রাজধানীর চারটি কেন্দ্রে দেওয়া হবে ফাইজারের কোভিড-১৯ টিকা। ম্যাসেঞ্জার আরএনএ (এমআরএনএ) ভিত্তিক এ টিকা তাপ ও আলোর প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল। আপাতত রাজধানীতেই ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে।
ফাইজারের টিকা দেওয়ার জন্য রাজধানীর চারটি কেন্দ্রের প্রস্তাব দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কেন্দ্রগুলো হলো- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এবং জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট।
এই টিকা কোনো ভাবেই আলো ও তাপের সংস্পর্শে রাখা যাবে না। এর দুটো ডোজ দেওয়া হবে। প্রতি ডোজে শূন্য দশমিক ৩ এমএল সমপরিমাণ থাকবে, যা ২৮ দিনের ব্যবধানে প্রয়োগ করা হবে।
যেহেতু ফাইজারের টিকা জমানো, জীবাণুমুক্ত, প্রিজারভেটিভ এবং এডজুভেন্ট মুক্ত, মাল্টি-ডোজ কন্সেট্রেট অর্থাৎ ঘনীভূত তাই মানবদেহে প্রয়োগের আগে অবশ্যই সংমিশ্রণ করতে হবে। এক্ষেত্রে এক ভায়ালের সঙ্গে ডাইলুয়েট মিশ্রণের পর ৬ ডোজ টিকা প্রস্তুত হবে। সংমিশ্রণের জন্য দুই এমএলের সিরিঞ্জ ব্যবহার করতে হবে।
যাদের টিকা দেওয়া যাবে না : ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা গর্ভবতী মা এবং দুগ্ধদানকারী মায়েদের দেওয়া যাবে না। এলার্জি প্রতিক্রিয়ার ইতিহাস (অ্যানাফাউল্যাক্সিস) থাকলে সেসব ব্যক্তিদের টিকা দেওয়া যাবে না। প্রথম ডোজ দেওয়ার পরে যদি এলার্জিক প্রতিক্রিয়া হয়ে থাকে তাহলে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া যাবে না। কোনো ব্যক্তির শরীরে জ্বর থাকলে (৩৮.৫) ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের বেশি টিকা দেওয়া যাবে না। এমনকি গ্রহীতার যদি কোভিড-১৯ রোগের লক্ষণ থাকলে সেরে না ওঠা পর্যন্ত টিকা দেওয়া যাবে না। এছাড়া অসুস্থ ও হাসপাতালে ভর্তি ব্যক্তিকেও এ টিকা দেওয়া যাবে না।
সোমবার (৩১ মে) রাতে ১ লাখ ৬২০ ডোজ ঢাকায় এসেছে।