আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

রামপুরায় বাসচাপায় শিক্ষার্থী নিহত, আট বাসে উত্তেজিত জনতার আগুন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ নভেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ নভেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

রাজধানীর রামপুরায় অনাবিল পরিবহনের বাসের চাপায় এসএসসি পরীক্ষার্থী মো. মাইনুদ্দীন ইসলাম দুর্জয়ের মৃত্যু হয়েছে। এসময় উত্তেজিত জনতা সড়ক অবরোধ করে আটটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিক্ষার্থী একরামুন্নেসা স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডিআইটি রোডের রামপুরা কাঁচা বাজারের উল্টোদিক থেকে রাইদা পরিবহনের একটি বাসে উঠতে গেলে মো. মাইনুদ্দীন ইসলাম দুর্জয়কে উঠতে দেওয়া হয়নি। এসময় পেছন থেকে আসা দ্রুতগতির অনাবিল পরিবহনের আরেকটি বাস তাকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই দুর্জয় মারা যায়। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা সড়ক অবরোধ করে ৮টি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় আরও চারটি বাস ভাংচুর করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের কেউ কেউ বলছেন, ছেলেটি সড়ক পার হচ্ছিল। এসময় দুটি বাসের প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়ে যায় সে।

সূত্র জানায়, নিহতের রক্তাক্ত লাশ সড়কে পড়ে থাকতে দেখে আশপাশের মানুষ দ্রুত উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এর আগে সেদিনই ওই সড়কে ইম্পেরিয়াল কলেজের এক শিক্ষার্থীকে বাস থেকে গলাধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। সেদিন শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছিল। এই রুটে অনেকগুলো কোম্পানির বাস চলে, চালকদের মধ্যে সবসময় একটি অসুস্থ প্রতিযোগিতা দেখা যায়।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া শাখার কর্মকর্তা মো. রায়হান বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে সাতটি ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট কাজ করছে। আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনার পর বেশ কয়েকটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আপাতত যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বাস চালককে গ্রেফতার এবং ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।

নিহত মাইনুদ্দিনের বাবা মো. আব্দুর রহমান চায়ের দোকান চালান। পূর্ব রামপুরার তিতাস রোডে ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে থাকেন তিনি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার স্থায়ী বাসিন্দা তারা। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে দুর্জয় সবার ছোট।


আরও খবর



পেঁয়াজের দাম কমে অর্ধেক, তবুও নেই ক্রেতা

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের পাইকারি বাজার দাম ১১৫ থেকে ১২০ টাকা কেজি থাকলেও প্রশাসন কোনো অভিযানে নামেনি। এ ছাড়া আমদানিকারকরা বিকল্প উৎস থেকেও পেঁয়াজ আনেনি। এর পরও পেঁয়াজের কেজি অর্ধেকে নেমে এখন ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা। তবুও ক্রেতা নেই।

এদিকে ঢাকার খুচরা বাজারেও সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) খুচরায় প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ মানভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা এক সপ্তাহ আগেও ৮০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। পাইকারি বাজারে গতকাল এই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪২ থেকে ৪৩ টাকা কেজি।

ঢাকার পাইকারি কারওয়ান বাজারের আড়তদার জালাল বলেন, পর্যাপ্ত সরবরাহের কারণে পেঁয়াজের দাম কমে গেছে। আজ (মঙ্গলবার) আমরা পাইকারিতে ৪২ থেকে ৪৩ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করেছি।

হঠাৎ করে দাম কমার কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, রোজার আগে থেকে অনেক আড়তদার পণ্যটি মজুদ করেছিলেন বলে তথ্য দিয়েছেন ব্যবসায়ীরাই। এখন আমদানির খবর পেয়ে তারাই অতিরিক্ত লোকসানের ভয়ে কম দামে পণ্যটি ছেড়ে দিচ্ছেন। তবে খাতুনগঞ্জের আড়তদাররা দাবি করেছেন, পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য। এটি মজুদ করা সম্ভব নয়। এখন দেশি পেঁয়াজ ক্ষেত থেকে পর্যাপ্ত সরবরাহ হওয়ায় দাম কমছে।

গত ৭ ডিসেম্বর ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রাখার ঘোষণার পর অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে পেঁয়াজের বাজার। রাতারাতি খাতুনগঞ্জেই কেজিপ্রতি ভারতীয় পেঁয়াজের দাম উঠেছিল ২০০ টাকায়। পুরোনো এলসির প্রায় পাঁচ হাজার টন পেঁয়াজ আসায় গত ২২ ডিসেম্বর খাতুনগঞ্জে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল কেজিপ্রতি ১৭০ টাকা।

এরপর ভারত থেকে বৈধ পথে আর কোনো পেঁয়াজ দেশে আসেনি। এখন আড়তগুলোতে যেসব ভারতীয় পেঁয়াজ দেখা যাচ্ছে সবটাই চোরাইপথে আসা।

চলতি বছরের শুরুতে ভারতীয় পেঁয়াজ কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছিল ১৩০ টাকা পর্যন্ত। এরপর দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে এলে ১০০ টাকার নিচে চলে আসে পেঁয়াজের কেজি। ফেব্রুয়ারির ২৯ তারিখ পর্যন্ত খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। মার্চের ১৫ তারিখ থেকে ক্রমাগত এক-দুই টাকা করে কমতে থাকে দাম। সর্বোচ্চ গত সোমবার দাম নেমে আসে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়।

মঙ্গলবার সকালে খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের আড়তে গিয়ে দেখা যায়, বেশির ভাগ আড়ত দেশি পেঁয়াজে ভর্তি। কিছু ভারতীয় পেঁয়াজও আছে।

খাতুনগঞ্জের মেসার্স আলম অ্যান্ড সন্সের কর্ণধার কবির হোসেন চৌধুরী বলেন, কয়েক দিন ধরে পেঁয়াজের বাজার উঠানামা করছে। গত সোমবার হঠাৎ দাম অর্ধেক হয়ে যায়। তখন দেশি পেঁয়াজ ৪০ টাকা আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছিল। আজকে (মঙ্গলবার) আবার বেড়ে গেছে। দেশি পেঁয়াজ ৫০ আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তিনি জানান, এক সপ্তাহ আগে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি। এখন পর্যাপ্ত সরবরাহের কারণে দামও অর্ধেক কমেছে। তবে ক্রেতা নেই।

এদিকে চট্টগ্রামের খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি সর্বোচ্চ ৬০ টাকা। ভ্যানগাড়িতে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। ভ্যানগাড়ির পেঁয়াজ বিক্রেতা আবদুর রহিম জানান, দেশি পেঁয়াজ ছোটগুলো ৫০ টাকা আর আকারে বড়গুলো ৬০ টাকায় বিক্রি করছেন তিনি।

দাম কমে আসার কারণ হিসেবে খাতুনগঞ্জের একাধিক পেঁয়াজ ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, অনেক আড়তদার আছেন; যারা কৃষকের কাছ থেকে পেঁয়াজ কিনে মজুদ করেছিলেন। তারা যখন দেখতেছেন এপ্রিলেই দেশে ভারতীয় পেঁয়াজ চলে আসবে, তখন অতিরিক্ত লোকসান হবে। সেই ভয়ে সংগ্রহে থাকা পেঁয়াজ বাজারে ছাড়ছেন। ফলে চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত পণ্য বাজারে থাকায় দাম কমছে।

তবে মজুদ করার বিষয়টি মানতে নারাজ খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও পেঁয়াজের আড়তদার মোহাম্মদ ইদ্রিস। তিনি বলেন, এখন কৃষকরা নতুন পেঁয়াজ বিক্রির জন্য তুলতে শুরু করেছেন। ক্ষেত থেকে টন টন পেঁয়াজ আসছে আড়তে। আড়তগুলোতে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজ বেশি। তাই দাম কমছে। এটি পচনশীল পণ্য। আড়তদারদের মজুদ করার সুযোগ নেই।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




সয়াবিন ক্ষেতে এমপি অনুসারীর মৃতদেহ, পরিবারের দাবি হত্যা

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বরিশাল প্রতিনিধি

Image

বরিশালের হিজলা উপজেলায় জামাল মাঝি নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে নিজের অনুসারী জানিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য অভিযোগ করেছেন– জামালকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে দাবি তুলেছে জামালের পরিবার। এলাকাটিতে গত ১৫ দিন ধরে দু’গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা-সংঘর্ষ চলছে– এর জেরে মামলা ও গ্রেপ্তারের মধ্যে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে উল্লেখ করে পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত করে জড়িতদের শনাক্ত করা হবে।

নিজ বাড়ির সামনে মেঘনা নদীর তীরে সয়াবিন ক্ষেত থেকে শনিবার (১৬ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জামালের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবাইর। তিনি ধুলখোলা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড পালপাড়া গ্রামের আ. কাদের মাঝির ছেলে।

জামালকে নিজের অনুসারী দাবি করে বরিশাল-৪ (মেহেন্দিগঞ্জ ও হিজলা) আসনের সংদস সদস্য পংকজ নাথ জানান, জামাল ধুলখোলা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। তাকে যারা হত্যা করেছে তারা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদের অনুসারী।

তিনি অভিযোগ করে আরও জানান, গত ২ মার্চ জামালের বাড়িতে শাম্মীর অনুসারী স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জামাল ঢালীর নেতৃত্বে ৪০/৫০ জন সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। তারা জামাল মাঝিসহ পরিবারের ৭ সদস্যকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। পরে জামাল মাঝির ঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় জড়িত শাম্মীর অনুসারী সাইফুল ইসলাম নামে একজনকে শুক্রবার পেয়ে মারধর করা হয়। ঘটনার পর হিজলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দীপংকর রায় তার (এমপি পংকজ) অনুসারীদের এলাকা ছাড়া করে। কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশের কারণে সবাই এলাকা ছাড়া হলেও জামাল মাঝি একা ছিল। সকালে তাকে পেয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে শাম্মীর অনুসারীরা।

এ ব্যাপারে জানতে ড. শাম্মী আহমেদের ফোনে একাধিকবার কল দিয়েও তার সাড়া পাওয়া যায়নি।

জামালের স্ত্রী আখি বেগম জানান, বাড়ি না ফেরায় রাত ২টার দিকে স্বামীর ফোনে কল দেন তিনি। তখন স্বামী জানিয়েছিল ভালো আছে। সকাল ৯টার দিকে জানতে পারেন স্বামীর মৃতদেহ সয়াবিন ক্ষেতে পড়ে আছে।

আখি বেগমের অভিযোগ– স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জামালউদ্দিন ঢালীর নেতৃত্বে তার সন্ত্রাসী বাহিনী জামাল মাঝিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে জামালউদ্দিন ঢালী বলেন, রাত চারটা পর্যন্ত পুলিশ এলাকায় ছিল। কারা করেছে, তারাই জানে না। আমি কীভাবে জানব। ঘটনাস্থল নির্জন। কে করেছে কেউ দেখেনি।’

তিনি আরও বলেন, সকাল সাতটার দিকে একজন কল দিয়ে আমাকে জানায় সয়াবিন ক্ষেতের মধ্যে একটি লাশ পড়ে আছে। সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ঘটনাস্থলে চৌকিদার (গ্রাম পুলিশ) আলী আশরাফকে পাঠাই। সে লাশ দেখতে পেয়েছে। পরে পুলিশ গিয়েছে।’

চৌকিদার আলী আশরাফ জানান, চেয়ারম্যান কল দিয়ে তাকে বলেন– জামাল মাঝির বাড়ির সামনে সয়াবিন ক্ষেতের মধ্যে তার লাশ পড়ে আছে। সকাল আটটায় সেখানে গিয়ে লাশ দেখতে পান তিনি। পরে পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দীপংকর রায় বলেন, পরিত্যক্ত অবস্থায় লাশ পেয়েছি। কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তদন্ত করে বলতে পারব হত্যাকাণ্ডে কারা জড়িত ছিল।’

এমপির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত ১৫ দিন ধরে ধুলখোলা ইউনিয়নে দুই গ্রুপের মধ্যে হামলা, পাল্টা হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। থানা ও আদালতে পাঁচটি মামলা করেছে এক পক্ষ অপরপক্ষের বিরুদ্ধে। শুক্রবার একজনকে মারধরের খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে দেখি দুই পক্ষ স্বশস্ত্র অবস্থায় রয়েছে। তখন দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুই পক্ষকে নিবৃত্ত করা হয়েছে।’


আরও খবর



কারও ফেসবুক হ্যাক হয়নি, আতঙ্কিত হবেন না : পুলিশ

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক হঠাৎ করে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের ব্যবহারকারীরা কেউ ফেসবুকে লগইন করতে পারছেন না। হঠাৎ ফেসবুকে ঢুকতে না পেরে অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তাদের আতঙ্কিত না হতে অনুরোধ করেছেন ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের এসপি মো. নাজমুল ইসলাম।

ফেসবুকের বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর তিনি এ কথা জানান। মঙ্গলবার রাতে এ বিষয়ে একটি ভিডিও বার্তা দেন এসপি নাজমুল।

ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ফেসবুকের কার্যক্রম বর্তমানে কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ বিষয়টি নিয়ে আমরা বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ এবং সিঙ্গাপুরের ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে সমস্যার সমাধানে তারা কাজ করে যাচ্ছে। দ্রুতই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, এটা সম্পূর্ণ ফেসবুকের কারিগরি সমস্যা, কেউ আতঙ্কিত হবেন না। এতে ফেসবুক অ্যাকাউন্টধারী বা ফেসবুক অ্যাপের কোনো ত্রুটি নেই। পাসওয়ার্ড বা আর্থিক কোনো বিষয়েও সংশ্লিষ্টতা নেই। আপনার ফেসবুক হ্যাক হয়নি, তাই কেউ আতঙ্কিত  হবেন না। শিগগিরই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টার পর থেকে এ সমস্যার কথা জানাতে থাকেন ব্যবহারকারীরা। বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে কর্মীরা ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন, তারা ফেসবুক ব্যবহার করতে পারছেন না। ঢাকা পোস্টের কর্মীরাও ফেসবুক লগইন করতে পারছেন না বলে জানান।

এদিকে রাত ১০টার দিকে ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষক ডাউনডিটেক্টরে দেখা যায়, রাত ৯টা ৩২ পর্যন্ত ৫ লাখ ৪১ হাজার ৫৭৩ জন ব্যবহারকারী তাদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন। তারা এও জানতে চাচ্ছেন কী হয়েছে সামজিক মাধ্যমটির? কেনই বা লগইন করা যাচ্ছে না? কখন ঠিক হবে?

ডাউনডিটেক্টরের মন্তব্যের ঘরে ব্যবহারকারীদের এমন অসংখ্য প্রশ্ন দেখা যায়। যদিও এ প্রসঙ্গে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি মেটা কর্তৃপক্ষ।

ডাউনডিটেক্টর ছাড়াও ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট, অ্যাপ এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ফেসবুক বিভ্রাটের বিষয়টি রিপোর্ট করছেন ব্যবহারকারীরা। সেই সঙ্গে এ অভিযোগের সংখ্যা আজ রাত ১০টার পর থেকে আকস্মিকভাবে বৃদ্ধি পায়।


আরও খবর
গুগল ডুডলে মহান স্বাধীনতা দিবস

মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪




এস আলমের চিনির কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

এবার চট্টগ্রামে এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলে (চিনি কারখানা) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৪ মার্চ) বিকাল ৩টা ৫৩ মিনিটে নগরীর কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্যারটেক এলাকার এই কারখানায় আগুন লাগে।

খবর পেয়ে বিকাল ৪টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ স্টেশনের ৯ ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করছে। এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক এম ডি আবদুল মালেক বলেন, এস আলম গ্রুপের একটি চিনির কারখানায় আগুন লেগেছে। নিয়ন্ত্রণে আগ্রাবাদ, লামার বাজার, চন্দনপুরা, কর্ণফুলী ও কালুরঘাট স্টেশনের ৯ ইউনিট কাজ করছে।

এর আগে গত শুক্রবার (১ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে বাকলিয়া থানার পাশে এস আলম গ্রুপের নির্মাণাধীন তাজা মাল্টিপারপাস কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডহিমাগারে আগুন লেগেছিল। ফায়ার সার্ভিসের তিনটি স্টেশনের ১০ ইউনিট প্রায় তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে দুপুর ২টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।


আরও খবর



মুশতাক-তিশা দম্পতিকে সতর্ক করল আদালত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদের উদ্দেশ্যে আদালত বলেছেন, নিজেদের সফল দম্পতি হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখানো থেকে বিরত থাকবেন। আপনাদের মাধ্যমে আর কেউ যাতে অ্যাফেক্টেড (প্রভাবিত) না হয়।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) মামলার দুই আসামি খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীর অব্যাহতির সুপারিশ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন (ফাইনাল রিপোর্ট) শুনানিকালে আদালত এ মন্তব্য করেন। ধর্ষণের অভিযোগে সিনথিয়া ইসলাম তিশার বাবা সাইফুল ইসলাম গত বছর এ মামলা করেন। এদিন শুনানিতে বাদীপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী নারাজি বিষয়ে শুনানি করেন।

তিনি বলেন, আসামি মুশতাক আহমেদ বাদীকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন। কাপল (দম্পতি) হিসেবে তারা সমাজে খারাপ দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করছেন। সমাজে দেখানোর চেষ্টা করছেন তারা সফল কাপল, যাতে সমাজে খারাপ ইফেক্ট পড়ছে। এতে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে খারাপ মনোভাব তৈরি হচ্ছে। আসামি ভিকটিমকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে করেছেন। সমাজে যাতে এ ধরনের উদাহরণ সৃষ্টি না তৈরি হয়, সেজন্য আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

এর বিরোধিতা করে আসামিপক্ষের আইনজীবী খোন্দকার হাসান শাহরিয়ার বলেন, বাদীকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে না। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তারা আদালতে হাজির হয়েছেন। আসামিদের স্থায়ী জামিনের আবেদন করছি।

পরে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক বলেন, এরপর বাদীকে কোনো হুমকি দেওয়া হলে আপনার (মুশতাক) বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোশ্যাল মিডিয়াতে যেন না দেখানো হয় আপনারা সফল কাপল। সমাজের কেউ যেন এর দ্বারা অ্যাফেক্টেড না হয়।

এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী কোনো প্রকার ভিডিও-বার্তা আসামিরা দেননি। এমনকি টিকটকও করেন না তারা।

তখন বিচারক বলেন, টিকটক করলে সমস্যা নেই। সমাজে খারাপ ইফেক্ট পড়ে এমন ভিডিও না করলে হবে। এরপর বিচারক আসামিদের স্থায়ী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। আর মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন।


আরও খবর