আজঃ সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

পূর্ব ইউরোপকে শক্তিশালী করেছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাশিয়া ও ইউক্রেন ছাড়া পূর্ব ইউরোপের দেশসমূহ হচ্ছে মলদোভা, বেলারুশ, জর্জিয়া, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান ও তুরস্ক। জার্মান চ্যান্সেলরের হোয়াইট হাউজ সফরকে একসময় ইউরো-আমেরিকান কূটনৈতিক সম্পর্কের চূড়া বিবেচনা করা হতো। জার্মানির ওলাফ শলৎজ ৩ মার্চ জো বাইডেনের সঙ্গে আলোচনার জন্য ওয়াশিংটন, ডিসি-তে যাবেন, তখন এটি সেই পাক্ষিক ইউরোপের সঙ্গে আমেরিকান প্রেসিডেন্টের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বলে গণ্য নাও হতে পারে।

গত সপ্তাহে মধ্য ইউরোপের দেশ পোল্যান্ড সফরের সময় বাইডেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এর পূর্ব প্রান্তের নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন। ইউক্রেন যুদ্ধে তাদের সহায়তার জন্য প্রশংসাও করেন। এতে প্রতীয়মান হয় যে ইউরোপ যুদ্ধের ফলে পুনর্গঠিত হয়েছে ।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পূর্ব প্রান্তের দেশগুলো মনে করে এখন সময় এসেছে। দেশগুলোর নেতাদের বক্তব্যে, পূর্ব দিকে একটি টেকটোনিক স্থানান্তর ঘটছে। পুরোনো ইউরোপ থেকে ক্ষমতা দ্রুত বিলুপ্ত হচ্ছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আগ্রাসনের প্রথম সারিতে থাকা দেশগুলোর ভুল ধারণা ছিল। যুদ্ধ নতুন ধারণা ও নতুন নেতৃত্বের সুযোগ করে দিয়েছে। পোলিশ উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওয়েল জাবলনস্কি বলেছেন, এটি সমগ্র ইউরোপের জন্য একটি অস্তিত্ব রক্ষার সময়। ইউক্রেন এখন প্রার্থী হয়ে এই ক্লাবের অংশ হতে পারে। কেউ কেউ স্বপ্ন দেখেন পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশ ও ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের মধ্যে একটি নতুন অক্ষ শক্তি তৈরি হতে পারে যেমন প্যারিস ও বার্লিনের মধ্যে আছে।

দ্রুত নয় তবে ইউরোপীয় দেশগুলোর মেজাজ যে পরিবর্তিত হয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। পোল্যান্ডের মতো দেশগুলো যেমন ন্যাটোর পূর্বাঞ্চলীয় ৯টি দেশের জোট বুখারেস্ট নাইন বা বি-নাইন এর ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলছে। এসব দেশ হলো বুলগেরিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, এস্তোনিয়া, হাঙ্গেরি, লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া, পোল্যান্ড, রোমানিয়া ও স্লোভাকিয়া। ২০০৪ সালে এসব দেশ ন্যাটোর সদস্য হয়। এই অঞ্চলটি এর আগে একটি বৃহত্তর ইউরোপীয় নেতৃত্বের ভূমিকার সুযোগ নষ্ট করেছে।

পশ্চিম ইউরোপীয়রাও স্বীকার করে এটি মধ্য ইউরোপের দেশগুলোর সময়। গ্যাসের জন্য রাশিয়ার ওপর নির্ভর করার ঝুঁকি জার্মানিতে অতি-উদ্বেগজনক বিবেচিত হতো। এখন তারা দূরদর্শী সম্পন্ন। মধ্য ইউরোপীয় দেশগুলো যেভাবে লাখ লাখ ইউক্রেনীয়কে সহায়তা করেছে তার জন্য ব্যাপক প্রশংসা পাচ্ছে।

ইউক্রেনকে সাহায্য করার জন্য এই অঞ্চলের অস্ত্রাগার নিষ্কাশন করা হয়েছে। পোল্যান্ড থেকে লেপার্ড ট্যাংকের প্রথম চালান ছাড়া হয়েছে এবং প্রচুর নতুন সামরিক কিট অর্ডার করা হয়েছে। সবই মধ্য ইউরোপকে নৈতিক নেতৃত্বের সুযোগ করে দিয়েছে ইইউর টেবিলে কথা বলার জন্য। একজন পশ্চিম ইউরোপীয় কূটনীতিক বলেন, আমরা সবসময় তাদের কথা শুনতাম। এখন সম্ভবত আমরা একটু বেশি শুনি।

নিরাপত্তা ও হুমকির ওপর জোর দেওয়া একটি ভিন্ন ইস্যু। পোল্যান্ড ও অন্যান্য ফ্রন্টলাইনে থাকা দেশগুলোর জন্য রাশিয়ার হুমকি শিগগির হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। এই অঞ্চলের নেতারা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছেন পুতিনের সাম্রাজ্যবাদী উচ্চাকাঙ্ক্ষা একদিন তাদের দিকে ফিরে আসবে। ওয়ারশের একটি থিংক ট্যাংক ওএসডব্লিউ-এর জাস্টিনা গোতকোস্কা বলেছেন,যতদিন পুতিন ক্ষমতায় থাকবেন, ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি হলেও, আমরা ধরে নিই যে এটি যুদ্ধে বিরতিই হবে, মিমাংসা নয়।

পশ্চিম ইউরোপ সামগ্রিকভাবে, ভিন্নভাবে বিষয়টি অনুধাবন করে। ইউক্রেনও সেখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দেশটিকে সাহায্য করার জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ব্যয় করা হচ্ছে, সশস্ত্র বাহিনীকে সমৃদ্ধ করা হচ্ছে। যুদ্ধ মহাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। ফিনল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়ানদেরও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।

কিন্তু ব্রাসেলস, ডাবলিন বা প্যারিস থেকে দেখা যায়, যুদ্ধ সত্ত্বেও জীবন চলে। জ্বালানির ক্ষেত্রে নতুন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইউরো জোন মাইগ্রেশন বা ব্রেক্সিট যাই হোক না কেন, গত এক দশকে ইউরোপীয় দেশগুলো অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। এটি আগামী বছরগুলোতেও আরও সমস্যার মুখোমুখি হবে, তাকে কোনো সন্দেহ নেই।

ইইউ নেতারা যখন ব্রাসেলসে মিলিত হন, তখন ফোকাস পয়েন্ট আর শুধু ইউক্রেনের দিকে থাকে না। অবৈধ অভিবাসনের পুনরুত্থানে ইউরোপের যে পদ্ধতিতে প্রতিক্রিয়া জানানো উচিত, তা বলা বা আমেরিকার সবুজ ভর্তুকিতে প্রতিক্রিয়া জানানোর মতোই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ওঠে আসে। এটি মধ্য ইউরোপীয়দের জন্য বিস্ময়কর যে পুতিন তাদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস নিতে পারেন। তাদের কাছে, ইউক্রেন ব্যতীত অন্য কিছু নিয়ে আলোচনা করা মানে অবমূল্যায়ন করা। পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাতেউস মোরাউইকি ইউরোপের বাকি অংশকে জাগিয়ে দেওয়ার জন্য তাকে যে কাজটি করতে হবে তার কথা বলেছেন। পোল্যান্ড যুক্তিসঙ্গতভাবে আশা করতে পারে যুদ্ধে তার ভূমিকা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী দ্বন্দ্ব নিরসনে সহায়তা করবে।

বুখারেস্ট নাইন এর জনসংখ্যা ৯৫ মিলিয়ন যা মোট ইউরোপীয় অঞ্চলের এক পঞ্চমাংশের কাছাকাছি। তাদের সম্মিলিত জিডিপি বাজারের হারে ইউরোপের মোট জিডিপির মাত্র দশ ভাগ। শুধু পোল্যান্ডকে একটি বড় সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে গণনা করা হয়। তারা ঐক্যবদ্ধও নয়। হাঙ্গেরির স্বৈরাচারী নেতা ভিক্টর অরবান কীভাবে রাশিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন তাও দেখার বিষয়। ইউক্রেন বা পশ্চিম বলকান পর্যন্ত ইউরোপীয় অঞ্চল সম্প্রসারিত হলে এই সংখ্যা এবং অঞ্চলের গুরুত্বও বৃদ্ধি পাবে। ইউরোপীয় অঞ্চলের দেশগুলো মহাদেশের সাধারণ সমস্যাগুলো সমাধান করার ক্ষমতা ও ইচ্ছার মাধ্যমে প্রভাব অর্জন করতে পারে। সেই সমস্যাগুলো কী সেটি সম্পর্কে বোঝার জন্য শেয়ার করা প্রয়োজন। পোল্যান্ড ও এর মিত্রদের যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে যখন ইউরোপ ও বিশ্বের নজর তার সীমান্তের কাছে যা ঘটছে তার ওপর। তবুও যা দেখা যায় তা ততটা স্পষ্ট নয়।


আরও খবর



ঈদের দিনেও ঢাকার বায়ু অস্বাস্থ্যকর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশব্যাপী উদযাপন হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। এ উপলক্ষে গতকাল বুধবার থেকেই শুরু হয়েছে ছুটি। তবে ছুটির দিনেও আজ ঢাকার বায়ু অস্বাস্থ্যকর। বেলা ১১টার দিকে বিশ্বের ১০০টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ছিল অষ্টম। আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে এ সময় ঢাকার স্কোর ছিল ১৫৭। বায়ুর এই মান অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়।

বিশ্বব্যাপী বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও সতর্ক করে।

এ সময়ে বিশ্বে বায়ুদূষণে প্রথম অবস্থানে ছিল ভারতের দিল্লি। আইকিউএয়ারের সূচকে শহরটির স্কোর ২৪৮। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে যথাক্রমে নেপালের কাঠমান্ডু ও ভারতের কলকাতা। শহর দুটির স্কোর যথাক্রমে ১৯৩ ও ১৯২।

স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।


আরও খবর



জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস আর নেই

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার, জাসদ নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস (৭৮) মারা গেছেন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৯টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এর আগে, তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে দ্রুত তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়।

১৯৭০ সালের ছয় জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলের (বর্তমান শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) ১১৬ নম্বর কক্ষে রাত ১১টার পর পুরো পতাকার নকশা সম্পন্ন করেন। এ পতাকাই পরবর্তীতে ১৯৭১-এর দুই মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় উত্তোলিত হয়।

১৯৭০ সালের সাত জুন ঢাকার পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত ছাত্রদের এক সামরিক কুচকাওয়াজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অংশ গ্রহণের কথা ছিল। এই জন্য ছাত্রদের নিয়ে একটি জয়বাংলা বাহিনী, মতান্তরে ফেব্রুয়ারি ১৫ বাহিনী’ গঠন করা হয়। ছাত্র নেতারা এই বাহিনীর একটি পতাকা তৈরির সিদ্ধান্ত নেন।

১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকার পরিবর্তে শিবনারায়ন দাশের নকশা করা বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।

১৯৭২ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার শিবনারায়ন দাসের নকশা করা পতাকার মধ্যে মানচিত্রটি বাদ দিয়ে পতাকার মাপ, রঙ, ও তার ব্যাখ্যা সংবলিত একটি প্রতিবেদন দিতে বলে পটূয়া কামরুল হাসানকে। কামরুল হাসান দ্বারা পরিমার্জিত রূপটিই বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।


আরও খবর



মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বিজিপির আরও ৫ সদস্য বাংলাদেশে

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

মিয়ানমারে আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘাতের জেরে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ৫ সদস্য বাংলাদেশে ঢুকে আশ্রয় নিয়েছেন।

রবিবার (১৫ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তের খারাংখালি পয়েন্ট দিয়ে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। পরে তাদেরকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবির) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘাত চলছে। এ কারণে প্রায়ই টেকনাফ সীমান্তে মর্টারশেল ও গোলার শব্দ ভেসে আসে। এর মধ্যেই গতকাল রবিবার সকালে নতুন করে বিজিপির ৯ সদস্য টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। পরে একই দিন রাত ১১টার দিকে খারাংখালি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে আরও বিজিপির ৫ সদস্য বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। পরে তাদের বিজিবির সদস্যরা নিরস্ত্র করেন।

এর আগে উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ৩৩০ জন এবং নাইকংছড়ির জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১৮০ জন মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য আশ্রয় নিয়েছিল। পরবর্তীতে ৩৩০ জনকে মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। এ ছাড়া নাইকংছড়ি বিজিবি হেফাজতে রয়েছে ১৮০ জন সদস্য।


আরও খবর



জয়পুরহাটে পানির দামে বিক্রি হচ্ছে দুধ!

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের কালাইয়ে দুধের চাহিদা না থাকায় এক লিটার গরুর দুধ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। অথচ উপজেলার অনেক বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এক লিটার বোতলজাত পানি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পানির দামে দুধ বিক্রি হওয়ায় উপজেলার শত শত দুগ্ধ খামারিরা দুঃচিন্তা ও হতাশায় ভুগছেন এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

কালাই প্রেসক্লাবের মাঠের সামনে সপ্তাহে পাঁচ দিন দুধের বাজার বসে। সেখানে শুক্রবার দুধ বিক্রি করতে আসা কয়েকজন খামারি ও কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একজন খামারির ১০ লিটার দুধ উৎপাদনে একটি দুগ্ধবর্তী গাভীর জন্য ভুসি, খৈল, ঘাস, ভিটামিন, বিদ্যুৎ বিল, লবণ, মজুরি, চিকিৎসাসহ খরচ হয় প্রায় ৬০০ থেকে থেকে ৬৫০ টাকা। একজন কৃষকের ১০ লিটার দুধ উৎপাদনে খরচ হয় ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা। এক লিটার দুধ বিক্রি করে প্রায় ৩০ টাকা দুগ্ধ খামারির লোকসান হয় এবং একজন কৃষকের এক লিটার দুধ বিক্রি করে প্রায় ২০ টাকা লোকসান হচ্ছে।

দুধ বিক্রি করতে আসা কৃষক সোহেল, আনোয়ার, নুরনবীসহ আরও অনেকে জানান, সিন্ডিকেটের কারণে দুধের বাজার কমে যায়। তারা প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চান।

দুধ কিনতে আসা জাহিদুল, খন্দকার আরিফ, জামাল ও সোহরাব হোসেন জানান, কিছু দিন আগে ঈদুল ফিতরের সময় প্রচুর পরিমাণ দই ও মিষ্টি বিক্রি হওয়ার কারণে মানুষ দই, মিষ্টি কিনছে না। এ কারণে অল্প দিনের জন্য দুধের বাজার কম।

স্থানীয় খামারির মালিক আব্দুল আলিম সরকার ও শাহারুল জানান, দুধ বিক্রির জন্য নির্ধারিত ক্রয়কেন্দ্র প্রয়োজন। কিন্তু তাদের এখানে নেই। ক্রেতা না পেয়ে লোকসান করেই দুধ বিক্রি করতে হয়। সরকার যদি খামারিদের দিকে নজর না দেয়, তাহলে অনেকেই দুগ্ধ খামারির পেশা থেকে সরে আসবেন।

কালাই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাসান আলী জানান, দুধের বাজার স্বাভাবিক রাখতে জয়পুরহাটে দ্রুতই দুধ সংগ্রহকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এতে করে খামারি ও কৃষকরা ন্যায্য দামে দুধ বিক্রি করতে পারবেন।


আরও খবর



বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দুর্নীতি অুনসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালা উদ্দিন রিগ্যান সোমবার (২২ এপ্রিল) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করেন। বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে এটির শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিষয়ে দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলছেন, তারা রিটের একটি কপি হাতে পেয়েছেন। সেখানে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিটে বিবাদী করা হয়েছে দুদক চেয়ারম্যান, সচিবসহ চারজনকে।

এর আগে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন যা তার আয়ের তুলনায় অসম।

গত ৩১ মার্চ দৈনিক কালের কণ্ঠে ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক মহাপরিদর্শক তার স্ত্রী জিশান মির্জা এবং দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন।

বেনজীর আহমেদ তার পদের অপব্যবহার করে তার আয়ের তুলনায় প্রতিবেদনে উল্লিখিত সম্পত্তিগুলি অধিগ্রহণ করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে চিঠিতে জানান ব্যারিস্টার সুমন। এমন পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, স্ত্রী, বড় মেয়ে এবং ছোট মেয়ের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ সংগ্রহের জন্য তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদককে অনুরোধ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দৈনিক কালের কণ্ঠে ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় পুলিশের সাবেক এই আইজিপি।

জাতীয় ওই দৈনিকে বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে তার নানা অর্থ সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হয়। বেনজীরের বিপুল সম্পদের মধ্যে রয়েছে, গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামের এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র। এছাড়াও তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার পাশে বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার। পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি।

অথচ গত ৩৪ বছর সাত মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদ বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় এক কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা।


আরও খবর