আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম
ভূমি জালিয়াতির আখড়া কেরাণীগঞ্জ

রেকর্ড বহির্ভূত জাল দলিলেই হচ্ছে নামজার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ অক্টোবর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

জমিজমা নিয়ে হয়রানি কমাতে সরকার ভূমিসেবা ডিজিটালাইজেশনসহ নানা সংস্কার পদক্ষেপ নিলেও ভূমি অফিসগুলোর সর্ষের ভূত কিছুতেই যাচ্ছে না। পদ্মা সেতুর কারণে জমির দাম বাড়ায় কেরাণীগঞ্জের ভূমি অফিসগুলো যেন দুর্ণীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। দালাল ও কতিপয় দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজসে একজনের জমি বিক্রি করে ফেলছেন আরেকজন। জমির দালাল, দলিল লেখক, ভূমি অফিসের বিভিন্ন কর্মচারীর হাতব্যাগেই থাকছে সাব-রেজিস্ট্রারসহ বিভিন্ন কর্মকর্তার সিলমোহর। নকল স্বাক্ষর ও সিলমোহরে এক ঘণ্টায় তৈরি হচ্ছে জাল দলিল। সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে রেকর্ডভুক্ত না হলেও সেই দলিলের ভিত্তিতে যাচাই-বাছাই ছাড়াই একজনের জমি নামজারি হয়ে যাচ্ছে অন্যের নামে।

এদিকে জমি হারিয়ে শত শত মানুষ দ্বারস্থ হচ্ছেন সহকারি কমিশনারের (ভূমি) দফতরে। জমি উদ্ধারে প্রতি মাসে জমা পড়ছে অসংখ্য মিসকেস। ভূক্তভোগীরা বলছেন, টাকা খরচ করলেই যে কোনো জমির দলিল নিজের নামে করিয়ে নেওয়া যাচ্ছে। নামজারিও হচ্ছে। জমি নিয়ে যত বেশি ঝামেলা, তত বেশি মিস কেস, তত বেশি আর্থিক সুবিধা নেওয়ার সুযোগ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভূমি জালিয়াতিতে নেমে রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছেন কেরাণীগঞ্জের অনেকে। একইসঙ্গে তারা বিত্তশালী করেছেন জালিয়াতিতে সহযোগিতাকারী ভূমি অফিসের দালাল ও দুর্নীতিগ্রস্থ অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে। প্রতারকের খপ্পরে পড়ে পৈত্রিক ভিটা হারানো কয়েকজনের অভিযোগের সূত্র ধরে খোঁজ নিতে গেলে দেখা যায়, শুধু হতদরিদ্রের জমি নয়, একটি কোম্পানির ক্রয়কৃত প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা বাজারমূল্যের ৪৫ শতক জমি জাল দলিল করে নিজেদের নামে নামজারি করিয়ে নিয়েছেন উপজেলাজুড়ে ভূমি জালিয়াতির হোতা হিসেবে পরিচিত মো. আবু সাঈদ ও মো. আবু হোসেন নামের দুই ভাই। দলিলটি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে রেকর্ডভুক্ত না হলেও ভূমি অফিসের দালালদের সহযোগিতায় ওই দলিলের ভিত্তিতেই ইকুরিয়া মৌজার ওই ৪৫ শতক জমি নিজেদের নামে নামজারি করিয়ে নিয়েছেন। একইসঙ্গে জমিটি আবার প্রকৃত মালিকের দখলে যাবার আগেই তা বিক্রির পায়তারা করছেন।

শুভাঢ্যা ইউনিয়ন ভূমি অফিস, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ও সহকারি কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৬ সালের ২৫ জুন ৫৮৯৭ নম্বর আমমোক্তার দলিলের মাধ্যমে হানিফ হাওলাদারকে আমমোক্তার নিয়োগ করেন ইকুরিয়া পূর্ব মধ্যপাড়ার আবু সাঈদ ও আবু হোসেন। ওই বছরের ২৯ জুন আম-মোক্তারনামা দলিলের মাধ্যমে হানিফ হাওলাদার ইকুরিয়া মৌজায় ২৩৭ নম্বর আরএস খতিয়ানের (এসএ দাগ-১৩) ১৪,১৫,১৬,১৭ নম্বর আরএস দাগের ৪৫ শতাংশ জমি ঢাকা মাল্টি এগ্রিকালচারাল কমপ্লেক্স লিমিটেডের কাছে সাফ কবলা দলিলমূলে (দলিল নম্বর ৯১৩৯) বিক্রি করেন। ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে জমিটি ওই কোম্পানির অনুকূলে নামজারি হয়। খরিদসূত্রে মালিক হয়ে ৪৬ নম্বর জোনে নামজারি ও জমাভাগ করে তখন থেকে মালিকানা ভোগ ও দখলে আছে ঢাকা মাল্টি এগ্রিকালচারাল কমপ্লেক্স লিমিটেড।  নিয়মিত খাজনাও পরিশোধ করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০২০ সালে হঠাৎ করে জমিটি আবার আবু সাঈদ ও আবু হোসেনের নামে নামজারি হয়ে যায়। সহকারি কমিশনারের (ভূমি) দফতরে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ২০১৯ সালের ২৪ জুলাই ৫৭৮৪ নম্বর বিনিময় দলিলের ভিত্তিতে ওই নামজারিটি হয়েছে, যে দলিলে দেখানো হয়েছে ইস্ট ওয়েস্ট প্রপার্টি ডেভলপমেন্ট লি. (ইডব্লিউপিডি) নামের একটি কোম্পানিকে সম পরিমান জমি অন্য কোথাও দিয়ে ইকুরিয়ার ওই ৪৫ শতক জমি পেয়েছেন ওই দুই ভাই। নামজারি প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেন তৎকালীন সহকারি কমিশনার (ভূমি) সানজিদা পারভীন, কানুনগো, নামজারী সহকারী এবং শুভাঢ্যা ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা হাছান আহমেদ। দলিলের রেকর্ড খুঁজতে কেরাণীগঞ্জ (দক্ষিণ) সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গেলে চোখ কপালে ওঠে। যে দলিলের ভিত্তিতে আবু সাঈদ ও আবু হোসেনের নামে ওই ৪৫ শতক জমির নামজারি হয়েছে, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের রেকর্ডে নেই তার অস্তিত্ব। তবে একই তারিখের এবং একই সিরিয়ালের (৫৭৮৪) একটি দলিল সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে রেকর্ডভুক্ত আছে, যা অন্য একটি আমমোক্তার দলিল, কোনো বিনিয়ম দলিল নয়।

সাব-রেজিস্ট্রার মো. শাহাজাহান আলী নিশ্চিত করেন, রেকর্ডভুক্ত ৫৭৮৪ নম্বর দলিলটি আবু সাঈদ ও আবু হোসেন নামের কারো নয়। এটি ইডব্লিউপিডি থেকে শহীদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে দেওয়া আমমোক্তার দলিল। রেকর্ডহীন দলিলের ভিত্তিতে কীভাবে আবু সাঈদ ও আবু হোসেনের নামে নামজারি হলো তা ভূমি অফিস বলতে পারবে।

এদিকে জমিটির প্রকৃত মালিক খুঁজতে শুভাঢ্যা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়ে নিবন্ধন বইয়ে দেখা যায়, ইকুরিয়া মৌজায় ২৩৭ নম্বর আরএস খতিয়ানের ৪৬ নম্বর জোনের এসএ দাগ-১৩, ১৪,১৫,১৬,১৭ নম্বর আরএস দাগের জমির মালিক ঢাকা মাল্টি এগ্রিকালচারাল কমপ্লেক্স লিমিটেড। অথচ, আবু সাঈদ ও আবু হোসেন ইডব্লিউপিডির কাছ থেকে জমিটি বিনিময়সূত্রে পেয়েছেন বলে তাদের জাল দলিলে উল্লেখ করেছেন। এক প্রতিষ্ঠানের জমি অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে কীভাবে বিনিময় করে নেওয়া সম্ভব এবং সেই নামজারির প্রস্তাবে কীভাবেই বা স্বাক্ষর হয় এমন প্রশ্নে ওই অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা রনজিৎ চন্দ্র নাথ বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। এখানে বড় ধরণের কোনো ভুল হয়তো হয়ে গেছে। যিনি নামজারির প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেছেন, তিনি হয়তো অফিসের বিশ্বস্থ কারো সুপারিশে সরল বিশ্বাসে এটা করেছেন। এই কর্মকর্তা বলেন, এই ধরণের ভুয়া দলিলের ভিত্তিতে নামজারির আবেদন মাঝেমধ্যেই হাতে এসে পড়ে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করি দেখেশুনে নামজারির প্রস্তাব দিতে।

সরেজমিন ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জমিটি বিক্রির জন্য সম্প্রতি অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন আবু সাঈদ ও আবু হোসেন। জমিটির কাছে গেলে হাজির হন স্থানীয় স্বপন আলী শেখ, শামসুল হক ও রমজান আলীসহ অনেকে। তারা বলেন, এতদিন শুনেছি এই জমি ঢাকা মাল্টি এগ্রিকালচার নামের একটি কোম্পানির। এখন শুনছি এটা আবু সাঈদ ও আবু হোসেনের। এ ব্যাপারে আবু হোসেনকে পাওয়া না গেলেও কথা হয় আবু সাঈদের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমার জমি আমি উদ্ধার করেছি। এখন বিক্রি করব। ১৫ জন থেকে টাকা নিয়েছি, তবে কাউকে এখনো দলিল দেইনি। পূর্ব পুরুষের দলিল দেখিয়ে বলেন, আমি জীবনে কাউকে আমমোক্তার নিয়োগ করিনি। জমিও বিক্রি করিনি।


আরও খবর



কেএনএফের প্রধান সমন্বয়ক গ্রেফতার

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক চেওশিম বমকে বান্দরবানের বাসা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৫। রোববার ভোরে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

এদিন সকালে বান্দরবানে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ কয়েকজন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতারের তথ্য জানিয়েছিলেন। সেনাপ্রধানের এই বক্তব্যের পরপরই চেওশিম বমকে গ্রেফতারের তথ্য জানালো র‌্যাব। তাকে গ্রেফতারের বিষয়ে বিকাল ৩টায় বান্দরবান র‌্যাব কার্যালয়ে ব্রিফিং ডেকেছে সংস্থাটি।

র‌্যাব বলছে, রোয়াল লিন বম (৫৫) এবং চেওশিম বম (৫৫) বান্দরবানে প্রথম কেএনএফ গঠন করে। তাদের সঙ্গে কেএনএফ প্রধান নাথান বমের আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে। জঙ্গি সংগঠন জামাতুল

আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিতে জঙ্গি নেতা শামীম মাহফুজের সঙ্গে কেএনএফের যে চুক্তি হয়েছিল সেটি হয়েছিল চেওশিম বমের বাসায়।

নিউজ ট্যাগ: কক্সবাজার

আরও খবর



কার্ভাডভ্যানের পেছনে প্রাইভেটকারের ধাক্কা, নিহত ২

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

Image

টাঙ্গাইলে কার্ভাডভ্যানের পেছনে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় দুইজন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আরও দুইজন আহত হয়েছে। রবিবার (৩১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পৌর শহরের আশেকপুর বাইপাস এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- প্রাইভেটকার চালক বরগুনা সদরের সোনাখালী গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে ইলিয়াস হোসেন (৩৫) ও যাত্রী সিরাজগঞ্জের মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে শাহ আলম (৪৫)।

এ ব্যাপারে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মীর সাজেদুল রহমান বলেন, সকালে তিন যাত্রী নিয়ে প্রাইভেটকারের চালক উত্তরবঙ্গের দিকে যাচ্ছিলেন। আশেকপুর এলাকায় পৌঁছালে কার্ভাড ভ্যানের পেছনে প্রাইভেটকারটিকে ধাক্কা দেয়। এতে প্রাইভেটকারের সামনের অংশ ধুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই চালক নিহত হয়।

আহত অবস্থায় তিনজনকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়। লাশ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। বাকি আহত দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আহতরা হলেন-সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৃত দারুজ্জামান তালুকদারের ছেলে আনিছুর রহমান (৫৫), সিরাজগঞ্জ সদরের মৃত মতিয়ার রহমানের ছেলে মাহফুজুর রহমান আলাল (৫৩)।


আরও খবর



বাউফলে ঝড়ের তাণ্ডবে ২ জনের মৃত্যু, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দূর্জয় দাস, বাউফল (পটুয়াখালী)

Image

পটুয়াখালীর বাউফলে ঝড়ের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ সময় রাতুল (১৪) নামের এক কিশোর ও সুফিয়া বেগম (৮৫) নামের এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। রাতুলকে রাস্তায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

রাতুলকে রাস্তায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে বজ্রপাতে সে মারা গেছে। সুফিয়া বেগমের ঘরের ওপর গাছ পড়ে তিনি মারা যান। নিহত রাতুল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের রায় তাঁতের কাঠি গ্রামের জহির সিকদারের ছেলে। আর সুফিয়া বেগম দাশপাড়া ইউনিয়নের চরআলগী গ্রামের মৃত আহম্মেদ প্যাদার স্ত্রী।

রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১১টা ৫ মিনিট পর্যন্ত ৩৫ মিনিট এ ঝড় স্থায়ী হয়। এতে বাউফলের বিভিন্ন এলাকা থেকে শতাধিক আধাপাকা বাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ সময় ব্যাপক শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত হয়েছে।

এ সময় গোসিংগা গ্রামের আফসেরের গ্রেজ এলাকায় ঘরের ওপর গাছ ভেঙে পড়ে মা সাবিহা (৩০), তার মেয়ে ইভা (১২) ও দুই বছর বয়সী আরেক শিশু মারাত্মক আহত হয়েছে।

বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মারজান বলেন, রাতুলকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই সে মারা গেছে। তবে তার শরীরে বজ্রপাতে ঝলসানোর কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে বজ্রপাতের শব্দে হার্ট অ্যাটাক করে মারা যেতে পারে।

দাশপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনএম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঘরের ওপর গাছ ভেঙে পড়ে সুফিয়া বেগম মারা যান।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বশির গাজী বলেন, ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য কৃষি বিভাগ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের গাউন পরা শিথিল হলো

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

দেশজুড়ে চলমান তীব্র তাপদাহের কারণে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে মামলার শুনানিতে আইনজীবীদের গাউন পরার আবশ্যকতা শিথিল করা হয়েছে। আজ শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের আদেশ অনুসারে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে মামলার শুনানিকালে আইনজীবীদের গাউন পরিধানের আবশ্যকতা শিথিল করা হলো।

প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের আলোচনাক্রমে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এ নির্দেশনা ২১ এপ্রিল (রোববার) থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।


আরও খবর



চোখ রাঙাচ্ছে ফ্লু ভাইরাস, রূপ নিতে পারে মহামারীতে

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

অদূর ভবিষ্যতে মহামারীতে রূপ নিতে পারে ফ্লু ভাইরাস, এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আগামী সপ্তাহে প্রকাশিত হতে যাওয়া একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা অনুযায়ী, অভিজ্ঞ রোগ বিশেষজ্ঞদের প্রায় ৫৭ শতাংশই মনে করছেন ফ্লু ভাইরাসের একটি স্ট্রেইন আগামীতে বিশ্বজুড়ে মহামারীর কারণ হতে পারে।

কলোগনি ইউনিভার্সিটির সালম্যানটন গার্সিয়া দীর্ঘ সময় ধরে তার করা সমীক্ষায় দেখান যে ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিনিয়ত বিবর্তিত হচ্ছে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ ভাইরাসের ধরনে নানা পরিবর্তন আসছে।

তিনি বলেন, প্রতি শীতেই ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপ দেখা দেয়। এটাকে ছোটখাটো মহামারীই বলা চলে। ইনফ্লুয়েঞ্জা কম-বেশি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়, কারণ বেশিরভাগ ধরন তুলনামূলক কম ক্ষতিকারক। তবে আগামীতেও যে এটি এমনই থাকবে তা তো নিশ্চিত নয়।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন ফ্লুর পরে বড় মহামারীটি ডিজিজ এক্স নামক ভাইরাস থেকে আসতে পারে। তবে ভাইরাসটি বিজ্ঞানীদের কাছে এখনও অজানা। গবেষণা অনুযায়ী, প্রায় ২১ শতাংশ বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করেন পরবর্তী মহামারী একটি নতুন অণুজীবের কারণে ঘটবে, যা এখন পর্যন্ত শনাক্ত করা যায়নি। এটা সেভাবেই পৃথিবীকে আক্রমণ করবে, যেভাবে হুট করেই ঠিক সার্স-কোভ-২ ভাইরাস ২০১৯ সালে আক্রমণ করেছিল।

অন্যদিকে, প্রায় ১৫ শতাংশ বিজ্ঞানী মনে করেন কোভিড-১৯ ভাইরাসই এখন পর্যন্ত আগামী মহামারীর হুমকি হিসেবে রয়ে গেছে।

গত সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইনফ্লুয়েঞ্জার এইচফাইভএনওয়ান (H5N1) স্ট্রেইনের উদ্বেগজনক বিস্তার সম্পর্কে আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ এভিয়ান ফ্লুতে আক্রান্ত হচ্ছে। ২০২০ সালে শুরু হওয়া এ প্রাদুর্ভাবে এরই মধ্যে লাখ লাখ হাঁস-মুরগির মৃত্যু হয়েছে এবং লাখ লাখ বন্যপাখি নিশ্চিহ্ন হয়েছে।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ১২টি রাজ্যে ভাইরাসটি স্তন্যপায়ী প্রজাতির মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে, যার মধ্যে গৃহপালিত গবাদিপশুও রয়েছে। এটি মানুষকেও আক্রান্ত করার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

হ্যাটফিল্ডের রয়্যাল ভেটেরিনারি কলেজের ড্যানিয়েল গোল্ডহিল গত সপ্তাহে নেচার জার্নালে বলেন, ভাইরাসটি যত বেশি স্তন্যপায়ী প্রাণীর প্রজাতিকে সংক্রমিত করে, ততই এটি মানুষের জন্য বিপজ্জনক স্ট্রেইনে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা প্রবল হয়।’

গ্লাসগো ইউনিভার্সিটির ভাইরোলজিস্ট এড হাচিনসন বলেন, এইচফাইভএনওয়ান ভাইরাসের উপস্থিতি বিস্ময়কর ছিল। এর আগে প্রাণীদের মধ্যে শূকর এতে আক্রান্ত হলেও গবাদিপশুর ওপর এভিয়ান ফ্লুর আক্রমণ একেবারেই নতুন ছিল। তারা এ রোগের নিজস্ব স্ট্রেইনে আক্রান্ত হয়েছিল। তাই গরুতে এইচফাইভএনওয়ানের উপস্থিতি একটি বিরাট ধাক্কা হিসেবে এসেছে।’

এর মানে হলো- ভাইরাসটি আরও বেশিসংখ্যক খামারের প্রাণীতে এবং তারপর খামারের প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে প্রবেশের ঝুঁকি বেড়েছে। ভাইরাসটি যত বেশি ছড়াবে, ততই এটির পরিবর্তন হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। ফলে এটি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

তবে এইচফাইভএনওয়ান মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার এমন কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। কিন্তু যদি ছড়িয়ে পড়ে তাহলে এর প্রভাব মারাত্মক হবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ দুই দশকে শত শত ক্ষেত্রে মানুষ প্রাণীদের সংস্পর্শে এসে এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী জেরেমি ফারার বলেছেন, ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার অস্বাভাবিক বেশি, কারণ মানুষের এই ভাইরাস প্রতিরোধ করার প্রাকৃতিক ক্ষমতা নেই।


আরও খবর