আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

রেকর্ড দামে বিক্রি টিপু সুলতানের তলোয়ার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

টিপু সুলতানের বিখ্যাত তলোয়ারটি নিলামে ধারণার চেয়ে সাত গুণ বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। লন্ডনের বনহ্যামস নিলাম হাউসে এক কোটি ৪০ লাখ পাউন্ডে বিক্রি হয়েছে ১৮ শতকে প্রখ্যাত ভারতীয় শাসক টিপু সুলতানের তলোয়ার। মঙ্গলবার টিপু সুলতানের বিখ্যাত তলোয়ারটি নিলামে তোলা হয়। এটি ধারণার চেয়ে সাত গুণ বেশি দামে বিক্রি হয়।

এক বিবৃতিতে বনহ্যামস কর্তৃপক্ষ জানান, তাদের নিলাম হাউসে এখন পর্যন্ত বিক্রি হওয়া ভারতীয় এবং ইসলামি ঐতিহ্যবাহী কোনো জিনিসের এটিই সর্বোচ্চ দাম।

বনহ্যামসের ইসলামিক অ্যান্ড ইন্ডিয়ান গ্রুপের প্রধান নিমা সাঘরচি বলেন, তলোয়ারটি একটি অসাধারণ ইতিহাস রয়েছে। এটির উৎসও আশ্চর্যজনক এবং অতুলনীয় কারুকার্যমণ্ডিত।

আরও পড়ুন<< ২০ কিলোমিটার ধাওয়া করে বরকে মণ্ডপে টেনে এনে বিয়ে

এটির নিলামে যে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে, তাতে আশ্চর্যের কিছু ছিল না। দুজন ফোনে এবং নিলাম কক্ষে একজন এটি পেতে মরিয়া ছিলেন। ফল যা এসেছে তাতে আমরা দারুণ আনন্দিত।

টিপু সুলতান ১৭৮২ থেকে ১৭৯৯ সাল পর্যন্ত ভারতীয় উপমহাদেশের দক্ষিণের মহীশূর রাজ্যের শাসক ছিলেন। নিজের রাজ্য রক্ষায় তিনি এতটাই পরাক্রম দেখিছেন যে, টাইগার অব মহীশূর উপাধি পেয়েছিলেন।

বনহ্যামসের পক্ষ থেকে বলা হয়, তিনি যুদ্ধে রকেট আর্টিলারি ব্যবহারের প্রবক্তা ছিলেন। তার আমলে ভারতে সবচেয়ে গতিশীল অর্থনীতির রাজ্য ছিল মহীশূর।

আরও পড়ুন<< হঠাৎ অ্যাকাউন্টে ঢুকল ১০০ কোটি টাকা, বিড়ম্বনায় দিনমজুর

 ১৭৯৯ সালের ৪ মে ব্রিটিশ বাহিনী মহীশূরের রাজধানী সেরিঙ্গাপটমে (বর্তমান নাম শ্রীরাঙ্গাপাটনা) আক্রমণ চালিয়ে টিপু সুলতানকে হত্যা করে।

টিপু সুলতানকে হত্যার পর তার প্রাসাদ লুট করে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী। প্রাসাদের অন্দরমহলে তলোয়ারটি পাওয়া যায়। ব্রিটিশ মেজর জেনারেল ডেভিড বেয়ার্ডকে তার সাহসের স্মারকস্বরূপ তলোয়ারটি দেওয়া হয়।


আরও খবর
ইতিহাসে আজকের এই দিনে

শুক্রবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৪

২৫ জানুয়ারি : ইতিহাসে আজকের এই দিনে

বৃহস্পতিবার ২৫ জানুয়ারী ২০২৪




মিয়ানমারে সংঘাত: উখিয়া সীমান্তে গুলিতে আহত বাংলাদেশির মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

কক্সবাজারের উখিয়ায় সীমান্তে গুলিতে আহত বাংলাদেশি যুবক আনোয়ারুল ইসলামের (৩৫) মৃত্যু হয়েছে। এক মাস চিকিৎসাধীন থেকে গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে তিনি মারা যান। নিহত আনোয়ারুল ইসলাম পালংখালী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতের বিল গ্রামের আবদুস সালামের ছেলে।

এ নিয়ে গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহী আরকান আর্মির মধ্যে বাংলাদেশ সীমান্তে সংঘর্ষে তিনজনের প্রাণহানি হলো। গত ৫ ফেব্রুয়ারি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির জলপাইতলী এলাকায় ওপারের ছোড়া মর্টারশেল এসে পড়ে দুজন নিহত হন। এদের একজন বাংলাদেশি নারী ও অপরজন রোহিঙ্গা পুরুষ।

গুলিবিদ্ধ আনোয়ারুল এক মাসেরও বেশি চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল বৃহস্পতিবার মারা যায় বলে জানিয়েছেন পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী। 

আরও পড়ুন>> পাঁচ দিনের মাথায় উৎপাদনে ফিরছে এস আলমের চিনিকল

তিনি বলেন, গত ৬ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জান্তা বাহিনী ও আরকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে বিপুল অস্ত্র নিয়ে একদল রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায়। ওই দিন পালংখালীর রহমতের বিল সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যদের সঙ্গে অস্ত্রধারী ২৩ জন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করছিলেন। এ সময় স্থানীয় লোকজন অস্ত্রধারী রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশে বাধা দিলে তাঁরা গুলি ছোড়েন।

গুলিতে আনোয়ারুলসহ পাঁচজন বাংলাদেশি আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় আনোয়ারকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আশিকুর রহমান বলেন, এক মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর আনোয়ারুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে আনোয়ারুল ইসলামের মরদেহ বাড়িতে পৌঁছানো হয়। আনোয়ারুল ইসলাম তিন সন্তান রয়েছে।

সীমান্তের বাসিন্দা ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সীমান্তচৌকির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে সংঘাত চলে আসছে। এ সংঘাতের জেরে প্রায় প্রতিদিন গোলাগুলি, মর্টারশেল নিক্ষেপ, অগ্নিসংযোগ ও বিমান হামলার ঘটনা ঘটছে। এতে এপারের সীমান্তঘেঁষা বাসিন্দারা ভয় ও আতঙ্কে আছেন।


আরও খবর



আসামি ছিনিয়ে নেওয়া যুবলীগ নেতা ঢাকায় গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
শরীয়তপুর প্রতিনিধি

Image

শরীয়তপুরের জাজিরায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় যুবলীগ নেতা সাগর মাদবরকে (৩৫) ঢাকায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ শনিবার দুপুরে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে যুবলীগ নেতা সাগরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সাগর মাদবর জাজিরা উপজেলার বড় গোপালপুর ইউনিয়নের টেকেরকান্দি এলাকার বাসিন্দা। সাগর বড় গোপালপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি। তার বিরুদ্ধে থানায় মারামারি ও হত্যাচেষ্টাসহ ৮টি মামলা চলমান রয়েছে।

স্থানীয়, পুলিশ ও র‍্যাব সূত্র জানায়, বুধবার রাতে উপজেলার বড় গোপালপুর ইউনিয়নের সূর্যমণি বাজারে অভিযান চালিয়ে আধা কেজি গাঁজাসহ আরিফ মাদবর ও সবুজ মাদবরকে আটক করে পুলিশ। এ সময় খবর পেয়ে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাগর মাদবর ও তার লোকজন ডাকাত বলে চিৎকার দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে মাদকসহ আসামিদের ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশের উপ-সহকারী পরিদর্শক বেলাল হোসেন বাদী হয়ে সাগর মাদবরসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এ ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দেন যুবলীগ নেতা সাগর মাদবর। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার দিনগত মধ্যরাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সাগর মাদবরকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। এ ঘটনায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যহত রয়েছে।


আরও খবর



যৌন নিপীড়ন

এবার ঢাবি অধ্যাপক নাদিরের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন আরেক ছাত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঢাবি প্রতিনিধি

Image

এবার আরেক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে। রাজধানীর আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক ছাত্রী এই অভিযোগ করেছেন। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি শিক্ষক হিসাবে ক্লাস নিতেন তিনি। বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান বরাবর অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের একজনের কাছ থেকে ড. নাদির জুনায়েদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ এসেছে। এ সংক্রান্ত অভিযোগগুলো মূলত উপাচার্য বরাবর দেওয়া হয় এবং প্রক্টরের কাছেও অনুলিপি পাঠানো হয়। আমি সেই অনুলিপিটা পেয়েছি।

অভিযোগপত্রে ওই শিক্ষার্থী উল্লেখ করেন, আমি যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছি, সেখানে অধ্যাপক নাদির জুনাইদ একটি কোর্স পড়াতে গেস্ট ফ্যাকাল্টি হিসাবে এসেছিলেন। আমি ক্লাসের সিআর হওয়ার সুবাদে আমাকে তার সঙ্গে এক ধরনের যোগাযোগ রাখতে হতো। প্রথমত উনি নিয়মিত আমাকে ফোন দিতেন। বাসায় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফোন দিতেন। কিন্তু সমস্যা হলো, উনি ব্যক্তিগত অনেক তথ্য জিজ্ঞেস করতেন। আমাকে এমনও জিজ্ঞেস করেছেন, আমার বয়ফ্রেন্ড আছে কিনা-এ রকম। ব্যাপারটা এমন দাঁড়াল, উনার পড়াশোনার কাজের থেকে বেশি আগ্রহ ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। এসব নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলতে চাইতেন। সাধারণত উনি রাত ১০টা বা ১২টার দিকে ফোন দিতেন। উনি আমাকে যখন এইভাবে ফোন বা ভিডিও কল দিতেন, আমি খুবই বিব্রত হতাম। আমি প্রায় উনার ফোন না ধরার চেষ্টা করতাম, কিন্তু সেটার নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া পরবর্তী ক্লাসে দেখা যেত। ফোন না ধরায় আমাকে ক্লাসে নানাভাবে হেনস্তা করতে চাইতেন। ক্লাসে এভাবে হেনস্তার শিকার হওয়ার পরও উনি আবারও আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতেন।

শিক্ষার্থী আরও বলেন, ক্লাসে ও ক্লাসের বাইরে উনার মুখ ও মুখোশ ছিল আলাদা। উনি ক্লাসে হেনস্তা করার পরে আবার দুঃখপ্রকাশ করে আমাকে মেসেজ দিতেন, ফোন দিতেন। পরে অনেকটা বাধ্য হয়ে স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করে উনার ফোন এবং ভিডিও কল রিসিভ করতাম। তখন ভিডিও কলে বলতেন, একটু তোমার চেহারাটা দেখি, তোমার চুলটা একটু দেখি, তোমার জুম পিক দেখি। আমার কয়েকবার মনে হয়েছে তখন উনি হস্তমৈথুন করেন। উনি সব সময় চাইতেন, তাকে সব আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রাখি। উনি অনেক হ্যান্ডসাম-এটা উনি বারবার শুনতে চাইতেন। উনি এত সুদর্শন, এত তরুণ, উনাকে দেখে আমরা আকর্ষিত বোধ কেন করছি না-এরকম বিষয় নিয়ে প্রায়ই খোঁচা দিতেন। প্রায়ই মেসেঞ্জার/হোয়াটসঅ্যাপে উনার ভিডিও বা ছবি পাঠিয়ে জিজ্ঞেস করতেন, আমি দেখতে কেমন। পরে বুঝেছি, এর সবই ছিল উনার ফাঁদ পাতার কৌশল।

অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে অশ্লীল কথোপকথন চালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টার অভিযোগ তুলে ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, উনি আমাকে শারীরিক স্পর্শ বা সেরকম কিছু করেননি। কিন্তু বিয়ের কথা বলে আমার সঙ্গে দীর্ঘদিন কথোপকথন চালিয়ে গেছেন। উনি প্রায় অশ্লীল কথাবার্তা বলতেন। নানা রকম যৌন উত্তেজনামূলক কথা আমার সঙ্গে বলতে চাইতেন। সব সময় অন্তরঙ্গ কথা বলার প্রতি উনার বিশেষ আগ্রহ থাকত। আমার শরীরের স্পর্শকাতর জায়গা নিয়ে তিনি আমাকে প্রশ্ন করতেন।

অধ্যাপক নাদির জুনাইদ অন্য নারী শিক্ষার্থীর সঙ্গে এমন কাজ করেছেন উল্লেখ করে অভিযোগকারী বলেন, আমার ক্লাসের আরেকটা মেয়ের সঙ্গেও এমন করেছেন উনি। ওই মেয়েকেও উনি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়েছেন। ৬ মাসের জন্য পড়াতে গিয়ে একই ক্লাসের দুজন মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন, এটাকে স্বাভাবিক মনে করার কোনো কারণ নেই।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদকে একাধিকবার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।

৭ ফেব্রুয়ারি নম্বর কম দেওয়া নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতকোত্তরের ১২তম ব্যাচের কিছু শিক্ষার্থীর অভিযোগের পর ১০ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে প্রক্টরের কাছে লিখিত দেন বিভাগের এক ছাত্রী। যদিও তিনি (নাদির জুনাইদ) এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এর পেছনে ভিন্ন উদ্দেশ্য আছে বলে দাবি করেন।

অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হয়রানির এই অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবিতে ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করেন বিভাগের সব ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। তার বিভাগীয় অফিস কক্ষে তালা দেওয়ার পাশাপাশি শ্রেণিকক্ষের তালা সিলগালা করে দেন। দরজায় যৌন নিপীড়ক অধ্যাপক নাদির জুনাইদ ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত সংবলিত পোস্টার ঝুলিয়ে দেন। এছাড়া আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপিও দেন।

পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে অধ্যাপক নাদির জুনাইদকে ৩ মাসের বাধ্যতামূলক ছুটি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ছুটির চিঠিতে বলা হয়, অভিযোগের যথাযথ অনুসন্ধান ও তদন্ত করার জন্য বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবর্তী সিন্ডিকেট সভায় উপস্থাপন করা হবে এবং সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সর্বশেষ রাজধানীর আরেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী যৌন নিপীড়ন ও হয়রানির অভিযোগ করলেন। 


আরও খবর



বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ড: মুন্সীগঞ্জের কলেজছাত্রী প্রিয়তির মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ সময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন মুন্সীগঞ্জ সদরের পঞ্চসার ইউনিয়নের বিনোদপুর এলাকার বাসিন্দা ও সরকারি হরগঙ্গা কলেজের শিক্ষার্থী জেরিন খান প্রিয়তি (২১)।

পরিবার সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

নিহত প্রিয়তি বিনোদপুর এলাকার অ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেন খানের মেয়ে। তিনি সরকারি হরগঙ্গা কলেজের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। শুক্রবার জুমার নামাজের পর নিজ এলাকায় প্রিয়ন্তীর জানাজা ও দাফনের কথা রয়েছে।

এদিকে, শুক্রবার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক বিফ্রিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আপনারা জানেন, গতকাল রাতে অত্যন্ত মর্মান্তিক একটি দুর্ঘটনা ঘটে, যেটি কখনো কাম্য ছিল না। এ দুর্ঘটনায় সর্বমোট ৪৬ জন মারা গেছেন। বাকি যে কয়জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তারা কেউ শঙ্কামুক্ত নন। আমরা সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিয়ে তাদের জন্য চেষ্টা করছি। আমি এখন আবার চিকিৎসকদের নিয়ে বসব। একটি পরিকল্পনা করব, কীভাবে কী করা যায়।

এর আগে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দগ্ধ রোগীদের দেখতে যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।


আরও খবর



তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। দিবসটি উপলক্ষে আগামী ২৫ মার্চ রাজধানীতে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের আয়োজন করবে দলটি।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির প্রচারবিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।

এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ, ঢাকা মহানগর বিএনপি ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ড. ফরহাদ হালিম ডোনার, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুদু, বিলকিস জাহান শিরিনসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

কর্মসূচিগুলো হচ্ছে, ২৬ মার্চ ভোরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৭টায় সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের উদ্দেশে যাত্রা এবং সেখানে পুষ্পমাল্য অর্পণ, সাভার থেকে ঢাকায় ফিরে শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ।

এ ছাড়া ২৫ মার্চ সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ এবং ২৭ মার্চ বেলা ১১টায় রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা।

সারাদেশে জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়নে পর্যায়ের সব কমিটি এবং দলের অঙ্গসংগঠনগুলোকে স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে পোস্টার প্রকাশ ও জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে বিএনপি।


আরও খবর