ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের
প্রভাবে রাজধানীতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাত থেকেই এই বৃষ্টি
শুরু হলেও পরবর্তী সময়ে তা ধীরে বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে ছিল ঠান্ডা বাতাস, এতে তাপমাত্রা
কমে শীত পড়তে শুরু করে। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে বৃষ্টি বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে
পড়ে বাইরে বের হওয়া মানুষ। অনেকেই ছাতা নিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
বুধবার সন্ধ্যার
দিকে আবহাওয়া অফিসের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অন্ধ্র প্রদেশ ও কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত
ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ উত্তর দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে প্রথমে নিম্নচাপ এবং পরে লঘুচাপে পরিণত
হয়েছে এবং বর্তমানে উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও কাছাকাছি দক্ষিণ উড়িষ্যা এলাকায় অবস্থান করছে।
এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে গভীর সঞ্চালনশীল
মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।
ফলে রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
আরও পড়ুন>> সকাল ৯টার মধ্যে যেসব জেলায় তীব্র ঝড়ের আশঙ্কা
এ ছাড়া সারাদেশে
রাতের সামান্য হ্রাস পেতে পারে ও দিনের তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে
বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এর আগে আবহাওয়া
অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ জানিয়েছিলেন, ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে ৫ ও
৬ ডিসেম্বর দেশের উপকূলীয় এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। এতে তাপমাত্রা
কমে আসবে। শীতের আমেজও পাওয়া যাবে।
এদিকে বুধবার
সামুদ্রিক আবহাওয়ার সর্বশেষ পরিস্থিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, পায়রা ও মংলা সমুদ্রবন্দরকে
তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
সেই সঙ্গে উত্তর
বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থান করা সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশনা
না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাফেরা করতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।