রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের
(রাবি) শিক্ষার্থী এমজিএম শাহরিয়ারের মৃত্যুর ঘটনায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের
চিকিৎসকদের অবহেলার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিন কার্যদিবসের মধ্যে এ কমিটিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
বুধবার (১৯ অক্টোবর)
দিবাগত রাত ১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ প্রশাসন ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
যৌথভাবে আলোচনায় বসে এ তদন্ত কমিটি গঠন করে।
তদন্ত কমিটি সদস্যরা
হলেন— রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূর, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর
আসাবুল হক, রাজশাহী বিভাগীয় উপ-পুলিশ কমিশনার ক্রাইম, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ
ড. নওশাদ আলি ও মেডিকেল কলেজের একজন সিনিয়র চিকিৎসক।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের
উদ্দেশে রাজশাহী বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার আবুল কালাম সিদ্দিক বলেন, আমরা তিন দিনের সময়
চাইছি। তোমরা আমাদের তিন দিন সময় দিয়ে সাহায্য করবে। শিক্ষার্থীরা ন্যায়বিচার পাবেন
বলে আশ্বস্ত করেন তিনি। যারা আহত তাদের চিকিৎসার সব দায়িত্ব রামেক প্রশাসন নিয়েছে বলেও
তিনি জানান।
ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের
আশ্বস্ত করে রাবির মার্কেটিং বিভাগের সভাপতি ও ব্যবসা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো ফরিদুল
ইসলাম বলেন, আমরা বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী
তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত সাপেক্ষে রিপোর্ট পেশ করা হবে। মেডিকেল কলেজের সিসি ক্যামেরা
ও ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে রিপোর্ট তৈরি করা হবে। এসময় শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফিরে যাওয়ার
অনুরোধ জানান তিনি।
বুধবার রাত ৮টার
দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হবিবুর রহমান হলের তৃতীয় তলার বারান্দা থেকে পড়ে
এমজিএম শাহরিয়ার নামের এক শিক্ষার্থী আহত হন। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে রামেক হাসপাতালে
নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। শাহরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ
বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি দিনাজপুরের বিরল উপজেলায়।
শিক্ষার্থীদের
অভিযোগ, ৪০ মিনিট বিলম্বে এসে গুরুতর আহত রাবি শিক্ষার্থীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রামেক হাসপাতালের ওয়ার্ড ও পরিচালকের কক্ষের সামনের অংশে ভাঙচুর করেন
শিক্ষার্থীরা। এসময় হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসকরাও শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয়। এতে
রাবির চার শিক্ষার্থী আহত হন।