ইউক্রেন যুদ্ধে
যেসব বিদেশি রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করবেন তাদের এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের নাগরিকত্ব
দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি ডিক্রি জারি করেছেন
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ডিক্রিতে বলা
হয়েছে, যেসব বিদেশি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযানে অংশ নিয়েছেন, তারা নাগরিকত্ব এবং
রাশিয়ার পাসপোর্টের আবেদন করতে পারবেন। যুদ্ধে অংশ নেওয়াদের স্বামী-স্ত্রী, সন্তান
এবং বাবা-মাও এই আবেদন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে দেখাতে হবে, তারা ন্যূনতম এক বছরের
জন্য যুদ্ধ করতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।
রাশিয়ার সেনাবাহিনী ছাড়াও যারা ওয়াগনারের মতো ভাড়াটে বাহিনীতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন, তারাও এই ধরনের সুবিধা পাবেন বলে ডিক্রিতে উল্লেখ করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, যেসব বিদেশির সামরিক দক্ষতা রয়েছে তাদের আকৃষ্ট করতে এ পদক্ষেপ নিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। বর্তমানে ইউক্রেনে কতজন বিদেশি যুদ্ধ করছেন সেটির স্পষ্ট কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি রাশিয়া।
আরও পড়ুন>> মিয়ানমারে ৯ হাজারের বেশি বন্দীকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা
বার্তাসংস্থা
রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কিউবার অনেক নাগরিক যুদ্ধ করতে রাশিয়ায় এসেছেন। কিউবায়
একজন সাধারণ নাগরিক মাসে যে পরিমাণ অর্থ আয় করেন, যুদ্ধ করতে আসা ব্যক্তিরা সেটির তুলনায়
১০০ গুণ অর্থ আয় করছেন।
এদিকে ইউক্রেন
নয়, রাশিয়ার আসল শত্রু সম্মিলিত পশ্চিমা দেশগুলোর জোট বল মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট
ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, ইউক্রেন কেবলমাত্র তাদের একটি অস্ত্র। কিয়েভের মাধ্যমে
নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চাইছে তারা। এই অস্ত্র দিয়েই রাশিয়াকে পরাস্ত করতে চায়
পশ্চিমারা।
সোমবার মস্কোর
একটি সামরিক হাসপাতালে ইউক্রেনে আহত সেনাদের সঙ্গে দেখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এ সময়
ইউক্রেনের জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর অব্যাহত সমর্থনের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব
দেন পুতিন। পুতিন আরও বলেন, মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে দ্বন্দ্বও পশ্চিমা দেশগুলোর হাতে
সাজানো। তারা রাশিয়াকে পরাজিত করতে চায়। তবে পশ্চিমারা তাদের লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ
হয়েছে।
পুতিন বলেন,
যারা কিছুদিন আগেও রাশিয়াকে পরাজয়ের কথা বলতেন, তারাই এখন কীভাবে দ্রুত সংঘাতের অবসান
ঘটানো যায়, সেই রাস্তা খুঁজছে।
যুক্তরাষ্ট্রের
ফাঁস হওয়া এক নথির পর্যালোচনা অনুসারে, ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধে রাশিয়ার ৩ লাখ ১৫ হাজার
সেনা নিহত হয়েছেন, যা যুদ্ধ শুরু হওয়ার সময় রাশিয়ার যে সংখ্যক সেনা ছিল তার প্রায় ৯০
শতাংশ।