রাবি প্রতিনিধিঃ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগের দাবিতে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করেছে ২০২০ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করা শিক্ষার্থীরা।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার আন্দলোনরত শিক্ষার্থীদের সাথে দেখা না করা পর্যন্ত তারা রাস্তায় অবস্থান করবেন বলে জানান।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেও তাদের দাবি জানান, 'মুজিববর্ষের সংস্কার চায়,রাবিতে সেকেন্ড টাইম চায়', 'বঙ্গবন্ধুর বাংলায় সেকেন্ড টাইম চালু চাই', 'সিলেকশন সিস্টেম বাতিল চাই বাতিল চাই', 'সেকেন্ড টাইম চালু চাই, সুন্দর একটা জীবন চাই', 'সুযোগ চাই দ্বিতীয় বার এটা মোদের অধিকার', 'দেশের বোঝা না করে, দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দিতে চাই', 'সিলেকশন নামের প্রহসন আর নয়, পাশ করা সবাই পরীক্ষা দিতে চাই', 'সুন্দর জীবন গড়তে, শিক্ষারদরজা হোক উন্মুক্ত', 'অটোপাশ দিয়ে আমাদেরকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে'।
এসময় শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। দাবি মেনে না নিলে দেশের সকল শিক্ষার্থী এক হয়ে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
রাজশাশী নিউ গভর্নমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী সোহানুর রহমান বলেন, "আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সিলেকশন সিস্টেম বাতিল চাই এবং সেকেন্ড টাইম ভর্তি পরীক্ষা চালু চাই। সিলেকশন সিস্টেমে ভালো প্রস্তুতি থাকা সত্বেও আমরা অনেকেই ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারি না। তাই দ্রুত সিলেকশন সিস্টেম বাতিল করে সেকেন্ড চালু করার দাবি জানাচ্ছি আমরা"।
কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী নাবিহা সুলতানা বলেন, করোনার কারণে বারবার এইচএসসি পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন করায় আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এরপর জেএসসি ও এসএসসির ফলাফলের সমন্বয়ে অটো পাশ দেওয়ায় অনেকেই আশানুরূপ ফল পায়নি। উপরন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় সিলেকশন পদ্ধতির কারণে অনেক জিপিএ ৫ ধারী শিক্ষার্থীও বাদ পড়ে। ফলে আমাদের অনেকের মেধা থাকার পরও পরীক্ষায় বসতে পারিনি। তাই সিলেকশন পদ্ধতি বাতিল করে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ চাই।
ঝুমুর নামের আরো এক শিক্ষার্থী বলেন, "সেকেন্ড টাইম ভর্তি পরীক্ষা আমাদের অধিকার। করোনা কালীন সময়ে আমাদের উপর অটোপাশের মাধ্যমে অনেক অন্যায় করা হয়েছে। তাই আমরা রাবিসহ সকল বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দিতে চাই এবং রাবিসহ যেসকল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেকশন সিস্টেম চালু আছে তা অতিদ্রুত বাতিল করতে হবে"।
এইদিকে গত রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগ চেয়ে উপাচার্যের দপ্তরে স্মারকলিপি জমা দেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, গত ১২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।