আজঃ বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

রাজধানীর দুই হাসপাতালে ২ জনের মৃত্যু নিয়ে যা বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

রাজধানীর মালিবাগের জেএস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেক আপ সেন্টারে খতনা করাতে গিয়ে ভুল চিকিৎসায় আহনাফ তাহমিন আয়মান (১০) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে খবর পেয়েই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. মঈনুল আহসানকে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। পরিচালক জেএস ডায়াগনস্টিক সেন্টারে উপস্থিত হয়ে হাসপাতালটির যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন।

এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এক বিশেষ বিবৃতিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, এই ঘটনায় আমি অত্যন্ত মর্মাহত। কিছুদিন আগেও এমন একটি ঘটনা আমরা লক্ষ্য করেছি। সে ঘটনায় আমরা উপযুক্ত ব্যবস্থাও নিয়েছি। তবে সেই ঘটনার পরও যারা সতর্ক হতে পারে নি, এ রকম আর কারও কোনোরকম দায়িত্বে অবহেলা বা গাফিলতি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। দোষী প্রমাণিত হলে, স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির বিরুদ্ধে শুধু কঠোর ব্যবস্থা নেওয়াই হবে না, ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলাকারী দোষীদেরও কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে, যাতে পরবর্তীতে আর কোনো প্রতিষ্ঠান এ রকম গুরুদায়িত্বে অবহেলা করতে সাহস না পায়। চিকিৎসায় অবহেলা পাওয়া গেলে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিন রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে ঘটে যাওয়া অন্য আরেকটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেও একটি বিবৃতি দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বিবৃতিতে তিনি জানান, রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে এনডস্কোপি করাতে গিয়ে একজনের মৃত্যুর ঘটনায় গতকাল সেখানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রতিবেদন আগামীকাল বৃহস্পতিবার হাতে আসবে। প্রতিবেদন দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে এ ঘটনায় শিশু আহনাফের বাবার মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেপ্তার এস হাসপাতালের পরিচালক চিকিৎসক এস এম মুক্তাদির ও চিকিৎসক মাহাবুব মোরশেদকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে রাজধানীর মালিবাগের জেএস হাসপাতালের অপারেশন রুমে সুন্নাতে খতনার জন্য অ্যানেস্থেশিয়া দেওয়া হয় শিশুটিকে। যাতে গভীর ঘুমে তলিয়ে যায় আয়হাম। পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে থাকলে আরেকটি হাসপাতাল থেকে আনা হয় চিকিৎসক। কিন্তু পরীক্ষা করে দেখা যায়, চিরঘুমে চলে গেছে শিশুটি।

স্বজনদের অভিযোগ, লোকাল অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার কথা থাকলেও তারা ফুল অ্যানেস্থেসিয়া দিয়েছে। যে কারণে আয়হামের আর জ্ঞান ফেরেনি। এর আগে, মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় আয়হামের সুন্নতে খতনা করাতে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। এর ঘণ্টাখানেক পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

জানা গেছে, মালিবাগের জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে অর্থোপেডিক ও ট্রমা সার্জন ডা. এস এম মুক্তাদিরের তত্ত্বাবধানে মঙ্গলবার রাতে সন্তানকে সুন্নতে খতনা করাতে আসেন শিশু আয়হামের বাবা ফখরুল আলম ও মা খায়কুন নাহার চুমকি। রাত ৮টার দিকে খতনা করানোর জন্য অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার পর আর ঘুম ভাঙেনি আয়হামের। এর ঘণ্টাখানেক পর হাসপাতালটির পক্ষ থেকে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

এ বিষয়ে আয়হামের বাবা ফখরুল আলম বলেন, আমরা চিকিৎসককে বলেছিলাম যেন ফুল অ্যানেস্থেসিয়া না দেওয়া হয়। তারপরও আমার ছেলের শরীরে সেটি পুশ করেন ডা. মুক্তাদির। আমি তাদের পা পর্যন্ত ধরেছি। বলেছি, কিছু একটা ব্যবস্থা করেন। তারা বলে ঠিক হয়ে যাবে, এই যে দেখেন নিশ্বাস নিচ্ছে। কিন্তু এর আগেই ডেট।

তিনি বলেন, আমার সন্তানকে অ্যানেস্থেসিয়া দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই মৃত্যুর দায় মুক্তাদিরসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সবারই। আমি তাদের কঠোর শাস্তি চাই।

অভিযুক্ত চিকিৎসক মুক্তাদির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অর্থোপেডিক বিভাগের জয়েন্ট ব্যথা, বাত ব্যথা, প্যারালাইসিস বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা দিতেন বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কাউকে পাওয়া যায়নি।

গত ৮ জানুয়ারি রাজধানীর বাড্ডা সাতারকুলে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে লাইফ সাপোর্টে থাকা শিশু আয়ান মারা যায়। টানা সাত দিন লাইফ সাপোর্টে ছিল আয়ান।


আরও খবর
ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু

বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

একদিনে আরও ৪৮৬ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত

রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪




কাপ্তাই বাঁধের জলকপাট খোলার ছয় ঘন্টা পর বন্ধ

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জলকপাট ১৬টি গেইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রবিবার (২৫ আগস্ট) সকাল ৮টায় খুলে দেওয়ার ছয় ঘণ্টার পর দুপুর ২টার দিকে জলকপাটগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।

কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক (তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী) এটিএম আব্দুজ্জাহের জানান, আজ সকাল আটটা থেকে দুইটা পর্যন্ত প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি নির্গত হয়েছে কর্ণফুলী নদীতে। বর্তমানে বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটে উৎপাদন হচ্ছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৩২ থেকে ৩৩ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশন হচ্ছে।

তিনি বলেন, আজকে রাতে বা পরেরদিন যদি বৃষ্টি বেড়ে গেলে হয়তো জলকপাট আবার খোলা হতে পারে। এতে আতংকিত হবার কিছু নেই। কাপ্তাই বাঁধের ১০৯ এমএসএল (মিন সি লেভেল) ধারণক্ষমতা সম্পন্ন হলেও হ্রদে ১০৮ এমএসএলের অধিক পানি পূর্ণ হলে বিপদসীমা সৃষ্টি হয়। এই পরিমাপে পৌঁছালে তখন জলকপাট ছাড়া হয়।

এর আগে কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমার কাছাকাছি হওয়ায় রবিবার সকাল ৮টায় জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি খুলে দেওয়া হয়েছিল। কাপ্তাই হ্রদে বাঁধ দেয়া অংশে ১২ দশমিক ২ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১১ দশমিক ৩ মিটার প্রস্থের ১৬টি জলকপাট বা স্লুইসগেট রয়েছে। এগুলো দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ৫ লাখ ২৫ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন করা যায়।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



আমিরাতে বিক্ষোভ করা সেই ৫৭ বাংলাদেশি ক্ষমা পেলেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফেডারেল আদালতের দোষী সাব্যস্ত হওয়া ৫৭ বাংলাদেশিকে ক্ষমা করেছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। শিগগিরই তাদের বাংলাদেশে পাঠানো হবে।

আজ মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ কথা জানান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করায় ৫৭ জন বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি আদালত। তাদের মধ্যে তিনজনকে যাবজ্জীবন, ৫৩ জনকে ১০ বছর এবং বাকি একজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



শাহপরান মাজারে তিন দিনব্যাপী ওরস শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

শাহপরানস্থ দরগাহ-ই- হযরত শাহপরানের (রহ.) মাজারে তিন দিনব্যাপী (৮ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর) পবিত্র ওরস শুরু হয়েছে। প্রথম দিন রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে কোরআন খতম, জিকির-আজগারের মধ্য দিয়ে খাদিম সৈয়দ আমিনুর রশিদ ও মোহাম্মদ ফিরোজ মিয়ার সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ ওরসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

দ্বিতীয় দিন (৯ সেপ্টেম্বর) ভক্ত আশেকানদের হযরত শাহপরান (রহ.) এর মাজারে গিলাফ চড়ানোর মধ্য দিয়ে ওরসের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। তৃতীয় দিন (১০ সেপ্টেম্বর) বাদ ফজর আখেরী মোনাজাত ও শিরনী বিতরণের মাধ্যমে ওরসের কার্যক্রম শেষ হবে।

প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও হযরত শাহপরান (রহ.) এর মাজারে বাৎসরিক ওরশ মোবারক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্ত আশেকানগন আগমন করছেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে কিছু বিধি নিষেধ থাকায় পূর্বের তুলনায় ভক্ত আশেকানদের আগমন তুলনামূলকভাবে কম পরিলক্ষিত হচ্ছে। মাজারে ওরস উপলক্ষে মজার প্রাঙ্গনে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা পরিলক্ষিত হয়নি।

নিউজ ট্যাগ: সিলেট

আরও খবর



স্বাধীন কমিশন গঠন করে পিলখানা হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তের দাবি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

২০০৯ সালে সংঘটিত বিডিআর বিদ্রোহে পিলখানায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যার ঘটনা পুনঃতদন্তের দাবি জানিয়েছে খেলাফত মজলিস। এজন্য একটি স্বাধীন কমিশন গঠনেরও দাবি তাদের।

সোমবার (১৯ আগস্ট) এক বিবৃতিতে খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের এ দাবি করেন।

বিবৃতিতে দলের দুই শীর্ষনেতা বলেন, ১৫ বছর আগে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানার বিয়োগান্তক ঘটনাটি যে দেশ ও দেশের সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল, তা ভিক্টিমদের কথায় আবারও উঠে এসেছে।

তারা বলেন, সেদিন ৫৭ জন দেশপ্রেমিক সাহসী সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন মানুষ প্রাণ হারান। বাংলাদেশের ইতিহাসে একদিনে এত বেশি সংখ্যক সেনা কর্মকর্তার নিহতের ঘটনা আর কখনও ঘটেনি।

এর আগে, তৎকালীন বিডিআরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের ছেলে রাকিন আহমেদ ভূঁইয়া শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে একই দাবি জানান। রাজধানীর মহাখালীতে রাওয়া ভবনে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

রাকিন আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, অনেক দেশপ্রেমিক, সাহসী সেনা কর্মকর্তা বিচার চাইতে গিয়ে চাকরিচ্যুত হয়েছেন। অনেক কর্মকর্তার জেল হয়েছে, জীবন ধ্বংস হয়ে গেছে। এখন এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে একটি কমিশন করা হোক। যেসব নির্দোষ সৈনিক জেলে আছেন, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাদের মুক্তি দেওয়া হোক। গত ১৫ বছরে যে তদন্ত হয়েছে, সেটি তিনি মানেন না। বলেন, স্বাধীন তদন্ত কমিটি করা হলে আরও অনেকের নাম আসবে। পিলখানায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার স্ত্রী ও স্বজনরাও সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের (বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি) সদর দপ্তর ঢাকার পিলখানায় বিদ্রোহ হয়। সেদিন বিডিআরের কয়েকশ সদস্য পিলখানায় নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালান। প্রায় দুই দিনব্যাপী চলা বিদ্রোহে বিডিআরের তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। সব মিলিয়ে ৭৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।


আরও খবর



৫ হাজার বন্যার্ত পরিবারকে শুকনো খাবার দিচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

টানা বৃষ্টি ও ভারতের বাঁধের পানি নেমে আসায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা দেখছে বাংলাদেশ। এতে দেশের ৯ জেলার কয়েক লাখ মানুষের জীবন বিপর্যয়ের মুখে।

সামাজিক মাধ্যমে উঠে আসছে আটকে পড়াদের আর্তনাদ; জীবন বাঁচাতে আকুতি জানাচ্ছেন তারা। এর মধ্যে বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে ফেনী। এই জেলার তিনটি উপজেলার সঙ্গে ইতোমধ্যেই সকল ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

সেখানে উদ্ধার কাজও ব্যাহত হচ্ছে। ভয়াবহ বন্যাদুর্গত এলাকার ৫ হাজার পরিবারে বিতরণের জন্য শুকনো খাবার দিচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক)। ত্রাণ সহায়তা ও উদ্ধার কাজে অংশ নিতে বন্দরের একটি বোট সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে ৫ হাজার পরিবারের জন্য শুকনো খাবার দিচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে এসব ত্রাণসামগ্রী হস্তান্তর করা হচ্ছে। তিনি বন্যা পরিস্থিতিতে জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্টদের বন্দর কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে (ভিএইএফ চ্যানেল Chennel-16/12, নম্বর 880-23-33326916, 01759-054277) যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানান।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর