আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

রাজাপুরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৪ জুন ২০২১ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৪ জুন ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ

ঝালকাঠির রাজাপুরে ডোবার পানিতে পড়ে মো. আহাদ ইসলাম নামে দেড় বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার চর সাংগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আহাদ ইসলাম ঐ এলাকার মো. বাবুল হোসেনের ছেলে।

জানাগেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে আহাদ নিজ ঘরের পাশে খেলা করছিল। হঠাৎ আহাদ নিখোঁজ হয়। পরে খোঁজাখুজি করে বাড়ির পাশে ডোবায় আহাদকে ভাসতে দেখে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় ময়না তদন্ত ছাড়া পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



আজও স্বস্তি নেই ঢাকার বাতাসে

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর ঢাকার বাতাস আজও অস্বাস্থ্যকর। রোববার (১০ মার্চ) ভোর ৬টার পর এয়ার কোয়ালিটি ইনডেকক্সে (একিউআই) দেওয়া তথ্যমতে ১৯৪ স্কোর নিয়ে দূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা।

বায়ুদূষণের এ তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ভারতের কলকতা। শহরটির স্কোর ২০৪। আর দ্বিতীয় অবস্থানে রাজধানী ঢাকা, শহরটির স্কোর ১৯৪, তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের শহর করাচি, যার স্কোর ১৭৯। আবার একই স্কোর নিয়ে চর্তুথ অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি, যার স্কোর ১৭৫।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে মাঝারি বা গ্রহণযোগ্য মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা অস্বাস্থ্যকর বায়ু। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে খুবই অস্বাস্থ্যকর বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে দুর্যোগপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে দিনের পর দিন ঢাকায় বায়ুদূষণ বেড়েই চলেছে। এর তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুসারে, বিশ্বে বায়ুদূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ বাড়ছে।


আরও খবর



মুক্তির মহানায়কের জন্মদিন আজ

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী আজ রোববার (১৭ মার্চ)। সারাদেশে দিনটি জাতীয় শিশু কিশোর দিবস হিসেবে উদযাপিত হচ্ছে। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

দিবসটি উদযাপনে এদিন দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু কিশোর দিবস উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধীসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই মধ্যে পৃথক বাণী দিয়েছেন তারা।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারাদেশে সংগঠনের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। তাছাড়া সকাল ১০টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় নেতারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। একইসঙ্গে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং শিশু সমাবেশে অংশগ্রহণ করবেন তারা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪০ সালে সর্বভারতীয় মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগদানের মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। ১৯৪৬ সালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ (বর্তমানে মওলানা আজাদ কলেজ) ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৪৯ সালে তৎকালীন আওয়ামী মুসলিম লীগের পূর্ব পাকিস্তান শাখার যুগ্ম-সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫৩ সালে পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের টিকেটে ইস্ট বেঙ্গল লেজিসলেটিভ এসেম্বলির সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেয়ায় বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আজীবন সোচ্চার অবিসংবাদিত নেতাকে রাজনৈতিক জীবনে বহুবার কারাবরণ করতে হয়। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৮ সালের সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬-দফা ও পরবর্তীতে ১১ দফা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন তিনি। সেই সুবাদে বঙ্গবন্ধু উপাধি লাভ করেন।

তার সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ধাপে ধাপে স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে থাকে। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জিত হলেও তৎকালীন পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করে বাঙালি জাতির ওপর নানা নির্যাতন শুরু করে। বঙ্গবন্ধু একাত্তরের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন। যা ইউনেস্কোর ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অব দ্য ওয়াল্ড রেজিস্ট্রারে অর্ন্তভুক্তির মাধ্যমে বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।

অন্যদিকে, ২৬ মাচর্ (২৫ মার্চ মধ্যরাতে) আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন তিনি। তার নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাঙালির বহু কাঙ্ক্ষিত বিজয় ও স্বাধীনতা অর্জিত হয়। সাম্য, মৈত্রী, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিরামহীন সংগ্রামে অবদান রাখার জন্য তিনি বিশ্বশান্তি পরিষদ প্রদত্ত জুলিও কুরি পদকে ভূষিত হন। বিবিসির এক জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি নির্বাচিত হন।

যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনে বঙ্গবন্ধু যখন বিভিন্নমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করতে শুরু করেন, ঠিক সেই মুহূর্তে স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত শক্তি ও কায়েমী স্বার্থান্বেষী মহল তার বিরুদ্ধে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র শুরু করে। ওই ষড়যন্ত্রেরই অংশ হিসেবে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তিনি ধানমন্ডির বাসভবনে কতিপয় সেনা কর্মকর্তার হাতে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নিহত হন।

বিশ্ব গণমাধ্যমের চোখে বঙ্গবন্ধু ছিলেন ক্ষণজন্মা পুরুষ। অনন্য সাধারণ নেতাকে স্বাধীনতার প্রতীক বা রাজনীতির ছন্দকার খেতাবেও আখ্যা দেয়া হয়। বিদেশি ভক্ত, কট্টর সমালোচক এমনকি শত্রুরাও তাদের নিজ নিজ ভাষায় তার উচ্চকিত প্রশংসা করেন। বিংশ শতাব্দীর কিংবদন্তি কিউবার বিপ্লবী নেতা প্রয়াত ফিদেল ক্যাস্ট্রো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হিমালয়ের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন।

শ্রীলংকার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী লক্ষ্মণ কাদির গামা বাংলাদেশের মহান নেতা সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে গিয়ে বলেছিলেন, দক্ষিণ এশিয়া গত কয়েক শতকে বিশ্বকে অনেক শিক্ষক, দার্শনিক, দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক, রাজনৈতিক নেতা ও যোদ্ধা উপহার দিয়েছে। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমান সবকিছুকে ছাপিয়ে যান। তার স্থান নির্ধারিত হয়ে আছে সর্বকালের সর্বোচ্চ আসনে।

ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ২০১৩ সালের ৪ মার্চ নগরীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন শেষে মন্তব্য বইয়ে লিখেছিলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন জনগণের নেতা এবং তাদের সেবায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তাকে দেয়া বঙ্গবন্ধু খেতাবে এই দেশপ্রেমিক নেতার প্রতি দেশের মানুষের গভীর ভালোবাসা প্রতিফলিত হয়।

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং মন্তব্য বইয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্মোহনী এবং অসীম সাহসী নেতৃত্বের মাধ্যমে স্বাধীনতা যুদ্ধে জনগণের নেতৃত্বদান করেছিলেন। ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের নেতা সোনিয়া গান্ধী বলেন, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন একজন নেতা এবং রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি আমি শ্রদ্ধা জানাই। তিনি স্বাধীনতার জন্য প্রতিকূলতা ও বিরূপ পরিস্থিতি উপেক্ষা করে অটল সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেছেন।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশ সফরের সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন। এসময় মন্তব্য বইয়ে তিনি লেখেন, উপ-মহাদেশের প্রতিটি মুক্তিকামী, মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল মানুষের মনে বঙ্গবন্ধু এক জ্বলন্ত অনুপ্রেরণা। তিনি মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি, স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্থপতি এবং পিতা। বাংলা ভাষাকে বিশ্বের মঞ্চে অন্যতম শ্রেষ্ঠত্বে মর্যাদা এনে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। তিনি সেই বিরল নেতা, যার প্রতি ধর্মমত নির্বিশেষে সব মানুষ প্রণাম জানিয়ে ধন্য হয়।

তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানি সামরিক নেতৃত্ব বঙ্গবন্ধুকে দেশদ্রোহী হিসেবে চিত্রিত করলেও ইতিহাসই প্রকৃত অবস্থান নিশ্চিত করে, যখন তাঁর এককালীন ঘোরতর শত্রু তাকে মহান দেশপ্রেমিক হিসেবে অভিহিত করে।১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাবেক পাকিস্তানি (বেলুচিস্তান) অফিসার মেজর জেনারেল তোজাম্মেল হোসেন মালিক পরে তার স্মৃতিকথায় লিখেছেন, বস্তুত মুজিব দেশদ্রোহী ছিলেন না (পাকিস্তানে তাকে সেভাবে চিত্রিত করা হলেও)। নিজ জনগণের জন্য তিনি ছিলেন এক মহান দেশপ্রেমিক।

আরেকজন সেনা কর্মকর্তা তৎকালীন পাকিস্তানি জান্তার মুখপাত্র মেজর সিদ্দিক সালিক বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ও যুগান্তকারী ৭ মার্চের ভাষণের কথা অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। সালিক তার গ্রন্থে লিখেছেন, রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পর ঘরমুখী মানুষের ঢল নামে। তাদের দেখে মনে হচ্ছিল আশাব্যঞ্জক বাণী শ্রবণ শেষে মসজিদ অথবা গির্জা থেকে তারা বেরিয়ে আসছেন।


আরও খবর



খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ছে

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ছে। সরকারের নির্বাহী আদেশে আগের মতো দুই শর্তে (বিদেশে যেতে পারবেন না ও ঢাকায় থেকে চিকিৎসা) খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের বিষয়ে মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। এখন পরবর্তী প্রক্রিয়া শেষ করে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আজ বুধবার (২০ মার্চ) বলেছেন, এবারের আবেদনেও আগের মতোই স্থায়ী মুক্তি চাওয়া হয়েছে। বিদেশ যাওয়ার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছে। আইনমন্ত্রী আরও বলেছিলেন, বহুবার আমি আইনের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছি, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী যেই শর্তে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, এর বাইরে আইনিভাবে আমাদের আর কিছু করার নেই।

দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হন। দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দি ছিলেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দিয়েছিল। এরপর ছয় মাস পরপর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার।


আরও খবর



সোমালি জলদস্যুদের জানতে দেখুন এই পাঁচ সিনেমা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

গত কয়েক বছর স্তিমিত থাকলেও সম্প্রতি নতুন করে ব্যাপক তৎপরতা দেখা যাচ্ছে সোমালি জলদস্যুদের। গত মঙ্গলবার এই জলদস্যুরা বাংলাদেশি একটি জাহাজ ছিনতাই করে ২৩ জন নাবিককে জিম্মি করেছে। এরপর থেকেই ফের আলোচনায় তারা।

গত কয়েক দশকে সোমালি জলদস্যুদের নিয়ে তৈরি হয়েছে বেশ কয়েকটি সিনেমা। বাস্তবে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই সিনেমাগুলো তৈরি করা হয়েছে। টানটান উত্তেজনায় ভরা এই সিনেমাগুলোতে দেখানো হয়েছে নাবিকদের জিম্মি করা, মুক্তিপণ চাওয়া এবং না দিলে খুন করে ফেলার ঘটনা। বাস্তবে সোমালি জলদস্যুদের কাছে জিম্মি হওয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে এমন ব্যক্তিও অভিনয় করেছেন এসব ছবিতে। তাই প্রতিটি ঘটনা জীবন্ত হয়ে ফুটে উঠেছে পর্দায়। এক নজরে জেনে নিন সোমালি জলদস্যুদের নিয়ে তৈরি পাঁচ সিনেমা সম্পর্কে।

স্টোলেন সিস: ছবিটি মুক্তি পেয়েছে ২০১২ সালে। সোমালি জলদস্যুদের বিষয়গুলোকে ভিন্ন আঙ্গিকে দেখানো হয়েছে ছবিতে। ২০০৮ সালের ৭ নভেম্বর ড্যানিশ জাহাজ এমভি সিইসি ফিউচার ছিনতাইয়ে ঘটনা অবলম্বনে তৈরি হয়েছে ছবিটি। জিম্মি হওয়া নাবিকদের দুর্দশা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নির্মাতা থিমায়া পেইনের এই ছবিতে।

আ হাইজ্যাকিং: ড্যানিশ এই সিনেমাটি মুক্তি পায় ২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর। ডেনমার্কের একটি কার্গো জাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনা অবলম্বনে নির্মাণ করা হয়েছে এই ছবি। কার্গো জাহাজের মালিকের জলদস্যুদের সঙ্গে দেন-দরবারের দৃশ্যগুলো দারুণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

ফিশিং উইদাউট নেটস: এ সিনেমায় জলদস্যুদের জীবনকে পর্দায় তুলে এনেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নির্মাতা কাটলার হডিয়র্ন। জীবনে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে কীভাবে জেলেরা বেঁচে থাকার তাগিদে জলদস্যুতে পরিণত হয়েছেন, সেই ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে ছবিতে। ছবিটি ২০১২ সালে সানড্যান্স ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল-এ গ্র্যান্ড জুরি অ্যাওয়ার্ড সহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রচুর প্রশংসা এবং পুরষ্কার জিতেছে।

দ্য প্রজেক্ট: যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক অ্যাডাম চারলস্কি নির্মিত ডকুড্রামা দ্য প্রোজেক্ট। এতে তুলে ধরা হয়েছে সোমালি জলদস্যুদের আধিপত্যের কারণে শিপিং বিশ্ব কতটা হুমকিতে পড়েছে। এই জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণ করতে কী করা যায়, এসব বিষয়ও উঠে এসেছে ডকুড্রামাটিতে। বিশ্বের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে দেখানো হয়েছে ডকুড্রামাটি।

ক্যাপ্টেন ফিলিপস: আমেরিকান মালবাহী জাহাজ মারস্ক আলাবামা ২০০৯ সালের ৭ এপ্রিলে ছিনতাই করেছিল সোমালি জলদস্যুরা। জাহাজটির ক্যাপ্টেন ছিলেন রিচার্ড ফিলিপস। তার জিম্মি অবস্থায় দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়েছে সিনেমায়। রিচার্ড ফিলিপসের চরিত্রে অভিনয় করেছেন টম হ্যাঙ্কস। জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে রিচার্ড ফিলিপস বই লিখেছিলেন। সেই বই অবলম্বনে পল গ্রিনগ্রাস ক্যাপ্টেন ফিলিপস সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন।


আরও খবর



সাকিবকে টপকে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার তামিমের

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগেই জানিয়েছিলেন বিপিএলের পরেই নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। যদিও একবার অবসরে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। তবে সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেও বিশ্বকাপের ফ্লাইটে চড়া হয়নি। এরপরই তাকে নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম হয়। বলা হচ্ছিল তামিম শেষ হয়ে গেছেন, ফুরিয়ে গেছেন। সেই বুড়ো তামিমই কিনা হলেন এবারের বিপিএলের সিরিজ সেরা তারকা।

ফাইনালের আগে দারুণ ছন্দে ছিলেন তামিম। ফরচুন বরিশালের জার্সি গায়ে ১৪ ম্যাচে করেছিলেন ৪৫৩ রান। সেরা ব্যাটারের দৌড়ে তামিমের প্রতিপক্ষ ছিল কুমিল্লার তরুণ ক্রিকেটার তাওহিদ হৃদয়। এ দুজনের মাঝে রানের ব্যবধান ছিল মাত্র ৬। সেখান থেকে হৃদয় আজ ব্যাট হাতে ছিলেন নিষ্প্রভ। ১০ বলে খেলেন ১৫ রানের ইনিংস। তাই খুব বেশিদূর এগুতে পারেননি হৃদয়।

কুমিল্লার দেয়া টার্গেটে ব্যাটিং করতে নেমে ২৬ বলে ৩ ছক্কা ও সমান চারে খেলেন ৩৯ রানের বিস্ফোরক ইনিংস। এতে করে ১৫ ম্যাচ থেকে তামিমের সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়ায় ৪৯২ রান। এতে করে হৃদয়কে টপকে হয়ে যান ২০২৪ বিপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। আর ম্যাচ শেষে পুরো বিপিএলের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার নিজের করে নেন তিনি।

২২ গজে ব্যাট হাতে যে তামিম ফুরিয়ে যাননি বিপিএলের এবারের আসরে সেটা বারবার প্রমাণ করেছেন। বড় ইনিংস নিয়মিত না এলেও দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে ৭১ রানের চমৎকার ইনিংস উপহার দেন। টুর্নামেন্টে এরপর আরও দুটি ফিফটির দেখা পান তিনি। এলিমিনেটরে চট্টগ্রামের বিপক্ষে খেলেছিলেন ৪৩ বলে ৫২ রানের অপরাজিত ইনিংস।

বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান, বিপিএলে সর্বোচ্চ রানসহ প্রায় অনেক রেকর্ডই নিজের করেছেন চট্টগ্রামের এই ওপেনার। আজ ফাইনালে নামার আগে তামিমের সামনে দুটি রেকর্ডের হাতছানি ছিল। তার মধ্যে একটি রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন তিনি।

বিপিএলের প্রথম আসর থেকেই টুর্নামেন্টে খেলে যাচ্ছেন তামিম। ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক এ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে তিনি নিয়মিত মুখ। বিপিএলের হয়ে যাওয়া দশটি আসরে আটটি আলাদা দলের হয়ে মাঠ মাতিয়েছেন দেশসেরা এ ওপেনার। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে এ ক্রিকেট আসরে দুই সেঞ্চুরির মাইলফলকে পৌঁছেছেন। বিপিএলের ফাইনালেও রয়েছে তার সেঞ্চুরি। ২০১৯ সালে বিপিএলের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে তার হাঁকানো ১৪১ রানের দাপুটে ইনিংস দেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে রেকর্ড।

বিপিএলের ২০১৬ আসরে চট্টগ্রাম ভাইকিংসের হয়ে তামিমের ব্যাট থেকে এসেছিল ৪৭৬ রান। ২০১৯ সালে চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার হয়ে পুরো টুর্নামেন্টে দ্যুতি ছড়িয়ে করেন ৪৬৭ রান। এ টুর্নামেন্টের এক মৌসুমে দেশের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় তার এই দুই ইনিংস ছিল তিন ও চার নম্বরে। আজকের ফাইনালে সেটাকেই টপকে গেলেন তিনি।

ফাইনাল ম্যাচের আগে ১৪ ম্যাচে তামিমের ছিল ৪৫৩ রান। ফাইনালে ২৬ বলে ৩৯ রান করায় ১৫ ম্যাচে তার সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়ায় ৪৯২ রান। যা চলতি আসরে রান সংগ্রাহকদের মধ্যে সর্বোচ্চ। এছাড়া তার ব্যক্তিগত রান সংগ্রহের দিক দিয়ে আট বছরের পুরোনো রান টপকে নতুন রেকর্ড গড়েন। এর মধ্যে বিপিএলে এক মৌসুমে তামিমের ৪৯২ রানেই সর্বোচ্চ। বাংলাদেশি হিসেবে তার সামনে আছেন কেবল নাজমুল হাসান শান্ত। তিনি ২০২৩ সালের নবম আসরে সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে ১৫ ম্যাচে ৫১৬ রান সংগ্রহ করেন।

অধিনায়ক হিসেবে প্রথম বিপিএল শিরোপা নিশ্চিতের দিনে সিরিজ সেরার পুরস্কারটাও পেলেন তামিম। বয়স বাড়লেও তামিম যে ফুরিয়ে যাননি তাই যেন প্রমাণ করলেন শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪