তীব্র গরমে
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। একে তো প্রচণ্ড গরম, তার ওপর খাবার
পানি ও ব্যবহারের পানি না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ। রোজার দিনে পানি না পেয়ে
ওয়াসার দ্বারস্থ হচ্ছেন তারা। চাহিদার তুলনায় ওয়াসার পানি উৎপাদনের সক্ষমতা বেশি
থাকলেও এমন পরিস্থিতি কেন হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ওয়াসার দাবি, গরমের কারণে
পানির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সংকট তৈরি হয়েছে। এছাড়া উৎপাদনও কিছুটা কমে গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পশ্চিম ধানমন্ডির মধুবাজার এলাকায় প্রায় ১০ দিন ধরে পানি নেই। ৫ হাজার মানুষ পানির অভাবে ভোগান্তিতে দিন পার করছেন। পানি না পেয়ে মানুষ ওয়াসা, কাউন্সিলর ও বিভিন্ন দপ্তরেও ঘুরছেন মধুবাজার সমাজকল্যাণ সমিতির সভাপতি ফারুক খান মুকুল। তিনি বলেন, ৭ তারিখ থেকে আমাদের এখানে পানি নেই। এই রোজার দিনে পানি ছাড়া কীভাবে চলা যায়। ওয়াসাকে কয়েক বার আমরা জানিয়েছি, কাউন্সিলরকে জানিয়েছি, সব জায়গায় জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না। আমরা দ্রুত পানির সংকট দূরীকরণের দাবি জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক পানি সংকট নিয়ে জাতিসংঘের ব্যতিক্রমী সম্মেলন
এদিকে লোডশেডিংয়ের
কারণে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পানির সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। ওয়াসার পানির পাইপ বসানোর
কাজ চলমান থাকায় কোথাও কোথাও পানির সংকট হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অনেকেই। রাজধানীর আদাবর,
শেখেরটেক, মেহেদীবাগ, মনসুরাবাদ, মিরপুর কাজীপাড়া, মোহাম্মাদিয়া হাউজিংয়ে পানির
সংকটের কথা জানিয়েছেন বাসিন্দারা।
উত্তর আদাবরের বাসিন্দা শাহনাজ বেগম জানান, রাতে কিছু সময়ের জন্য পানি থাকে। সকালে পানির প্রয়োজন হলে অন্য এলাকা থেকে নিয়ে আসতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভারতের মহারাষ্ট্রে তীব্র গরমে ৮ জনের মৃত্যু
ঢাকা ওয়াসার
রাজধানীতে চাহিদার বিপরীতে প্রতিদিন পানি উৎপাদিত হয় ১০ শতাংশেরও বেশি। তবে বিভিন্ন
এলাকায় পানির পাইপ এবং পাম্প নষ্ট থাকায় এই বাড়তি পানি খুব বেশি কাজে রাজধানীর বিভিন্ন
এলাকায় আসে না স্থানীয়দের। ফলে গ্রীষ্মকাল আসতে না আসতেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়
শুরু হয় পানির তীব্র সংকট। ওয়াসার দৈনিক পানির উৎপাদন সক্ষমতা ২৬০ কোটি লিটার। ঢাকা
শহরে ২১০ থেকে ২৪৫ কোটি লিটার পর্যন্ত চাহিদা থাকে। তবে গরমে চাহিদা বেড়ে যায় বলে
জানিয়েছে ওয়াসা।
এ বিষয়ে ওয়াসার
মুখপাত্র জনসংযোগ কর্মকর্তা মোস্তফা তারেক বলেন, পানির লেয়ার দিন দিন নিচে নেমে যাচ্ছে।
এছাড়া লোডশেডিংসহ বিভিন্ন কারণে উৎপাদনও কিছুটা কম হচ্ছে। যার কারণে তীব্র গরমে পানির
চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সংকট তৈরি হচ্ছে কিছু জায়গায়। আমরা সমাধান করার চেষ্টা করছি।