আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

রাঙ্গামাটিতে নির্মাণাধীন ব্রীজ ভেঙ্গে নিহত ১, আহত ১৭

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি:

রাঙ্গামাটিতে নির্মাণাধীন ব্রীজ ভেঙে ১ নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ১৭জন। বৃস্পতিবার সকালে রাঙ্গামাটির আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়কে বড়দম এলাকায় ব্রীজের স্পেন ঢালাইয়ের সময় এই দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত নির্মাণ শ্রমিক মোঃ রফিক মিয়া, ধর্মপাশা জেলার সুনামগঞ্জ উপজেলার হলিদাকান্দা এলাকার জনৈক জালাল মিয়ার ছেলে।

আহত এক শ্রমিকরা জানায়, সকালে নির্মাধীন ব্রীজটিতে ঢালাই এর কাজ শুরু হয়। ঢালাইয়ের এক পর্যায়ে আকস্মিকভাবে স্পেন ভেঙে শ্রমিকসহ নিচে পড়ে যায়। এসময় অন্তত ২৫ থেকে ৩০ জন শ্রমিক কমবেশি আহত হয়। তাদের মধ্যে গুরুত্বর আহতদের হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

ঘটনাটির সময় মিক্সারের মেশিনটি মোঃ রফিকের উপর পড়লে সে আহত হয়। পরে উদ্ধার করে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে জরুরীবিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে শ্রমিক মোঃ রফিককে মৃত ঘোষণা করেন।

রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডাঃ শওকত আকবর খান জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় আহত হয়ে সর্বমোট ১৮ জন শ্রমিককে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। এসময় মোঃ রফিক মারা যায় এবং বাকি ১৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

রাঙামাটি কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ কবির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত শ্রমিকের মরদেহটি ময়না তদন্তের জন্য রাঙামাটি সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মগবান ইউনিয়নের বড়াদম এলাকায় নির্মাণাধীন ব্রীজটির নির্মাণ কাজ এলজিইডি এবং মেসার্স জসিম এন্টারপ্রাইজের তত্ত্বাবধানে চলছে।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম আর নেই

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রোববার (১০ মার্চ) রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। সেখানে হয়েছে, প্রেস সচিব ইহসানুল করিমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২০১৫ সাল থেকে সচিব পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হিসেবে কাজ করছিলেন ইহসানুল করিম। ২০২২ সালের ১৯ জুন দুই বছরের জন্য নতুন করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান তিনি।

ইহসানুল করিম রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন।


আরও খবর



জলদস্যুদের আক্রমণের আদ্যোপান্ত চিফ অফিসারের গোপন অডিও বার্তায়

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ভারত মহাসাগরে জলদস্যুরা বাংলাদেশের পতাকাবাহী এম ভি আবদুল্লাহ নামের জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এটিকে আফ্রিকার দেশ সোমালিয়া উপকূলের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যেই গোপনে জাহাজ মালিকের কাছে এক অডিও বার্তা পাঠিয়েছেন চিফ অফিসার মো. আবদুল্লাহ। ৩ মিনিট ৩৪ সেকেন্ডের ওই অডিও বার্তায় জলদস্যুদের কবলে পড়ার পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে জানিয়েছেন জাহাজ ও তাদের বর্তমান পরিস্থিতিও।

মো. আবদুল্লাহ তার অডিও বার্তায় জানান, জাহাজটিতে খাবার পানির পরিমাণ কম। আবার যেসব কার্গো রয়েছে সেগুলোও বিপজ্জনক। রয়েছে অগ্নিঝুঁকিও। সোমালিয়ান জলদস্যুরা জাহাজে ওঠার পর কার সঙ্গে কী আচরণ করেছে তাও বর্ণনা করেছেন তিনি।

তার অডিও বার্তাটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

আসসালামুলাইকুম স্যার, আমি চিফ অফিসার আবদুল্লাহ বলছি।

আজকে সকালে জাহাজের সময় আনুমানিক সাড়ে ১০টার সময় একটা হাইস্পিড বোট আমাদের দিকে আসছিল। সঙ্গে সঙ্গে আমরা এলার্ম দিয়ে ব্রিজে গেলাম। ওখান থেকে পরে সিটে চলে গেলাম। ক্যাপ্টেন স্যার ও সেকেন্ড অফিসার ব্রিজে ছিল। আমরা ঝিকঝাক কোর্স করলাম। তারপর এএসএস-এ করলাম। ইউকে এমটিকেও ট্রাই করলাম। কিন্তু তারা ফোন রিসিভ করেনি। এর মধ্যে জলদস্যুরা চলে আসলো।

চলে আসার পর ওরা ক্যাপ্টন স্যার ও সেকেন্ড অফিসারকে জিম্মি করে। আমাদের ডাকল। আমরা সবাই আসলাম। আমাদের ডেকে কিছু গোলাগুলি করল। আমরা একটু ভয় পেয়েছি। সবাই ব্রিজে বসে ছিলাম। কারো গায়ে হাত তোলেনি। শুধু সেকেন্ড অফিসারকে একটু মারধর করেছে। তারপর ওরা আরেকটি স্পিডবোটে করে আরও কয়েকজন চলে আসল। এভাবে মুহূর্তেই প্রায় ১৫-২০ জন চলে আসে।

এর কিছুক্ষণ পরে একটি বড় ইরানিয়ান ফিশিং বোট নিয়ে আরও জলদস্যু চলে আসে। ইরানিয়ান ওই ফিশিং বোটটি এক মাস আগে তারা জিম্মি করেছিল। এটি দিয়ে তারা এক মাস ধরে নতুন কোনো জাহাজ জিম্মি করার জন্য সাগরে ঘোরাঘুরি করছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা সামনে পড়ে গেলাম।

এই ফিশিং বোটের তেল শেষ হয়ে গিয়েছিল। আমাদের জাহাজে থাকা পাম্প দিয়ে কিছু ডিজেল নিয়ে ওই বোটে দিয়েছে তারা। তেল দেওয়ার পর আমাদের জাহাজে উঠে জিম্মি করা ফিশিং বোটটিকে ছেড়ে দেয়।

তারপর ওরা আমাদের সেকেন্ড ও থার্ড অফিসারকে নিয়ে জাহাজের ইঞ্জিন রুমে যায়। তাদের নিয়ে গিয়ে জাহাজের ইঞ্জিন বন্ধ করে দেয়। এখন পর্যন্ত আল্লাহর রহমতে কারো কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। জাহাজের কোনো ক্ষতি হয়নি। আমাদেরও কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে সবাই ভয়ে আছি। ওরা খুব ভয় দেখাচ্ছে।

আমাদের জাহাজে ২০-২৫ দিনের খাবার পানি আছে। প্রায় ২০০ মেট্রিক টনের মতো। সবাইকে বলেছি, এগুলো একটু সাবধানে ব্যবহার করতে। শেষ হয়ে গেলে বিপদে পড়ব আমরা। তবে, একটা সমস্যা হচ্ছে আমাদের জাহাজে কিছু কোল্ড কার্গো আছে। প্রায় ৫৫ হাজার টন। এগুলো একটু ডেঞ্জারাসও। ফায়ারেরও ঝুঁকি আছে। মিথেন বাড়ে। লাস্ট যখন অক্সিজেন মেপেছি তখন ৯-১০ শতাংশ লেভেল পেয়েছি। এটি নিয়মিত মনিটরিং করতে হয়। কোনো কারণে অক্সিজেন লেভেল বেড়ে গেলে বিশেষজ্ঞের মতামত নিতে হবে। এটার একটু ব্যবস্থা করবেন, স্যার।

আমাদের জন্য দোয়া করবেন, স্যার। আমাদের পরিবারকে একটু দেখবেন, স্যার। সান্ত্বনা জানাবেন, স্যার। আসসালামুলাইকুম।


আরও খবর



মালদ্বীপে সাদা পোশাকেও থাকতে পারবে না ভারতীয় সেনা : মুইজ্জু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু বলেছেন, সাদা পোশাকেও কোনো ভারতীয় সেনা মালদ্বীপে থাকবে না। আগামী ১০ মের পর কোনো ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা, এমনকি বেসামরিক পোশাক পরিহিতরাও মালদ্বীপে থাকবে না। আমি এটি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই বলছি।

গতকাল সোমবার চীনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সামরিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে মালদ্বীপ। এই চুক্তির আওতায় চীন মালদ্বীপকে বিনামূল্যে সামরিক সহায়তা দেবে। এই চুক্তি স্বাক্ষরের দিনেই মুইজ্জু এমন কড়া বার্তা দিয়েছেন। মালদ্বীপের সংবাদমাধ্যম দ্য এডিশনের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

মালদ্বীপের তিনটি বিমানবন্দরের মধ্যে একটির দায়িত্ব নিতে একটি ভারতীয় বেসামরিক দল দ্বীপরাষ্ট্রে পৌঁছার সপ্তাহ না পেরোতেই প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর এমন বার্তা এলো। যদিও ১০ মার্চের মধ্যে সেনা কর্মকর্তাদের প্রত্যাহারের বিষয়ে দুই দেশ আগেই একমত হয়েছে।

দ্য এডিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালদ্বীপের বাএ অ্যাটল দ্বীপ সফরকালে প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ভারতীয় সেনাদের বিতাড়িত করার ক্ষেত্রে সরকারের সাফল্য নিয়ে অনেকেই গুজব ছড়াচ্ছে, তারা পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে। তারা বলার চেষ্টা করছে, ভারতীয় সেনারা চলে যাচ্ছে না, তারা ইউনিফর্ম পাল্টে বেসামরিক পোশাকে ফিরে আসছে; কিন্তু আমাদের এমন চিন্তাভাবনা করা উচিত নয়, যা আমাদের মনে সন্দেহ জাগায় এবং মিথ্যা ছড়ায়।

গত ২ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে দুইপক্ষের মধ্যে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পরে মালদ্বীপের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছিল, ভারত ১০ মের মধ্যে মালদ্বীপে তিনটি বিমানবন্দরে থাকা ভারতীয় সেনাদের স্থানান্তর করবে এবং প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ ১০ মার্চের মধ্যে সম্পন্ন হবে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি সংসদে দেওয়া প্রথম ভাষণেও মুইজ্জু একই ধরনের মন্তব্য করেন।

মালদ্বীপের তিনটি ভারতীয় প্ল্যাটফর্মে ৮৮ জন ভারতীয় সেনা রয়েছেন। মুইজ্জু গত বছর ভারত-বিরোধী অবস্থান নিয়ে ক্ষমতায় আসেন এবং শপথ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভারত মহাসাগরে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থিত দ্বীপরাষ্ট্রটি থেকে ভারতীয় সেনাদের সরিয়ে দেওয়ার দাবি করেছিলেন।


আরও খবর



খেজুরের দাম কমানোর কথা বলিনি : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

খেজুরের দাম কমানোর কথা বলা হয়নি। খেজুরের যৌক্তিক দাম নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে। রমজান সামনে রেখে খেজুরের আমদানি শুল্ক কমানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

বুধবার (মার্চ ৬) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সেমিনারে বক্তব্য দেয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।

খেজুরের দাম কমানোর প্রভাব বাজারে চোখে পড়ছে কি না এমন প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, খেজুরের দাম কমানো হবে কোথাও বলা হয়নি। বলা হয়েছে যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করা হবে। আমরা রমজানের আগে আমদানি শুল্ক কমানোর কথা বলেছি। ট্যারিফ কমিশন বিষয়টি দেখছে। আমরা আজকেই এ বিষয়ে নির্দেশনা দেবো।

তিনি আরও বলেন, সব সময়ই এক দল লোক থাকবে যারা ব্যবসায়িক সুযোগ নিয়ে মানুষের কষ্ট বাড়াবে। তারা প্রকৃত ব্যবসায়ী না। কারণ, দীর্ঘমেয়াদে ব্যবসা করতে হলে মানুষকে ন্যায্যমূল্যে পণ্য দিতে হবে। তাহলেই কিন্তু মানুষ তাদের কাছে বারবার আসবে।

পিয়ার রিভিউ ডিসেমিনেশন ওয়ার্কশপ অন কমপিটিশন অ্যাক্ট অব বাংলাদেশ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আঙ্কটাড) এর ইকোনোমিক অ্যাফেয়ার্স অফিসার এলিজাবেথ গাচৌরি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




সগিরা মোর্শেদ হত্যা, ২ আসামির যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

তিন যুগ আগে পারিবারিক দ্বন্দ্বে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তিন আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালাত।

বুধবার (১৩ মার্চ) ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ মোহাম্মদ আলী হোসাইন এ রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরীর শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান ও মারুফ রেজা।

১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় সগিরার স্বামীর করা মামলায় মারুফ রেজা ও আনাস মাহমুদকে আসামি করা হয়।

২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম আদালতে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, সগিরা মোর্শেদের পরিবারের সঙ্গে আসামি শাহীনের বিভেদ তৈরি হয়েছিল। এছাড়া শাশুড়ি সগিরাকে অপছন্দ করতেন এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সগিরা-শাহীনের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। সম্বোধন করা নিয়েও ছিল পারিবারিক দ্বন্দ্ব।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, সগিরার কাজের মেয়েকে মারধর করেন আসামি ডা. হাসান আলী চৌধুরী। এ নিয়ে পারিবারিক বৈঠকে সগিরাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন শাহীন। আসামিরা নিজেদের বাসায় বসে সগিরাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ডা. হাসান আলী তার চেম্বারে অন্য আসামি মারুফ রেজার সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় হত্যার চুক্তি করেন।চুক্তি করা ২৫ হাজার টাকার মধ্যে মারুফ রেজাকে ১৫ হাজার টাকা দেন হাসান আলী। ১০ হাজার টাকা পরে দেওয়ার কথা বললেও আর দেননি।

২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত সগিরা মোর্শেদের ভাসুরসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর মধ্যদিয়ে দীর্ঘ ৩১ বছর পর এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হয়। এরপর গত বছরের ১১ জানুয়ারি মামলার বাদী ও সগিরা মোর্শেদের স্বামী আব্দুস সালাম চৌধুরী আদালতে সাক্ষ্য দেন। এর মধ্যদিয়ে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।এ মামলায় ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।


আরও খবর