আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

রাশিয়া ভ্রমণে ইউরোপীয়দের আগ্রহ বাড়ছে, বেড়েছে ভিসা আবেদন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউক্রেনের সঙ্গে সংঘাতের জেরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক উত্তেজনাপূর্ণ। রাশিয়ার বিরুদ্ধে নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞাও দিয়ে রেখেছে ইইউ। কিন্তু এসব বিধিনিষেধ সত্ত্বেও চলতি বছর রাশিয়া ভ্রমণে ইচ্ছুক ইউরোপের পর্যটকদের ভিসার আবেদনের সংখ্যা বেড়েছে।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার বিভাগের প্রধান আলেক্সি ক্লিমভ গতকাল রোববার দেশটির রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংবাদ সংস্থা আরআইএ নভোস্তিকে এসব কথা জানিয়েছেন বলে রাশিয়া টুডের খবরে জানানো হয়েছে।

আলেক্সি ক্লিমভ জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিদেশি মিশনগুলো ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের মোট ২ লাখ ২৫ হাজার ভিসা দিয়েছে। এর মধ্যে ট্যুরিস্ট বা পর্যটক ভিসার সংখ্যা ১ লাখ ৪১ হাজার। এই সংখ্যা ২০২২ সালের প্রথম ৯ মাসের তুলনায় ৫৭ শতাংশ বেশি।

সম্প্রতি বাল্টিক দেশগুলো (এস্তোনিয়া, লাটভিয়া ও লিথুনিয়া) থেকে ভিসা আবেদনের একটি লক্ষণীয় বৃদ্ধি ঘটেছে বলে জানান ক্লিমভ। এর মধ্যে গত জুন ও জুলাই মাসের তুলনায় আগস্ট এবং সেপ্টেম্বর মাসে লিথুনিয়ার নাগরিকদের দেওয়া ভিসার সংখ্যা ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে; আর এস্তোনিয়ার নাগরিকদের জন্য দেওয়া ভিসার সংখ্যা বেড়ে তিন গুণ হয়েছে।

তবে ইউক্রেন যুদ্ধের আগের তুলনায় ভিসা নিবন্ধনের হার এখনো অনেক কম বলে জানিয়েছেন আলেক্সি ক্লিমভ। যেমন ২০১৯ সালের প্রথম ৯ মাসে রাশিয়া ইইউ নাগরিকদের ১১ লাখ পর্যটক ভিসা দিয়েছিল। আর ওই সময়ে ইইউতে ইস্যু করা রাশিয়ার মোট ভিসার সংখ্যা ছিল ১৬ লাখ।

আবার চলতি বছরের ৯ মাসে রাশিয়ায় পর্যটক ভিসার সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে ইউরোপ থেকে কূটনৈতিক, চাকরি, ছাত্র ও অন্যান্য ক্যাটাগরির ভিসার সংখ্যা ১০ শতাংশ কমেছে।

আলেক্সি ক্লিমভ বলেন, ইউরোপীয় ভ্রমণকারীদের জন্য রাশিয়া সব সময়ই উন্মুক্তঅতিথিপরায়ণ রয়েছে। তবে রাশিয়ার নাগরিকদের প্রতি ইইউ জোটের মনোভাব তেমন নয়। এ কারণে রাশিয়ার নাগরিকেরা ইইউ দেশগুলোতে ভিসা পেতে এবং তাদের ভূখণ্ডে প্রবেশের ক্ষেত্রে গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ায় রাশিয়া। এরপর রাশিয়ার বিরুদ্ধে নানা নিষেধাজ্ঞা দিতে থাকে ইউরোপের দেশগুলো। যেমন ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ইইউ, আইসল্যান্ড, লিখটেনস্টেইন, নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ড একতরফাভাবে রাশিয়ার সঙ্গে ভিসা সুবিধা চুক্তি (ভিএফএ) স্থগিত করে। ফলে রাশিয়ার নাগরিকদের সেসব দেশের ভিসা পেতে খরচ ও জটিলতা বৃদ্ধি পায়।

রাশিয়ার নাগরিকদের আগে ইইউর শেঙেন ভিসার জন্য ৩৫ ইউরো দিতে হতো, যা এখন বৃদ্ধি করে ৮০ ইউরো করা হয়েছে। এ ছাড়া ভিসার জন্য আবেদন করার সময় এখন আগের তুলনায় আরও বিস্তারিত তথ্য ও বেশি নথিপত্র জমা দিতে হচ্ছে। ভিসা পেতে সময়ও লাগছে বেশি।


আরও খবর



অপহরণে জড়িত থাকলে আমার স্বজনরাও ছাড় পাবে না: পলক

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রামেক) ৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন নাটোর সিংড়া উপজেলার অপহৃত ও নির্যাতনের শিকার চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন।

অপহৃত ও নির্যাতনে জড়িতদের প্রসঙ্গে পলক বলেন, চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণ ও নির্যাতনের ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবে। এখানে মন্ত্রীর আত্মীয় স্বজন বলে কেউ ছাড় পাবে না।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে রামেক হাসপাতালে দেখতে যান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ সময় তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন ও পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে হামলায় জড়িতদের বিচারের আশ্বাস দেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।

গত সোমবার বিকেলে নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে সিংড়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে মারধর করে একটি মাইক্রোবাসে অপহরণ করে নিয়ে যায় প্রতিমন্ত্রী পলকের শ্যালক সিংড়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী লুৎফুল হাবিব রুবেলের অনুসারীরা। পরে সিংড়ার সাঐল গ্রামের নিজ বাড়ির সামনে থেকে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতির দিকে।

এ ঘটনায় তার বড় ভাই মজিবর রহমান বাদী হয়ে মামলা করলে পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করার পর তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

দেলোয়ার হোসেনের ভাই এমদাদুল হক বলেন, আমার ভাইয়ের অবস্থা এখন কিছুটা ভালো, কথা বলতে পারছে। তবে তার চোখের অবস্থা খুবই খারাপ। চোখ মেলতে পারছে না। চোখে ঝাপসা দেখছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। মন্ত্রী আমার ভাইকে দেখতে এসেছিলেন। তিনি বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন। এখন দেখা যাক মন্ত্রী কি করেন?


আরও খবর



নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি হতে পারে এ সপ্তাহেই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজায় একের পর এক যুদ্ধাপরাধ ও মানবিকতাবিরোধী অপরাধের নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্ত এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চলতি সপ্তাহেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারে নেদার‌ল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

ইসরায়েলের সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি। সম্ভাব্য সেই পরোয়ানা এড়াতে ইতোমধ্যে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছে বলেও এনবিসিকে বলেছেন ওই সরকারি কর্মকর্তা।

এ প্রসঙ্গে আইসিসির সঙ্গে যোগাযোগ করে এনবিসির সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলেন, সত্যিই চলতি সপ্তাহে নেতানিয়াহু, গ্যালান্ত ও অন্যান্য ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চলতি সপ্তাহেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করা হচ্ছে কিনা।

জবাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এক মুখপাত্র বলেছেন, আমরা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পরিস্থিতি নিয়ে একটি মুক্ত ও অবাধ তদন্ত পরিচালনা করছি। এই কাজের সুবিধার্থে যে কোনো পদক্ষেপ আমাদের নিতে হতে পারে; কিন্তু যেহেতু এটি তদন্তাধীন বিষয়, তাই এ প্রসঙ্গে এখনই বিস্তারিত কিছু বলার সুযোগ নেই।

২০১৪ সালে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের পর ২০১৭ সালে তার তদন্ত শুরু করেছিল আইসিসি। পরে করেনা মহামারির কারণে তদন্তে বাধা পড়ে। মহামারির ধাক্কা কেটে যাওয়ার পরও তা আর শুরু হয়নি।

কিন্তু গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের হামলা ও তার জেরে গাজায় অভিযান শুরুর পর সেই তদন্ত ফের পুনরুজ্জীবিত করে আইসিসি। গত ডিসেম্বরে গাজা-ইসরায়েল সীমান্ত ঘুরে গেছেন আইসিসির শীর্ষ প্রসিকিউটর করিম খান। সেই সফরে পুরনো সেই তদন্ত ফের শুরুর তথ্য জানিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, এবারের তদন্ত হবে গতিশীল, কঠোর এবং পুরোপুরি সাক্ষ্যপ্রমাণ নির্ভর।

ইসরায়েল কিংবা যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশের কোনোটিই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বীকৃতি দেয় না। আইসিসি যদি সত্যিই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে, তাহলে ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্রে নেতানিয়াহু কিংবা ইয়োয়াভ গ্যালান্তের গ্রেপ্তার হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।

তবে ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন আইসিসিকে স্বীকৃতি দেয়। তাই পরোয়ানা জারি হলে ইউরোপের দেশগুলোসহ বিশ্বের অনেক দেশেই সফর বন্ধ করতে হবে নেতানিয়াহু, গ্যালান্ত ও আইডিএফের সামরিক কর্মকর্তাদের। কারণ পরোয়ানা বাতিল হওয়ার আগ পর্যন্ত সেসব দেশে গেলে গ্রেপ্তার হওয়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে তাদের।


আরও খবর



দেশের সব আদালতে চালু হচ্ছে ওয়ান স্টপ সার্ভিস

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

উচ্চ আদালতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস বাস্তবায়িত হয়েছে। আগে জামিন আদেশের কপি পেতে অনেক সময় ব্যয় হত। এখন তা সঙ্গে সঙ্গেই আপলোড হয় এবং আদেশ যথাস্থানে পৌঁছে যায়। উচ্চ আদালতের এই সুবিধা দেশের সব পর্যায়ের আদালতে পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে। বাংলাদেশ বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করছে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিচার বিভাগ আরো শক্তিশালী হবে বলে মনে করেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

বুধবার (১ মে) দুপুরে সিলেটে আদালত চত্বরে ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি। এর আগে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে তিনি সিলেট সিটি করপোরেশন আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এসব অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

তিনি বলেন, আদালতে আসা বিচারপ্রার্থীদের সুবিধাজনক বসার স্থান হিসেবে সিলেটে ন্যায়কুঞ্জের উদ্বোধন করা হলেও আদালতে আসা সব মানুষ এটি ব্যবহার করতে পারবেন। সব মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত হলেই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়।

প্রধান বিচারপতি বলেন, স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ সম্মিলিতভাবে কাজ করলে বিচার বিভাগ পূর্ণতা লাভ করে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়। এ ক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা চান তিনি।


আরও খবর



বিএনপি দিনে দিনে আরও দুর্বল হচ্ছে: কাদের

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি রাজনৈতিক দল হিসেবে গণরাজনীতিতে নতুন কোনো মাত্রা যোগ করতে পারছে না। তাই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিয়মিতভাবে গণমাধ্যমে একই গীত গেয়ে চলেছেন, প্রতিনিয়ত অত্যাচার-নির্যাতনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন গল্পের অবতারণা করছেন।

তিনি বলেন, জনগণের জন্য রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচি দেওয়ার ব্যর্থতা ঢাকার জন্য তারা এই অপকৌশল অবলম্বন করছে। সন্ত্রাসী দল বিএনপি নেতারা নিজেদের অত্যাচারিত-নির্যাতিত দেখিয়ে সিমপ্যাথি কার্ড খেলার অপচেষ্টা করছে। জনকল্যাণের রাজনীতি বাদ দিয়ে এ ধরনের অপকৌশল গ্রহণ করায় বিএনপি দিনে দিনে সাংগঠনিকভাবে আরও দুর্বল হচ্ছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার সুদৃঢ় অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আছে। বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা এবং তাদের নেতারা সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং তার সরকারকে স্বীকৃতি প্রদান করেছেন। এখন অস্তিত্ব সংকটে থাকা রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়া বিএনপি সরকারের অস্তিত্ব নিয়ে কথা বলছে!

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট একটি রাজনৈতিক দল। বিএনপির নেতারা টিকে থাকার জন্য সর্বদা মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য উপস্থাপনের মাধ্যমে রাজনীতিতে কৃত্রিম সংকট তৈরির অপচেষ্টা চালান। বিএনপির নেতাদের বোঝা উচিত, বিরোধীদল নয় বরং রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে সরকারকে কাজ করতে হয়। সুতরাং নিজেদের নেতাকর্মীদের রাষ্ট্রবিরোধী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে নিবৃত্ত রাখাটাই বিএনপির জন্য শ্রেয়।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করছে। জনগণের সেবা করাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির মূলনীতি। আওয়ামী লীগ সবসময় শাসন-শোষণ ও জুলুমের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করেছে। আওয়ামী লীগের হাতেই দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষিত।

অন্যদিকে বিএনপি শাসনমালের দুর্নীতি-লুটপাট ও দুঃশাসনের কথা জনগণ ভুলে যায়নি। কীভাবে সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সারাদেশকে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত করা হয়েছিল, সেসব কাহিনী যারা প্রত্যক্ষ করেছে তারা স্মরণ করলে বা কেউ শুনলে এখনো শিউরে ওঠে। জনগণ সেই দুঃসহ সময়ের দিনগুলোতে ফিরে যেতে চায় না। আমরা জনগণের জন্য শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ। যোগ করেন সেতু মন্ত্রী।


আরও খবর
আরও ৬১ নেতাকে শোকজ বিএনপির

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4




ফেনীতে বালুবাহী ট্রাকে ট্রেনের ধাক্কা, নিহত ৩

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজিব মাসুদ, ফেনী

Image

ফেনীর ছাগলনাইয়ায় বালুবাহী ট্রাকে চট্টগ্রামগামী মেইল ট্রেনের ধাক্কায় ৩ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালে পূর্ব ফাজিলপুর মুহুরীগঞ্জ ব্রিজসংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. মিজান (৩২) বরিশালের উজিরপুর এলাকার আবুল হাওলাদারের ছেলে। অপর দু’জন অজ্ঞাত ট্রেনের যাত্রী। তাৎক্ষণিক তাদের পরিচয় জানা যায়নি। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপার মো. জাকির হাসান।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ট্রেন চলাচলের সময় গেট না ফেলার কারণে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ফেনী সদর উপজেলার পূর্ব ফাজিলপুর মুহুরীগঞ্জ ব্রিজসংলগ্ন এলাকায় ই/৩২(১) নং রেলগেটে সকাল সাড়ে আটটার দিকে গেটম্যান দায়িত্বরত অবস্থায় ছিল না। ওই সময় বালুবাহী ট্রাক রেললাইন পার হওয়ার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। খবর পেয়ে রেললাইনের ওপর পড়ে থাকা দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাক ও লাশ সরিয়ে নেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

ছাগলনাইয়া থানার ওসি মো. হাসান ইমাম দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ সুপার মো. জাকির হাসান জানান, বালুবাহী ট্রাক লেভেল ক্রসিং করার সময় ট্রেনের পেছনের অংশে লেগে দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর