আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

প্যারিস অলিম্পিকে আজ ২৩টি সোনার লড়াই

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ আগস্ট 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০২ আগস্ট 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

প্যারিস অলিম্পিকের অষ্টম দিন আজ ২৩টি সোনার নিষ্পত্তি হবে। আজকের খেলা শুরু হবে ট্রাম্পোলিন জিমন্যাস্টিকস দিয়ে। সকাল সাড়ে ১১টা ৫০ মিনিটে পুরুষ ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। তবে এই ক্যাটাগরিতে মেয়েদের খেলাটা হবে বিকাল ৫টা ৫০ মিনিটে।

ট্রাম্পোলিন জিমন্যাস্টিকস পুরুষদের খেলা শেষ হলে শুরু হবে মেয়েদের শুটিংয়ে ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি পজিশনস। দুপুর দেড়টায় এই খেলা হবে।

ডাইভিংয়ে আজ একটি সোনার নিষ্পত্তি হবে। পুরুষ সিনক্রোনাইজড ৩ মিটার স্প্রিংবোর্ড হবে বেলা ৩টা।

রোইংয়ে আজ ৪টি স্বর্ণপদক জয়ের লড়াই শুরু হবে। প্রথমে পুরুষ দলগত খেলা হবে বেলা ২টা ৪২ মিনিটে। মেয়েদের বেলা ২টা ৫৪ মিনিটে, পুরুষ ডাবল স্কালস ৩টা ৬ মিনিটে ও মেয়েদের ডাবল স্কালস ৩টা ১৮ মিনিটে।

ইকুয়েস্ট্রিয়ানে জাম্পিং দলীয় ফাইনাল সন্ধ্যা ৬টায়। সেইলিংয়ে মেয়েদের উইন্ডসার্ফিং ৬টা ৩ মিনিটে ও পুরুষ উইন্ডসার্ফিং ৬টা ২৩ মিনিটে।

ব্যাডমিন্টন মিশ্র দ্বৈত ফাইনাল ৭টায় ও আরচারি মিশ্র দলীয় ফাইনাল রাত ৮টা ৪৩ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। জুডোতে মেয়েদের ৭৮ কেজি ফাইনাল ৯টায় ও পুরুষ ১০০ কেজি সাড়ে ৯টায়।

টেনিসে মিশ্র দ্বৈত ফাইনাল ১১টা ও ফেন্সিংয়ে পুরুষ ইপেই দলীয় ফাইনালস সাড়ে ১১টায় হবে।

সাঁতারে গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল ৪টি সোনার লড়াই। আজ আছে ৩টি। প্রথমে পুরুষ ৫০ মিটার ফ্রিস্টাইল সাড়ে ১২টায়। মেয়েদের ২০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোক ১২টা ৩৬ মিনিটে ও পুরুষ ২০০ মিটার ব্যক্তিগত মেডলি, রাত ১২টা ৪৩ মিনিটে হবে।

অ্যাথলেটিকসে আজ একটি সোনার লড়াই হবে। পুরুষ ১০ হাজার মিটার ১টা ২০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সাইক্লিং বিএমএক্স রেসিং

পুরুষ লাস্ট চান্স রেস ২টা ৫ মিনিটে ও মেয়েদের লাস্ট চান্স রেস ২টা১৫ মিনিটে হওয়ার মাধ্যমে আজকের খেলা শেষ হবে।


আরও খবর
ভারত সফরের জন্য বাংলাদেশ দল ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




নাঈমুল ইসলাম খান ও চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের ব্যাংক হিসাব জব্দ

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান এবং আর্থিক খাতের আলোচিত নাম চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের স্ত্রী ও পুত্র-কন্যাদের ব্যাংক হিসাবও স্থগিত করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) রোববার (২৫ আগস্ট) ব্যাংক হিসাব স্থগিতের এ নির্দেশনা দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠিয়েছে।

দুই ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব স্থগিত সংক্রান্ত বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়েছে, উল্লিখিত ব্যক্তি ও তাদের ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো হিসাব পরিচালিত হয়ে থাকলে সেই হিসাবের লেনদেন মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ২৩ (১) (গ) ধারার আওতায় ৩০ দিনের জন্য স্থগিত থাকবে। এ ছাড়া তাদের নামে কোনো লকার সুবিধা থাকলে তার ব্যবহারও ৩০ দিনের জন্য বন্ধ থাকবে। প্রয়োজনে লেনদেন স্থগিত করার এ সময় আরও বাড়ানো হবে।

চিঠিতে চৌধুরী নাফিজ সরাফাত ও নাঈমুল ইসলাম খানসহ তা‌দের পরিবারের সদস্যদের নাম, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দেওয়া হয়েছে। অ্যাকাউন্ট স্থগিত হওয়ার ফলে এখন থেকে তারা আর কোনও টাকা তুলতে পারবে না।

বিএফআইইউর নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, কোনো হিসাব স্থগিত করা হলে হিসাবসংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী ইত্যাদি চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে ৫ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের কাছে পাঠানোর জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলা হয়েছে।

জুলাইয়ে কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এরপর সাবেক সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী গ্রেপ্তার হয়েছেন। সেই সঙ্গে অনেক মন্ত্রী-এমপির পাশাপাশি আওয়ামী লীগ-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হচ্ছে।


আরও খবর



ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রাবি কর্মকর্তা মাসুদকে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে গণপিটুনির শিকার হওয়া সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মাসুদ মারা গেছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

গতকাল শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের অর্থো সার্জারি বিভাগের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ পারভেজ।

নিহত আব্দুল আল মাসুদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিকেল সেন্টারে স্টোর অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায়। তার বাবার নাম রফিকুল ইসলাম। তিনি গত ৩ সেপ্টেম্বর কন্যা সন্তানের বাবা হয়েছেন। চাকরির সুবাদে সপরিবারে বিনোদপুরে থাকতেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাসুদ শনিবার রাত ১০টার দিকে বাড়ি থেকে রাজশাহী বিনোদপুর বাজারে ওষুধ কেনার জন্য যায়। এ সময় সেখানে গণপিটুনির শিকার হন। শিক্ষার্থীদের একটি দল আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মতিহার থানায় নিয়ে যায়। এরপর সেখান থেকে নেওয়া হয় বোয়ালিয়া থানায়। শিক্ষার্থীরা মাসুদের চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পরবর্তীতে রাত সাড়ে ১২টার দিকে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ পারভেজ বলেন, নিহতের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।


আরও খবর



নির্বাচন আয়োজনে অযৌক্তিক সময় নষ্ট করা হবে না : প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকার অযৌক্তিক সময় নষ্ট করবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠককালে এ কথা বলেন তিনি। বৈঠক শেষে দলগুলোর প্রতিনিধিরা সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

নেতারা জানান, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত সময়ে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরির জন্য প্রধান উপদেষ্টার কাছে দাবি জানানো হয়।

তারা আরও জানান, সংলাপে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য নিশ্চিত করা, দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া, নির্বাচনী ব্যবস্থাসহ সাংবিধানিক বেশ কিছু সংস্কারের দাবিও উপস্থাপন করেছেন নেতারা।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টা যৌক্তিক সময়ে সব কিছুর সমাধান করে দেশকে নির্বাচনের দিকে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তারা।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর নির্বাচন আয়োজন নিয়ে রাজনৈতিক দল এবং জোটের সঙ্গে মতবিনিময় শুরু করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এর আগে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী, খেলাফত আন্দোলন, ইসলামী আন্দোলন এবং নেজামে ইসলাম বাংলাদেশ- এই ৭টি সংগঠনের শীর্ষ নেতারা।

খেলাফত মজলিসের নেতৃত্ব দেন সংগঠনটির আমির মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ। প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলটির মহাসচিব অধ্যাপক আহমদ আবদুল কাদের, নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মুনতাসীর আলী ও প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক কাজী মিনহাজুল ইসলাম মিলন।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতৃত্ব দেন দলটির আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ। তার প্রতিনিধি দলে ছিলেন মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন দলের আমির চরমোনাই পীর মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। তার সঙ্গে ছিলেন মুফতি ফয়জুল করীম, অধ্যক্ষ ইউনুস আহমেদ, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, আশরাফুল আলম প্রমুখ।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের একাংশের নেতৃত্ব দেন সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা মনজুরুল ইসলাম আফেন্দি।

হেফাজতে ইসলামের নেতৃত্ব দেন মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান। তার সঙ্গে ছিলেন আজিজুল হক ইসলামাবাদী, কেন্দ্রীয় নেতা মুনীর হোসেন কাশেমী।

নেজামী ইসলামের নেতৃত্ব দেন দলটির নির্বাহী সভাপতি মাওলানা আশরাফুল হক। তার সঙ্গে ছিলেন মহাসচিব মাওলানা মোমিনুল ইসলাম। খেলাফত আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন নায়েবে আমির মাওলানা মজিবুর রহমান হামেদি।


আরও খবর



সাবেক মন্ত্রী দীপু মনি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী দীপু মনিকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বারিধারা ডিওএইচএস এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিবি গুলশান জোনের উপপুলিশ কমিশনার জিয়া উদ্দিন বলেন, বারিধারা ডিওএইচএস থেকে সাবেক মন্ত্রী দীপু মনিকে আটক করেছে ডিবি গুলশান বিভাগের একটি দল। তার বিরুদ্ধে চাঁদপুর এবং ঢাকায় মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হতে পারে। এখন দীপু মনিকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হচ্ছে।

গত ১৮ জুলাই চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও তার বড় ভাই ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপুকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, গত ১৮ জুলাই রাত ৮টায় সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও তার বড় ভাই ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপুর প্রত্যক্ষ নির্দেশে জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের জেএম সেনগুপ্ত রোডের মনিরা ভবন নামে বাড়িতে ১০০০ থেকে ১২০০ লোক দলবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা, ভাঙচুর করে। পরে তারা ওই ভবনে আগুন দিয়ে মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়।

এদিকে সোমবার দীপু মনি, তার স্বামী তৌফীক নাওয়াজ এবং বড় ভাই ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপুর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে। দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়ে অ্যাকাউন্ট জব্দ করতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

নিউজ ট্যাগ: ডা. দীপু মনি

আরও খবর



ঝিনাইদহে অনলাইনে শিক্ষক বদলী জালিয়াতির তদন্ত শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

Image

ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় অনলাইনে শিক্ষক বদলী জালিয়াতির তদন্ত শুরু হয়েছে। বুধবার (৪ সেপ্টম্বর) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দপ্তরের ১৫৮৮ নং স্মারকের চিঠির প্রেক্ষিতে প্রাথমিক শিক্ষা খুলনা বিভাগের সহকারী পরিচালক মহাঃ ফজলে রহমান এই তদন্ত শুরু করেন। তদন্তের সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু হুরাইরা ও রত্না খাতুন দুর্নীতি ও অনিয়মের বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত দিয়ে সহায়তা করেন। এর আগে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মাওলানাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পারভীন নাহার নীলাসহ ৫জন শিক্ষক এ বছরের এপ্রিল মাসে অনলাইনে বদলী জালিয়াতির অভিযোগ করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে। এই অভিযোগের প্রতিকার না করে তাদের ঢালাও ভাবে শোকজ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার হুমকী দেয় উপজেলা শিক্ষা অফিসার খালেকুজ্জামান।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, সিনিয়র শিক্ষক হয়েও অনেক শিক্ষকের অনলাইনে বদলীর আবেদন ত্রুটিপুর্ণ দেখিয়ে বাতিল করে দুইজন উপজেলা শিক্ষা অফিসারের স্ত্রীসহ একাধিক জুনিয়র শিক্ষককে ঝিনাইদহ শহরের মধ্যে বদলী করিয়ে আনা হয়। এই বদলী বানিজ্য করতে লাখ লাখ টাকার হাত বদল হয়। এ নিয়ে জেলাব্যাপী শিক্ষকদের মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি ও ক্ষোভের ঢেউ আছড়ে পড়ে।

অভিযোগ পাওয়া যায়, সুরাইয়া পারভীন পারভীন নামে এক সহকারি শিক্ষক অনলাইনে বদলির আবেদনে তিনি মাওলানাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম যোগদানের তারিখ দেখান ২০০৯ সালের ২৫ মে। কিন্তু তিনি ২০০৯ সালের ২৫ মে তিনি প্রথম যোগদান করেন সদরের বাকড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেখান থেকে তিনি ২০১১ সালের ১৩ জুন মাওলানাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন সুরাইয়া।

সুরাইয়া পারভিনের স্বামী শাহজাহান রহমান রিজু সদরের সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার হওয়ায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে এই জালিয়াতি করে পার পেয়ে যান। এছাড়া সুরাইয়া পারভিন অনলাইনে তার স্থায়ী ঠিকানা আরাপপুর থেকে মাওনালাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দূরত্ব দেখিয়েছেন ২৭ কিলোমিটার। প্রকৃতপক্ষে আরাপপুর থেকে মাওলানাবাদের দূরত্ব হবে ১৩ কিলোমিটার। স্কোর বৃদ্ধির জন্য এখানেও তিনি মিথ্যা তথ্যের আশ্রয় নিয়েছেন। একই সময়ে ইয়াসমিন আক্তার মিতা নামে এক শিক্ষক অনলাইনে বদলির আবেদনে ২০১০ সালের ২৩ সেপ্টম্বর প্রথম যোগদান দেখিয়েছেন কলামবখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অথচ তিনি ওই তারিখে প্রথম যোগদান করেন চট্টগ্রাম বিভাগের ফটিকছড়ি উপজেলায়। ফটিকছড়ি থেকে তিনি বদলি হয়ে আসেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায়। ২০১৪ সালের ১৭ জুন তিনি আবারো বদলী হন সদরের কলামনখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তিনিও অনলাইন আবেদনে মিথ্যা তথ্য ও জালিয়াতির আশ্রয় নেন। এছাড়া মিথ্যা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে শিক্ষক মোছা: নাজমা পারভীন, মোছা: ফাতিমা সিদ্দিকা, স্মৃতি বিশ্বাস ও নাসরিন সুলতানাকে বদলী করানো হয়।

অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ খালেকুজ্জামান মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সিনিয়ার শিক্ষকদের অনলাইন আবেদন বাতিল করে জুনিয়ার শিক্ষকদেরকে বদলি করেন। এদিকে সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহাজান রহমান রিজু ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ঠিকানায় সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরী নেয়। তিনি প্রথম যোগদান করেন সদরের পানামী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। এরপর সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত অবস্থায় তিনি সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার হিসেবে শৈলকুপা উপজেলার যুগনী গ্রামের ঠিকানা ব্যবহার করলেও বিভাগীয় কোটা হিসেবে তিনি ঝিনাইদহ সদরের প্রত্যায় ব্যবহার করেন। যা নিয়োগ পক্রিয়ার সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এ ব্যপারে তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা বিভাগের সহকারী পরিচালক মহাঃ ফজলে রহমান বুধবার দুপুরে জানান, তদন্তে অনেক কিছুই প্রমানিত হয়েছে। আমি দোষীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার সুপারিশসহ জালিয়াতির ঘটনায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মতামত নিয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করার উদ্যোগ নেব। তিনি বলেন, দুর্নীতি করে এখন কেউ পার পাবে না।

নিউজ ট্যাগ: ঝিনাইদহ

আরও খবর