আজঃ সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

রেজাউল করিমেই আস্থা

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ফিরোজ মাহমুদ

Image

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর-১ আসনের বিভিন্ন এলাকার চায়ের আড্ডার সঙ্গে জমে উঠেছে প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা। ভোটারদের আলোচনায় উঠে আসছে শ ম রেজাউল করিমের নাম। পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর এবং ইন্দুরকানী উপজেলা নিয়ে এ আসন গঠিত।

একাদশ জাতীয় নির্বাচনে পিরোজপুর-১ আসনে পিরোজপুর ও নাজিরপুর উপজেলার সঙ্গে নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) উপজেলা ছিল। ইন্দুরকানী উপজেলা ছিল পিরোজপুর-২ আসনের সঙ্গে। এবার আসনটির পুনর্বিন্যাস হয়েছে। এবারের নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে বর্তমান এমপি এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমকে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তাকে প্রথমবার পিরোজপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল। এমপি নির্বাচিত হওয়ার পরে তাকে প্রথমে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের এবং পরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়।

আরও পড়ুন>> পিরোজপুরে নৌকা সমর্থকদের ‘চোখ উপড়ে ফেলার হুমকি’ দিয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্যাডাররা

সরেজমিনে এ আসনের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ভোটারদের সাথে কথা বলেছেন এ প্রতিবেদক। তারা জানান শ ম রেজাউল করিম এমপি ও মন্ত্রী হয়ে গত ৫ বছরে পিরোজপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক অঞ্চল, বিদ্যুতের জাতীয় গ্রিড লাইন স্থাপনসহ স্কুল-কলেজের ভবন নির্মাণ, নির্বাচনী এলাকার তিনটি উপজেলায় সড়ক-কালভার্ট, ব্রিজ নির্মাণসহ ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। উন্নয়নের পাশাপাশি তিনি বন্ধ করেছেন অনিয়ম-দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, নিয়োগ বাণিজ্য, ঘুষ বাণিজ্য। নিশ্চিত করেছেন কাজের জবাবদিহিতা। করেছেন সরকারি বরাদ্দের সুষম বণ্টন। আর এসব কারণেই আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের আস্থা নৌকায়, ভোটারদের আস্থায় রেজাউল করিম।

ষাটোর্ধ্ব অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক আনোয়ার হোসেন জানান, পিরোজপুরে একসময় অনেক বড় বড় এমপি-মন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু সবাই বড় বড় প্রতিশ্রুতি দিলেও অবহেলিত এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়নি। তবে শ ম রেজাউল করিম প্রথমবার এমপি-মন্ত্রী হয়েই অনেক উন্নয়ন করেছেন। যার মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর যা পিরোজপুরের মানুষ কখনো স্বপ্নেও ভাবেনি। অভাবনীয় উন্নয়নের মাধ্যমে সত্যিই দৃশ্যপট পরিবর্তন করে দিয়েছেন শ ম রেজাউল করিম। গত ৫ বছরে তিনি যে উন্নয়ন করেছেন আমার ৬০ বছর বয়সে তা দেখিনি।

মানবাধিকারকর্মী পারভীন আক্তার বলেন, আগে এ অঞ্চলের মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারতো না। শ ম রেজাউল করিম এমপি হওয়ার পর এলাকায় কোনো সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ নেই, নিশ্চিন্তে বসবাস করতে পারছি। তাই আবার নৌকা ভোট দেবো।

আরও পড়ুন>> বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ নৌকার ৩ কর্মী আহত

পল্লী চিকিৎসক অমৃত লাল মণ্ডল বলেন, ২০১১ সালে নাজিরপুরের পেনাখালিতে ভয়াবহ দাঙ্গার ঘটনা ঘটেছিল। জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছিল শতাধিক বাড়ি-ঘর। ওই ঘটনায় নিহত হয়েছে ২ জন। এছাড়া শাঁখারিকাঠিতে ২০ হিন্দু পরিবারের বাড়ি-ঘর দখলের ঘটনা ঘটেছিল। দুটো ঘটনাই দেশব্যাপি আলোচিত হয়েছিল। যা মানুষ আজও  ভোলেনি। শুধু দেশের গণমাধ্যম নয় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও খবরের শিরোনাম হয়েছিল ওই দুটি ঘটনা। শ ম রেজাউল করিম এমপি হওয়ার পর পিরোজপুরে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেনি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বজায়ে তিনি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাছাড়া তার উন্নয়নের আমরা সন্তুষ্ট, আবারো আমরা তাকেই চাই।

পঞ্চাশোর্ধ্ব সমাজসেবক রশীদ মিয়া বলেন, একটা সময় এদিকে উন্নয়ন বলতে কিছুই ছিল না। রাস্তাঘাটের জন্য কেউ পাকা বাড়ি করার সাহস করতো না। রেজাউল সাহেব এমপি হওয়ার পর রাস্তাঘাট উন্নয়নের পাশাপাশি মানুষের জীবনধারাও পাল্টে গেছে। গ্রামে বসবাস করে আমরা পাচ্ছি শহরের সুযোগ-সুবিধা।

তিনি আরো বলেন, আমাদের কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নে কখনও এতো পাকা রাস্তা হবে বা এতো উন্নয়ন হবে, আমরা স্বপ্নেও ভাবিনি। কিন্তু শ ম রেজাউল করিম এমপি হওয়ার পর আমরা আশাবাদী হয়ে উঠেছি। এখানেই অন্য প্রার্থীদের সঙ্গে তার পার্থক্য। কারণ এলাকার মানুষ যে সব বিষয় নিয়ে ভাবে তার সবই তো তিনি পূরণ করে দিচ্ছেন।

নৌকার প্রার্থী মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকার মনোনয়ন দিয়েছেন। জরিপ চালিয়ে এলাকায় সবচেয়ে জনপ্রিয় লোকটিকে তিনি মনোনয়ন দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আগেই বলেছেন, কারো চেহারা দেখে মনোনয়ন মিলবে না। জনপ্রিয়তা দেখে মনোনয়ন দেয়া হবে। নিশ্চিত করে বলতে পারি, আমার জনপ্রিয়তার প্রমাণ পেয়েছেন বলেই নেত্রী আমার হাতে নৌকা তুলে দিয়েছেন। আমরা নির্বাচন করছি মানুষের উন্নয়নের জন্য। বিগত দিনে আমার নির্বাচনি এলাকায় উন্নয়ন করেছি বলেই জনগণ কাজ দেখে নৌকায় ভোট দেবেন।

ভোটারদের উদ্দেশে শ ম রেজাউল করিম বলেন, আমরা শান্তি চাই। দেশের উন্নয়ন চাই। দেশকে একটা শক্তিশালী অর্থনৈতিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এই উন্নয়ন দেখে আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন। আমরা চাই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হোক। গত ১৫ বছর ধরে দেশের মানুষ নৌকায় আস্থা রেখেছে। আগামীতেও আস্থা রাখবে বলে আশা করছি।

এদিকে, আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২০০৮ ও ২০১৪ সালের আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত সাবেক এমপি এবং পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএমএ আউয়াল।


আরও খবর
কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪




অপহৃত দেলোয়ারকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সিংড়ার চেয়ারম্যান ঘোষণা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাটোর প্রতিনিধি

Image

নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর হাতে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার সেই দেলোয়ার হোসেনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার সভাকক্ষে উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ শেষে তাকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং অফিসার আব্দুল লতিফ শেখ।

এর আগে সিংড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা দুই প্রার্থী লুৎফুল হাবিব রুবেল ও দেলোয়ার হোসেনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে অপহরণ ও মারধরের অভিযোগ ওঠায় গত রোববার তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। সেই ধারাবাহিকতায় আজ দেলোয়ার হোসেনকে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়।

লুৎফুল হাবিব রুবেল সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এবং সিংড়ার সংসদ সদস্য ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক। উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে তিনি শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন।

এর আগে গত সোমবার বিকেলে নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের ভেতর থেকে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে মারধর করতে করতে একটি কালো মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এর পাঁচ ঘণ্টা আগে তার ভাইসহ এক আওয়ামী লীগ নেতাকে একই এলাকা থেকে একইভাবে তুলে নিয়ে যায়। এর কিছু পরে মুমূর্ষু অবস্থায় প্রার্থী দেলোয়ারকে গ্রামের বাড়ির (সিংড়ার কলম ইউনিয়নের পারসাঐল গ্রাম) সামনে ফেলে রেখে যায় মাইক্রোবাসটি। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ওই দিন রাতে দেলোয়ার হোসেনের ভাই মুজিবর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেন। এ পর্যন্ত পুলিশ দুই দফায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। পরের দিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার হওয়া সুমন আহমেদ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তিনি প্রতিপক্ষ প্রার্থী লুৎফুল হাবীবের পক্ষ নিয়ে দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণের কথা স্বীকার করেন।

অপহরণের ওই ঘটনায় লুৎফুল হাবীবকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছিল উপজেলা আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে অপহরণের ঘটনায় জড়িত দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।


আরও খবর
কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪




যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া বিএনপি: কাদের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির বোধগম্য হয় না যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে; জনকল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মসূচি নির্ধারণ করে। আমরা সর্বদা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।

বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সরকারবিরোধী তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নেয় বলে দাবি করে কাদের বলেন, বিএনপি ও তার দোসরদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনী সরকারের সুসমৃণ পথচলা এবং দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। তাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ।

কাদের বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, পূর্বের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের নামেও তারা অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। আর দেশের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ও মহামান্য আদালত জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিএনপি নেতারা সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায়।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে নিজেদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীর পাশাপাশি বাংলা ভাইয়ের মতো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর সৃষ্টি করেছিল এবং তাকে রক্ষা করার জন্য বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।

বিবৃতিতে কাদের বলেন, শেখ হাসিনা জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসা বিচারহীনতার সংস্কৃতির অর্গল ভেঙে বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসী বা অপরাধী যে-ই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্যের আড়ালে সন্ত্রাসীদের রক্ষার অপকৌশল সফল হবে না।

নিউজ ট্যাগ: ওবায়দুল কাদের

আরও খবর



বগুড়া বোরো ধানের বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
বগুড়া প্রতিনিধি

Image

আবহাওয়া অনুকূল থাকায় বগুড়া জেলার ১২টি উপজেলায় এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষি বিভাগ ও কৃষক-কিষানী।

এবার জেলায় কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৪ শত ৩২ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সারা দেশে ধান-চালসহ বিভিন্ন খাদ্য উৎপাদনের উদ্বৃত্ত জেলা হিসাবে বগুড়া খ্যাতি রয়েছে। জেলার মাঠ গুলো এখন সবুজের আভায় এক অপরূপ শোভা ছড়াচ্ছে। বোরো ধানের (পি আই)শিষ বের হওয়ার পূর্ব মুহুর্ত চলছে সারা জেলায়। সেচসহ আগাছা পরিষ্কারে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি বছর ইরি-বোরো মৌসুমে মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত এই জেলায় বোরো ধান লাগানো সম্পন্ন করেছে কৃষকেরা। এখন সেচ ও ধান খেত পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত রয়েছে তারা। কৃষি বিভাগ জেলায় ১০০ ভাগ জমিতে বিদ্যুৎ চালিত মোটরের আওতায় সেচ যন্ত্রের মাধ্যমে শেষ ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে। প্রতিদিন নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। ফলে জমিতে পানির কোন সংকট হচ্ছে না।

সদর উপজেলার এরুলিয়া গ্রামের কৃষক সুলতান আলি জানান, বিদ্যুৎ চালিত সেচ যন্ত্রের মাধ্যমে পানি সরবরাহ পাওয়ায় তাদের ইরি বোরো ধান চাষে খুব সুবিধা হয়েছে। বিঘা বা একর প্রতি ধানের জমিতে সেচ দেয়ার জন্য সেচ যন্ত্রের মালিকের সাথে চুক্তি রয়েছে। জমির মালিকদের সেচ নেয়ার জন্য ঘুরতে হয় না। সেচ যন্ত্রের মালিকেরা নিজেরাই ধানের জমিতে প্রয়োজন অনুযায়ী পানি সেচ দিয়ে থাকেন। চুক্তির অর্ধেক টাকা দিয়ে বাকি টাকা ধান কাটার পর পরিশোধ করেন।

একই কথা জানালেন, কাহালু উপজেলার দেহড় গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম ও হিসাম উদ্দিন। কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় তারা এবার বাম্পার ফলনের আশা করছেন।

অধিদপ্তর জানায়, এখনো পর্যন্ত জেলার ১২টি উপজেলার কোন স্থান থেকেই ইরি বোরো ধান চাষে কোন সমস্যার খবর তাদের কাছে আসেনি।

কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মতলুবর রহমান বলেন, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে জেলায় ৪২০০০ জন কৃষককে ২ কেজি হারে হাইব্রিড বিজ প্রনোদনা হিসেবে দেওয়া হয়েছে। অনুকুল আবহাওয়া ও কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় এবার লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত ফলন হবে বলে আশা করছি।


আরও খবর
কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪




পাথরঘাটায় ২৫ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি:

বরগুনার পাথরঘাটায় ২৫ কেজি হরিণের মাংসসহ ৪টি পা উদ্ধার করেছে পাথরঘাটা দক্ষিণ স্টেশন কোস্টগার্ড। বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে পাথরঘাটা কোস্ট গার্ড।

এর আগে বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা সদর ইউনিয়ন ৯ নম্বর ওয়ার্ড চরলাঠিমারা এলাকা থেকে হরিণের পা ও মাংস উদ্ধার করা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কোস্টগার্ড জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের চরলাঠিমারা গ্রামে হরিণের মাংস পাচার হচ্ছে। এমন সংবাদ পেয়ে ওই এলাকায় অবস্থান নেয় কোস্টগার্ড সদস্যরা। তখন কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে মাংস ফেলে সেখান থেকে পালিয়ে যায় পাচারকারীরা।

এসময় ৪টি হরিণের পা সহ ২৫ কেজি মাংস উদ্ধার করে। পরে হরিণের মাংস পাথরঘাটা বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এসময় পাচারকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করতে সক্ষম হয়নি কোস্টগার্ড।


আরও খবর
কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪




ইসরায়েলে হামলা: উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ইরানে মিছিল

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলে সরাসরি হামলায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে মিছিল করেছে শত শত ইরানি নাগরিক। দেশটির বিভিন্ন স্থানে এই মিছিল হয়েছে।

ইসরায়েলে চালানো হামলা উদযাপন করতে অনেকেই জড়ো হন তেহরানে অবস্থিত ব্রিটিশ দূতাবাসের সামনে। সেখানে বহু মানুষকে ইরানের পতাকা হাতে দেখা যায়। তাছাড়া ফিলিস্তিনিরে বড় একটি পতাকা নিয়ে অনেকেই জড়ো হন তেহরানের ফিলিস্তিন স্কয়ারে।

প্রকাশিত একটি ছবিতে দেখা যায়, ফিলিস্তিন স্কয়ারের কাছে মোটরসাইকেলের পেছনে দাঁড়িয়ে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়াচ্ছেন একজন। এ সময় একজন ডামি বুলেট হাতে নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।

ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে কয়েক ডজন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে তারা।

ইসরায়েলও হামলার তথ্য নিশ্চিত করে বলেছে, তেহরান হামলা শুরু করেছে।

ইরানের হামলা শুরু হওয়ার পরই তেল আবিব ও জেরুজালেমসহ ইসরায়েলজুড়ে সতর্ক সংকেত বাজানো হয়। তবে ইরানের নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের অধিকাংশই ভূ-পাতিত করা হয়েছে। এঘটনায় এখনো নিহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে অনেকেই আহত হয়েছেন।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানীতে ইরানি কনস্যুলেটে হামলায় ইরানের দুই জেনারেলসহ ১৩ জন নিহত হন। কেউ দায়ভার স্বীকার না করলেও এ হামলা ইসরায়েল চালিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এ ঘটনার পরপরই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেয় তেহরান।


আরও খবর