রাজবাড়ী গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার বেড়ে ২৯ সেন্টিমিটার ও পাংশার সেনগ্রাম পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার ওপরে রয়েছে
রাজবাড়ীতে দুই পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে বাঁধের বাইরে থাকা নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড।
জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজবাড়ী গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার বেড়ে ২৯ সেন্টিমিটার ও পাংশার সেনগ্রাম পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার ওপরে রয়েছে। তবে এখনো রাজবাড়ী সদরের মহেন্দ্রপুর গেজ স্টেশন পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপদসীমার ৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে সদরের যৌকুড়া নাজিরগঞ্জ ফেরি ঘাটের পন্টুনের র্যাম ও রাস্তা তলিয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে এ রুটের ফেরি বন্ধ হয়ে যাবে।
পানি বৃদ্ধির ফলে নদীতে স্রোতও বেড়েছে। ফলে পদ্মা পাড়ের মানুষের মধ্যে ভাঙন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। কালুখালীর রতনদিয়া ইউনিয়নের হরিণবাড়িয়া, দৌলতদিয়ার দুর্গম চর কুশাহাটা ও দেবগ্রামের রাখালগাছি চরের বাসিন্দারা পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। রাজবাড়ী সদরের চন্দনী, যৌকুড়া, মিজানপুর, গোদার বাজার ও বরাট এলাকায় বেড়িবাঁধের বাইরে বিভিন্ন বাড়ি ঘরে পানি উঠেছে ও রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। একই সঙ্গে এসব এলাকার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।
দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মণ্ডল জানান, কুশাহাটা একটি দ্বীপের মতো। এই চরটি ছাড়া তার ইউপির কোথাও পানিবন্দীর খবর নেই।
পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মাদ আলী জানান, বাহাদুরপুর এলাকার কিছু স্থানে পানি উঠেছে। এ বিষয়ে নিয়মিত খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজিজুল হক জানান, গোয়ালন্দ এলাকায় এখন পর্যন্ত কেউ পানিবন্দী নেই। তবে বন্যার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।