আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মির হাতে ৮০ জান্তা সেনা নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রামরি শহরে জান্তা বাহিনীর প্রায় ৮০ সেনা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে রাখাইনের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। তাদের দাবি, তিন দিনের লড়াইয়ে এসব সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। খবর ইরাবতীর।

রাজ্যটিতে আরাকান আর্মির সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য শনিবার রামরিতে নতুন করে সেনা পাঠায় জান্তা সরকার। সেদিন চারটি সামরিক হেলিকপ্টারে করে মোট ১২০ সেনা সদস্য রামরিতে আসেন। আর আরাকান আর্মি দাবি করেছে, দুইদিনে এসব সৈন্যের তিন ভাগের দুই ভাগই নিহত হয়েছেন।

এএ বলছে, শনিবার রামরিতে আসা সেনাদের প্রায় ৬০ জন তাদের সঙ্গে লড়াইয়ে নিহত হন। তাদের মরদেহ উদ্ধার করার সময় তারা বিপুল অস্ত্র ও গোলাবারুদও জব্দ করেছে। পরে সোমবার রামরি দ্বীপ থেকে পিছু হটার সময় তাদের সঙ্গে লড়াইয়ে জান্তা বাহিনীর আরও ২০ সেনা নিহত হন।

মূলত রামরি শহরে জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের সশস্ত্র লড়াই শুরু হয় গত বছরের ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি। শহরটিতে জান্তা বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে আরাকান আর্মি হামলা করার পর এ লড়াই শুরু হয়।

এদিকে রাখাইনের পনাগিউন, মংডু ও বুথিডং শহরে নিয়ন্ত্রণ নিতে জান্তা বাহিনীর ওপর হামলা অব্যাহত রেখেছে আরাকান আর্মি। তারা বলছে, রাখাইনে একের পর এক এলাকা ও সেনাচৌকির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জান্তা বাহিনী এখন বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে।

আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যে এবং পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ চিন রাজ্যের পালেতওয়া টাউনশিপে অপারেশন ১০২৭ অব্যাহত রেখেছে। সেখানে তারা ১৭০টিরও বেশি জান্তা ঘাঁটি এবং সাতটি শহর দখল করেছে।

সাগাইং অঞ্চল এবং কাচিন রাজ্যে জান্তা লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করার জন্য অন্যান্য জাতিগত সেনাবাহিনী এবং প্রতিরোধ গোষ্ঠীর সাথে যোগ দিয়েছে আরাকান আর্মি।


আরও খবর



বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দুর্নীতি অুনসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালা উদ্দিন রিগ্যান সোমবার (২২ এপ্রিল) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করেন। বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে এটির শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিষয়ে দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলছেন, তারা রিটের একটি কপি হাতে পেয়েছেন। সেখানে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিটে বিবাদী করা হয়েছে দুদক চেয়ারম্যান, সচিবসহ চারজনকে।

এর আগে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন যা তার আয়ের তুলনায় অসম।

গত ৩১ মার্চ দৈনিক কালের কণ্ঠে ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক মহাপরিদর্শক তার স্ত্রী জিশান মির্জা এবং দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন।

বেনজীর আহমেদ তার পদের অপব্যবহার করে তার আয়ের তুলনায় প্রতিবেদনে উল্লিখিত সম্পত্তিগুলি অধিগ্রহণ করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে চিঠিতে জানান ব্যারিস্টার সুমন। এমন পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, স্ত্রী, বড় মেয়ে এবং ছোট মেয়ের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ সংগ্রহের জন্য তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদককে অনুরোধ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দৈনিক কালের কণ্ঠে ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় পুলিশের সাবেক এই আইজিপি।

জাতীয় ওই দৈনিকে বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে তার নানা অর্থ সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হয়। বেনজীরের বিপুল সম্পদের মধ্যে রয়েছে, গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামের এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র। এছাড়াও তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার পাশে বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার। পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি।

অথচ গত ৩৪ বছর সাত মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদ বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় এক কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা।


আরও খবর



টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আম্পায়ারের তালিকা প্রকাশ, আছেন সৈকত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

দরজায় কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে বিশ্বকাপ নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে আইসিসিও। বিশ্ব আসরকে সামনে রেখে আম্পায়ার এবং ম্যাচ রেফারির তালিকা প্রকাশ করল ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

শুক্রবার (৩ মে) বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডের জন্য আম্পায়ার এবং ম্যাচ রেফারির তালিকা প্রকাশ করেছে আইসিসি। ২৬ জনের তালিকায় ম্যাচ রেফারি আছেন ৬ জন, আর আম্পায়ার আছেন ২০ জন। আম্পায়ারদের তালিকায় আছেন বাংলাদেশের শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। 

গত বছর ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে আম্পায়ারিং করেছেন সৈকত। অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার টেস্ট ম্যাচে আম্পায়ারিং করে সুনাম কুড়িয়েছেন বাংলাদেশের এই আম্পায়ার। কয়েকদিন আগেই পেয়েছেন আইসিসির এলিট প্যানেল আম্পায়ারের স্বীকৃতি। ওয়ানডে বিশ্বকাপে আম্পায়ারিং করার আগে মেয়েদের বিশ্বকাপ এবং অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও আম্পায়ারিং করেছেন সৈকত।

চলতি বছরের ১ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এবারের আসরে অংশ নেবে ২০ দল। ২৮ দিন ব্যাপী আসরের পর্দা নামবে ২৯ জুন।

বিশ্বকাপে দায়িত্বপ্রাপ্ত আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারিদের তালিকা

আম্পায়ার: ক্রিস ব্রাউন, কুমার ধর্মসেনা, ক্রিস জেফানি, মাইকেল গগ, আদ্রিয়ান হোল্ডস্টক, রিচার্ড এলিংওর্থ, আল্লাহুদিন পালেকার, রিচার্ড কেটেলবোরো, জয়ারামান মাদানাগোপাল, নিতিন মেনন, স্যাম নোগাস্কি, এহসান রাজা, রশিদ রিয়াজ, পল রাইফেল, ল্যাংটন রুসিয়ার, শহীদ সৈকত, রডনি টাকার, অ্যালেক্স হোয়ার্ফ, জোয়েল উইলসন ও আসিফ ইয়াকুব।

ম্যাচ রেফারি: ডেভিড বুন, জেফ ক্রো, রঞ্জন মাদুগালে, অ্যান্ড্রু পাইক্রফট, রিচি রিচার্ডসন ও জাভাগাল শ্রীনাথ।


আরও খবর



পাহাড়ের বৈসাবির আয়োজন রাজধানীতে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকায় পাহাড়িদের বৈসাবি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার রাজধানীর রমনাপার্ক লেকে ফুল ভাসিয়ে তিন পার্বত্য জেলার নারী-পুরুষেরা এ অনুষ্ঠান উদযাপন করেন। এর আগে সকালে রাজধানীর বেইলি রোডে আনুষ্ঠানিকভাবে বৈসাবি উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মশিউর রহমান এনডিসি। অনুষ্ঠানে ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি বিধান ত্রিপুরাসহ সরকারের অন্যান্য পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রাজধানীর রমনা লেকে ফুল ভাসিয়ে বৈসাবি বরণ শেষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মশিউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বৈসাবি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও দৃঢ় হবে। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীদের আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। বৈসাবি মূলত বর্ষবরণ ও পাহাড়িদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সম্মিলন। বৈসাবির ঐতিহ্য সমতলের মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য প্রতিবছর ঢাকায় এই আয়োজন করা হয়ে থাকে।

তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধ ও আস্থা সুদৃঢ় হয়। যার মাধ্যমে পার্বত্যাঞ্চলের শান্তি আরও সুদৃঢ় হবে। পক্ষান্তরে এটি দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

এডিশনাল ডিআইজি বিধান ত্রিপুরা সাংবাদিকদের বলেন, ত্রিপুরাদের বৈসু, মারমাদের সাংগ্রাই ও চাকমাদের বিজু- এই তিন সম্প্রদায়ের সমন্বয়ে বৈসাবি। ত্রিপুরা, মারমা ও চাকমারা ধর্মীয়ভাবে সংখ্যাধিক্য। এই তিন ধর্মাবলম্বীদের পাহাড়ের অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে ধর্মীয় ও সামাজিক জীবন-যাপনের মিল রয়েছে বিধায় পাহাড়ের সবাই মিলে এই অনুষ্ঠানটি উদযাপন করে থাকেন। পাহাড়িদের যারা ঢাকায় অবস্থান করেন তারা রমনার লেকে ফুল ভাসিয়া অনুষ্ঠানটি উদযাপন করে থাকেন। অধিকাংশরা নাড়ির টানে নিজ এলাকায় চলে যান।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীর প্রধান উৎসব বৈসাবি উদযাপন উপলক্ষে ঢাকার বেইলি রোডের পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স হতে রমনা লেক পর্যন্ত পার্বত্য তিন জেলার পাহাড়ি ও বাঙালিদের সমন্বয়ে নানান সাজে সজ্জিত ব্যানার, ফেস্টুনসহ এক বর্ণিল শোভাযাত্রা র‍্যালির আয়োজন করা হয়। শোভাযাত্রা র‍্যালি শেষে রমনা লেকের জলে ফুল ভাসিয়ে বৈসাবি উৎসব পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মশিউর রহমান। পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার প্রধান তিনটি জাতি-গোষ্ঠীর বর্ষবরণ ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান বৈসাবি। এটি তাদের প্রধান সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোর একটি।


আরও খবর



টানা ছয় দফা কমলো সোনার দাম

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

টানা ছয় দফা সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সবশেষ ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ১১৫৫ টাকা কমানো হয়েছে। এখন ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ক‌মে হ‌চ্ছে ১ লাখ ১১ হাজার ৪৬১ টাকা। এর আগে দাম ছিল ১ লাখ ১২ হাজার ৬১৬ টাকা।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সোনার ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। সোমবার বিকেল ৪টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর করা হচ্ছে।

এর আগে গত ২৩, ২৪, ২৫, ২৭ ও ২৮ এপ্রিল সোনার দাম কমায় বাজুস। ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২০৯৯ টাকা, ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৭ এপ্রিল ৬৩০ টাকা ও ২৮ এপ্রিল ৩১৫ টাকা কমানো হয়।

তার আগে অবশ্য টানা তিন দফা সোনার দাম বাড়ানো হয়েছিল। গত ৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল সোনার দা‌ম বা‌ড়িয়ে‌ছিল বাজুস। এর মধ্যে ৬ এপ্রিল বেড়ে‌ছিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা এবং ১৮ এপ্রিল বেড়ে‌ছিল দুই হাজার ৬৫ টাকা।


আরও খবর



নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আরও ৫০ বিজিপি সদস্যের অনুপ্রবেশ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে নতুন করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে মিয়ানমান সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) প্রায় ৫০ জন সদস্য। বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়া জানায়, গত কয়েক দিন ধরে দুই-একজন করে মিয়ানমারের বিজিপি, সেনা সদস্য প্রবেশ করছিল। তবে আজ সকাল থেকে বিভিন্ন সময় ১৮ জন অনুপ্রবেশ করে। আর রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী আরকান আর্মির সঙ্গে ওই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে বেশ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। গোলাগুলির একপর্যায়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) প্রায় ৫০ সদস্য বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করে।

এ নিয়ে গত কয়েকদিনে মিয়ারমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিজিপি) ও সেনা সদস্য মিলে প্রায় ৮০ জনের মত বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের সেনা-বিজিপির ১৮ সদস্য পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। মঙ্গলবার সকালে রেজু আমতলীপাড়া সীমান্ত দিয়ে ২ জন এবং জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১০ জন বাংলাদেশে ঢুকেছেন। এরপর দুপুরে বাইশফাড়ি সীমান্ত দিয়ে আসেন আরও ১ জন প্রবেশ করে।

সর্বশেষ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জমছড়ি সীমান্ত দিয়ে আরও ৫ জন ঢোকেন। এ ১৮ জনের মধ্যে বিজিপির ছাড়াও সেনা সদস্য রয়েছেন। আজ রাতে আরও প্রায় ৫০ জনের মত সদস্য নতুন করে অনুপ্রবেশ করে।

তবে কোনো বাহিনীর কত জন সদস্য তা এখন বলা যাচ্ছে না। এদের কাছ থেকে অস্ত্র জমা নিয়ে বিজিবি তাদের হেফাজতে নিয়েছে। এখন নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবির হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।


আরও খবর