আজঃ রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

রামগড়ে শ্যালকের হাতে দুলাভাই খুন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

খাগড়াছড়ির রামগড়ে দুলাভাইকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শ্যালকের বিরুদ্ধে। সোমবার (২৪ জানুয়ারি) মধ্যরাতে রামগড়ের শ্মশানটিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত দীপক ঘোষ মুন্না (৩৮) রামগড় পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের শ্মশানটিলা এলাকার রাখাল ঘোষের ছেলে। তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। দুই পুত্র সন্তানের জনক। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শ্যালক সাগর ত্রিপুরা (২৫) ও তার এক সহযোগীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।

প্রত্যক্ষ্যদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার গভীর রাতে মদ্যপ অবস্থায় সাগর ত্রিপুরা ও তার কয়েকজন বন্ধু দুলাভাই দীপক ঘোষ মুন্নাকে মারার জন্য তার বাড়ির সামনে অবস্থান নেন। দীপক ঘোষ মুন্না বাড়ির সামনে আসলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালান। এতে  মুন্না গুরুতর আহত হন। তার চিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় এক পল্লীচিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে নিয়ে যায়। মঙ্গলবার সকালের দিকে দীপক ঘোষ মুন্নার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত মুন্নার বাবা রাখাল ঘোষ জানান, দীর্ঘদিন ধরে তার ছেলে এবং পুত্রবধূর সম্পর্ক খারাপ যাচ্ছিল। দুজন আলাদা থাকছেন। তার পুত্রবধূ কনিকা গার্মেন্টসে চাকরির সুবাধে চট্টগ্রাম থাকেন। কয়েকবার চেষ্টা করেও কনিকাকে বাড়িতে আনা যায়নি। এ নিয়ে সালিস বৈঠকে দুজনের ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত হয়। এ সময় শ্যালক সাগর ত্রিপুরার সঙ্গে মুন্নার বাকবিতণ্ডা হয়। এরই জের ধরে ক্ষুব্ধ হয়ে সাগর ত্রিপুরা মুন্নাকে হত্যা করেন।

রামগড় থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। 


আরও খবর



শান্তিপূর্ণভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। আজ রবিবার সকাল ৮টা থেকে ১৩২টি ভোটকেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সকাল থেকেই ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে কেন্দ্রে কেন্দ্রে উপস্থিত হন। তবে সকালে ভোটার উপস্থিতি কম লক্ষ্য করা গেলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার বাড়বে বলে আশা করছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এদিকে সুষ্ঠু ও স্বতস্ফূর্তভাবে উপ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তায় ৮শত পুলিশ, ৭ প্লাটুন বিজিবিসহ র‌্যাব, আনসার, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ পর্যাপ্ত পরিমাণ আইনশৃংক্সখলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।

নির্বাচনে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। এরমধ্যে আওয়ামীলীগ থেকে রয়েছেন অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, জাতীয় পার্টি থেকে আব্দুল হামিদ ভাসানী, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি থেকে মোঃ  রাজ্জাক হোসেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাবেক দু বারের সংসদ সদস্য এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।

প্রসঙ্গত, গত ৩০ সেপ্টেম্বর এ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট আব্দুস সাত্তার ভুইয়া মৃত্যুবরণ করায় উপ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করে নির্বাচন কমিশন। এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ১০ হাজার ৭২ জন।


আরও খবর



বিপাকে মিয়ানমারের জান্তা, ইয়াঙ্গুনে চীনের যুদ্ধজাহাজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ক্রমেই উত্তাল হয়ে উঠছে মিয়ানমার। জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর ও বিদ্রোহীদের সঙ্গে জান্তা সৈন্যদের লড়াই দেশটির উত্তরাঞ্চলে রূপ নিচ্ছে নতুন মাত্রা। দীর্ঘদিন ধরে চলা এ লড়াইয়ে সামরিক চৌকি ও স্থাপনার নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে সেনাবাহিনী। লড়াই তীব্র হওয়ায় হাজার হাজার বাসিন্দা প্রতিবেশী ভারতে পালিয়ে গেছেন। এমন পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন মিয়ানমারের জান্তা সরকার।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে সামরিক বাহিনীর বেশকিছু নিরাপত্তাচৌকি ও স্থাপনার দখল নিয়েছে বিদ্রোহীরা। মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার বিদ্রোহীদের হামলা বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারি সব কর্মী ও সামরিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জরুরি প্রয়োজনে সেনাবাহিনীতে কাজ করতে প্রস্তুত করছে।

মিয়ানমারের এমন অস্থিতিশীল পরিবেশের মধ্যে দেশটির একটি বন্দরে ভিড়েছে চীনের তিন যুদ্ধজাহাজ। জান্তা ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘাত পরিস্থিতির অবনতির মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময়ের অংশ হিসেবে চীনা এসব জাহাজ দেশেটিতে গিয়েছে।

চাইনিজ পিপল লিবারেশন নেভি (পিএলএন) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সোমবার (২৭ নভেম্বর) ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী যুদ্ধজাহাজ জিবো এবং ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে সক্ষম যুদ্ধজাহাজ জিংঝু মিয়ানমারের প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনে পৌঁছেছে।

মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম দ্য গ্লোবাল নিউ লাইট জানিয়েছে, জাহাজগুলো চার দিন মিয়ানমারে অবস্থান করবে। এ দলে ৭০০ সেনা রয়েছে, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন ক্যাপ্টেন সান বো। এ দলে চীনের এই দুই জাহাজকে সহযোগিতার জন্য কিয়ানদাওহু নামের অপর একটি জাহাজ রয়েছে। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এ সফরে চীনের যুদ্ধজাহাজগুলো মিয়ানমারের সঙ্গে মহড়ায় অংশ নেবে।

মিয়ানমারে বন্দরে অবস্থান করা চীনা এ যুদ্ধজাহাজগুলো তাদের বহরের ৪৪তম সংযোজন। এগুলো ২০০৮ সাল থেকে এডেন উপসাগর ও সোমালিয়া উকূলে জলদস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছে। চলতি মাসে এ সংযোজনগুলোকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে দেখা গিয়েছে।


আরও খবর



রাজধানীর আবদুল্লাহপুরে বিআরটিসির বাসে আগুন

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর আবদুল্লাহপুরে বিআরটিসির একটি দ্বিতল বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে বাসটিতে আগুন দেওয়া হয়। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রোজিনা আক্তার।

আগুন দেওয়ার বিষয়ে উত্তরা পূর্ব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাকিবুল হক বলেন, আবদুল্লাহপুরে বিআরটিসির যাত্রীবাহী দ্বিতল বাসের ওপরের তলায় দুর্বৃত্তরা আগুন দেয়। তখন গাড়ির চালকসহ অন্যরা আগুন নিভিয়ে ফেলেন। এতে বাসটির তিনটি সিট পুড়ে গেছে।

পুলিশ কর্মকর্তা রাকিবুল হক বলেন, যেসব দুর্বৃত্ত বাসটিতে আগুন দিয়েছিলেন, তাঁদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। সড়কের আশপাশের ক্লোজড সার্কিট (সিসিটিভি) ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করে তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে।


আরও খবর



ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ৫৭ বছরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি)। ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর থেকে যাত্রা করে সুদীর্ঘ ৫৭ বছর পূর্ণ করে ৫৮-তে পা রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। পথচলায় নানা অর্জন, আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও জ্ঞান-বিজ্ঞানে অবদানের মাধ্যমে স্বমহিমায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে শাটল ট্রেনের ক্যাম্পাসটি।

আজ শনিবার দিবসটি উদযাপনে বর্ণিল সাজে সেজেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও স্থাপনাগুলোতে করা হয়েছে আলোকসজ্জা। দিনব্যাপী নানা আয়োজনে রয়েছে র‌্যালি, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, কেক কাটা, আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

প্রতিষ্ঠার দিন থেকে শুধু জ্ঞান-বিজ্ঞান প্রসার নয়, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ দেশের প্রতিটি ক্রান্তিলগ্নে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পালন করেছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ৫৭ বছরের পথচলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাপ্তির ঝুড়ি যেমন অনেকটা পূর্ণ হয়েছে, তেমনই কিছু অপ্রাপ্তির বোঝা এখনও বয়ে বেড়াতে হচ্ছে।

যেভাবে শুরু : মাত্র ৮ জন শিক্ষক নিয়ে যাত্রা শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়টি। প্রথমে চালু হয় বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস ও অর্থনীতি-এ চার বিভাগ। যার অধীনে ছিলেন মাত্র ২০৪ জন শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক ড. আজিজুল রহমান মল্লিক।

বর্তমানের চবি : বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ২৮ হাজার। পাঠদানে রয়েছেন ৯০৬ জন গুণী শিক্ষক। এখানে ৯টি অনুষদের অধীনে ৪৮টি বিভাগ ছাড়াও রয়েছে ৬টি ইনস্টিটিউট। শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ১৪টি আবাসিক হল ও ১টি ছাত্রাবাস। এর মধ্যে ৯টি ছেলেদের ও ৫ মেয়েদের হল। আবাসিক হল ও হোস্টেলে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রায় ৭ হাজার আসন বরাদ্দ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে রয়েছে শাটল ও ডেমু ট্রেন।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি : কাটাপাহাড়, হতাশার মোড়, দোলা স্মরণী, একখণ্ড ঝুলন্ত সেতু, চালন্দা গিরিপথ-চবির সৌন্দর্য শুধু এগুলো নয়। ঋতুরাজ বসন্ত, ঝুম বৃষ্টির আষাঢ়, ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা শীতে শাটলের ক্যাম্পাস নিজস্ব ঢঙে বদলায় তার রূপ। তার মোহনীয় রূপে শুধু চবির শিক্ষার্থীরাই বিমোহিত হন না, ক্যাম্পাসে অতিথি হয়ে আসা যে কেউই অনায়াসে আপন করে নেন নিঝুমপুরীর জ্ঞানগৃহের এই সৌন্দর্যকে।

চবিকে মহিমান্বিত করেছেন যে কয় গুণিজন : বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল পুরস্কার বিজয়ী এবং ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের স্বনামধন্য শিক্ষক ছিলেন। বিশ্বখ্যাত বিশ্বতত্ত্ববিদ, পদার্থবিজ্ঞানী ও গণিতবিদ একুশে পদকপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. জামাল নজরুল ইসলাম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। যিনি শুধু দেশের টানে বিদেশের চাকরির লোভনীয় প্রস্তাব ছেড়ে দেশে ফিরে এসেছিলেন। ঐতিহাসিক ও শিক্ষাবিদ আবদুল করিম, একুশে পদকজয়ী সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ ড. আনিসুজ্জামান, শিক্ষাবিদ আহমদ শরীফ, হুমায়ুন আজাদ, চিত্রশিল্পী রশিদ চৌধুরী, কলামিস্ট আবুল মোমেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। সাবেক জাতীয় অধ্যাপক সৈয়দ আলী আহসান, অপরাজেয় বাংলার স্থপতি ভাস্কর সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদ, ঔপন্যাসিক আলাউদ্দিন আল আজাদ, সমাজবিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন, অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, মুর্তজা বশীর, ঢালী আল মামুনসহ দেশবরেণ্য বহু কীর্তিমান মনীষীর জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত এ বিশ্ববিদ্যালয়।

ইতিহাসে চবি: কেবল গবেষণা আর পড়াশোনা নয়, দেশের প্রতিটি ক্রান্তিকালে এ বিশ্ববিদ্যালয় রেখেছে অগ্রণী ভূমিকা। ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন যার সাক্ষী। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে চবির কমপক্ষে ১৫ জন মহানায়ক তাদের নিজেদের জীবন বিলিয়ে দেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বীরপ্রতীক খেতাব পেয়েছেন শহিদ মুক্তিযোদ্ধা মো. হোসেন।

স্থাপত্যকর্ম: সবুজঘেরা ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নজরকাড়া সব স্থাপত্যকর্ম। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রয়েছে স্বাধীনতা স্মারক ভাস্কর্য, দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভ, শহিদ মিনার। মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বীর সন্তানদের স্মৃতিকে অমলিন রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশমুখেই নির্মাণ করা হয়েছে স্মৃতিস্তম্ভ স্মরণ। আরও আছে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি-সংবলিত বঙ্গবন্ধু চত্বর। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধকে শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরতে নির্মিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য জয় বাংলা

এ ছাড়া ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত জাদুঘরে রয়েছে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, কামরুল হাসানসহ বিখ্যাত সব শিল্পীর শিল্পকর্ম, অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর নানা কষ্টিপাথরের বিষ্ণু মূর্তিসহ প্রাচীন জীবাশ্মের সংগ্রহ। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগে রয়েছে প্রাণিবিদ্যা জাদুঘর, উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগে রয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হার্বেরিয়াম ও সমুদ্র বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে রয়েছে সমুদ্র সম্পদ জাদুঘর। বাংলা, সংস্কৃত, আরবি, ফারসি, উর্দু ভাষায় লিখিত সুপ্রাচীন সব পাণ্ডুলিপির সংগ্রহ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে। যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে গড়ে তোলা হয়েছে ডিজিটাল মিডিয়া ল্যাব টেলিভিশন স্টুডিও। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধীনে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে গবেষণার জন্য গড়ে তোলা হয়েছে উন্নত সুবিধাসংবলিত গ্রিনহাউস প্রকল্প। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে রচিত বইয়ের সংগ্রহে গড়ে তোলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু কর্নার

হাজারো প্রাপ্তির ভিড়ে বিরাজমান সমস্যা-সংকট : এত কিছুর মাঝে সমস্যাও কম নয়। ১৯৮৮ সাল থেকে শাটলট্রেন চলাচল করলেও ঝুঁকিপূর্ণ রেললাইন আর পুরোনো বগি দিয়ে চলছে শিক্ষার্থীদের প্রধান পরিবহন ব্যবস্থা। বছরের পর বছর শিক্ষার্থী বাড়লেও এ খাতে উন্নতি হয়নি একটুও। শুধু বেড়েছে শটলে শিক্ষার্থীদের গাদাগাদি আর হাঁসফাঁস। এখনও শতভাগ আবাসনের ব্যবস্থা করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়। মাত্র ২০ শতাংশের মতো আবাসিক সুবিধা পান শিক্ষার্থীরা। হলগুলোতে বেশির ভাগ কক্ষ ও খাবারের মান ও ব্যবস্থা নিয়ে রয়েছে আবাসিক শিক্ষার্থীদের অজস্র অভিযোগ। হলে কক্ষ না পেয়ে বাকি শিক্ষার্থীরা আবাসিক সুবিধা নিতে জিম্মি হয়ে পড়েছে নিম্নমানের কটেজগুলোয়।

এ ছাড়া ৩৪ বছরেও হয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন। প্রতিষ্ঠার পর মাত্র ছয়বার হয়েছে চাকসু নির্বাচন। এ জন্য সবসময় ক্ষমতাসীন দলগুলোর ছাত্র সংগঠনের আধিপত্য থেকেছে ক্যাম্পাসে। শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষায় এসব সংগঠনের কার্যক্রম কার্যত পরিহাসের নামান্তর। এত পাওয়া, না পাওয়ার মাঝে শিক্ষার্থীরা অভাব বোধ করছেন একটি ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) ও সর্বোপরি তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের।

৫৭ বছরে রাজনৈতিক সহিংসতায় অনেকবার রক্তে রঞ্জিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটি। প্রাণ গেছে ১৮ জন শিক্ষার্থীর। কিছু দিন যেতে না যেতেই রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের মধ্যে আধিপত্য, সংঘর্ষ আর হানাহানি, টেন্ডারবাজি বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে নেতিবাচক খবর হিসেবে গণমাধ্যমে এসেছে বেশির ভাগ সময়। এত কিছুর পরও এগিয়ে চলছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।


আরও খবর



রাজনৈতিক দলকে একে-অপরের প্রতি সহনশীল হতে হবে: প্রধান বিচারপতি

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের সব রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তিনি বলেন, রাজনৈতিক মতভেদ থাকতে পারে। কিন্তু প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে একে-অপরের প্রতি সহনশীল হতে হবে, অন্যথায় একটি সুন্দর সমাজ গঠন করা যাবে না। শনিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে মানবাধিকার সুরক্ষায় প্যানেল আইনজীবীদের ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালার উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, সম্প্রতি কিছু ঘটনা ঘটেছে, সেখানে মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে। প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের মানবাধিকার রয়েছে। তেমনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশেরও মানবাধিকার রয়েছে। রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ওপর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করলে যেমন মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়, তেমনি পুলিশের ওপরও অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করলে মানবাধিকারের লঙ্ঘন হয়।

তিনি বলেন, মানব অধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব আইনজীবীদের। লিগ্যাল এইডের মতো মানবাধিকার প্যানেল আইনজীবীদের কাজ করতে হবে। মামলার এজাহারে আসামির নাম বিকৃতি করে উপস্থাপন করাও মানবাধিকার লঙ্ঘন। 

আরও পড়ুন>> নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে পরিণতি ভালো হবে না: প্রধানমন্ত্রী

আসামিদের পায়ে ডাণ্ডা বেড়ি পরানো প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, শুধুমাত্র ভয়ঙ্কর আসামিদের আদালতের অনুমতি নিয়ে ডাণ্ডা বেড়ি পরানোর কথা আমরা একটা রায়ে বলে দিয়েছি। কারণ, ডাণ্ডা বেড়ি পরানো না থাকার কারণে কিছুদিন আগে ঢাকার আদালত থেকে আসামিরা পালিয়েছে। সব মানুষের মানবাধিকার রক্ষায় প্যানেল আইনজীবীদের কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

কর্মশালার উদ্ধেধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, স্বাগত বক্তব্য রাখেন কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা, পরিচালক কাজী আরফান আশিক। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার ব্যারিস্টার সাইফুর রহমান প্রমুখ। সারা দেশ থেকে আসা ২৫০ জন প্যানেল আইনজীবী কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। 


আরও খবর