বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে চুরি যাওয়া কয়লা পরীক্ষার মেশিন উদ্ধার করা হয়েছে। চুরিতে জড়িতের অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকার ডেমরা এলাকা থেকে মেশিনসহ তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলেন- রামপালের বর্ণী গ্রামের বাদশা শেখ (২৩), পিরোজপুরের নরখালি গ্রামের রাব্বি ইসলাম (২৪), ফকিরহাটের চিত্রা গ্রামের কার্তিক শীল (২৫) ও খাজুরা গ্রামের আবুল কারিম (২৭)। এদের মধ্যে কার্তিক ছাড়া অন্য তিনজন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিভিন্ন পদে চাকরি করেন।
রামপাল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাধে শ্যাম সরকার জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশ থেকে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে চুরি যাওয়া মেশিনটি উদ্ধার করা হয়।
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কমর্কতা (ওসি) সামসুদ্দিন বলেন, ঢাকার ডেমরা এলাকায় রাব্বির এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কয়লা ওই বাসা থেকেই মেশিন উদ্ধার করা হয়। চুরির সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে তালাবদ্ধ একটি কক্ষ থেকে ৪৭ লাখ টাকা মূল্যের মেশিনটি রাখা ছিল। সেখান থেকেই ১৪ জানুয়ারি সন্ধ্যা থেকে ১৫ জানুয়ারি সকালের মধ্যে যেকোনও সময় চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গত ১৬ জানুয়ারি রামপাল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক (সিকিউরিটি ও প্রশাসন) অলিউল্লাহ।
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, ১৪ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টায় কেন্দ্রের জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার, কেমিস্ট আব্দুল মালেক ল্যাব বন্ধ করার সময় টেস্টিং যন্ত্রটি টেবিলের উপরেই ছিল। আব্দুল মালেক চলে যাওয়ার আগে তালার চাবি ল্যাব-১ এর মুসা পারভেজকে দিয়ে ল্যাব টেকনিশিয়ান সাদ্দাম হোসেন এবং তানভীর রহমানকে দিতে বলেন। মুসা পারভেজ তাদের চাবি দেন। রাত ১০টায় সে স্থানে ডিউটিতে আসেন জাকারিয়া আল রাজী এবং মাসুম বিল্লাহ। ১৫ জানুয়ারি সকাল ৭টায় ডিউটি শেষ করেন তারা। এ সময় সাদ্দাম দায়িত্ব নেন। সকাল ৯টার দিকে রুম ক্লিনার আব্দুল নোমান ল্যাব-২ পরিষ্কার করতে গিয়ে টেবিলে মেশিন দেখতে না পেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানান।