আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

রাজশাহীতে তীব্র সার সংকট, অতিরিক্ত বরাদ্দ চান কৃষকরা

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

রাজশাহী প্রতিনিধি:

আমন ধানের ভরা মৌসুমে রাজশাহীতে চলছে তীব্র সার সংকট। বিশেষত এমওপির (মিউরেট অব পটাশ) পাশাপাশি ডিএপি (ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট) ও টিএসপি (ট্রিপল সুপার ফসফেট) সারের সংকটে কৃষকের মধ্যে চলছে হাহাকার। এতে হুমকির মুখে পড়েছে আমন ধানসহ অন্যান্য কৃষি আবাদ।

রাজশাহী জেলায় চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম, মোকাম থেকে বা সরকারি বরাদ্দের বাইরে আমদানি বন্ধ, ডিলার পর্যায়ে বরাদ্দে বৈষম্য এবং সরকারিভাবে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) গুদাম থেকে বরাদ্দকৃত সার সরবরাহে অব্যবস্থাপনা সহ নানাবিধ সমস্যায় কৃষক পর্যায়ে ভরা আমন মৌসুমে সারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। সামনে আলুর মৌসুমেও এর প্রভাব পড়বে বলে আশংকা করা হচ্ছে।

জানা যায়, চলতি বছরের আগস্ট মাসে রাজশাহী জেলায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মাধ্যমে এমওপি ৮০০ মেট্রিক টন, টিএসপি ৬৬৩ মেট্রিক টন এবং ডিএপি ১৫৩১ মেট্রিক টন সরকারি বরাদ্দ পেয়েছে। কিন্তু জেলায় মোট আবাদি জমি এমনকি শুধুমাত্র আমনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্যও এ বরাদ্দ চাহিদার তুলনায় অনেক কম।

রাজশাহী জেলায় মোট আবাদি জমি ১ লক্ষ ৮১ হাজার ৮১৫ হেক্টর। এরমধ্যে আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ৮০ হাজার ৫০ হেক্টর। গতবারের অর্জন ৭৮ হাজার হেক্টর জমি। কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে প্রতি হেক্টর জমিতে এমওপি ৮২.৫০ কেজি, ডিএপি ৬০ কেজি, টিএসপি ৫২.৫০ কেজি এবং ইউরিয়া সার ১৫০ কেজি'র প্রয়োজন। সেই হিসেবে রাজশাহী জেলায় আমন মৌসুমে ৮০ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে ৬ হাজার ৬ শত মেট্রিক টন এমওপি সারের চাহিদা রয়েছে। সেখানে মে থেকে আগস্ট এই চার মাসে ৩ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সারের বরাদ্দ রয়েছে। আগস্ট মাসে বরাদ্দ রয়েছে মাত্র ৮০০ মেট্রিক টন এমওপি।

জেলার একাধিক সার ডিলার জানান, বিগত বছর গুলোতেও সারের বরাদ্দ প্রায় এরকমই ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা "কোন আবাদযোগ্য জমি ফেলে না রাখা যাবে না", এতে করে আবাদের পরিমানও বেড়েছে। ফলে বরাবরের মত বরাদ্দ সার চাহিদা মেটাতে পারছে না। এছাড়াও গত বছর পর্যন্ত আমরা বিভিন্ন মোকাম থেকে (সরকারি বরাদ্দের বাইরে বেসরকারি উৎস) অতিরিক্ত চাহিদার সার আমদানি করে চাহিদা মেটাতে পেরেছি। কিন্তু এবছর বহির্বিশ্বে সারের বেশী দাম, মোকাম থেকে আনার খরচ, লোড ও আনলোড খরচ বেশী হওয়ার কারনে আমদানি করতে না পারায় এ সংকট আরো বেশী হয়েছে।

তাঁরা অভিযোগ করে বলেন, এত কম বরাদ্দের ভিতরেও আবার ডিলার পর্যায়ে সার বরাদ্দে রয়েছে বৈষম্য। কোন কোন ইউনিয়নে স্বভাবিক বরাদ্দের চেয়ে বেশী আবার কোথাও একেবারেই কম বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। তানোর ও পবা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা যায়, তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নে এমওপি বরাদ্দ রয়েছে ২১ মেট্রিকটন,তালন্দ ইউনিয়নে ১৬ মেট্রিক টন ; পবা উপজেলার হরিয়ান ইউনিয়নে ৭.২০ টন এবং দর্শন পাড়া ইউনিয়নে ২.৯০ মেট্রিক টন এমওপি'র বরাদ্দ রয়েছে। আবাদী জমি বা আমন ধানের লক্ষমাত্রার সাথে যা পরিস্কার বৈষম্যপূর্ণ।

এদিকে আগস্ট মাসের জন্য বরাদ্দ ৮০০ মেট্রিকটন এমওপি'র পুরোটাই দায়িত্বে থাকা বিএডিসি'র রাজশাহী আঞ্চলিক সার গুদামে গিয়েও ডিলাররা ফিরে আসছেন। তারা বরাদ্দকৃত সার নিয়ে করছেন নয় ছয়। আঞ্চলিক খাদ্য গুদামের দায়িত্বরত উপ-পরিচালক আরিফুজ্জামান বলেন, আমি তথ্য দেব, না নিজের কাজ করবো ? এর আগেও কয়েকজন এসে তথ্য নিয়ে গেলেন। আপনি আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা যুগ্ম পরিচালক জুলফিকার আলীর সঙ্গে কথা বলতে পারেন। বৃহস্পতিবার সকালে যুগ্ম পরিচালক জুলফিকার আলী'র অফিসে তাকে না পেয়ে ফোন করা হলে তিনি বলেন, এই মুহুর্তে আমি বাহিরে আছি বিকাল ৪ টার পর ফোন দিলে এবিষয়ে কথা বলবো। বিকাল ৪ টার পর একাধিক নাম্বার থেকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

সংকট বিষয়ে বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশন রাজশাহী জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা সংকট নিরসনের জন্য জেলা প্রশাসক (জেলা সার ও বীজ কমিটির সভাপতি) বরাবর গত ২০ জুলাই অতিরিক্ত এমওপি ৫ হাজার, ইউরিয়া ৩ হাজার এবং টিএসপি ২ হাজার মেট্রিক টন বরাদ্দের জন্য আবেদন পত্র দিয়েছি।

জানতে চাইলে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বলেন, অতিরিক্ত বরাদ্দ চেয়ে যে আবেদন আমার কাছে এসেছে, সেটি সরকারের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আমি পাঠিয়েছি, অতিরিক্ত বরাদ্দ পেলে এই সংকট নিরসন হবে তবে এগ্রিকালচার ডিপার্টমেন্ট বলছেন, যতটা সংকট শোনা যাচ্ছে, ততটা সংকট আসলে নেই।


আরও খবর



পশ্চিমবঙ্গের ৭ জায়গায় তাপমাত্রা ছাড়াল ৪০ ডিগ্রি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পশ্চিমবঙ্গের সাত জায়গায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। কোথাও তাপমাত্রা উঠেছে ৪২ ডিগ্রির বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার পানাগড়ে। সোমবার ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর এ তাপমাত্রা রেকর্ড করে।

অধিদপ্তর জানায়, পানাগড়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পানাগড় ছাড়াও আরও ছয় জায়গায় দিনের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছিল। মেদিনীপুরে দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আসানসোলে ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বর্ধমানে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ব্যারাকপুর ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাঁকুড়ায় ৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কলাইকুণ্ডায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল দিনের তাপমাত্রা।

ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুষ্ক পশ্চিমা এবং উত্তর-পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। ১৫ এপ্রিল থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত এই তাপমাত্রার পারদ থাকতে পারে। আগামী চার-পাঁচ দিন পশ্চিমবঙ্গে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকতে পারে।

এছাড়া উপকূলবর্তী অঞ্চলে বাতাসে আর্দ্রতা ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ থাকতে পারে।


আরও খবর



এখনো উদ্ধার করা যায়নি সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমা উপজেলায় প্রশাসন ভবনে হামলা ও ব্যাংক লুটের ঘটনার প্রায় ১৪ ঘণ্টা পরও অপহৃত সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার মো. নিজাম উদ্দিনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় রুমা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি তবে এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি

গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে রুমা উপজেলা প্রশাসন ভবনে হামলা চালায় সশস্ত্র ব্যক্তিরা। পরে সোনালি ব্যাংকের শাখায় হামলা চালানো হয়। সে সময় ব্যাংকে আসা নতুন টাকা লুটের পাশাপাশি ম্যানেজারকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। পার্বত্য অঞ্চলভিত্তিক নতুন সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সদস্যরা এ হামলায় অংশ নেয় বলে রুমার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিদারুল আলম গণমাধ্যমকে জানান।

সন্ত্রাসীরা ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর (পুলিশ ও আনসার ভিডিপির) অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করেছে। তারা পুলিশের দুটি এসএমজি ও ৬০ রাউন্ড গুলি, আটটি চীনা রাইফেল ও ৩২০ রাউন্ড গুলি ও আনসারের চারটি শর্টগান ও ৩৫ রাউন্ড গুলি লুট করে। সন্ত্রাসীরা পাহাড়ে নতুন সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি-চিনের সদস্য বলে ধারণা করছেন উপজেলার এই কর্মকর্তা।

আজ সকালে জেলার পুলিশ সুপার সৈকত সাহিন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুমা সার্কেল মো. জুনায়েদ রুমা উপজেলা সোনালী ব্যাংক পরিদর্শন করেছেন।


আরও খবর



মার্চের ২৯ দিনে এলো ১৮১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রতিবছরই রমজান মাসে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স তথা প্রবাসী আয় বেড়ে যায়। তবে এবার খুব বেশি রেমিট্যান্স আসেনি। চলতি মার্চ মাসের প্রথম ২৯ দিনে বৈধ বা ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৮১ কোটি ৫১ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। প্রতিদিন গড়ে আসছে ৬ কোটি ২৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধ‌রে) যার পরিমাণ ১৯ হাজার ৯৬৬ কোটি টকা।

রোববার ( ৩১ মার্চ) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চলতি মার্চের প্রথম ২৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৮১ কোটি ৫১ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ২২ কোটি ৭৫ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ কোটি ৩ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৫৪ কোটি ৯৮ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৭৪ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১০ কোটি মার্কিন ডলার আর ফেব্রুয়া‌রি‌তে আসে ২১৬ কো‌টি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার। 

২০২৩ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ১৯৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার,  ফেব্রুয়ারি ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বর ১৯৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার। যা সর্বোচ্চ পরিমাণ রেমিট্যান্স।


আরও খবর
দাম কমলো সোনার

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




অর্থ আত্মসাতের মামলায় কারাগারে মেজর মান্নান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও বিকল্প ধারা বাংলাদেশের সাবেক মহাসচিব মেজর (অব.) আব্দুল মান্নানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি।

এ সময় তার পক্ষে জামিন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহিনুর ইসলাম। অপরদিকে, দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

প্রসঙ্গত, গত ৭ মার্চ এ মামলায় মেজর মান্নানের স্ত্রী বিআইএফসির চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম মান্নান ও মেয়ে পরিচালনা পরিষদের পরিচালক তাজরিনা মান্নান আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। তবে ওইদিন বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফসি) পরিচালনা পরিষদের পরিচালক ও ম্যাক্সনেট অনলাইনের প্রোপাইটর উম্মে কুলসুম, মান্নানের ভাই রইস উদ্দিন আহমেদ, বিআইএফসি পরিচালনা পরিষদের পরিচালক এ.এন এম জাহাঙ্গীর আলম, বিআইএফসি পরিচালনা পরিষদের সাবেক পরিচালক আরশাদ উল্লাহ, বিআইএফসির সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইনসুর রহমান ও বিআইএফসির সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব বিজনেস, সৈয়দ ফকরে ফয়সালের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।

চলতি বছর ২৬ জানুয়ারি দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. আব্দুল মাজেদ ঢাকা-১ প্রধান কার্যালয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এ মামলা করেন।

এ মামলায় উপরোক্ত আসামিরা ছাড়াও বিআইএফসি পরিচালনা পরিষদের পরিচালক আব্বাস উদ্দিন আহমেদ, সাবেক পরিচালক মেজর মান্নানের মেয়ে তানজিলা মান্নান, বিআইএফসির সাবেক এভিপি অ্যান্ড ইউনিট হেড আহমেদ করিম চৌধুরী, সাবেক সিনিয়র অফিসার (বিজনেস) মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, সাবেক সিনিয়র অফিসার ও রিলেশনশিপ ম্যানেজার এস, এম মোস্তাফিজুর রহমানও আসামি।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে একে অন্যের সহায়তায়, প্রতারণামূলকভাবে লাভবান হওয়ার মানসে মো. রইস উদ্দিনের নামে তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সনেট অনলাইনের নামে ৪টি পৃথক ঋণ চুক্তি করেন। পরে এর মাধ্যমে ২৭ কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর করে ২৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা বিতরণ করে। এই ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করে প্রদত্ত ঋণের আসল ২৮ কোটি ৪৭ লাখ ৭২ হাজার ৩৮২ টাকা আত্মসাৎ করেন। ঋণের বর্তমান সুদ হিসেবে পাওনা ৮ কোটি এক লাখ ৫৮ হাজার ৬৬৫ টাকা এবং সুদাসলে পাওনা ৩৬ কোটি ৪৯ লাখ ৩১ হাজার ৪৭ টাকা।


আরও খবর



পাথরঘাটায় বন্য শুকরের আক্রমণে আহত ৫

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

পাথরঘাটা(বরগুনা) প্রতিনিধি:

বরগুনার পাথরঘাটায় বন্য শূকরের আক্রমণে নারীসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহতদের পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (২৭ মার্চ) পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানি ইউনিয়নের গাববাড়িয়া ও সদর ইউনিয়নের টেংরা এলাকার মোঃ বেলায়েত মীর (৫০), ইব্রাহীম মীর (৪০), মোঃ সাইফুল (৩৫), মোঃ আব্বাস (৩০), মোসা সখিনা (৫২) আহত হয়েছে।

বন বিভাগের কর্মকর্তারা বলছে, ওই শুকরগুলো টেংরা বনাঞ্চলে বসবাস করে খাদ্য সঙ্কট হলে লোকালয়ে গিয়ে কৃষি জমিতে ফসলের ক্ষতি করে।

পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাশিদা তানজুম হেনা জানান, আহতদের শরীরের বিভিন্ন অংশে শুকরের দাঁত দিয়ে আঘাত করে বড় ক্ষত তৈরী করেছে। আহতদের মধ্যে মো: বেলায়েত মীরের হাতের রগ ছিড়ে ফেলায় তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর