আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

‘রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপ হয়, আগুন সন্ত্রাসীদের সাথে নয়’

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যারা পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ পোড়ায়, হাসপাতালে হামলা চালায়, কোরআন শরীফ পোড়ায়, গাড়ি ও স্কুল ঘর পোড়ায়, ওরা কোন রাজনৈতিক দল নয়, রাজনৈতিক কর্মসূচিও এগুলো নয়। রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপ হয়, আগুন সন্ত্রাসীদের সাথে সংলাপ করা যায় না।

বরং, তাদেরকে নির্মূল করতে সরকার বদ্ধপরিকর। যারা এই সমস্ত কথা বলেন তাদের কাছে প্রশ্ন, সন্ত্রাসীদের সাথে কি আলোচনা হয়? সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে হয়।

শনিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের জামালখান সড়কে কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমনের তত্ত্বাবধানে এবং ডায়মন্ড সিমেন্ট ও দৈনিক আজাদীর অর্থায়নে বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ শীর্ষক ম্যুরাল ও তথ্যচিত্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

গত ১৪ জুন বিএনপির সমাবেশে যাওয়ার সময় মিছিলকারীরা জামালখান সড়কে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও ইতিহাস ঐতিহ্যের তথ্যচিত্র ভাঙচুর করে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত কিছু সৃষ্টি করতে পারে না, তারা এখন গাড়ি পোড়াচ্ছে, মানুষের ওপর আগুন সন্ত্রাস চালাচ্ছে। ওরা দেশটাকে ধ্বংস করতে চায়। বিএনপি-জামায়াত দেশ-জাতি, সমাজ ও জনগণের শত্রু। সুতরাং এদেরকে সবার চিহ্নিত করে রাখা দরকার। এরা যতদিন এভাবে ফণা তুলবে ততদিন দেশ ও সমাজ হুমকির মুখে থাকবে। 

অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে, তাদের অনুকরণে বিএনপি-জামায়াত পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। রাজনীতির নামে পেট্রোল বোমা দিয়ে আগুন সন্ত্রাস দুনিয়ার কোনও জায়গায় হয়নি। আমরা যখন পাকিস্তান কিংবা পশ্চিমাদের অধীনে ছিলাম তখনও প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে দিয়ে বহু মিছিল গেছে, এসেছে। এদেশের বায়ান্ন বছরের ইতিহাসে অনেক আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে, প্রধান বিচারপতির বাসভবন কিংবা জাজেস কমপ্লেক্সে হামলা হয়নি। যেটি বিএনপি-জামায়াত করেছে। সুতরাং এরা দেশ-জাতি এবং সমাজের শত্রু। এরা হিংস্র হায়েনা ও জঘন্য জানোয়ারের চেয়েও হিংস্র। সুতরাং এই জানোয়ারদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, আজ বাচ্চারা নির্ভয়ে স্কুলে যেতে পারছে না। এর মধ্যে একটি স্কুল ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। এই বাচ্চারা কি অপরাধ করেছে? আমাদের সরকার পুরস্কার ঘোষণা করেছে, পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকেও পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে- কেউ আগুন সন্ত্রাস চালালে কিংবা কেউ চালানোর উদ্যোগ নিচ্ছে এরকম জানতে পারলেও তাদের ধরিয়ে দিবেন। তাহলে এদেরকে নির্মূল করা সম্ভবপর হবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য গত ১৪ জুন বিএনপি-জামায়াতের মিছিল থেকে এখানে থাকা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও ইতিহাস ঐতিহ্যের চিত্রগুলো ভাঙচুর করা হয়। তারা ভাঙচুর করে শুধু ক্ষান্ত হয়নি, ভাঙচুর করার সময় তারা উল্লাসও করেছে। অর্থাৎ এগুলো ধ্বংস করে তারা উল্লসিত হয়েছে। আজ আবার সেগুলোকে নতুন আঙ্গিকে স্থাপন করা হয়েছে। আসলে বিএনপি-জামায়াত শুধু ধ্বংসই করতে জানে। এই ম্যুরাল ও ইতিহাস ঐতিহ্যের তথ্যচিত্রগুলো কি অপরাধ করেছিল, সেগুলো যে ভাঙচুর করলো? যদি জনগণের রায়ে আমরা আবার সরকার গঠন করতে পারি, শেষ আগুন সন্ত্রাসী পর্যন্ত ইনশাল্লাহ নির্মূল করা হবে এই দেশ থেকে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি আবারো অবরোধের ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের বিজয় সুনিশ্চিত হবে- এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি-জামায়াতের এই অবরোধ কেউ মানছে না। রাস্তায় গাড়ি চলছে, অফিস আদালত খোলা। স্কুল-কলেজও খোলা। তারা কিছু কিছু জায়গায় পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষের মাঝে ভয় সঞ্চার করা ছাড়া আর কিছু করতে পারেনি। মাঝখানে বিরতি দিয়ে দুইদিন পরপর তাদের এই অবরোধ-হরতালের কথা শুনে এখন হনুমানও ভেংচি কাটে।


আরও খবর



বৃষ্টি কবে থেকে, জানাল আবহাওয়া অফিস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশজুড়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহে দিশাহারা হয়ে পড়েছে মানুষ। অল্পতেই হাঁপিয়ে উঠছে শ্রমজীবী মানুষরা। গরমের কারণে বাড়ছে ডায়রিয়াসহ নানা রোগ। এরইমধ্যে আবহাওয়া অফিস জারি করেছে আরও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট। এই দুর্বিষহ সময়ে জনজীবনের একমাত্র প্রতীক্ষা বৃষ্টির। এবার সেই অন্তিম সুখবরের পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। তারা বলছে, হিট অ্যালার্ট শেষে সামনের সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৯টায় দেওয়া বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়া বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

তবে আবহাওয়া অফিস বলছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বৃষ্টি। আগামী মে মাসে বৃষ্টিপাত বাড়লে দাবদাহ অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের।

এদিকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময়ে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজ থাকতে পারে।

খুলনা বিভাগসহ দিনাজপুর, নীলফামারী, রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগ এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

আগামী দুদিন সিলেট অঞ্চল ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের তেমন সম্ভাবনা নেই। একই সঙ্গে এ সময়ে তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।


আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্রতাপে পুড়ছে মানুষ, টিউবওয়েলে মিলছে না পানি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

বৈশাখের বিদায় ঘন্টার সুর উঠেছে। তবুও বৃষ্টির দেখা নেই। ভয়ানক গরমে পুড়ছে ঠাকুরগাঁওয়ের প্রতিটি মানুষ। অতিমাত্রার দাবদাহে গ্রাম থেকে শহর সবখানেই নাভিশ্বাস অবস্থা। বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। অনাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আবাদি জমি। হাসপাতালেও বেড়েছে রোগীর সংখ্যা।

শুধু ঠাকুরগাঁও নন, অন্যান্য জেলাগুলোতেও একই চিত্র। দিনে-রাতে সমান গরম। এ পরিস্থিতিতে ঘরের ভেতরেও টিকে থাকা বড়ই দায়। ফ্যানের বাতাসেও যেন প্রাণ জুড়ায় না। সব মিলে বলা যায় অতিষ্ঠ প্রাণ। অনেকেই রোদের আগুনে পুড়ে সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজ।

ইতোমধ্যে তাপের প্রকোপ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য জেলার বিভিন্ন স্থানে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। এমনকি তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও বৃষ্টির আশায় জমকালোভাবে ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করেছেন এলাকাবাসী।

গত সোমবার শহরের মথুরাপুর এলাকায় স্থানীয়দের আয়োজনে ব্যাঙের বিয়েতে দুই শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশুরা অংশগ্রহণ করেন। বিয়ের গীত আর নাচ-গানের মধ্যে দিয়ে ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া শেষে বরণ ডালায় ব্যাঙ দুটিকে নিয়ে পুরো গ্রাম ঘুরে বেড়ান তারা। এ সময় গ্রামবাসীদের কাছ থেকে চাল-ডাল সংগ্রহ করে ব্যাঙের বিয়েতে অংশগ্রহণকারীদের খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়।

অন্যদিকে, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের দক্ষিণ ঠাকুরগাঁও গ্রাম ও হরিপুর উপজেলার শাহানাবাদ, হাটপুকুর, খালেকপাড়া গ্রামের টিউবওয়েল গুলোতে পানি উঠছে না। নেমে গেছে পানির স্তর। এতে করে অনেক নলকূপে মিলছে না পর্যাপ্ত পানি। তাতে খাবার পানিসহ দৈনন্দিন পানির সংকট দেখা দিয়েছে। দুই সপ্তাহ ধরে তীব্র তাপপ্রবাহে নেমে গেছে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্থর৷  টিউবওয়েলের পানি ঠিকমতো উঠছে না। পাম্প বসিয়েও পানি মিলছে না। বাড়িতে ব্যবহৃত কাপড়, থালাবাসন ধোয়া ও রান্নাবান্না করতে যে পানি দরকার তা মিলছে না। এতে নানান ধরনের ভোগান্তিতে রয়েছেন গ্রামবাসী।

ভুক্তোভুগীরা জানান, এমনি গরমে জীবন অতিষ্ঠ। তারপর আবার টিউবওয়েলে পানি পাওয়া যাচ্ছেনা। অনেক ক্ষণ ধরে পানি দিয়ে পানি উঠানোর চেষ্টা করলেও পাওয়া যায় না। হঠাৎ করে অল্প পানি উঠলে আবার নাই হয়ে যায়। এতে করে বাড়ির যে কাজ গুলো এসব করা কঠিন হয়ে যায়। যাদের গভীর নলকূপ আছে তাদের বাড়িতে যেতে হয়।

অপদিকে, তীব্র গরমে ও খরা-অনাবৃষ্টিতে ফল-ফসল হিটশকের ঝুঁকিতে রয়েছে। এ অবস্থায় ফসলি জমিতে সেচ দিয়ে দুয়েক ইঞ্চি পরিমাণ পানি রাখার এবং আম, লিচু, জামসহ ফল গাছে পানি ছিটানোর পরামর্শ দিয়েছেন জেলার কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।

আজিজ নামে এক এনজিও কর্মী বলেন, আমি অফিসের কাজে তেঁতুলিয়া যাওয়ার জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে রওনা দিয়েছি। আজকে প্রচণ্ড গরমে গাড়ি চালাতে হাত-পা জ্বলছে। তাই গাছের নিচে একটু থেমেছি। এই রোদে এখন গাড়ি গন্তব্যে যাবো কিনা তা নিয়ে চিন্তায় আছি। আসলে এমন তাপদাহ চলতে থাকলে জনজীবন থেমে যেতে পারে।

বাবু নামে এক অটোচালক বলেন, তাপের কারণে অটোর কন্ট্রোলার তাড়াতাড়ি কেটে যাচ্ছে ও চাকা ঘন ঘন পাংচার হচ্ছে। রোদের জন্য প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বেড় হচ্ছে না তাই যাত্রীও কম। এতে আমাদের খুব কষ্ট হয়ে গেছে চলাচল করতে।

এদিকে গরমের কারণে ২৫০ শয্যা ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে দেখা যায় তাপমাত্রাজনিত কারণে ছোট-বড় সব বয়সের রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রকিবুল আলম চয়ন বলেন, তাপমাত্রাও বৃদ্ধির ফলে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। অতিরিক্ত গরমের ফলে ডিহাইড্রেশন রোগ, যেটা পানি শূন্যতা বলে জানান তিনি।


আরও খবর



তিন বিভাগে শিলাবৃষ্টিসহ ঝড়ের আভাস

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আবহাওয়া হঠাৎ করেই চরমভাবাপন্ন আচরণ শুরু করেছে। বসন্তের শেষ সময়ে ঝড়-বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কমছে না। উল্টো তীব্র তাপপ্রবাহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।

শনিবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন এলাকায় শিলাবৃষ্টিসহ ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় তাপপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়বে।

পূর্বাভাসে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও তার কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

এ অবস্থায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় ঝড়, বজ্র ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। ঝড়বৃষ্টির প্রভাবে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। তবে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।

এ সময়ে পাবনা এবং চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। বরিশাল, পটুয়াখালী ও রাঙ্গামাটি জেলাসহ, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্ঠাংশ, রংপুর ও ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাবে। আবার কিছু জায়গায় তা প্রশমিত হতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি অব্যাহত থাকতে পারে।

এছাড়া পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময়ে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।

বর্ধিত পাঁচ দিনে তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।


আরও খবর



পহেলা বৈশাখে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই: ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, আগামীকাল রোববার (১৪ এপ্রিল) রাজধানীর রমনায় পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে জঙ্গি হামলার কোনো আশঙ্কা নেই। শনিবার (১৩ এপ্রিল) বেলা ১১টায় রমনা পার্কে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এতথ্য জানান তিনি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির অসম্প্রদায়িক চেতনার বহিঃপ্রকাশ। সেজন্য এটার ওপর বারবার আঘাত এসেছে। সহিংস হামলা হয়েছে, জঙ্গি হামলা হয়েছে। সেজন্য সবকিছু মাথায় রেখেই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা পরিকল্পনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট হামলার শঙ্কা আমার কাছে নেই।

তিনি বলেন, রমনা বটমূলে আগামীকাল বিকেল ৫টার পর্যন্ত প্রবেশ করা যাবে। এরপর আর কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। এছাড়াও সন্ধ্যার আগে সবাইকে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে হবে।

হাবিবুর রহমান বলেন, রমনায় টুরিস্টদের অভ্যর্থনা জানানোর জন্য টুরিস্ট পুলিশ বুথ রয়েছে। লেক এলাকা নিরাপত্তা দিতে নৌপুলিশের টহল রয়েছে। এছাড়া ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে সাময়িক মেডিকেল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। রক্তদানের ব্যবস্থার পাশাপাশি বিনামূল্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কন্ট্রোল রুম থেকে সুপেয় পানি বিতরণের ব্যবস্থা রয়েছে।

দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপি যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।


আরও খবর



দুই দিনে সোনার দাম বাড়ল ১৭৮৫ টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

টানা আট দফায় কমানোর পর দেশের বাজারে গত দুই দিনে প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৭৮৫ টাকা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এর মধ্যে শ‌নিবার বে‌ড়ে‌ছিল ১০৫০ টাকা এবং রোববার প্রতি ভরি সোনার দাম বেড়েছে ৭৩৫ টাকা।

দাম বাড়ানোর ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে ১ লাখ ১০ হাজার ৯৪৮ টাকা। যা সোমবার থেকে কার্যকর হবে। আজ প্রতিভরি সোনা ১ লাখ ১০ হাজার ২১৩ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

রোববার (৫ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১০ হাজার ৯৪৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৫ হাজার ৮৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের সোনা ৯০ হাজার ৭৬৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ৭৫ হাজার ৪৮৯ টাকায় বিক্রি করা হবে।

সোনার দাম বাড়ানো হ‌লেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।

আজ রোববার সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১০ হাজার ২১৩ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ৫ হাজার ১৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের সোনা ৯০ হাজার ১৭৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ৭৪ হাজার ৯৮৯ টাকায় বিক্রি হয়।


আরও খবর