চিহ্নিত রাজাকারের পরবর্তী প্রজন্মকে সরকারি চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক নীতিমালা অনুসরণের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংজ্ঞা সংগ্রহ করারও সুপারিশ করা হয়েছে।
রবিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি শাজাহান খানের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, রাজি উদ্দিন আহমেদ, মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম, কাজী ফিরোজ রশীদ, ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল এবং মোছলেম উদ্দিন আহমদ বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের বোর্ড সভায় প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনা অবহিতকরণ, মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গৃহীত কর্মসূচি, পরিকল্পনা এবং মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের চট্টগ্রামে অবস্থিত ‘টাওয়ার ৭১’ ও ‘জয়বাংলা বাণিজ্যিক ভবন’ এর কাজের সবশেষ অগ্রগতি বিষয়ক আলোচনা করা হয়।
যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধোদের পুনর্বাসন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর লক্ষ্যে গঠিত ‘মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ফান্ড’ এর তহবিল গঠনে কোন কোন উৎসকে প্রতিষ্ঠার সময়ে নির্ধারণ করা হয়েছিল মন্ত্রণালয়কে তার বিবরণী আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত হাসপাতালের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা করানো হলে চিকিৎসা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করাসহ ওষুধ খরচ বাবদ নির্ধারিত ৫০ হাজার টাকা থেকে উন্নীত করে ৭৫ হাজার টাকায় নির্ধারণ এবং বিশেষায়িত সরকারি হাসপাতালগুলোতে শতভাগ পরীক্ষা-নিরীক্ষা বিনামূল্যে করা বিষয়ক সংশোধিত নীতিমালাটি আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন সংস্থা প্রধানসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।