রাবি প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় এটিএন নিউজের সাংবাদিক বুলবুল হাবিব ও ক্যামেরাপার্সন রুবেল ইসলামের ওপর হামলায় জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কর্মরত সংবাদকর্মীরা।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত তিন সংগঠন প্রেসক্লাব, সাংবাদিক সমিতি ও রিপোর্টাস ইউনিটির আয়োজনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় রাজশাহী শহরের বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা তাদের সাথে একাত্মতা পোষণ করেন।
মানববন্ধনে রাবিতে কর্মরত সাংবাদিকরা বলেন, যে দেশে সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে সেই দেশ কখনো গণতান্ত্রিক হতে পারে না। সাংবাদিক এবং টিভি চ্যানেলের বুম দেখলেই এদের গায়ে জ্বালা শুরু হয়ে যায়, না জানি তাদেরও কোন অপকর্ম জনগণের সামনে তুলে ধরেন। সরকারের কাজে সহায়তা করার জন্য সংবাদ সংগ্রহের কাজও বাংলাদেশে স্বাধীন না।
প্রথম আলোর রাজশাহী ব্যুরো প্রধান আবুল কালাম আজাদ বলেন, একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পেশাগত দায়িত্ব পালন কালে বিনা অপরাধে একজন সংবাদকর্মীকে হামলা করা হয়েছে। যে দেশে সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে সেই দেশ গণতান্ত্রিক হতে পারে না। নেক্কারজনক এই হামলায় জড়িত ব্যক্তিগুলো উন্মাদ। এই ঘটনায় কিছু লোকদের সাময়িক বহিষ্কার করা হলেও হামলার মূল নির্দেশদাতাকে এখনো পর্যন্ত বহিষ্কার করা হয়নি। বিএমডিএ এর এই কর্মকর্তা বড় ধরনের অপকর্মের সাথে জড়িত না হলে এমন হামলা করতে সাহস পাবে না। আমরা চাই দ্রুত সময়ের মধ্যে এই হামলার মূল হোতাদের বহিষ্কার করা হোক।
রাবি প্রেসক্লাবের সভাপতি বেলাল হোসাইন বিপ্লব বলেন, আমাদের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিকবার সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকে তাদেরকে নামমাত্র বহিষ্কার করা হয়। আমরা দেখেছি বুলবুল ভাই এবং ক্যামেরাপার্সন রুবেল হোসেন সেখানে গিয়েছিলেন সরকারি নতুম নীতিমালা অনিযায়ী কর্মকর্তারা অফিস করছে কি না লাইভে তা তুলে ধরার জন্য। সেখানে তাকে বাধা দেওয়া হয়েছে এর কারণ তারা ঠিক সময়ে অফিসে আসতেন না। সরকারের হয়ে জনসম্মুখে তুলে ধরার জন্যই সেখানে গিয়েছিলেন তারা। কিন্তু তাদের সাথে অমানবিক আচরণ করা হয়েছে। আমরা এর সাথে জড়িতদের বহিষ্কারের দাবি জানাচ্ছি।
রাজশাহী সাংবাদিক সমতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিক নির্যাতন দিনদিন বেড়েই চলেছে। সরকারের কাজে সহায়তা করতে গিয়ে বিএমডিএ কর্মকর্তাদের দ্বারা দুই সাংবাদিককে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। আমাদের আন্দোলনের কারণে বিএমডিএ এর দুই কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আমরা এ বহিষ্কারের আশ্বাসে আন্দোলন থেকে সরে যাবো না। আমরা প্রকৃত ফলাফল নিয়েই মাঠ থেকে ফিরবো।