হেফাজতে ইসলামের
কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সেক্রেটারি মাওলানা মামুনুল হক উসকানিমূলক
বক্তব্য দিয়ে কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীদের মাঠে নামিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের চেষ্টা
করেছিলেন।
ডিএমপির তেজগাঁও
জোনের ডিসি মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) এ কথা জানান।
মামুনুল হকের
বিষয়ে ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে
কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে নাশকতার ঘটনার মামলায় মামুনুল হককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে
নেওয়া হতে পারে। এসময় সিআইডি প্রধান হেফাজতের শীর্ষ নেতাদেরও আইনের আওতায় আনার ইঙ্গিত
দেন।
সিআইডি প্রধান
বলেন, নারায়ণগঞ্জের আরেকটি মামলায় হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল
হককে গ্রেপ্তার দেখাবে। ওই মামলায় তাকে রিমান্ডের আবেদনও করবে সিআইডি। নারায়ণগঞ্জের
সিদ্ধিরগঞ্জে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা একটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে হেফাজত নেতা মামুনুল
হকের সম্পৃক্ততা পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তাকে ঐ মামলায় গ্রেপ্তার
দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদন করতে চায় সংস্থাটি।
সিআইডির এই অতিরিক্ত
মহাপরিদর্শক বলেন, যারা অগ্নিসংযোগ করেছে, হামলা, ভাঙচুর ও সহিংসতার ঘটনায় যারা উপস্থিত
ছিল, মদদ দিয়েছে, উসকানি দিয়েছে, জ্বালাও-পোড়াও করেছে তাদের ফুটেজ ফরেনসিক করা হবে।
ফরেনসিক করে যাদের পাওয়া যাবে তাদের সবাইকেই আমরা আইনের আওতায় আনব।
তিনি আরও বলেন,
‘আমরা এসব মামলা
প্রাথমিক তদন্তে তিন ধরনের লোকের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি। যারা উপস্থিত থাকছে, অনুপস্থিত
থাকলেও ইন্ধন দিয়েছে, আর যারা সরাসরি হামলা ও নাশকতায় জড়িয়েছে। মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি
করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করব।
সিআইডি প্রধান বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে তার সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি। তিনি একটি মামলায় রিমান্ডে আছেন। প্রাথমিকভাবে নারায়ণগঞ্জের দুটি মামলায় তার (মামুনুল হক) ইনভলভমেন্ট পাওয়া গেছে। আমরা সব মামলা স্টাডি করছি। যদি অন্য কোনো মামলাতেও তার ইনভলভমেন্ট থাকে, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।