আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

রাতে মারধর করল স্বামী: সকালে ফাঁস দিল গৃহবধূ

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ০৬ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা থেকে পুলিশ এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে। ঘটনার পর গা ঢাকা দিয়েছে নিহতের স্বামী। নিহত পাখি রানী দাস (২০) উপজেলার ২নং চরবাটা ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম চরবাটা গ্রামের শংকর বাড়ির শংকর দাসের স্ত্রী। 

রোববার (৬ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার পশ্চিম চরবাটা গ্রামের শংকর বাড়ি থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে,পারিবারিক কলহের জের ধরে রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ওই গৃহবধূ পরিবারের সদস্যদের অগোচরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।  

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বহুদিন ধরে শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে নির্যাতন করত। শনিবার রাতে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে স্বামী তাকে মারধর করে। এরপর রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ওই গৃহবধূ স্বামীর উপর অভিমান করে বসত ঘরে আড়ার সঙ্গে নিজের শাড়ি গলায় পেঁছিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। 

চরজব্বর থানার ওসির দায়িত্বে থাকা দর্শক (তদন্ত) মো.জয়নাল আবেদীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হচ্ছে।  


আরও খবর



আন্দোলনে উত্তাল জবি, উপাচার্যের কাছে যেসব দাবি

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

শিক্ষক ও সহপাঠীকে দায়ী করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ফাইরুজ অবন্তিকা নামে এক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে মাঝরাতেই আন্দোলনে উত্তাল হয়েছে ক্যাম্পাস। রাতেই আন্দোলনে উত্তাল ক্যাম্পাসে ছুটে যান উপাচার্য ড. সাদেকা হালিম।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) দিবাগত রাত ১টায় উপাচার্য ক্যাম্পাসে গেলে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে আটকে দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তখন ড. সাদেকা হালিম শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ায় ঘোষণা দেন।

এসময় এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাত কর্মদিবস সময় নিতে চাইলে শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করে আগামী ১২ ঘণ্টায় মধ্যে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেশ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থার দাবি জানান। একই সঙ্গে রাতের মধ্যেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন :ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ যে শাস্তির বিধান রয়েছে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, বিগত সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানিসহ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু প্রশাসনের গাফিলতির কারণে অভিযুক্তরা পার পেয়ে গেছেন। তাই এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে।

শিক্ষার্থীদের এমন অভিযোগের বিষয়ে উপাচার্য বিগত সময়ে ঘটে যাওয়া সব বিষয়ের সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।

এদিকে এর আগে উপাচার্যের নির্দেশে অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আম্মানকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে প্রশাসন। একই সঙ্গে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাসুম বিল্লাহ, সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন আইন কর্মকর্তা রঞ্জন কুমার দাস। কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন, সঙ্গীতের চেয়ারম্যান ঝুমুর আহমেদ।

এর আগে শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা জেলা সদরের নিজ বাসায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ফাইরুজ অবন্তিকা। পরে তাকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফাইরুজ অবন্তিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। আত্মহত্যার আগে ফেসবুকে দেওয়া দীর্ঘ এক পোস্টে তিনি এ ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করেছেন।

ফাইরুজ অবন্তিকার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর মাঝরাতেই শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উত্তাল হয় জবি ক্যাম্পাস। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সর্বোচ্চ বিচারের দাবি জানিয়েছেন। এসময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে থাকেন। এছাড়া টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ করে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেন।


আরও খবর



অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকিপূর্ণ সব ভবনে সাইনবোর্ড টানানোর নির্দেশ

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর যেসব ভবনকে অগ্নিকাণ্ডের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে ফায়ার সার্ভিস থেকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে সেসব ভবনের দৃশ্যমান স্থানে ঝুঁকিপূর্ণের নোটিশ টানানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রাজউক, ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষকে এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে রাজধানীর বেইলি রোডে একটি ভবনে ভয়াবহ আগুন লেগে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় স্বরাষ্ট্র সুরক্ষা সচিবের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

কমিটিতে পুলিশ, রাজউক, ফায়ার সার্ভিস, বুয়েটের বিশেষজ্ঞ, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধিদের রাখতে বলা হয়েছে। এই কমিটি চার মাসের মধ্যে বেইলি রোডের গ্রিন কোটি কটেজ ভবনে ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনার কারণ অনুসন্ধান, কারা দায়ী তা খুঁজে বের করবে। এছাড়া রাজধানীর ভবনগুলোতে অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা কেমন হবে তার সুপারিশ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবে কমিটি।

পৃথক দুটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (৪ মার্চ) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

একইসঙ্গে আইন অনুযায়ী স্কুল, কলেজ, শপিংমলসহ রাজধানীর ভবনগুলোতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না রাখা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউনূছ আলী আকন্দ ও অ্যাডভোকেট ইসরাত জাহান সান্ত্বনা।

এর আগে বেইলি রোডের আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইসরাত জাহান সান্ত্বনা।

রিটে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার নির্দেশনা চাওয়া হয়। একইসঙ্গে রিটে সরকারের গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আদালতে দাখিল করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আরেক আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ বেইলি রোডসহ রাজধানীর সব আবাসিক স্থাপনায় রেস্টুরেন্ট বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

রিটে বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত দায়ীদের গ্রেপ্তার ও আহত-নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। এছাড়া বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের তদন্তের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, মন্ত্রী পরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি, রাজউকের চেয়ারম্যান, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।


আরও খবর



নারী দিবসে সম্মাননা পাচ্ছেন ৮ অভিনেত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বছর ঘুরে আবার আসছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। শুক্রবার (০৮ মার্চ) এই দিবস উপলক্ষে কাঁচখেলা রেপার্টরি থিয়েটারের আয়োজনে তীর-কাঁচখেলা নাট্য উৎসব ও নারী নাট্য সম্মাননা ২০২৪’ দেওয়া হচ্ছে আটজন অভিনেত্রীর। মঞ্চ অভিনয়ে অবদান রাখায় তারা এই সম্মাননা পাচ্ছেন।

পুরস্কারের জন্য মনোনীত আট মঞ্চাভিনেত্রী হলেন- মোমেনা চৌধুরী, রোজী সিদ্দিকী, নাজনীন হাসান চুমকি, জুয়েনা শবনম, শামসি আরা সায়েকা, হাসিনা সাফিনা বানু উর্মি, সৈয়দা নওশীন ইসলাম দিশা ও তনিমা হামিদ।

এ বিষয়ে কাঁচখেলা রেপার্টরি থিয়েটারের প্রধান নির্বাহী সায়েম সামাদ জানান, আগামীকাল ৮ মার্চ সন্ধ্যা ৬টায় মহিলা সমিতি মিলনায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ সম্মাননা দেওয়া হবে। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।

এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তারানা হালিম এমপি, বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক আফরোজা পারভীন, খ্যাতিমান অভিনেত্রী ফাল্গুনী হামিদ এবং সিটি গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক জাফর উদ্দিন সিদ্দিকী।

সায়েম সামাদ আরও বলেন, আগামী ৮ থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী নাট্য উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন একুশে পদক ও আজীবন সম্মাননা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত কিংবদন্তি অভিনেত্রী ডলি জহুর।

কাঁচখেলা রেপার্টরি থিয়েটারের প্রধান নির্বাহী জানান, প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় মহিলা সমিতি মিলনায়তনে থাকবে মঞ্চনাটকের প্রদর্শনী। ৮ মার্চ হবে থিয়েটার ফ্যাক্টরির নাটক আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে’, ৯ মার্চ প্রাচ্যনাটের আগুনযাত্রা’ এবং ১০ মার্চ অনুস্বরের হার্মাসিস ক্লিওপেট্রা’ প্রদর্শিত হবে।


আরও খবর



সিপাহি রইশুদ্দীন হত্যা টার্গেট কিলিং নয় : বিজিবি ডিজি

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

যশোর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে সিপাহি রইশুউদ্দীন নিহতের ঘটনা টার্গেট কিলিং নয় বলে জানিয়েছেন বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

অন্যদিকে বিএসএফের মহাপরিচালক শ্রী নিতিন আগ্রাওয়াল বলেছেন, ওই দিন কী ঘটেছিল, ইতিমধ্যে বিজিবিকে বিস্তারিত জানিয়েছে বিএসএফ। এ বিষয়ে আমি আর ব্যাখ্যা করব না।

আজ শনিবার সকালে বিজিবি ও বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৪তম সম্মেলন শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রধান এ কথা বলেন।

এই হত্যাকাণ্ড বিএসএফের টার্গেট কিলিং ছিল কি নাসাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে বিএসএফের মহাপরিচালক বলেন, এ বিষয়ে ইতিমধ্যে বিজিবিকে বিস্তারিত জানিয়েছে বিএসএফ। ওই দিন কী ঘটেছিল তা জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে আমি আর ব্যাখ্যা করব না না। এটি বিজিবিকে জানানো হয়েছে।

এরপর বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ঘটনার সময় কুয়াশাচ্ছন্ন ও অন্ধকার ছিল। তাই দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিষয়টি নিয়ে দ্বিধায় ছিল।

সীমান্ত হত্যা নিয়ে তিনি বলেন, বিজিবি ও বিএসএফের এখন মূল লক্ষ্য যাতে সীমান্তে হত্যা না ঘটে। পোশাকধারী বা সাধারণ নাগরিক যিনিই হোক, কোনো প্রাণহানি যাতে না ঘটে, সে জন্য উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী কাজ করছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিএসএফের প্রধান বলেন,সীমান্তে চোরাকারবারিদের হামলায় গত বছর প্রায় ৬০ জন বিএসএফ সদস্য আহত হয়েছেন। চোরাকারবারিরা সাধারণত দা দিয়ে খুব কাছ থেকে বিএসএফ সদস্যদের ওপর আক্রমণ করে। তখন প্রাণ রক্ষায় বিএসএফ সদস্যরা গুলি করেন, তাঁরা দেখেন না গুলিটা বডির কোন পার্টে লাগছে।

সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা হয় না, কিন্তু ক্লোজ রেঞ্জ থেকে প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র দিয়ে গুলি করলেও মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে। ক্লোজ রেঞ্জ থেকে রাবার বুলেট ছুড়লে সেটি দিয়েও মৃত্যু হতে পারে। যখন বিএসএফ সদস্যদের ওপর দা দিয়ে হামলা করা হয়, তখন তাঁরা অনেক কাছে চলে আসে। তখন আত্মরক্ষার্থে বিএসএফ সদস্যরা কখনো গুলি করতে বাধ্য হন। এর বাইরেও বিপুল চোরাকারবারিদের গ্রেপ্তার করা হয়, গ্রেপ্তারকৃতদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি সীমান্তে মৃত্যু শূন্যে নামিয়ে আনতে। এ জন্য জয়েন্ট বর্ডার পেট্রলিং, ইন্টেলিজেন্স শেয়ারিংসহ নানা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

এবারের ডিজি পর্যায়ের যৌথ সম্মেলনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা এবং একমত হয়েছেন দুই দেশের কর্মকর্তারা। এর মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত অতিক্রম করে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে যথাযথ ও দৃঢ় অবস্থান গ্রহণের ব্যাপারে একমত হন তাঁরা।

সীমান্তবর্তী খাল হয়ে ভারতের আগরতলা থেকে বাংলাদেশের আখাউড়ায় ভেসে আসা শিল্পবর্জ্য মিশ্রিত পানির ক্ষতিকর প্রভাবের কথা উল্লেখ করে বিজিবির মহাপরিচালক যৌথ নদী কমিশনের কারিগরি কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয়সংখ্যক বর্জ্য শোধনাগার স্থাপনের ওপর জোর দেন। উভয় পক্ষ যৌথ জরিপ পরিচালনা এবং সীমান্তবর্তী পরিবেশ সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সম্মত হয়েছে।

বিজিবি মহাপরিচালক জকিগঞ্জের কুশিয়ারা নদীতীরবর্তী ৫ হাজার হেক্টর চাষযোগ্য ফসলি জমির সেচ সুবিধা ও সীমান্তবর্তী জনগণের দুর্ভোগের কথা উল্লেখ করে মানবিক দিক বিবেচনায় অবিলম্বে কুশিয়ারা নদীর সঙ্গে বন্ধ থাকা রহিমপুর খালের মুখ পুনরায় খুলে দেওয়ার জন্য বিএসএফ মহাপরিচালকের প্রতি আহ্বান জানান। বিএসএফ মহাপরিচালক উভয় পক্ষের স্বার্থ বিবেচনায় দ্রুত রহিমপুর খালের মুখ পুনরায় উন্মুক্তকরণের আশ্বাস দেন।

ঢাকায় ৫-৯ মার্চ বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেছেন। বিএসএফের মহাপরিচালক শ্রী নিতিন আগ্রাওয়ালের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন। আজকেই তাঁরা দেশে ফিরে যান।


আরও খবর



বাড়ি ছাড়তে হবে সালাম মুর্শেদীকে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীকে গুলশানের বাড়ি ছাড়তে হবে বলে রায় দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সংসদ সদস্য আবদুস সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে গুলশান২ নম্বরে অবস্থিত বাড়িটি দখলে রাখার অভিযোগ নিয়ে করা রিটের ওপর রায় ঘোষণা করা হয়।

আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। তিনি বলেন, রায়ের কপি হাতে পাওয়ার দিন থেকে ৯০ দিনের মধ্যে সালাম মুর্শেদীকে বাড়ি ছাড়তে হবে। দুদক থেকে আমরা যে কমপ্লায়েন্টসগুলো দিয়েছি, তার ভিত্তিতে আমরা মামলা দায়ের করেছি। যে তথ্য-উপাত্ত আমাদের কাছে ছিল, তাতে সালাম মুর্শেদীকে আসামি করার মতো যথেষ্ট ছিল না। এখন সালাম মুর্শেদী হোক আর যেই হোক, তদন্ত কর্তৃপক্ষ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।


আরও খবর