জিম্বাবুয়েতে জিম আফ্রো টি-টেন লিগের প্রথম
আসরে জোবার্গ বাফেলোসের খেলেছেন বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। প্রথমবার
জিম্বাবুয়েতে আয়োজিত ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটিতে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত খেলেছেন মুশফিক।
তার দল ফাইনালে উঠলেও শিরোপা জিততে ব্যর্থ হয়। ফলে রানার্সআপ হয়েই আসর শেষ করে দেশে
ফিরেছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যায় ঢাকার হযরত
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখেন মুশফিক। বিসিবি থেকে অনাপত্তিপত্র নিয়ে
জিম্বাবুয়েতে ১১ দিন অবস্থান করেছিলেন তিনি। এর আগে টুর্নামেন্টে অংশ নিতে ১৯ জুলাই
দেশ ছেড়েছিলেন টাইগার অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।
আরও পড়ুন: কানাডায় খেলা হলো না আফিফের
টুর্নামেন্টের শুরুটা ভালো না হলেও শেষদিকে
দাপট দেখিয়ে ফাইনালে ওঠে মুশফিকের দল জোবার্গ বাফেলোস। দলের হয়ে আসরে ছয় ইনিংস ব্যাট
করার সুযোগ পান মুশফিক। কিন্তু তারপরও ফাইনালের একাদশে জায়গা হয়নি তার। শিরোপা নির্ধারণী
ম্যাচে ডার্বান কালান্দার্সের কাছে হেরে যায় তার দল জোবার্গ। ফলে সুখস্মৃতি নিয়ে দেশে
ফেরা হলো না মুশফিকের।
আবুধাবী টি-টেন লিগের অনুকরণে গত ২১ জুলাই
থেকে ৫ দল নিয়ে প্রথমবারের মতো জিম্বাবুয়েতে আয়োজিত হয় ১০ ওভারের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট।
এবারের আসরে বাংলাদেশ থেকে সুযোগ পেয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ ও মুশফিকুর রহিম। বুলাওয়ে
ব্রেভসের হয়ে তাসকিন আহমেদ ৭ ম্যাচ খেললেও মুশফিকুর রহিমের সুযোগ হয় ৮ ম্যাচ খেলার।
আরও পড়ুন: চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলেন তামিম
৮ ম্যাচ খেলে ৬ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে
১৬৮ স্ট্রাইক রেটে ১২৬ রান করেছেন মুশফিক। ৬ ইনিংসের মধ্যে মাত্র একটি ইনিংসে আউট হওয়ায়
মুশফিকের ব্যাটিং গড় ১২৬! ১০ ওভারের ক্রিকেটে একজন মিডল অর্ডার ব্যাটারের এমন গড় রীতিমতো
অবিশ্বাস্যই!
১২৬ গড় নিয়ে মুশফিক সবার উপরে আছেন এবারের
আসরে। গড়ের দিক থেকে তার ধারেকাছেও নেই আর কেউই। ৫২ গড় নিয়ে ২ নম্বরে আছেন ইনোসেন্ট
কাইয়া যদিও এই জিম্বাবুইয়ান খেলেছেন মাত্র ২ ম্যাচ। এর পরে ইউসুফ পাঠান ৪২.৪০, ডেনোভান
ফেরেইরা ৩৮.৮৩। তাছড়া করিম জানাত ৩৮ গড়ে রান করেছেন।
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকিট পেল আয়ারল্যান্ড
আপাতত কয়েক দিনের বিশ্রামে থাকবেন মুশফিকুর
রহিম। এরপর যোগ দেবেন এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ৩২ ক্রিকেটারকে নিয়ে বিসিবির
ডাকা প্রস্তুতি ক্যাম্পে। ব্যাট হাতে মুশফিক যেমন ভাল করেছেন তেমনি বল হাতে তাসকিনও
ছিলেন দুর্দান্ত। ৭ ইনিংসে বল হাতে নিয়ে ১১ উইকেট শিকার করেছেন এই টাইগার স্পিডস্টার।
প্রতি ৭.৬৪ বল পর পর একটি করে উইকেট শিকার করেছেন তাসকিন। তিনিও কিছুদিন বিশ্রাম নিয়ে
প্রস্তুতি ক্যাম্পে যোগ দেবেন।