আজঃ বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

রাজাপুরে ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মো. নাঈম, রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি

Image

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা সদরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন স্থান ময়লা-আবর্জনায় ভাগারে পরিণত হয়েছে। ডাষ্টবিন না থাকায় যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। ফলে আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে উপজেলা সদরের বসবাসরত এলাকাবাসী।

ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করার জন্য নেওয়া হয়নি কোন উদ্যোগ। যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে রাজাপুর উপজেলা শহর এখন আবর্জনার শহরে পরিনত হচ্ছে। কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না করায় দুর্গন্ধে বাতাস দূষিত হচ্ছে। এ ছাড়া টানা বৃষ্টির পানিতে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা ভেসে যেখানে সেখানে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দুর্গন্ধে পথচারী, বসবাসরত আবাসিক এলাকার মানুষ, শিক্ষার্থী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন অফিসগামী মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, রাজাপুর উপজেলার সদরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত রাজাপুর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের পাশে টিএন্ডটি অফিসের (পশ্চিম-দক্ষিণ) দুই পাশে, বাগরী বাজারের খালে, রাজাপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে সরকারি পুকুরের পাড়ে, বাজার ব্রিজ এর নিচে ও মন্দিরের পাশের খালে, বাইপাশ মোড়ে ও বাইপাশ খালে, ফায়ারসার্ভিসের উত্তর পাশে মহাসড়কের পাশে,পুরাতন জেলখানার পশ্চিম পাশে মহাসড়কের পাশে মেডিকেল মোড়েসহ সদরের মূল স্থানগুলোতে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ একাকার। উপজেলা শহরের কোথাও ময়লা ফেলার সুনির্দিষ্ট স্থান ও ডাষ্টবিন না থাকায় শহরবাসী পলিথিনে ভরে যেখানে সেখানে ফেলে রাখছেন ময়লা-আবর্জনা।

দিনের পর দিন ময়লা পড়ে থাকার ফলে বৃষ্টির পানিতে এসব ময়লার স্তূপ যেখানে সেখানে ছড়িয়ে পড়ছে। সৃষ্টি হচ্ছে ডেঙ্গু মশা ও মাছির আবাসস্থল। দিন দিন এ ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলা শহর জুড়েই ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। ফলে অলিগলিতে পড়ে আছে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ, এ কারনে পথচারীরা স্বাভাবিকভাবে হাটতে পারেনা। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

এছাড়াও বাঘড়ী হাটের ময়লা, বাজারের ময়লা, হোটেল রেস্টুরেন্ট এর ময়লা, দধির হাঁড়ি, অগণিত পলিথিন সব খালে ও বিভিন্ন রাস্তার পাশে, ডোবায় ফেলা হচ্ছে, ফলে খালগুলি দ্রুত ভরে যাচ্ছে ও রাস্তায় চলাচল করতে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। উপজেলা শহরের সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে ২ টি পুকুরে পলিথিনসহ ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে ২টি পুকুরে মাছ চাষের অনুপযোগী হয়ে গেছে।

শহরের বসবাসকারী মাহিন, সাইফুলসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, আবর্জনার দুর্গন্ধে আমরা অতিষ্ঠ। রাস্তা-ঘাটে যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলায় সৃষ্টি হয় দুর্গন্ধ ও দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। উপজেলা শহরের কোথায়ও ময়লা ফেলার সুনির্দিষ্ট স্থান ও ডাষ্টবিন না থাকায় বাধ্য হয়ে খোলা জায়গায় ময়লা আবর্জনা ফেলছে এলাকাবাসী। এতে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে পড়ছে সাধারন পথচারীরা।

উপজেলার ব্যবসায়ি এম মুরাদ, নয়ন তালুকদার, আরিফ, মিজান, আমিনুল সহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, শহরের আবাসীক বসতবাড়ি, দোকান, হোটেল, রেস্টুরেন্ট, কনফেকশনারি, কয়েকটি ক্লিনিক, হাট বাজারের ইজারা এবং ট্রেড লাইসেন্স থেকে ইউনিয়ন পরিষদ বছরে অনেক টাকা নিলেও তাদের থেকে সেবা পাচ্ছেনা জন-সাধারণ ও ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো।

এবিষয়ে রাজাপুর উপজেলার ৩নং সদর ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম স্বপন তালুকদার বলেন, আমরা সবার সাথে এবিষয় কথা বলেছি। সবাই একত্রে বসে আলোচনা করে খুব শীঘ্রই দুইজন লোক রেখে নির্দিষ্ট একটা স্থান ঠিক করবো এবং সেখানে ময়লা ফেলার ব্যবস্থা করা হবে।

এবিষয়ে "পরিছন্ন বাংলাদেশের স্বপ্ন" বিডি ক্লিন এর ঝালকাঠি শাখার সদস্য রাহাত মাহমুদ জিবন বলেন, আমরা মানুষদের সচেতন করার জন্য বিভিন্ন সময় সচেতনতা মূলক লিফটে বিতরণ করেছি। শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করেছি। তারপরও মানুষ সচেতন হচ্ছে না। এরকম যদি যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলতে থাকে তাহলে পরিবেশ দূষণ হবে এবং পানি জমে ডেঙ্গু মশা তৈরি হবে।

এবিষয়ে পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ ঝালকাঠি শাখার প্রেসিডেন্ট এডভোকেট মোঃ আককাস সিকদার বলেন, ময়লা আবর্জনা ফেলার জন্য নির্দিস্ট স্থান নির্ধারণ, ডাস্টবিন স্থাপন এবং ময়লা অপসারণের দায়িত্ব ইউনিয়ন পরিষদের। রাজাপুর উপজেলা সদরে উপজেলা পরিষদ এবং ইউনিয়ন পরিষদ মিলে ময়লা অপসারণ এবং ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণের উদ্যোগ নিতে পারে।

এবিষয়ে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাঃ ফারহান তানভীর তানু বলেন, ময়লা-আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় যেখানে সেখানে ফেলার কারণে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে এবং পানি জমে ডেঙ্গু মশা জন্ম নিচ্ছে। এতে উপজেলা বাসী ঝুঁকিতে আছে। সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ৫৩জন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এবিষয়ে রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, পৌরসভা না থাকায় সরকারি কোন কর্মচারী এবং সরকারি কোন অর্থ বরাদ্দ নেই। তাই এই বিষয়ে উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদসহ সবার সাথে আলোচনা করবো এবং স্থায়ী ভাবে সমাধানের জন্য চেষ্টা করবো।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রের শর্তহীন প্রস্তাব

রাজনীতিতে সংলাপের আবহ

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শর্তহীন সংলাপের প্রস্তাবে নমনীয় দেশের প্রধান তিন রাজনৈতিক দল। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন সংলাপে সরকারের আপত্তি নেই বলে মন্তব্য করেছেন। তবে কার সঙ্গে সংলাপ হবে সে বিষয়ে প্রশ্ন রয়েছে বলে জানান। একই বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, বিএনপি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই চিঠির বিষয়ে জানাবে।

অন্যদিকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বিশেষ দূত ও দলটির আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা মাশরুর মাওলা বলেছেন, সংলাপ হলে জাতীয় পার্টি যোগ দেবে। তবে সংলাপের উদ্যোগটি সরকারকেই নিতে হবে।

সোমবার আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে চিঠি দিয়ে শর্তহীন সংলাপের বসার আহ্বান জানায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। তার চিঠি ঢাকার মার্কিন দূতাবাস দলগুলোর কাছে পৌঁছে দেয়।

মঙ্গলবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শর্তহীন সংলাপে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানের বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চাওয়া হয় তার কাছে। জবাবে তিনি বলেন, আমাদের সংলাপে আপত্তি নেই। আমরা গণতন্ত্র ধ্বংস করতে চাই না। গণতন্ত্র সমুন্নত করতে যা যা করা দরকার আমরা তাই করব। সেখানে যদি সংলাপের প্রয়োজন হয় আমরা সেটা করব। কিন্তু কার সঙ্গে করব, সেটা বিবেচনার বিষয় আছে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে। এ সময় সংলাপ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্য তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ট্রাম্প সাহেব আর বাইডেন সাহেব যদি সংলাপ করেন, আমিও রাজি।

বন্ধু দেশগুলো কোনো ভালো পরামর্শ দিলে সরকার সেটাকে আমলে নেয় জানিয়ে মোমেন বলেন, সবাই নিজ নিজ মতামত দিচ্ছেন। আমরা এটা মাইন্ড করছি না। আমাদের বন্ধু দেশ যদি আমাদের কোনো পরামর্শ দেয় আমরা ওটাকে খুব ভালোভাবে নেই, সেটাকে মূল্যায়ন করি। দেশের মঙ্গলের জন্য আমরা সেটাকে গ্রহণ করি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ রকম পরামর্শ বহু আসে। আসুক, আমরা দেখি পরামর্শ যেগুলো আসে সেগুলো প্রয়োগ করা যায় কিনা, বাস্তবতা দেখতে হবে। ডিএসএর (ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন) ক্ষেত্রে বিদেশিরা বলেছেন, আমরা ওটা গ্রহণ করেছি। আমরা খুব বাস্তবসম্মত দেশ, খুব বাস্তববাদী সরকার। মানুষের সত্যিকারের কোনো অভিযোগ থাকলে সেটা আমরা গ্রহণের চেষ্টা করি।

দেশের তিন রাজনৈতিক দলকে চিঠি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সমঝোতার উদ্যোগ নিল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, ওদের জিজ্ঞেস করেন। তারা কি কারণে করেছে তাদের জিজ্ঞেস করেন। তারা ভালো উত্তর দিতে পারবেন। আওয়ামী লীগ দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সৃষ্টি করেছে। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে চায়। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া যেন কোথাও বিঘিœত না হয়। আগেও বিএনপি সরকার এবং তাদের উত্তরসূরিরা মানুষের ভোট দেওয়ার অধিকার নষ্ট করেছে।

সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ভলকার টুর্কের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উনাকে বলেন উনার দেশে বন্দিকে, অপরাধীকে, দণ্ডিত অপরাধীকে অন্য দেশে পাঠায় কিনা?

দেশের প্রধান তিন রাজনৈতিক দলের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বানকে গুরুত্বের সঙ্গেই দেখছে বিএনপি। এ বিষয়ে দলের স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, বিএনপি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই চিঠির বিষয়ে জানাবে। সেটি তাদের চিঠির মাধ্যমেই হোক, আর যেভাবেই হোক।

তিনি বলেন, ওরা (মার্কিনিরা) চেষ্টা করছে বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে। মনে হচ্ছে এটা তাদের এই মুহূর্তের উদ্দেশ্য। দলের এই অন্যতম নীতিনির্ধারক বলেন, যা-ই হোক, বিএনপি সব সময়ই সংলাপ পছন্দ করে। কিন্তু সেই সংলাপ হতে হবে যৌক্তিক তথা রিলেভেন্ট বিষয় নিয়ে। আর সেজন্য একটা উপযোগী পরিবেশও দরকার। আমাদের দলের পক্ষ থেকে যারা কথা বলবেন কিংবা সংলাপে অংশ নেবেন তারা প্রায় সবাই কারান্তরীণ। বেশিরভাগ সিনিয়র নেতাকর্মীকেই বর্তমানে মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। কারাগারের ভেতরেও তাদের অত্যন্ত মানবেতরভাবে রাখা হয়েছে। সারা দেশে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর ক্র্যাকডাউন চলছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তুলে নিয়ে যাওয়ার পর এখনো পর্যন্ত অনেক নেতাকর্মীর কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। এমন একটা শ্বাস-রুদ্ধকর অবস্থায় সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কারাগারে বন্দি করে রেখে একটি একতরফা নির্বাচনের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। এজন্য তারা নির্বাচনের তফশিল ঘোষণারও পাঁয়তারা করছে। এই অবস্থায় বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলাপ-আলোচনা শেষে দলের হাইকমান্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে এটুকু বলা যায়, বিএনপি এ ব্যাপারে জানাবে।

তবে বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, সংলাপের বিষয়ে তারাও ইতিবাচক। তার আগে কারাগারে থাকা সিনিয়র নেতাদের মুক্তি চায় দলটি। একইসঙ্গে যেসব দাবিতে চলমান আন্দোলন চলছে তা-ও বাস্তবায়ন চায়। দলটি এসব দাবিকে শর্ত হিসাবে মনে করে না।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বানের বিষয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বিশেষ দূত ও দলটির আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা মাশরুর মাওলা বলেন, সংলাপ আমরা অবশ্যই চাই। আমরা এতে যোগও দেব। কিন্তু সংলাপের উদ্যোগটি নিতে হবে সরকারকে।

এদিকে শর্তহীন সংলাপ করতে হলে বিএনপিকে সরকার পতনের একদফা প্রত্যাহার করতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা রাশেদ খান মেনন। তিনি আরও বলেছেন, বিএনপিকে একদফা প্রত্যাহারের পাশাপাশি সহিংসতা পরিত্যাগ করতে হবে। মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে ১৪ দলীয় জোট আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে এসব কথা বলেন রাশেদ খান মেনন।

ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র সোমবার বলেছেন, রাষ্ট্রদূত (পিটার) হাস আসন্ন নির্বাচনের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান অনুধাবনের লক্ষ্যে বৈঠকে বসার জন্য তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। তারা সব পক্ষকে সহিংসতা পরিহার এবং সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানান।

সংলাপের সঙ্গে তফশিলের কোনো সম্পর্ক নেই- অ্যাটর্নি জেনারেল : দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার সঙ্গে সংলাপের কোনো সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তার মতে, সংলাপ যে কোনো সময় হতে পারে। মঙ্গলবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে তফশিল ঘোষণা করা। সংলাপের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের কোনো সম্পর্ক নেই।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাজ হচ্ছে নির্বাচন পরিচালনা করা, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করা। সংবিধান অনুযায়ী জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করতে হবে সে অনুযায়ী তাদের নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করতে হবে। কোনো কারণে যদি একটা বা দুটো উপনির্বাচন করতে হয় সে কারণে তাদের হাতে সময় রাখতে হবে। সেটাও এ সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে। এ কারণে হাতে কয়েকদিন সময় রেখে এটা করতে হবে।

তফশিল ঘোষণা অতি সন্নিকটে উল্লেখ করে অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন বলেন, আমি মনে করছি খুব শিগগিরই তারা নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করবেন। সংলাপের সঙ্গে নির্বাচনের তফশিলের কোনো সম্পর্ক নেই। সংলাপ যে কোনো সময় হতে পারে।

নিউজ ট্যাগ: রাজনীতি সংলাপ

আরও খবর
শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে জাপার ৩ নেতা

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




সাপের কামড় খাইয়ে স্ত্রী-কন্যাকে মারলেন স্বামী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিষাক্ত সাপের কামড় খাইয়ে স্ত্রী ও দুই বছরের কন্যাকে হত্যার অভিযোগে ২৫ বছর বয়সি এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মাস দেড়েক আগে ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার গঞ্জাম জেলার কবিসূর্য নগর থানার আধেইগাঁও গ্রামে।

গত ৬ অক্টোবর তিনি একটি প্লাস্টিকের পাত্রে একটি কোবরা নিয়ে আসেন এবং সাপটিকে তার স্ত্রী ও মেয়ে যে ঘরে ঘুমিয়েছিলেন সেখানে ছেড়ে দেন। পরদিন সকালে দুজনকেই সাপের কামড়ে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

গঞ্জামের পুলিশ সুপার জগমোহন মীনা জানিয়েছেন, পুলিশ প্রথমে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছিল, কিন্তু তার শ্বশুর খুনের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করার পরে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।

এক পুলিশ সদস্য জানিয়েছেন, অভিযুক্ত গণেশ ধর্মীয় উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার কথা বলে এক সাপুড়ের কাছ থেকে সাপটি কিনেছিল।

২০২০ সালে গণেশ পাত্রের সঙ্গে বিয়ে হয় বাসন্তী পাত্রের (২৩)। তবে বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে বৈবাহিক বিরোধ চলছিল। দেবস্মিতা নামে তাদের দুই বছরের একটি কন্যাও রয়েছে।


আরও খবর



বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে যা জানাল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বাংলাদেশে কোনো নির্দিষ্ট সরকার, রাজনৈতিক দল বা নির্দিষ্ট কোনো প্রার্থীকে সমর্থন করে না যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র চায় একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। যা বাংলাদেশের মানুষের ইচ্ছাকে সম্মান করবে। গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে করা এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান।

প্রেস ব্রিফিংয়ে বেদান্তকে প্রশ্ন করা হয়, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশে কোনো ধরনের অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে সমর্থন করে কিনা? যেমনটা দাবি করছে বিরোধী দলগুলো। জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, আমি নিশ্চিত যে, আমি গতকাল বা তার আগের দিন বা তার আগের দিন এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। 

আরও পড়ুন>> গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত

বেদান্তের এই উত্তরের পর তাঁকে আবারও একই ইস্যুতে প্রশ্ন করা হয়। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়আমরা প্রতিবারই উত্তর পাচ্ছি যে, আপনারা সবাই বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চান। এটি ঠিক আছে, কিন্তু প্রশ্ন হলো, আপনারা অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে সমর্থন করেন কি না? হ্যাঁ বা না।

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, আপনি অতীতেও আমাদের বলতে শুনেছেন যে, আমরা কোনো দেশে কোনো নির্দিষ্ট সরকার, রাজনৈতিক দল বা কোনো নির্দিষ্ট প্রার্থীকে সমর্থন করি না এবং সে ক্ষেত্রে যেখানে নির্বাচন চলছে সেখানে আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলোএই নির্বাচনগুলো অবাধ ও সুষ্ঠু উপায়ে অনুষ্ঠিত হবে যাতে দেশের জনগণের ইচ্ছাকে সম্মান করা হবে।

অপর এক প্রশ্নে বেদান্তের কাছে জানতে চাওয়া হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে বাংলাদেশ সরকার সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জিরো-টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। গণমাধ্যমও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থে সন্ত্রাস দমন প্রচেষ্টায় ইতিবাচকভাবে অবদান রাখছে। এ বিষয়ে বর্তমান সরকারের অর্জনকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করেন?

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি একটি বিস্তৃতভাবে কথা বলব। আপনি আমাকে আগেও বলতে শুনেছেন যে, গত বছর আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদ্‌যাপন করেছি, এবং অবশ্যই এই দেশের সঙ্গে আমরা সেই সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চাই। আমরা আমাদের সম্পর্ক ও অংশীদারত্বকে আরও গভীর করতে চাই। কারণ বাণিজ্য, জলবায়ু সহযোগিতা, নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহযোগিতা এগিয়ে নিতে চাই এবং অন্যান্য আরও অনেক ক্ষেত্রেই সহযোগিতার সম্ভাবনা রয়েছে।


আরও খবর



রাশিয়ায় তুষারঝড়ে নিহত ৩, জরুরি অবস্থা জারি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্ত। তীব্র ঝড়ে অন্তত তিনজন রুশ নাগরিক নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন ক্রিমিয়ার, একজন সোচি শহরের আরেকজন রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে কার্চ শহরের বাসিন্দা ছিলেন। এ ঘটনার রেশ ধরে জরুরি অবস্থা জারি করেছে ক্রিমিয়ায় রুশ নিয়োগৃকত সরকার। স্থানীয় নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

রুশ বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় বলছে, রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে ১৯ লাখের মতো মানুষ বিদ্যুৎহীন জীবনযাপন করছে। এ ঘটনায় জরুরি অবস্থা জারি করেছে ক্রিমিয়ায় রুশ নিয়োগকৃত সরকার, সেই সাথে শত শত মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার বরাত দিয়ে রাশিয়ার আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, এই তুষারঝড় পূর্বের রেকর্ডকে অতিক্রম করেছে। 

আরও পড়ুন>> গাজায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ল দুদিন

এদিকে তুষারঝড়ে ইউক্রেনের ২ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের ওডেসাতে। অঞ্চলটির কোথাও কোথাও সাড়ে ছয় ফুটের বেশি  তুষারপাত হয়েছে। পাওয়ার প্ল্যান্ট নষ্ট হয়ে রবিবার রাত থেকে বিদ্যুৎহীন কাটাচ্ছে সেখানকার বাসিন্দারা। তীব্র তুষারঝড়ের মধ্যে সেখানে গাড়িতে ৪৮ জন আটকে পড়ে। পরে তাদের উদ্ধার করে জরুরি সেবায় নিয়োজিত কর্মীরা। ওই ৪৮ জনের মধ্যে ৬ জন শিশুও ছিল।

সোমবার সকালে ইউক্রেইনের জরুরি পরিষেবা থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে দেশের ১৬টি অঞ্চলের দুই হাজার ১৯টি বসতি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

ইউক্রেনের পাশাপাশি মলদোভা, রাশিয়া, জর্জিয়া এবং বুলগেরিয়ার অবস্থাও ভয়াবহ। সেখানকার বাসিন্দাদেরও এই তুষারঝড়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে জীবনযাপন করতে হচ্ছে। 

আরও পড়ুন>> যুদ্ধবিরতির মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় ৮ ফিলিস্তিনি নিহত

সোমবার সকালে ইউক্রেইনের জরুরি পরিসেবা থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে দেশের ১৬টি অঞ্চলের দুই হাজার ১৯টি বসতি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।


আরও খবর



৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে গাজার সব হাসপাতাল!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জ্বালানি সংকটে আর মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে গাজার সব হাসপাতাল! গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ডা. আশরাফ আল-কুদরা এ তথ্য জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষৎকারে ডা. আশরাফ আল-কুদরা বলেন, জ্বালানির সংকটের কারণে গাজা উপত্যকার হাসপাতালগুলো ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে।

গাজায় একদিকে ইসরাইলি বাহিনীর অবিরাম হামলা, অন্যদিকে জ্বালানি সংকট। এ অবস্থায় উত্তর গাজার বেশির ভাগ হাসপাতালই বন্ধ হয়ে গেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

গত সোমবার (১৩ নভেম্বর) গাজার সবচেয়ে বড় দুই হাসপাতাল আল-শিফা এবং আল-কুদস জ্বালানি সংকট ও ইসরাইলি হামলার ভয়ে বন্ধ হয়ে গেছে।

গাজায় চিকিৎসার অভাবে প্রতিদিন মারা যাচ্ছে শত শত মানুষ। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাই আল-কাইলা জানান, ইসরাইলি স্নাইপাররা আল-শিফা হাসপাতালের কাছে কাউকে দেখতে পেলেই তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছেন। ভয়াবহ এ পরিস্থিতিতে লাশগুলো দাফন করারও সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে না। আল-শিফা হাসপাতালের চত্বরে স্তূপ করে রাখা হয়েছে বহু মরদেহ। এ অবস্থাতেই পচে যাচ্ছে সেগুলো।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনের শরণার্থী এবং ত্রাণ সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) গাজার বর্তমান পরিস্থিতিকে 'ভয়াবহ' বলে উল্লেখ করে গাজায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জন্য যুদ্ধবিরতি এবং জরুরি মানবিক সহায়তা সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় বর্বর হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরাইল। এতে এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে শিশুই সাড়ে চার হাজার।

নিউজ ট্যাগ: গাজা উপত্যকা

আরও খবর