আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

রাঙ্গামাটিতে পিকনিকের বাস উল্টে নিহত ২, আহত ৩

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি

Image

রাঙামাটি শহরের প্রবেশমুখ মানিকছড়িতে পিকনিকের বাস উল্টে দুইজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।

বাসের সকল যাত্রী চট্টগ্রাম ব্রিকস অ্যান্ড ক্লে ওয়ার্কস লিমিটেডের কর্মী বলে জানা গেছে। সকালে তারা চট্টগ্রাম থেকে রাঙামাটিতে বেড়াতে আসেন। সন্ধ্যায় রাঙামাটি থেকে চট্টগ্রাম ফেরার পথে শহরের মানিকছড়ির ঢালু সড়ক নামার সময় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়।

বাসের যাত্রী মো. হানিফ জানান, রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্স থেকে বাস ছাড়ার পর পর্যটন এলাকা এবং শহরের পুরাতন বাস স্টেশন এলাকায় দুই দফা দুর্ঘটনায় পতিত হয় বাসটি। পরে বাসটি সাময়িক মেরামত করে আবার চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করা হয়। তখন বাসে ১৫ জনের মতো যাত্রী ছিল। বাসটি মানিকছড়ির বাকের ঢালু রাস্তায় নামার পথে উল্টে যায়।

রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, দুর্ঘটনার সংবাদ শোনার সঙ্গে সঙ্গে আমরা টিম নিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করি। দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে আমরা আমাদের ইকুইপমেন্ট দিয়ে একজনের মরদেহ উদ্ধার করি। পরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের এক্সেভেটর আসার পর আমরা আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই। উদ্ধার কাজ এখনো চলছে। বাকিটা পরে বলা যাবে। ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছেন সেনাবাহিনী, পুলিশ ও রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা।

এদিকে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলামসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

 


আরও খবর



‘জিম্মি জাহাজ উদ্ধার নিয়ে ভারতীয় নৌবাহিনীর দাবি ভিত্তিহীন’

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এম ভি আবদুল্লাহকে মুক্ত করার কোনো প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি। ভারতীয় নৌবাহিনীর অভিযানে এম ভি আবদুল্লাহ মুক্ত হয়েছে বলে যে অসত্য খবর প্রচার করা হচ্ছে, তাতে জিম্মি ২৩ নাবিকের জীবন আরও শঙ্কায় পড়ছে বলে মনে করছে জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম।

প্রতিষ্ঠানটির মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, আটক জাহাজ মুক্ত করতে নানাভাবে চেষ্টা চলছে। তবে নানা জটিলতায় এখনও সেই প্রক্রিয়া শুরু করা যায়নি। এমভি আব্দুল্লাহকে ভারতীয় নৌবাহিনীর সহায়তায় মুক্ত করা গেছে বলে প্রকাশিত সংবাদটি গুজব।

এদিকে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনও জানিয়েছে, ভারতীয় নৌবাহিনীর অভিযানে এম ভি আবদুল্লাহ মুক্ত হয়েছে বলে ভারতীয় কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই খবর ভিত্তিহীন।

জিম্মি নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা নির্ভরশীল একটি সূত্র জানায়, শনিবার মধ্যরাতে নাবিকেরা জানিয়েছেন, মিডিয়ায় জিম্মি জাহাজ মুক্তির খবর দেখে তাঁরা বেশ দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

নাবিকেরা জানিয়েছেন, শুক্রবার সোমালিয়ার উপকূলের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় ইউরোপ আর ভারতীয় দুই যুদ্ধজাহাজ সোমালিয়ার জলদস্যুদের থামতে বলে। ওদের ডেকে আনা হয়েছে এমন ধারণা থেকে জলদস্যুরা ক্ষিপ্ত হয়ে এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের ব্রিজে জড়ো করে তাদের দিকে বন্দুক তাক করে রাখে বেশ কিছু সময়। এ সময় জলদস্যুরা অস্ত্রের মুখে এমভি আবদুল্লাহর ক্যাপ্টেনকে ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজকে দূরে সরে যাওয়ার বেতার বার্তা পাঠাতে বাধ্য করে। ফলে নৌবাহিনীর জাহাজ দুটোও পিছু হটে। এরপরই এমভি আবদুল্লাহকে আরও উত্তরদিকে নিয়ে যায় জলদস্যুরা। যাচাইবাছাই ছাড়া কোনো ধরনের খবর প্রকাশ না করার জন্য নাবিকদের পক্ষ থেকে বারবার অনুরোধ জনানো হয়েছে।

এদিকে গতকাল শনিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদও জিম্মি হওয়া জাহাজ নিয়ে সতর্ক হয়ে সংবাদ প্রকাশ করতে সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন। মন্ত্রী বলেন, দেশে নাবিকদের স্বজনদের আহাজারি ও সরকারের এ বিষয় নিয়ে উদ্বেগ ও তৎপরতা প্রতিনিয়ত স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দেখছে জলদস্যুরা। এতে জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে প্রভাব পড়তে পারে।

সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছ থেকে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ ও নাবিকদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে মুক্ত করতে সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।

গত ৪ মার্চ বাংলাদেশের এস আর শিপিংয়ের ১৩ মিটার গভীরতার জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা দেয়। এরপর গত মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে খবর আসে, ভারত মহাসাগরে জাহাজটি ছিনতাই হয়েছে।

জলদস্যুদের উৎপাতের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ ভারত মহাসাগরে অস্ত্রধারী নিরাপত্তারক্ষীসহ জাহাজ চলাচলের নিয়ম রয়েছে। এ ছাড়া জাহাজের চারপাশে তারকাঁটার বেষ্টনী, হাইস্পিড ওয়াটারগানসহ বিভিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু দস্যুদের কবলে পড়া এমভি আবদুল্লাহতে এসব ব্যবস্থার কোনোটিই নেওয়া হয়নি।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, কয়লাবোঝাই জাহাজটির পানির ওপরের অংশের উচ্চতা কম হওয়ায় খুব সহজেই এটিতে চড়ে বসে দস্যুরা। যার ফলে অনেকটা বিনা বাধায় জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেয় তাঁরা।


আরও খবর



ময়মনসিংহে স্থানীয় ৫ পত্রিকার ডিক্লারেশন স্থগিত

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

ময়মনসিংহে প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ না করায় স্থানীয় পাঁচটি দৈনিক পত্রিকার ডিক্লারেশন স্থগিত করেছে জেলা প্রশাসন।

সোমবার (২৫ মার্চ) ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পত্রিকাগুলো হলো দৈনিক মাটি ও মানুষ, দৈনিক ভূ-মণ্ডল, দৈনিক ভোরের অপেক্ষা, দৈনিক উন্নয়ন সংবাদদৈনিক কালের আলো

এর মধ্যে গত ১৪ মার্চ দৈনিক মাটি ও মানুষ, দৈনিক ভূ-মণ্ডল, দৈনিক ভোরের অপেক্ষা, দৈনিক উন্নয়ন সংবাদ এবং ১৮ মার্চ দৈনিক কালের আলো পত্রিকার ডিক্লারেশন স্থগিত করা হয়।

জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, নিয়মিত না ছাপা, সম্পাদক-প্রকাশকের নাম থাকা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ না করায় স্থানীয় পাঁচটি দৈনিক পত্রিকার ডিক্লারেশন স্থগিত করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: ময়মনসিংহ

আরও খবর



দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বর্তমানে জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ করাই আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা এখন গুরুত্ব দিয়ে এই কাজটিই করছি।

আজ মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের শেষ দিনের কার্যঅধিবেশনে অংশ নেওয়ার পর সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসকরা কিছু বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেছেন। ভার্চুয়াল কোর্টের ব্যবস্থা করা যায় কি না, এ বিষয়টিও পর্যালোচনা করে দেখার কথা বলেছেন। বিপজ্জনক আসামিদের আদালতে আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে যাতে কোনো সমস্যা না হয় এ বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা সারা দেশে ভার্চুয়াল কোর্টের বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করবো।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় রেখে জেলা প্রশাসকদের কাজ করার জন্য বলা হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী জেলা প্রশাসকরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশে থাকবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।


আরও খবর



সরকার নির্ধারিত ১৬৩ টাকা মূল্যে কোথাও নেই সয়াবিন তেল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

সরকার খুচরা বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৪৯ টাকা ও বোতলজাত ১৬৩ টাকা মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়ার ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও এই দামে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না সয়াবিন তেল। রাজধানীর বেশিরভাগ দোকানে খোলা সয়াবিন তেল ১৫৫ থেকে ১৬০ এবং বোতলজাত তেল ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বুধবার (০৬ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মালিবাগ বাজার ও শুক্রাবাদ বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে তেলের বাজারে দাম নিয়ে এমন হুলস্থুল কাণ্ডের কারণে অনেকে সাময়িকভাবে তেল বিক্রি বন্ধ রেখেছেন।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা কমানোর ঘোষণা আসে। দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা বিষয়ক টাক্সফোর্সের সভা শেষে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এ তথ্য জানান। ১ মার্চ থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছিল।

দোকানিরা বলছেন, দাম কমানোর ঘোষণার পর পাইকারি বাজার থেকে পর্যাপ্ত তেল ছাড়ছে না। আর সরকার দাম কমানোর পর পাইকারি বাজার থেকে অর্ডারের তেল এখনও দোকানে আসেনি। অন্যদিকে সরকার কর্তৃক দাম কমানোর ৬ দিন পরও সেটি বাস্তবায়ন না হওয়ায় ক্ষোভ ঝাড়ছেন ক্রেতারা।

তেলের দাম না কমার কারণ জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের মুদি দোকান নূর আলম জেনারেল স্টোরের মালিক নূর আলম বলেন, কম দামের তেল আমরাই পাচ্ছি না। কম দামে বিক্রি করব কীভাবে।”

তিনি আরও বলেন, ডিলাররা এখনো পুরোনো দামেই সয়াবিন দিচ্ছে। দাম সামান্য করে কমাচ্ছে। তাতে আমরা আগের থেকে কিছুটা কম দামে ক্রেতাদের সয়াবিন দিতে পারছি।”

সরকার ঘোষণার আগে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৭৫ টাকায় বিক্রি করতেন বলে জানান এই খুচরা বিক্রেতা।

শামীম নামের একজন খুচরা বিক্রেতা বলেন, কোম্পানিগুলো সয়াবিন তেলের বোতলের গায়ে বাড়তি দামের মোড়ক লাগিয়ে রাখে। কিন্তু কমানোর সময় ধীরগতিতে কমায়। এবার নতুন দাম কার্যকরের ঘোষণা বেশ আগেভাগে দেওয়া হলেও মিল থেকে ডিলার হয়ে এখনো নতুন দামের পণ্য আসেনি। সে জন্য ভোক্তা পর্যায়ে এখনো ভোজ্যতেলের দাম কমানোর সুবিধা পুরোটা মিলছে না।”

অন্যদিকে তেলের বাজারের এই পরিস্থিতির কারণে সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধ রয়েছে কারওয়ান বাজারের জনতা স্টোরে। দোকানের মালিক সিকান্দার বলেন, সরকার যে ঘোষণা দেয়, যে দাম ঠিক করে দেয়, কোম্পানি সেই দামে মাল ছাড়ে না। ছাড়লেও যে দামে দেয় তাতে মালা বিক্রি করে আরও লস হয়। আবার বেশি মাল রাখলে হুট করে সরকার দাম কমিয়ে দেয়। এতে আমাদের লসে পড়তে হয়। এ কারণে বাজার স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধ রেখেছি।”

কারওয়ান বাজারে তেল কিনতে আসা রাইসুল অরণ্য বলেন, সরকার থেকে দাম কমানোর পরও বেশি দামে তেল বিক্রি হচ্ছে। দোকানিরা বলছেন, নতুন তেল আসেনি তাই তারা দাম বেশি রাখছেন। কিন্তু দাম বাড়ালে তখন তো নতুনের জন্য অপেক্ষা করে না। দাম বাড়ার ঘোষণা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তারা সেটি বাস্তবায়ন করে ফেলেন।”

এ বিষয়ে প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার অনুরোধও জানান তিনি।

আব্দুল গফুর নামের একজন বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, বাজারের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে সরকার বা কোনো কর্তৃপক্ষের কোনো কর্তৃত্ব নেই। সরকারের বাজার মনিটরিং বা ভোক্তা অধিদপ্তর ঠিক মতো মনিটরিং করে কিনা সেটাও বড় একটা প্রশ্ন। সরকার দাম বাড়ানোর পরই যদি বাজারে দাম বাড়তে পারে তাহলে দাম কমানোর পর যদি দাম না কমে তাহলে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন চলে আসে, দাম কমাতে সরকারের স্বদিচ্ছা আছে কিনা। যদি সে ইচ্ছা থাকতো তাহলে বাজার অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।”

মঙ্গলবার বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, বাজারে ১৬৩ টাকায় প্রতিলিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল এবং ১৪৯ টাকায় খোলা তেল পাওয়া না গেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা যে কোনো বাজারে গিয়ে যদি দেখেন ১৬৩ টাকা মূল্যের তেল নেই, তাহলে আমাদের জানাবেন। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ১ তারিখ থেকে সব করাখানা থেকে ১৬৩ টাকা দরে প্রতিলিটার সয়াবিন তেল বাজারজাত করা হচ্ছে, এটা আমরা নিশ্চিত করেছি।”


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের নারীদের সাফল্য অনুকরণীয় : রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের নারীদের সাফল্য আজ অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়। আগামীকাল শুক্রবার (৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আজ দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্ব, সুদূরপ্রসারী চিন্তা ও যথার্থ নীতি বাস্তবায়নের ফলে অর্থনৈতিক, সামাজিক, প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন খাতে অভাবনীয় সমৃদ্ধি, উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের নারীদের সাফল্যও আজ অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৪ উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল নারীর প্রতি রাষ্ট্রপতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে প্রণীত সংবিধানে নারীর সার্বিক উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে এবং নারী-পুরুষের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছেন। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষা, চিকিৎসা, নিরাপত্তা ইত্যাদি ক্ষেত্রে নারীর অগ্রগতি এবং উন্নয়নে বলিষ্ঠ অবস্থান তৈরি করেছেন।

তিনি বলেন, নারীর উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানসমূহকেও নানাবিধ উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য, নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগ এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশে নারীদের সমঅধিকার, সমসুযোগ ও সুষ্ঠু বিকাশের লক্ষ্যে সরকার উন্নয়ন পরিকল্পনার নীতি, কর্মকৌশল হিসাবে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি-২০১১ প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করেছে। পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন-২০১০, পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষা বিধিমালা-২০১৩, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭, যৌতুক নিরোধ আইন-২০১৮, ডিএনএ আইন-২০১৪ এবং নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৩-২০২৫ প্রণয়ন করা হয়েছে, যা বাংলাদেশে নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে মাইলফলক হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশি নারীদের জয়রথ এগিয়ে যাক দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেএটাই আমার প্রত্যাশা।


আরও খবর