আজঃ বুধবার ০৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

রেকর্ড ৪৫ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ পেয়েছে সিঙ্গাপুর

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ০৫ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

রেকর্ড পরিমাণ বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে সিঙ্গাপুর। গত বছর এশিয়ার নগর রাষ্ট্রটি ৪৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার নতুন অর্থের প্রবাহ দেখেছে। এ বিনিয়োগের পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় ৫৯ শতাংশ বেশি। তবে বিপুল পরিমাণ এ অর্থপ্রবাহ দেশটির রিয়েল এস্টেট খাতে উদ্বেগ তৈরি করেছে। এমনিতেই দেশটিতে বাড়ির দাম ও ভাড়া রেকর্ড উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। তবে দেশটি বিপুল পরিমাণ এ অর্থ পরিচালনা করতে সক্ষম বলে আশস্ত করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান।

সম্প্রতি একটি টেলিভিশন সাক্ষাত্কারে মনিটারি অথরিটি অব সিঙ্গাপুরের (এমএএস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাভি মেনন বলেন, যখন কোনো দেশে একটি বড় অংকের অর্থ আসে তখন সেটা নিয়ে অবশ্যই চিন্তার বিষয় রয়েছে। এ ধরনের প্রবণতা রিয়েল এস্টেটের বাজারে ব্যাপকভাবে দাম বাড়িয়ে দেয়। তবে আমাদের নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ অর্থ আসতে বাধা দেয়ার পরিবর্তে আবাসন খাতে অস্থিতিশীলতা মোকাবেলায় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এগুলো আমাদের নিয়ন্ত্রণের আওতায় রয়েছে।

এটিকে আন্তর্জাতিক সম্পদ কেন্দ্র হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলার জন্য সিঙ্গাপুরের প্রচেষ্টার সফলতা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। শহরটি কভিডজনিত পুনরুদ্ধারের বিষয়টি উপভোগ করছে। অন্যান্য দেশের চেয়ে আগেভাগে কোভিডজনিত বিধিনিষেধ শিথিল করায় হংকং ও চীনের অন্যান্য শহর থেকে সম্পদশালীরা সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমাচ্ছেন। দেশটির রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করছে। দেশটির স্থানীয় সংস্থাগুলোর পরিচালিত সম্পদ ২০২১ সালে ৪ লাখ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। এ অর্থের পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেশি। বেশির ভাগই বিদেশ থেকে আসা এ সম্পদের পরিমাণ বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির হারকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। মার্কিন হেজ ফান্ড টাইকুন রে ডালিও থেকে ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানি পর্যন্ত বিনিয়োগকারীরা তাদের ব্যক্তিগত সম্পদ পরিচালনায় অফিস স্থাপন করেছে।

সিঙ্গাপুরের আবাসন খাত এখনো ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। যেখানে বৈশ্বিক চাহিদা হ্রাসের পরিপ্রেক্ষিতে অস্ট্রেলিয়া, হংকং ও কানাডাসহ অন্য প্রধান বাজারের রিয়েল এস্টেট খাতে মন্দা দেখা দিয়েছে। এমনকি বাজারে ঊর্ধ্বমুখী অস্থিরতা মোকাবেলায় সিঙ্গাপুরের সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে। এদিকে বাড়িওয়ালারা ভাড়াটিয়াদের কাছে বড় ধরনের ভাড়া বাড়ানোর নোটিস দিয়েছেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভাড়া বৃদ্ধির হার দ্বিগুণ পর্যন্ত। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতে, নতুন অর্থের এ প্রবাহ সিঙ্গাপুরের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিবি) প্রায় তিন-চতুর্থাংশ। গত বছর বিপুল পরিমাণ এ বিনিয়োগ দেশটিতে বাড়ির দাম বাড়াতে প্ররোচিত করেছে। এ সম্পদ দেশটির আর্থিক কেন্দ্র হিসেবে সিঙ্গাপুরের অবস্থান দৃঢ় করছে। কারণ দেশটি সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও টেকসই অর্থায়নের মতো ক্ষেত্রগুলোয় আগামী পাঁচ বছরে ২০ হাজার কর্মসংস্থান যুক্ত করতে চায়।

এমএএসের এমডি রাভি মেনন বলেন, এশিয়াজুড়ে ক্রমবর্ধমান সম্পদ থেকে আমাদের এখানে অর্থ আসছে। ধনীরা বিনিয়োগের জন্য স্থিতিশীল জায়গা খুঁজছে। উত্তর এশিয়ার ধনীরা সিঙ্গাপুরে সম্পদের প্রবাহে বড় অবদান রাখছে বলেও স্বীকার করেছেন তিনি। গতকাল শুরু হওয়া সিঙ্গাপুরের ফিনটেক ফেস্টিভ্যালের আগে তিনি বলেন, এশিয়ার সম্পদশালীরা এখন আরো ধনী এবং তাদের আরো বিনিয়োগযোগ্য সম্পদ রয়েছে।

এশিয়ার বৃহত্তম সম্পদ বাজার চীন। কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেসে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং পুনরায় ক্ষমতা পাকাপোক্ত করায় দেশটি থেকে সম্পদশালীরা সরে যাবেন বলে ধারণা পশ্চিমা বিশ্লেষকদের। বিষয়টি নিয়ে রাভি মেনন বলেন, এটা এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে এরই মধ্যে এমন প্রবণতা দেখা দিয়েছে। আপনি কয়েক বছরের প্রবণতার দিকে তাকালে দেখতে পাবেন, দেশটির কিছু ধনী সিঙ্গাপুরে বিনিয়োগ বাড়িয়েছেন। তবে এখানে সব দেশ থেকেই বিনিয়োগ বাড়ছে। নির্দিষ্ট কোনো দেশ সম্পর্কে এখনো বলার সময় আসেনি।

নিউজ ট্যাগ: সিঙ্গাপুর

আরও খবর



বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই : পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের আগে পাকিস্তানের অংশ ছিল বাংলাদেশ। ওই সময় বাংলাদেশ পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু পাকিস্তানের অংশ থাকা অবস্থায় পশ্চিম পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্যের শিকার হতেন এ অঞ্চলের মানুষ। শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তি পেতে মুক্তিকামী মানুষ পাক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। টানা ৯ মাস যুদ্ধ করে ৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বাংলাদেশ।

পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বলেছেন, যে সময় বাংলাদেশ পাকিস্তানের অংশ ছিল তখন তাদেরকে বলা হতো, এই অংশটি পাকিস্তানের ওপর একটি বোঝা। কিন্তু ওই বোঝাই এখন অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ব্যাপক উন্নতি করেছে। ফলে এখন বাংলাদেশের দিকে তাকালে তিনি লজ্জিত হন। কারণ বাংলাদেশ এগিয়ে গেলেও পাকিস্তান এখনো অনেক পিছিয়ে আছে।

পাকিস্তানের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) একটি মতবিনিময় সভা করেন শেহবাজ শরীফ। ওই সময় তাদের তিনি বলেন, আমি খুবই তরুণ ছিলাম। আমাদের বলা হতো বাংলাদেশ আমাদের ওপর একটি বোঝা। আজ সবাই জানেন অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ওই বোঝা কোথায় পৌঁছে গেছে। তিনি আরও বলেছেন, আমরা এখন যখন বাংলাদেশের দিকে তাকাই লজ্জিত হই।

শেহবাজ শরীফের সঙ্গে পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশের ব্যবসায়ী নেতারা গতকাল বুধবার সিন্ধ সিএম হাউজে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। তারা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি ভারতের সঙ্গেও ব্যবসা বিষয়ক আলোচনা শুরুর তাগিদ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনের মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন শেহবাজ শরীফ। গত কয়েক বছর ধরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নাজুক অবস্থায় রয়েছে। এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য শেহবাজ শরীফের ওপর চাপ রয়েছে।


আরও খবর



পথচারীদের বিনামূল্যে রুহ্ আফজা দিচ্ছে হামদর্দ

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

তীব্র দাবদাহে ভয়াবহ অবস্থা দেশজুড়ে। ৭৬ বছরের ইতিহাসে এরকম পরিস্থিতি আর হয়নি বাংলাদেশে। হিটস্ট্রোকের মারাত্মক এই অবস্থায় রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্পটে ক্লান্ত তৃষ্ণার্ত পথচারীদের বিনামূল্যে শরবত রুহ্ আফজা পান করাচ্ছে হামদর্দ ল্যাবরেটরীজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশ।

আধুনিক হামদর্দের প্রতিষ্ঠাতা ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়ার নির্দেশে রাজধানীজুড়ে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এমন উদ্যোগে ভীষণ খুশি সাধারণ মানুষ।

তারা জানান, রুহ্ আফজা সবার কাছে প্রিয় একটি শরবত। প্রচণ্ড গরমে রাস্তায় বেরিয়ে সবার প্রাণ যখন ওষ্ঠাগত, তখন পথচারীদের ডেকে ডেকে শরবত রুহ্ আফজা পান করাচ্ছে হামদর্দ। এর চেয়ে বড় মানবিক কাজ আর হতে পারে না।

রাজধানী ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন শহরে ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিনামূল্য শরবত রুহ্ আফজা বিতরণ করছে হামদর্দ।

বৈজ্ঞানিকভাবে পরীক্ষিত যে, নিয়মিত শরবত রুহ্ আফজা পান করলে শরীরের পানি ও ইলেকট্রোলাইটের ঘাটতি দ্রুত পূরণ হয়। তাছাড়া শরবত রুহ্ আফজা পান করার মাধ্যমে হিটস্ট্রোক থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রে ‘ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল’ নিয়ে এইডসে আক্রান্ত ৩ নারী

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিশেষ কসমেটিক চিকিৎসা ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল-এর ইঞ্জেকশন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৩ জন নারী এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন। দেশটির দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য নিউ মেক্সিকোর সবচেয়ে জনবহুল শহর আলবুকার্কে এই ঘটনা ঘটেছে।

মার্কিন সরকারের কেন্দ্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছে, এই প্রথম কসমেটিক ইনঞ্জেকশনের মাধ্যমে এইডস সংক্রমণের তথ্য পাওয়া গেল।

প্রসঙ্গত, বয়স বাড়তে থাকার সঙ্গে আমাদের ত্বকে বলিরেখা পড়ে। এই বলিরেখা দূর করার জন্য প্লাটিলট রিচ প্লাজমা (পিআরপি) নামের একপ্রকার ঔষধি জৈব তরল ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে গ্রহণ করেন পশ্চিমা বিশ্বের ধনী-শৌখিন লোকজন। মুখের ত্বকে এই ইঞ্জেকশন গ্রহণ করা হয় বলে সাধারণ লোকজনের কাছে এই চিকিৎসা ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল নামে পরিচিতি পেয়েছে।

সিডিসির তথ্য অনুসারে, যে তিন জন নারী এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের কেউ কখনও অনিরাপদ যৌন সম্পর্কে ছিলেন না। কোনো এইডস রোগীর রক্তও তারা গ্রহণ করেননি কখনও। সিডিসির নিজস্ব অনুসন্ধানে জানা গেছে, আলবুকার্কের যেসব স্পা ক্লিনিকে তারা পিআরপি বা ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়ালের ইঞ্জেকশন নিয়েছিলেন, সেই ইঞ্জেকশনের সূঁচগুলো ঠিকমতো জীবাণুমুক্ত করা হয়নি।

আক্রান্ত ৩ নারীর মধ্যে  মধ্যে দুজনের দেহে এইডস শনাক্ত হয়েছিল ২০১৮ সালে। সে সময় এ সংক্রান্ত অনুসন্ধান শেষে যে দুই স্পা ক্লিনিকে পিআরপি ইঞ্জেকশন নিয়েছিলেন তারা, সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছিল সিডিসি। সেই সঙ্গে ইঞ্জেকশন নিতে আগ্রহীদের তা নেওয়ার আগে এইচআইভি পরীক্ষা করানো আহ্বান জানানো হয়েছিল এবং তারা যেন বিনামূল্যে এই পরীক্ষা করতে পারেন, সে নির্দেশনাও দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় রোগ প্রতিরোধ ও গবেষণা সংস্থা।

তারপর দীর্ঘদিন এ বিষয়ক অনুসন্ধান বন্ধ ছিলো; কিন্তু সম্প্রতি ফের আরও একজন এইডসে আক্রান্ত হওয়ায় ফের সেই অনুসন্ধান কার্যক্রম ফের চালু করেছে সিডিসি।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএসকে সিডিসির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়ালে অনিরাপদ সূঁচ ব্যবহারের কারণে শুধু নিউ মেক্সিকোতেই বর্তমানে অন্তত ৬০ জন এইডস আক্রান্ত রোগী আছেন বলে আশঙ্কা করছেন তারা।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন সংসদ নির্বাচনের চেয়েও ভালো হবে: ইসি আলমগীর

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

সংসদ নির্বাচনের চেয়ে উপজেলা নির্বাচন আরও ভালো হবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি বলেছেন, সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীর স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ার নির্দেশনা রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্ত। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনো মতামত নেই। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার যে কোন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।

শনিবার দুপুরে (২০এপ্রিল) মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দুটি উপজেলার প্রার্থীদের সঙ্গে দুটি পৃথক মতবিনিময় সভা করেন ইসি আলমগীর। এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর এসব কথা বলেন।

ইসি মো. আলমগীর বলেন, একটা হচ্ছে দলীয় সিদ্ধান্ত। আরেকটা হলো নির্বাচন কমিশনের আইন। নির্বাচন কমিশনের আইনে আত্মীয় অনাত্মীয় কোনো সম্পর্ক নেই। তাই এমপি-মন্ত্রীর স্বজনদের প্রার্থী না হওয়ার নির্দেশনা তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত, তাদের পলিসি। তবে যে কোনো দল অথবা যে কেউ বলুক না কেন যেটা করলে নির্বাচন সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ হবে, সেটাকে আমরা ওয়েলকাম জানাই।

তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশন সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। যেখানেই প্রভাব বিস্তার অথবা প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে, সেখানেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

বিএনপির ভোট বর্জনের ডাকের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, জাতীয় নির্বাচনেও ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। তারপরও সবার সহযোগিতায় একটি ভালো নির্বাচন হয়েছে। সংসদ নির্বাচনের চেয়েও উপজেলা নির্বাচন আরও ভালো হবে।

অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন সরকার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আমিনুর রহমান মিঞা সহ সিংগাইর ও হরিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: মো. আলমগীর

আরও খবর



হবিগঞ্জে ট্রাক-প্রাইভেটকার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৫

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

হবিগঞ্জের মাধবপুরে ট্রাক-প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার হরিতলা নামক এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

মাধবপুর থানার ওসি রাকিবুল ইসলাম খান জানান, রাত দেড়টার দিকে হরিতলা নামক জায়গায় একটি ট্রাকের সঙ্গে প্রাইভেটকারেরে সংঘর্ষ হয়। এতে প্রাইভেটকারটি দুমড়েমুচড়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, প্রাইভেটকার থেকে এক নারীসহ পাঁচজনের মরদেহ উদ্বার করা হয়েছে। তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। মরদেহগুলো হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনার কবলে পড়া গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে।

তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, সিলেট থেকে মাজার জিয়ারত শেষে ৫ জন ঢাকায় ফিরছিলেন।পথে সিলেটগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে প্রাইভেটকারটির সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে ৫ জন নিহত হয়েছেন।


আরও খবর