আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
বাঙ্গির বাম্পার ফলনে খুশি চাষীরা

রায়পুরার চরের বিস্তীর্ণ জমি জুড়ে লোভনীয় কাঁচা পাকা বাঙ্গি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

নরসিংদী প্রতিনিধি

রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চলের এলাকা বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের চান্দেরকান্দি ও পাঁড়াতলীর চর। এই দুই চরের বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ জুড়ে শুধু চোখে পড়ে কাঁচা পাকা বাঙ্গি। যেদিকে তাকায় ফসলের মাঠের সবুজ পাতার আড়ালে উঁকি দেয় লোভনীয় বাঙ্গি। এবছর হয়েছেও বাঙ্গির বাম্পার ফলন। কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় রায়পুরার দুই চরের বাঙ্গি চাষীদের চোখে মুখে তৃপ্তির হাসি। বেশি লাভ হওয়ায় গেল বছরের তুলনায় এই বছর ৭ হেক্টর অতিরিক্ত জমিতেও বাঙ্গি আবাদ করেছে কৃষকরা।

পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে প্রতি বছরই এই দুই চরে চাষ করা হয় এঁটেল ও বেলে নামে দুই প্রকারের বাঙ্গি। রোজাদারদের ইফতারে এই বাঙ্গি অনেকটাই তৃপ্তি এনে দেয়। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রায়পুরার বাঙ্গি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহর ও হাট-বাজারে বিক্রি করা হয়। এ অঞ্চলের বাঙ্গির আলাদা একটা কদর থাকায় দেশের বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা বাঙ্গি কিনতে ছুটে আসে বাঁশগাড়িতে।

জানা গেছে, বাঙ্গি এক রকমের শঁশা জাতীয় ফল। ফলের বাইরের দিকটা দেখতে অনেকটা কুমড়ার মত হালকা ডোরা কাটা খাঁজযুক্ত। খেতে তেমন মিষ্টি না হলেও বাঙ্গিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ যা হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও বিভিন্ন খনিজ পদার্থ,বিভিন্ন ভিটামিন এবং ফলিক এসিড সমৃদ্ধ বাঙ্গি খুবই উপকারী পুষ্টিগুন সম্পূর্ণ। বাঙ্গি বয়স ধরে রাখার পাশাপাশি দূর করে ব্রণ,একজিমা,চুল পড়া কমায়,কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে,রক্ত তৈরী করে,ওজন কমাতে সাহায্য করে, গর্ভবতী মায়েদের জন্য ও ডায়াবেটিকস রোগীদের জন্যও অনেক উপকারী এই বাঙ্গি।

সরেজমিনে রায়পুরার এই দুই চর ঘুরে দেখা গেছে,রায়পুরার চর অঞ্চল হিসাবে খ্যাত বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের চান্দেঁকান্দি ও পাঁড়াতলীর চরের বাসিন্দারা বেশ কয়েক যুগ ধরে বাঙ্গি চাষ করে আসছেন। এরই ধারাবাহিতকায় চলতি মৌসুমেও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বাঙ্গি চাষ করেছেন তারা। কৃষকরা জমি পরিচর্যায় ও নারীরা জমি থেকে পাঁকা বাঙ্গি তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পাড় করেন প্রতিদিন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যারয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছর এই উপজেলায় ২৮ হেক্টর জমিতে বাঙ্গির আবাদ হয়েছিল। চলতি বছর ৩৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে বাঙ্গি। এরমধ্যে বাঁশগাড়িতে ২০ হেক্টর ও বাকি ১৫ হেক্টর পাড়াতলীর মধ্যনগর,চাঁনপুর ও মির্জারচরে আবাদ হয়েছে।

বাঙ্গি চাষী আবেদ আলী জানান, তিনি আড়াই বিঘা জমিতে বাঙ্গি চাষ করেছেন। এতে তার খরচ পড়েছে এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা। এ বছর ফলন ভাল হওয়ায় তিনি তিন লাখ টাকার উপরে বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।

আরেক বাঙ্গি চাষী আবুল খায়েস। তিনি এ বছর দুই বিঘা জমিতে বেলে জাতের বাঙ্গি আবাদ করেছেন। বর্তমানে তিনি একশ বাঙ্গি সাত হাজার থেকে আট হাজার টাকায় বিক্রি করছেন। এভাবে বিক্রি করতে পারলে তার লাভ হবে প্রায় এক লক্ষ টাকা।

কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে,চরের দোঁআশ মাটিতে বেলে ও এঁটেল এই দুই জাতের বাঙ্গি আবাদ হয়। তবে সবচেয়ে বেশি আবাদ হয় বেলে বাঙ্গি। এ জাতের বাঙ্গির খোসা থাকে পাতলা,শাঁস নরম ও মিষ্টি কিছুটা কম। অপরদিকে এঁটেল বাঙ্গির শাঁস শক্ত তবে বেশ মিষ্টি। কৃষকরা জানান,জমি থেকে প্রতিপিচ বাঙ্গি পাইকারী বিক্রি হয় ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি নরসিংদী,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর ও কিশোরগঞ্জের পাইকারদের মাধ্যমে সুস্বাধু এই ফলটি পৌঁছে যায় রাজধানীসহ সারা দেশে।

রায়পুরা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অনুকুল আবহাওয়ার কারনে এ বছর বাঙ্গির বাম্পার ফলন হয়েছে। রমজান মাস চলমান থাকায় ভালো দামও পাচ্ছেন কৃষকরা। এ বছর ৩৫ হেক্টর জমিতে বাঙ্গি আবাদ হয়েছে। প্রতি বছরই আবাদকৃত জমির পরিমাণ বাড়ছে।

নিউজ ট্যাগ: রায়পুরা বাঙ্গি

আরও খবর



খালেদা জিয়ার মুক্তি’র বিষয়ে সিদ্ধান্ত কাল: আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো ও তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার আবেদনের বিষয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।

আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

গত ৬ মার্চ খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে ও বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ চেয়ে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। সেই আবেদনের বিষয়ে মতামত নিতে সেটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, প্রথম কথা হচ্ছে এই চিঠিতেও তারা আগের মতোই স্থায়ী মুক্তি চেয়েছেন। আমি বুঝলাম না স্থায়ী মুক্তি মানে কী? এবং বিদেশ যাওয়ার জন্য অনুমতি চেয়েছেন।

তিনি বলেন, আমার কাছে আজকে আমার সচিব ফাইলটা দিয়েছেন। ওনারা (খালেদার পরিবারের সদস্যরা) কী আবেদন করেছেন, সেটা দেখে ভালো করে বিবেচনা করে আমি অতি সত্বর নিষ্পত্তি করব। আগামীকাল নাগাদ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

আনিসুল হক বলেন, ফাইলটা আজকেই পেয়েছি। আমাকে বিবেচনা করতে হবে, পড়তে হবে, আমাকে দেখতে হবে। তবে একটা বিষয় বলতে পারি সেটা হলো খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্তে কোনো পরিবর্তন হবে না।

উল্লেখ্য, এর আগে ঢাকার নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং এই সময়ে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না- এ দুটি শর্তে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ আটবার বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানো হয়েছিল। সেই মেয়াদ আগামী ২৪ মার্চ শেষ হবে।


আরও খবর



মেঘনায় ভ্রমণতরি ডুবে নারীর মৃত্যু, পুলিশসহ নিখোঁজ ৮

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে বালুভর্তি বলগেটের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ভ্রমণতরি ডুবে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ১২ জনকে। পুলিশ সদস্যসহ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আরও আট যাত্রী। শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মেঘনার পাড় সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নিচে এ ঘটনা ঘটে।

ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিখোঁজ যাত্রীরা হলেন পুলিশের কন্সটেবল সোহেল রানা, তার স্ত্রী মৌসুমি, সাত বছরের মেয়ে মাহমুদা ও পাঁচ বছরের ছেলে রায়সুল, শহরের নিউটাউন এলাকার আরাদ্দা, বেলাল দে, নরসিংদীর রায়পুরা এলাকার আনিকা আক্তার এবং অজ্ঞাতপরিচয় এক নারী।

তাৎক্ষণিক উদ্ধার হওয়া নারীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

নিখোঁজের প্রতিবেশী রত্না বেগম বলেন, আমাদের পাশের বাড়ির সাতজন নৌকায় ছিল। চারজন উদ্ধার হয়েছে। তবে আরদ্দা, বেলাল মিয়া ও একজন মহিলাকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

নিখোঁজ আনিকার চাচা রুবেল মিয়া বলেন, আমার ভাতিজি আনিকা ও তার বান্ধবী রুবা বিকালে ব্রিজের নিচে ঘুরতে আসে। পরে ট্রলারের ধাক্কায় ভ্রমণতরি ডুবে যায়। ভাতিজির বান্ধবী রুবা বেঁচে গেলেও আনিকাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন বলেন, একটি বালুবাহী বলগেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ভ্রমণতরিটি ডুবে যায়। এতে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। আর ১২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তবে আরও আটজন নিখোঁজ রয়েছেন। রাতে অন্ধকারে উদ্ধারকর্মীরা কাজ করতে পারে না। এজন্য উদ্ধার কাজ আপাতত বন্ধ করা হয়েছে। শনিবার সকালে কিশোরগঞ্জ থেকে ডুবুরিদল এলে আবার উদ্ধার কাজ শুরু হবে।

এ বিষয়ে নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। স্থানীয়রা আটজনকে উদ্ধার করেছে। আনুমানিক ২০ জন ছিল শুনেছি। এতে একাধিক নৌ পুলিশটিম ও ফায়ার সার্ভিস টিম উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছে।


আরও খবর



প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মায়ের জানাজায় বিএনপি নেতা চাঁদ

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

আড়াই ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মায়ের জানাজায় অংশ নিয়েছেন রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক ও চারঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সাঈদ চাঁদ।

রোববার দুপুরে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার শলুয়া ইউনিয়নের মাড়িয়ায় নিজ গ্রামে মায়ের জানাজায় অংশ নেন তিনি।

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল জলিল জানান, মায়ের মৃত্যুর পর জানাজায় অংশ নিতে আবু সাঈদ চাঁদ আবেদন করেন। মানবিক কারণে আবেদনটি বিবেচনায় নিয়ে আড়াই ঘণ্টার জন্য তাকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়। বেলা ১২টার দিকে কড়া নিরাপত্তায় তাকে মায়ের জানাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। দুপুর ২টা ১৬ মিনিটে তাকে আবারো কারাগারে নেওয়া হয়।

গত বছর বিএনপির এক সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে আবু সাঈদ চাঁদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় তার বিরুদ্ধে মামলা হতে থাকে। এ অবস্থায় আত্মগোপনে থাকা চাঁদকে গত বছরের ২৫ মে গ্রেফতার করে রাজশাহী মহানগর পুলিশ। সেই থেকে বিএনপির এই নেতা কারাগারেই রয়েছেন।

এরই মধ্যে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার আলাদা একটি মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন তিনি। আবু সাঈদ চাঁদ বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটিরও সদস্য। তার বিরুদ্ধে এখন প্রায় শতাধিক মামলা রয়েছে। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদ বিএনপির প্রার্থী হিসেবে কারাগার থেকেই রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।


আরও খবর



২১০০ সালের মধ্যে প্রায় প্রতিটি দেশের জনসংখ্যা কমবে, গবেষণায় সতর্কতা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বর্তমানে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে জনসংখ্যা কমছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে ২১০০ সাল নাগাদ বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশের জনসংখ্যা কমবে বা সঙ্কুচিত হবে। এমন তথ্য সামনে এনেই সতর্ক করা হয়েছে নতুন এক গবেষণায়। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি শতাব্দীর শেষ নাগাদ বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে জন্মহার এতোটাই কমে যাবে যে দেশগুলোতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ধারা বজায় রাখা কঠিন হবে বলে বড় এক গবেষণায় সতর্ক করা হয়েছে।

চিকিৎসা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সাময়িকী ল্যানসেটে গত সোমবার এই গবেষণার তথ্য প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২১০০ সালের মধ্যে বিশ্বের ২০৪টি দেশের মধ্যে ১৯৮টি দেশের জনসংখ্যা সঙ্কুচিত হবে। আর সেসময বেশিরভাগ শিশু জন্মের ঘটনা দরিদ্র দেশগুলোতেই দেখা যাবে।

ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশন (আইএইচএমই)-এর পরিচালিত সমীক্ষা অনুসারে, ২১০০ সালে বিশ্বে জন্ম নেওয়া প্রতি দুই শিশুর মধ্যে একজনের জন্ম হবে সাব-সাহারান আফ্রিকার দেশগুলোতে। আর সেসময় কেবল সোমালিয়া, টোঙ্গা, নাইজার, চাদ, সামোয়া এবং তাজিকিস্তান তাদের জনসংখ্যা (বৃদ্ধির ধারা) বজায় রাখতে সক্ষম হবে।

আইএইচএমই-এর সহ-প্রধান লেখক এবং প্রধান গবেষণা বিজ্ঞানী নাটালিয়া ভি ভট্টাচার্য বলেছেন, প্রাপ্ত ফলাফলের অর্থগুলো অপরিসীম। জন্মহার এবং জীবিত জন্মের এই ভবিষ্যৎ প্রবণতাগুলো বিশ্বব্যাপী অর্থনীতি এবং ক্ষমতার আন্তর্জাতিক ভারসাম্যকে সম্পূর্ণরূপে পুনর্গঠন করবে এবং সমাজগুলোকেও পুনর্গঠন করতে হবে।’

গবেষণার লেখকরা বলেছেন, জনসংখ্যাগত পরিবর্তন সেসময় দেশগুলোকে বেবি বুম’ এবং বেবি বাস্ট’ বিভাজনের দিকে নিয়ে যাবে, যেখানে ধনী দেশগুলো তাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে লড়াই করবে এবং দরিদ্র দেশগুলো কীভাবে নিজেদের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যাকে সহায়তা করা যায় সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় লড়াই করবে।

গবেষণার সহ-প্রধান লেখক এবং আইএইচএমই-এর ভারপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক অস্টিন ই শুমাখার বলেছেন, সর্বোচ্চ জন্মহারের কারণে সাব-সাহারান আফ্রিকার দেশগুলোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধি বা সম্ভাব্য মানবিক বিপর্যয়ের ঝুঁকির সাথে সম্পর্কিত ঝুঁকিগুলো মোকাবিলা করা।’

তিনি আরও বলেন, জন্মের সংখ্যার এই বিশাল পরিবর্তন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কমাতে, স্বাস্থ্যসেবা পরিকাঠামো উন্নত করার প্রচেষ্টায় এই অঞ্চলকে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয় এবং চরম দারিদ্র্য দূরীকরণ ও নারীর প্রজনন অধিকার নিশ্চিত করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপের পাশাপাশি শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস অব্যাহত রাখা, পরিবার পরিকল্পনা এবং মেয়েদের শিক্ষার বিষয়টি প্রতিটি সরকারের শীর্ষ অগ্রাধিকার হিসেবে থাকতে হবে।’

প্রসঙ্গত, নানা সমীক্ষা ও আদমশুমারির তথ্য এবং ১৯৫০ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে অন্যান্য উৎস থেকে সংগৃহীত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ, ইনজুরি অ্যান্ড রিস্ক ফ্যাক্টরস স্টাডির অংশ হিসাবে গবেষণাটি প্রস্তুত করা হয়েছে। কয়েক দশক-ব্যাপী হওয়া এই গবেষণায় বিশ্বের ১৫০টিরও বেশি দেশের ৮ হাজারেরও বেশি বিজ্ঞানী যুক্ত ছিলেন।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্র-অস্ট্রেলিয়ায় বন্ধ হচ্ছে ফেসবুকের নিউজ ট্যাব

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের প্যারেন্ট প্রতিষ্ঠান মেটা জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার ব্যবহারকারীদের জন্য ফেসবুকে যে আলাদা নিউজ ট্যাব আছে সেটি ভবিষ্যতে আর থাকবে না। সংবাদ পড়তে পাঠক ফেসবুকে যাচ্ছে না বলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

এতে বলা হয়, নিউজ ট্যাবে সংবাদ পরিবেশনের জন্য ওই দুই দেশের গণমাধ্যমের সঙ্গে যে চুক্তি আছে সেটি নবায়ন করা হবে না। 

আরও পড়ুন>> নায়িকা বানানোর টোপ দিয়ে অঙ্কিতাকে কুপ্রস্তাব

অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে ফেসবুকের নিউজ ট্যাবে গিয়ে খবর পড়ার হার ৮০ শতাংশের বেশি কমে গেছে বলে মেটা জানিয়েছে। মানুষ ফেসবুকে সংবাদ ও রাজনৈতিক কনটেন্ট পেতে আসে না, ব্লগ পোস্টে লিখেছে মেটা। তবে দুই দেশেই ব্যবহারকারীরা ফেসবুক ফিডে খবর দেখতে পাবেন বলে জানানো হয়েছে।

এর আগে মেটা গতবছর ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যমের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন না করার ঘোষণা দিয়েছিল। মেটা বলছে, নিউজ ট্যাব বন্ধ করার কারণে যে অর্থ ও সম্পদ বেঁচে যাবে সেটা এমন কোনো কাজে ব্যবহার করা হবে যা মানুষ ফেসবুকে দেখতে চায়, যার মধ্যে শর্ট ভিডিও রয়েছে

এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার কমিউনিকেশন্স মন্ত্রী মিশেল রোল্যান্ড ও অ্যাসিস্টেন্ট ট্রেজারার স্টেফান জোন্স এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, মেটার সিদ্ধান্তের কারণে অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যম উল্লেখযোগ্য আয় হারাবে। অস্ট্রেলিয়ার সংবাদ প্রকাশকেরা তাদের কনটেন্টের জন্য ন্যায্য ক্ষতিপূরণ পাওয়ার যোগ্য, বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। সে কারণে সরকারের পরবর্তী করণীয় কী হবে, তা ঠিক করতে আলোচনা চলছে।


আরও খবর