের দিকে দেশগুলো হলো যথাক্রমে উত্তর কোরিয়ার পরে চীন (১৭৯) ও ভিয়েতনাম (১৭৮), ইরান  (১৭৭)। এবারের সূচকে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ৪৫ তম।

আরএসএফ-এর সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ দেশগুলোর অবস্থান নিচের দিকে। সূচকে ভারতের অবস্থান ১৬১ আর পার্শ্ববর্তী দেশ পাকিস্তানের অবস্থান ১৫০তম। দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর মধ্যে ১১ ধাপ উন্নীত হয়েছে শ্রীলঙ্কার। তালিকায় দেশটি ১৩৫তম। ভুটানের অবস্থান ৯০তম, নেপাল ৯৫, তালিকায় ১৫২তম অবস্থানে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান।

মিয়ানমার, তুরস্ক, রাশিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশের সংবাদমাধ্যমে দমন-পীড়ন অব্যাহত রেখেছে সরকারগুলো।  ২০২৩ এর সূচকে আফ্রিকার দেশগুলোর সংবামাধ্যমের পরিস্থিতিকে খুবই নাজুক হিসেবে উঠে এসেছে।

১৯৯১ সালে ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ অধিবেশনের সুপারিশ মোতাবেক ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ৩ মে তারিখটিকে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এরপর থেকে বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যম কর্মীরা এ দিবসটি পালন করে আসছে। এই দিবসটিতে সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার মৌলিক নীতিমালা অনুসরণ, বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মূল্যায়ন, স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ প্রতিহত করার শপথ নেওয়ার পাশাপাশি ত্যাগী সাংবাদিকদের স্মরণ ও তাদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানানো হয়।


আরও খবর



ঝিনাইদহ-১ আসনের এমপি আব্দুল হাই মারা গেছেন

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

Image

ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই মারা গেছেন। শনিবার (১৬ মার্চ) থাইল্যান্ডের বামরুনদগ্রাদ হাসপাতালে ব্যাংককের স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। মৃত্যুর বিষয়টি থাইল্যান্ডে অবস্থান করা তার ব্যক্তিগত সহকারী শহিদুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।

আব্দুল হাই এর আগে নিউমোনিয়া ও লিভারের সমস্যায় ঢাকার ল্যাব এইড হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি ছিলেন। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে থাইল্যান্ডে নেওয়া হয়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে ও ২ ছেলে রেখে গেছেন।

আব্দুল হাইয়ের জন্ম ১৯৫২ সালের পহেলা মে শৈলকুপা উপজেলার মহম্মদপুর গ্রামে। ফয়জুদ্দিন মোল্লা ও ছকিরন নেছা দম্পতির ৩ ছেলে ও ২ মেয়ের মধ্যে সবার ছোট তিনি। তার শিক্ষাজীবন শুরু পার্শ্ববর্তী মির্জাপুর গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেখান থেকে পাস করার পর ভর্তি হন বসন্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। মাধ্যমিক পাস করার পর ভর্তি হন ঝিনাইদহ কেশবচন্দ্র কলেজে। সেখান থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে  বিএ পাস করেন। বসন্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত অবস্থায় তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন।

আব্দুল হাই সম্পর্কে জানা যায়, তিনি ১৯৬৮ সালে মহকুমা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৯ সালে সরকারি কেসি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। একই বছর তিনি বৃহত্তর যশোর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে, যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং ঝিনাইদহে স্বাধীন বাংলার প্রথম পতাকা উত্তোলন করেন তিনি। দেশ স্বাধীনের পর ঝিনাইদহ যুবলীগের আহ্বায়ক ও ১৯৭৩ সালে যুবলীগের মহকুমা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আশির দশকে জেলা আওয়ামী লীগের যুব ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯৬ সালে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরে ১৯৮৭ সালে তিনি ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পরবর্তী সময়ে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সারাদেশে মাত্র ৫৮টি আসনে বিজয় লাভ করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য আসন ছিল বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাইয়ের শৈলকুপার আসন। বর্তমান ঝিনাইদহ জেলার মধ্যে এই আসনটিকে আওয়ামী লীগের দূর্গ বলা হয়।

এছাড়া তিনি ২০০১ সালে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক নির্বাচিত হন ও ২০০৫ সালে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হন। তিনি ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১২ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হয়ে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালের কাউন্সিলে দ্বিতীয়বারের মতো ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে একাদশ সংসদ নির্বাচনেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি অষ্টম, নবম, দশম, একাদশ পরপর চারবারে নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং ২০২২ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তৃতীয়বারের মতো জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।

জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে বেসরকারিভাবে জয়লাভ করেছেন আব্দুল হাই (এমপি)। এ নিয়ে তিনি পঞ্চমবারের মতো ওই আসন থেকে এমপি হিসেবে জয়লাভ করেন। ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসনে নৌকার প্রার্থী আব্দুল হাই এমপি ৯৫ হাজার ৬৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।

আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগসহ জেলার নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। তার জানাজা ও দাফনের বিষয়টি পরিবার থেকে এখনও নিশ্চিত জানা যায়নি।

নিউজ ট্যাগ: ঝিনাইদহ

আরও খবর
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




রোজাদারের জন্য সবচেয়ে ভালো খাবার কী?

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

পবিত্র রমজান মাসজুড়েই ইফতারে সবাই বাহারি খাবার রাখেন। তার মধ্যে সব খাবারই কিন্তু স্বাস্থ্যকর নয়। অনেক সময় দেখা যায়, খারাপ খাবারের মাধ্যমে ভালো খাবারের পুষ্টিগুণ আপনার শরীর পায় না। সারাদিন রোজা রাখার পর অনেকেই মনে করেন, পেট ভরে যা ইচ্ছে তা-ই খাবেন।

যদিও সারাদিন না খেয়ে ফাস্টিং করার মাধ্যমে শরীরের অনেক উপকার হয়। তবে আপনি যখন রোজা ভেঙে ভুল খাবার খেয়ে ফেলবেন, তখন কিন্তু তা শরীরের জন্য আরও ক্ষতিকর হয়ে উঠবে।

রমজানে ভুল খাদ্যাভ্যাসের কারণেই বেশিরভাগ মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাহলে রমজানে কোন কোন খাবার পাতে রাখবেন? চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক রমজানের সবচেয়ে ভালো ৫ খাবার সম্পর্কে-

কলা : কলা পটাসিয়াম সমৃদ্ধ। যা তৃষ্ণা নিবারণ করে ও দীর্ঘ সময়ের জন্য হাইড্রেটেড রাখে। কলা ফাইবার ও প্রতিরোধী স্টার্চের একটি দুর্দান্ত উত্স। রোজা ভাঙার পর কলা খেলে এর প্রতিরোধী স্টার্চ আপনাকে পূর্ণতা অনুভব করতে সহায়তা করে। ফলে কম খাবার খেয়েও পেট ভরাতে পারবেন আপনি। এটি শরীরও পুষ্টি পাবে।

খেজুর : সারাদিন রোজা রাখার কারণে কার্বোহাইড্রেট ও মিষ্টির জন্য সবারই লোভ বেড়ে যায়। এজন্য ইফতারে রাখতে পারেন খেজুর। এটি একটি আদর্শ ডেজার্ট হতে পারে। খেজুরে প্রচুর অ্যানার্জি, ফাইবার ও আয়রন আছে।

খেজুরের প্রাকৃতিক শর্করা থাকায় তা অল্প পরিমাণে খেলেও আপনি দ্রুত অ্যানার্জি পাবেন। ইফতারে দুটি খেজুর প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করতে ও আপনার মিষ্টি তৃষ্ণাকে মেটাতে যথেষ্ট হওয়া উচিত।

গোটা শস্য : জোয়ার, বাজরা, ওটস ও রাগির মতো গোটা শস্য প্রোটিন সমৃদ্ধ। যা আপনাকে দীর্ঘক্ষণ হাইড্রেট রাখে, ক্ষুধা নিবারণ করে ও শক্তি জোগায়। এগুলোতে প্রচুর জটিল কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবার থাকে। ফলে এগুলো ধীরে ধীরে হজম হয় ও শরীরও বেশি শক্তি পায়।

বাদাম : বাদামে স্বাস্থ্যকর চর্বি যেমন- ওমেগা ৩ ও ৬ এর একটি সমৃদ্ধ উৎস। যা আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ণতা বোধ করায়। এজন্য ইফতারে রাখতে পারেন শুকনো ফল বা ড্রাই ফ্রুট। এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে।

টকদই : রোজা রাখার ফলে খালি পেটে অ্যাসিড তৈরি হওয়ার কারণে শরীর প্রচুর তাপ উৎপন্ন করে। সেই প্রভাব নিয়ন্ত্রণে ইফতারে টকদই বেছে নিন। এতে থাকে প্রোবায়োটিক। যা হজমে সহায়ক। ইফতারে আপনি টকদই ও বিভিন্ন ফল দিয়ে একটি সুস্বাদু ডেজার্ট তৈরি করতে পারেন। দীর্ঘ বিরতির পরে ইফতারে অতিরিক্ত খাওয়া ও অস্বাস্থ্যকর খাবারের লোভ বাড়তে পারে। এজন্য ভালো ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে অতিরিক্ত খাওয়ার ইচ্ছা কমে।


আরও খবর
রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

চেক প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল এবং প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আদালত একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ঢাকার ষষ্ঠ যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ হুমায়ুন কবির এ আদেশ দেন। আদালতে মামলাটি দায়ের করেন তোফাজ্জল হোসেন নামে এক ব্যক্তি।

মামলার বাদী তোফাজ্জল হোসেনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মিয়া হোসেন বলেন, আজ আদালতে এ মামলার অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আসামিরা উপস্থিত না থাকায় আদালত অভিযোগ গঠন করে তাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন। পরবর্তী তারিখে সাক্ষ্য গ্রহণ হবে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিদের প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের পক্ষ থেকে বিশেষ ছাড়ে মোটরসাইকেল বিক্রির অফার অনলাইনের (ইভ্যালি ডটকম) মাধ্যমে দেখতে পেয়ে ২০২১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি এক লাখ ৪৯ হাজার ৬৩৫ টাকা পরিশোধ করে একটি মোটরসাইকেল ক্রয়ের অর্ডার করেন বাদী। বাদীকে মোটরসাইকেলটি অর্ডারের ৪৫ দিনের মধ্যে ডেলিভারি করার কথা ছিল। তা না হলে মোটরসাইকেলের মূল্য বাবদ দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা বাদীকে প্রদান করবেন। আসামিরা নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও মোটরসাইকেলটি ডেলিভারি করতে না পারায় ওই বছরের ২৮ জুন দুই লাখ ৫০ হাজার টাকার সিটি ব্যাংকের একটি চেক ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের পক্ষ থেকে সিনিয়র ম্যানেজার ফাইন্যান্স ও ম্যানেজার ফাইন্যান্স স্বাক্ষর করে বাদী বরাবর ইস্যু করেন। ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করতে গেলে চেকটি ডিজঅনার হয়।

পরবর্তীতে বাদী আসামিদের বরাবর লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধের তাগিদ দেন। তবু তারা টাকা পরিশোধ না করায় বাদী বাধ্য হয়ে ২০২২ সালে আদালতে মামলা দায়ের করেন।


আরও খবর



খালেদা জিয়ার মুক্তি’র বিষয়ে সিদ্ধান্ত কাল: আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো ও তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার আবেদনের বিষয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।

আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

গত ৬ মার্চ খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে ও বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ চেয়ে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। সেই আবেদনের বিষয়ে মতামত নিতে সেটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, প্রথম কথা হচ্ছে এই চিঠিতেও তারা আগের মতোই স্থায়ী মুক্তি চেয়েছেন। আমি বুঝলাম না স্থায়ী মুক্তি মানে কী? এবং বিদেশ যাওয়ার জন্য অনুমতি চেয়েছেন।

তিনি বলেন, আমার কাছে আজকে আমার সচিব ফাইলটা দিয়েছেন। ওনারা (খালেদার পরিবারের সদস্যরা) কী আবেদন করেছেন, সেটা দেখে ভালো করে বিবেচনা করে আমি অতি সত্বর নিষ্পত্তি করব। আগামীকাল নাগাদ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

আনিসুল হক বলেন, ফাইলটা আজকেই পেয়েছি। আমাকে বিবেচনা করতে হবে, পড়তে হবে, আমাকে দেখতে হবে। তবে একটা বিষয় বলতে পারি সেটা হলো খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্তে কোনো পরিবর্তন হবে না।

উল্লেখ্য, এর আগে ঢাকার নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং এই সময়ে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না- এ দুটি শর্তে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ আটবার বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানো হয়েছিল। সেই মেয়াদ আগামী ২৪ মার্চ শেষ হবে।


আরও খবর



গাজায় ত্রাণ নিতে আসা জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি, নিহত ১০৪

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজা উপত্যকার দক্ষিণ-পশ্চিমে খাবারের জন্য অপেক্ষা করছিলেন ফিলিস্তিনিরা। এ সময় ইসরায়েল খাবারের জন্য অপেক্ষারত ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্বিচারে হামলা চালায়। এতে অন্তত ১০৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং অন্তত ৭০০ জন আহত হয়েছে। কিন্তু গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১১২ জন এবং  আহত হয়েছেন ৭৫০ জনেরও বেশি। গাজা শহরের পশ্চিমে আল-নাবুসি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় ফিলিস্তিনি নেতারা এবং প্রতিবেশী দেশগুলো গাজায় সহায়তা সংগ্রহকারী নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্যবস্তু করায় ইসরায়েলের নিন্দা করেছে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কার্যালয় বলেছে, ইসরায়েলি দখলদার সেনাবাহিনী কুৎসিত গণহত্যা চালিয়েছে।

আব্বাসের অফিসের উদ্ধৃতি দিয়ে ওয়াফা বার্তা সংস্থা বলেছে, এই বিপুল সংখ্যক নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের যারা হত্যা করেছে তারা গণহত্যামূলক যুদ্ধের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এর সম্পূর্ণ দায় দখলদার ইসরায়েলের এবং আন্তর্জাতিক আদালতে তাদের জবাবদিহি করতে হবে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বেসামরিকদের রক্ষা করার একমাত্র উপায় হিসেবে, যুদ্ধবিরতি জারি করার জন্য জরুরি হস্তক্ষেপ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছে। এদিকে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস এই হামলাকে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে অপরাধী ইহুদিবাদীদের জঘন্য গণহত্যা বলে অভিহিত করেছে।

এক বিবৃতিতে এই গোষ্ঠীটি বলেছে, সাহায্য-প্রার্থীদের ওপর মারাত্মক আক্রমণ যুদ্ধাপরাধের ইতিহাসে নজিরবিহীন।

গাজায় গণহত্যা, জাতিগত নির্মূল এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন বন্ধ করতে ইসরাইলকে বাধ্য করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এবং আরব রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হামাস।

স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী এএফপিকে বলেন, গাজা শহরের পশ্চিম নাবুলসি গোলচত্বরে ত্রাণের ট্রাকের দিকে খাবারের জন্য মরিয়া হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসেন। সেই সময় এই সহিংসতার ঘটনা ঘটে। নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ত্রাণ-বোঝাই ট্রাকগুলো কিছু সেনা ট্যাংকের খুব কাছাকাছি চলে আসে। ওই সময় হাজার হাজার মানুষ ট্রাকের দিকে ছুটে আসেন। তারা ট্রাকগুলোতে হামলে পড়েন। লোকজন ট্যাংকের খুব কাছে চলে আসায় ইসরায়েলি সেনারা ভিড় লক্ষ্য করে গুলি চালায়।

পরে ইসরায়েলি একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে এএফপিকে বলেছে, লোকজন এমনভাবে ইসরায়েলি বাহিনীর কাছাকাছি এসেছিল, যা সেনাদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। পরে গুলি ছুড়ে হুমকি মোকাবিলা করা হয়েছে।

তবে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেন, ওই এলাকায় কোনো ধরনের গোলাবর্ষণের কথা তাদের জানা নেই। পরে সেনাবাহিনী বলেছে, উত্তর গাজায় ত্রাণ পরিবাহী ট্রাক এলে ধাক্কাধাক্কি ও পদদলিত হয়ে কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি একটি সূত্র জানিয়েছে, দেশটির সশস্ত্রবাহিনী ভিড়ের মাঝে হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করে কয়েকজন ব্যক্তির ওপর গুলি চালিয়েছিল।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, একাধিক ট্রাকে করে অনেক মৃতদেহ পরিবহন করা হচ্ছে এবং অনেক আহত ব্যক্তিকে দেখা যায়। তবে ভিডিওটির সত্যতা নিশ্চিত করেত পারেনি। আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি হাসপাতালের মেঝেতে আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর