আজঃ রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩
শিরোনাম

রায়হান হত্যা: সেই এএসপিকে লঘুদণ্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান আহমদের মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত পুলিশ কর্মকর্তা আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তারে আইনানুগ উদ্যোগ না নেওয়ায় তিরস্কার নামক লঘুদণ্ড দেওয়া হয়েছে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নির্মলেন্দু চক্রবর্তীকে।

সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: হিলি বন্দরে ভারতীয় ট্রাক থেকে মদ উদ্ধার, চালক আটক

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নির্মলেন্দু চক্রবর্তী ও ইতঃপূর্বে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার হিসেবে কর্মকালে গত ১১/১০/২০১০ তারিখ জনৈক রায়হান আহমেদকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির এসআই (নিঃ) আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্য কর্তৃক শারীরিকভাবে নির্যাতনের ফলে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

আরও পড়ুন: ফরিদপুরে স্কুল শিক্ষিকা হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

আপনার যথাযথ তদারকির অভাবে ভুল ধারায় সিলেট কোতোয়ালী মডেল থানায় ১২/১০/২০২০ তারিখ মামলা নং ২০ দঃ বিঃ ৩০২/৩৪ ধারায় এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩ এর ১৫(১)/১৫(২) (১৫(৩) ধারায় মামলা রুজু হয়। আপনি অনুসন্ধান কমিটির সদস্য হিসেবে অনুসন্ধানকালে পুলিশ সদস্য দ্বারা শারীরিক নির্যাতনের কারণে রায়হান আহমেদের মৃত্যু ঘটে, যা ফৌজদারি অপরাধ হওয়া সত্ত্বেও তিনি এসআই (নিঃ) আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে গ্রেফতারে আইনানুগ উদ্যোগ গ্রহণ না করে শুধু বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিল করাসহ এ অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করে ১০/৩/২০১১ তারিখ অভিযোগনামা ও অভিযোগবিবরণী জারি করা হয়।

আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর ৬২ শতাংশ কাজ সম্পন্ন

এ প্রেক্ষিতে ১১/০৯/২০২১ তারিখে কারণ দর্শানোর জবাব প্রদান করে ব্যক্তিগত শুনানির আবেদন করেন এবং ১৫/১২/২০২১ তারিখ তার ব্যক্তিগত শুনানি গ্রহণ করা হয় বলেও এতে জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ...ব্যক্তিগত শুনানিতে পক্ষদের প্রদত্ত বক্তব্য এবং প্রাসঙ্গিক সকল তথ্যাদি বিবেচনা করে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হলে গুরুদণ্ড আরোপের সম্ভাবনা থাকার অভিযোগগুলো তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জিয়াউর রহমানকে এ বিভাগীয় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্তৃক গত ২৩/১১/২০২২ তারিখে দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনে নির্মলেন্দু চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্ত ও সাক্ষ্য প্রমাণে প্রমাণিত হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারি (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩(ক) বিধি মোতাবেক অদক্ষতা এর প্রমাণিত অভিযোগে একই বিধিমালার বিধি ও এর উপবিধি ২(ক) মোতাবেক তিরস্কার লঘুদণ্ড প্রদান করা হলো।

নিউজ ট্যাগ: রায়হান হত্যা

আরও খবর



নতুন আইন: আনসারে বিশৃঙ্খলা করলে মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আনসার ব্যাটালিয়নের কোনো সদস্য বিদ্রোহে জড়ালেই সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডের মতো কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে। এ ছাড়া অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী, বিদ্রোহী কিংবা বিদ্রোহে প্ররোচনাকারীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হবে। তবে সশ্রম কারাদণ্ডের মেয়াদ ৫ বছরের কম হবে না।

 বিশেষ আনসার ব্যাটালিয়ন আদালতে বিচারের পর ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে দণ্ড কার্যকর হবে। এমন সব বিধান রেখে আনসার ব্যাটালিয়ন আইন-২০২৩-এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আইনটি মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনের অনুমোদন দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। নতুন আইন কার্যকর হলে বিদ্যমান ব্যাটালিয়ন আনসার আইন ১৯৯৫ রহিত হয়ে যাবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব বলেন, বিদ্রোহ সংগঠন বা বিদ্রোহ সংগঠনের প্ররোচনায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড রাখা হয়েছে। আগের আইনে বিদ্রোহের বিষয়টি ছিল না। নতুন আইনে অপরাধ বিচারের জন্য সংক্ষিপ্ত আনসার আদালত এবং বিশেষ ছাড় আদালত নামে দুটি আদালত গঠিত হবে।

খসড়ায় বলা হয়েছে, বিদ্রোহ বলতে বোঝাবে, ব্যাটালিয়নের দুই বা ততোধিক সদস্য সম্মিলিতভাবে বাহিনী বা শৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো কর্তৃপক্ষের আইনানুগ আদেশ অমান্য করা বা উক্ত কর্তৃপক্ষের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করা, প্রতিহত করা বা উৎখাত করা অথবা দুই বা ততোধিক ব্যক্তি তাদের বৈধ বা অবৈধ অসন্তুষ্টি সম্মিলিতভাবে কর্তৃপক্ষের কাছে প্রকাশ করা বা ওই রূপ কার্যকরণের কোনো প্রচেষ্টা গ্রহণ করা।

আইনের ২০ ধারায় বলা হয়েছে, ব্যাটালিয়নের কোনো সদস্য বাহিনীর অভ্যন্তরে অথবা শৃঙ্খলা বাহিনীতে বিদ্রোহ করলে, বিদ্রোহে প্ররোচনা দিলে কিংবা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলে তার সর্বোচ্চ শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড। তবে কারাদণ্ডের মেয়াদ কোনোভাবেই পাঁচ বছরের কম হবে না। অপরাধের বিচার হবে বিশেষ আনসার ব্যাটালিয়ন আদালতে। বিশেষ এবং সংক্ষিপ্ত আনসার ব্যাটালিয়ন আদালতের যে কোনো দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে বিশেষ এবং আনসার ব্যাটালিয়ন আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করা যাবে। আনসার ব্যাটালিয়ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আদেশ প্রাপ্তির তারিখ থেকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বাহিনীর মহাপরিচালক বরাবর আপিল করতে হবে।

প্রসঙ্গত, বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার বিষয়ে ১৯৯৪ সালের ৩০ নভেম্বর গাজীপুরের সফিপুরে আনসার বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। এ অসন্তোষ একপর্যায়ে বিদ্রোহে রূপ নেয়। সেনাবাহিনী, বিডিআর ও পুলিশের সহযোগিতায় ওই বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণ করে সরকার।


আরও খবর



গাজীপুরে কাভার্ডভ্যান-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ২

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের পূবাইলে কাভার্ডভ্যান-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। আহতদের গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে পূবাইল বাসস্ট্যান্ড ও খোকন ফিলিং স্টেশনের মাঝামাঝি জায়গায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মাহবুব উজ জামান বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।

স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টঙ্গী-কালীগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে একটি কাভার্ডভ্যান কালীগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে অটোরিকশায় থাকা পাঁচ যাত্রী গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা হতাহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠান।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মাহবুব উজ জামান জানান, সন্ধ্যায় টঙ্গী-কালীগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে একটি ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশার সঙ্গে কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে একজন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত অপর চারজনকে হাসপাতালে নেয়ার পথে আরও একজন মারা যান। বাকি তিনজন শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



তাইওয়ানের চারপাশে চীনের ৩৯ যুদ্ধবিমান

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

তাইওয়ান প্রণালীর চারপাশে চীনের ৩৯টি যুদ্ধবিমান শনাক্ত করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় (এমএনডি)। রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত প্রণালীর চারপাশে ২৬টি আকাশযান ও ১৩টি যুদ্ধবিমান শনাক্ত করা হয়। এর মধ্যে ১৩টি আজ সকাল শুরুর প্রথম ঘণ্টায় শনাক্ত করা গিয়েছে।

প্রতিবেদনে ফরাসি সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী ও কানাডার রণতরী প্রণালীটি পাড়ি দেয়। এরপরেই তাইওয়ানের চারপাশে চীনের যুদ্ধবিমান শনাক্ত করা গেল। 

আরও পড়ুন>> প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ

এমএনডি বলছে, চীনের শানডং যুদ্ধবিমান আজ তাইওয়ানের দক্ষিণতম প্রান্ত ইলুয়ানবি থেকে প্রায় ৬০ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পূর্বে শনাক্ত করা হয়েছিল। পূর্ব দিকে যাত্রা করে আকাশযানটি প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিমাংশে প্রবেশ করে।

চীন-তাইওয়ানের বিরোধ বেশ পুরোনো। তাইওয়ানকে নিজেদের মূল ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করে বেইজিং। তাইওয়ান নিয়ে এক নীতি অবস্থানে রয়েছে তারা। তবে, তাইওয়ান চায় স্বাধীনতা, স্বশাসন। এ বিরোধে তাইওয়ানের পাশে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা। তাই এ বিরোধ এখন আর আঞ্চলিক ভূ-রাজনৈতিক নয়, বরং আন্তর্জাতিক রূপ নিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। অপরদিকে, তাইওয়ান প্রণালীতে বিদেশি হস্তক্ষেপ পছন্দ নয় চীনের।

এএফপি জানিয়েছে, সাম্প্রতি বছরগুলোতে তাইওয়ানে সামরিক ও রাজনৈতিক প্রভাব চরমভাবে বিস্তার করছে বেইজিং। প্রায়শ তাইওয়ান প্রণালীতে নৌমহড়া ও যুদ্ধবিমান দিয়ে মহড়া চালায় তারা। আর এমনটা করা হয় এমন সময়ে যখন কি না তাইপে কোনো কূটনৈতিক তৎপরতা চালায়।

তাইওয়ান বলছে, সম্প্রতি শনাক্ত হওয়া ৩৯টির মধ্যে ২২টি আকাশযান তাইওয়ান প্রণালীর মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে। 

আরও পড়ুন>> মরক্কোয় থামছে না মৃত্যুর মিছিল, নিহত বেড়ে ২১২২

এক বিবৃতিতে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, আমাদের সামরিক বাহিনী পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। প্রতিক্রিয়া জানাতে বিমান, নৌবাহিনীর জাহাজ এবং ভূমি-ভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



বিশ্বকাপের আগে অধিনায়কত্ব ছাড়তে চাচ্ছেন সাকিব!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বিশ্বকাপ খেলতে একদিন পরই উড়াল দিতে হবে ভারতের উদ্দেশ্যে। অথচ এর আগে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে।

শুরুতে সেটি ছিল তামিম ইকবালের খেলা বা না খেলা নিয়ে। এই উদ্বোধনী ব্যাটার পাঁচ ম্যাচ খেলতে চান, এমন খবর ছড়ালেও বিষয়টি ছিল ভিন্ন। দীর্ঘদিন পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্যাট করে পিঠে অস্বস্তি বোধ করার কথা জানান তিনি। 

সেটিই পরে নির্বাচকদের কাছে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি। যাতে অস্বস্তিতে পড়েছে নির্বাচক প্যানেলও। এখন আবার নতুন আলোচনা তৈরি হয়েছে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে।  জানা গেছে, বিশ্বকাপে অধিনায়কত্ব করতে চান না এই অলরাউন্ডার। এশিয়া কাপের সময়ই নেতৃত্ব দিতে না চাওয়ার কথা বোর্ডকে জানিয়েছেন সাকিব।

সেখানে অবশ্য তামিম ইকবাল কোনো ইস্যু নন বলেই বিভিন্ন সূত্রের দাবি। বিশ্বকাপে ভালো করতে পারবে না দল, এমন ভাবনা থেকেই সরে দাঁড়ানোর চিন্তা সাকিবের। সঙ্গে কিছু ব্যক্তিগত বিষয়ও রয়েছে। তবে বিশ্বকাপের ঠিক আগে সাকিবকে নেতৃত্ব রাখতে চাচ্ছে বিসিবি। 

এ নিয়েই সোমবার দিবাগত রাতে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বাসায় বৈঠকে বসেন হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ও সাকিব। তিন ফরম্যাটেই অধিনায়কত্ব করা অলরাউন্ডারকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন তারা। মঙ্গলবারও একই চেষ্টা চলবে বলে জানা গেছে।

শেষ অবধি সাকিব অধিনায়কত্ব না করলে কে দেবেন নেতৃত্ব? এ আলোচনায় সবার আগে আসার কথা লিটন দাসের। তিনি দলের সহ-অধিনায়কও। তবে অফ ফর্মে থাকা এই ব্যাটার এখন নেতৃত্ব নিতে চাচ্ছেন না। সেক্ষেত্রে এগিয়ে আছেন তৃতীয় ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেওয়া নাজমুল হোসেন শান্ত।


আরও খবর



কুমিল্লায় জজ মিয়া হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রবিউল বাশার খান, কুমিল্লা

Image

কুমিল্লার হোমনায় জজ মিয়া হত্যা মামলায় আজাদ মিয়া (৩৫) নামে একজনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই মামলায় ২ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক রোজিনা খান এ রায় দেন।

আজাদ মিয়া কুমিল্লার হোমনা উপজেলার হোমনা সরদার বাড়ির বাহাদুর মিয়ার ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম।

মামলার বরাত দিয়ে অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম বলেন, কুমিল্লার হোমনা উপজেলার হোমনা পূর্ব পাড়ার আজাদ মিয়ার সঙ্গে একই এলাকার দক্ষিণ পাড়ার আনোয়ার আলীর ছেলে জজ মিয়ার সঙ্গে পূর্ববিরোধ ছিল। এর প্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ২২ মে সন্ধ্যায় আজাদ মিয়া পূর্বপরিকল্পিতভাবে জজ মিয়ার ওপর হামলা করেন। এ সময় ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান আজাদ মিয়া। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় জজ মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় নিহত জজ মিয়ার বড় ভাই জুলহাস মিয়া বাদী হয়ে আজাদ মিয়া, একই এলাকার সালাউদ্দিন ও নাসির উদ্দিনসহ ৩/৪ জনকে আসামি করে হোমনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হোমনা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) কাজী নাজমুল হক একই বছরের ২৮ মে আসামি আজাদকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেন। পরে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আজাদ। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় এ রায় দেন আদালত।


আরও খবর