রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষার 'এ' ইউনিটে প্রথম হয়েছেন তানভীর আহমেদ নামের একজন শিক্ষার্থী। তার হয়েই প্রক্সি দিতে গিয়ে আটক হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী বায়েজিদ খান। তারপর ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তানভীর ৯২ দশমিক ৭৫ পেয়ে ওই শিফটে প্রথম হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।
প্রক্সি দিয়ে আটক হওয়ার পর তার ফলাফল প্রকাশ
হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তারা বলছেন, এটি হওয়া উচিত হয়নি।
এটি পরীক্ষা কমিটির ব্যর্থতা ও অব্যবস্থাপনা প্রমাণ করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলে
দেখা যায়, 'এ' ইউনিটের ৩৯৫৩৪ রোল নম্বরধারী তানভীর আহমেদ নামে একজন দ্বিতীয় শিফটে প্রথম
হয়েছেন। পরীক্ষার দিন জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসকের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও উল্লেখ করা
হয় এই রোল নম্বরধারী তানভীরের হয়ে প্রক্সি দিতে এসে আটক হয়েছেন বায়েজিদ খান।
আরও দেখা যায়, ওইদিন ৬২৮২৮ রোল নম্বরধারী
ইশরাত জাহানের হয়ে প্রক্সি দেন জান্নাতুল মেহজাবিন। নিয়ম অনুযায়ী প্রক্সি বা জালয়াতি
ধরা পরার পর ইশরাত বহিষ্কার হবেন কিন্তু প্রকাশিত ফলে দেখা যায় তিনিও পাস করেছেন। তিনি
তৃতীয় শিফটে ৪৬ দশমিক ৯০ পেয়ে ৬হাজার ৯২১ তম অবস্থানে রয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের
অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, 'এটি পদ্ধতিগত ত্রুটি। এমনটি হওয়া উচিত ছিলো না।'
এ ঘটনায় ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ
আল মামুন বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থীর খাতা সঙ্গে সঙ্গে বাতিল
হওয়া উচিত ছিল। তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন
করেনি। ওই শিক্ষার্থীর ফল প্রকাশের মাধ্যমে পরীক্ষা কমিটির ব্যর্থতার পরিচয়
দিয়েছে।'
তাবভীর আহমেদের প্রথম হওয়ার বিষয়ে জানতে
চাইলে 'এ' ইউনিটের সমন্বয়ক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ইলিয়াছ হোসেন বলেন,
এটি আমরা দেখছি। তার ফল বাতিল করা হবে। ভর্তি কমিটির সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, তার হয়ে প্রক্সি দিয়েছে
এই তথ্য আমাদের দেওয়া হয়নি। প্রক্সি ধরা পরলে তার খাতা আলাদা করে ফেলা হয়। কিন্তু এটি
আমাদের অবহিত করা হয়নি। সেজন্য তার নাম রয়ে গেছে।