আজঃ শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

পুঁজিবাজারে দরপতন হলেও বেড়েছে মূলধন

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশের শেয়ার বাজারে প্রথমবারের মতো সরকারি সিকিউরিটিজের লেনদেন শুরু হয়েছে গত মঙ্গলবার। শুরুর দিন দেশের প্রধান শেয়ার বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ১১ হাজার ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ১ হাজার বন্ডের লেনদেন হয়েছে। এসব বন্ডের লেনদেন করেছে সিটি ব্রোকারেজ ও লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজ। এর মাধ্যমে শেয়ার বাজারে বন্ডের লেনদেনের ইতিহাসে নাম লেখায় এই দুই ব্রোকারেজ হাউজ।

সরকারি ছুটির কারণে গত রবিবার (৯ অক্টোবর) লেনদেন বন্ধ থাকায় বিদায়ী (১০-১৩ অক্টোবর) সপ্তাহে পুঁজিবাজারে মোট চার কর্মদিবস লেনদেন হয়েছে। এ চার দিনের মধ্যে সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস দরপতনের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে। এরপরের দুই দিন সূচক বেড়েছে। তবে তারপর দিন কর্মদিবসে সূচক পতনের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে। অর্থাৎ চার দিনের মধ্যে দুই দিন সূচক বেড়েছে, আর দুই দিন কমেছে।

এদিকে এই ট্রেজারি বন্ডে ভর করে বাজার মূলধন বেড়েছে আড়াই লাখ কোটি টাকা। তারপরও গত সপ্তাহে এই সপ্তাহে দরপতন দেখলো দেশের মানুষ।এদিকে বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি কমেছে মূল্যসূচক। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ১০ অক্টোবর পুঁজিবাজারে সরকারি ২৫০টি ট্রেজারি বিল ও বন্ডের পরীক্ষামূলক লেনদেনের সুযোগ উন্মুক্ত হয়। তবে প্রথম ঘণ্টায় কোনও ইউনিট কেনাবেচা হয়নি। এ ট্রেজারি বন্ডগুলোর বাজার মূলধন ৩ লাখ ১৬ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ শেয়ারবাজারে ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিএসইর বাজার মূলধন ৩ লাখ কোটি টাকার ওপরে বেড়ে যায়।

এদিকে, গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৫ লাখ ২১ হাজার ৬৭৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২ লাখ ৫২ হাজার ২৬৩ কোটি টাকা। মূলত ট্রেজারি বন্ডের বাজার মূলধন যোগ হওয়ার কারণে এই বাজার মূলধন বেড়েছে।

অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ২৫৩টি বন্ড। অর্থাৎ সিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা থেকে ৭ লাখ ৫৫ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে।

বাজারের তথ্য বলছে, মূলধন বাড়লেও গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে, কমেছে তার থেকে বেশি। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ১০১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১৮টির। আর ১৬৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।


আরও খবর



বেসরকারি প্রাথমিক

শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার দায় নেবে না সরকার

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কিন্ডারগার্টেন, প্রিপারেটরি, কে জি স্কুলের নামে ঢাকাসহ দেশের অলিগলিতে গড়ে ওঠা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ন্ত্রণে নতুন বিধিমালা করেছে সরকার। এ বিধিমালা অনুযায়ী সব স্কুলকে নিবন্ধন করতে হবে। মানতে হবে বিধিমালায় থাকা শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ, স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন ও তহবিল পরিচালনাসহ ৩৩টি বিভিন্ন শর্ত-নিয়ম।

অনেকটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়মের মতোই বেসরকারি স্কুলগুলোকে চলতে হবে। বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে নিবন্ধন পেতে এবং নিবন্ধন টিকিয়ে রাখতে যোগ্য শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ এবং তাদের নিয়মিত বেতন পরিশোধের নির্দেশনা রয়েছে।

তবে বিধিমালা করে বহু শর্ত যুক্ত করে দিলেও এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের দায়ভার নেবে না সরকার। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টিউশন ফি, সেশন চার্জ, পুনঃভর্তি ফি আদায়ে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে বিধিমালায়। ফলে শিক্ষক নিয়োগ ও বেতন পরিশোধ নিয়ে বেকায়দায় পড়ার আশঙ্কায় স্কুলের মালিকরা।

বিধিমালার ১৮ নম্বর ধারায় শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও ইত্যাদি শিরোনামে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক এবং কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও অন্য সুবিধাদি সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এককভাবে পরিশোধ করতে হবে। বেতন-ভাতা ও অন্য সুবিধাদি প্রদানের দায় কোনোক্রমেই সরকার বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের ওপর বর্তাবে না।

৬ শিক্ষক বাধ্যতামূলক, নিয়োগ প্রক্রিয়াও কঠোর:

প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করানো স্কুলগুলোতে কমপক্ষে ৬ জন স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া শিক্ষক থাকতে হবে। তাদের নিয়োগও হবে কঠোর নিয়ম ও প্রক্রিয়া মেনে।

বিধিমালার ১৭ নম্বর ধারায় বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ বিষয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের বিদ্যালয়ে পাঠদানের জন্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মতো ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা, প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

এ ধারার উপবিধি-২-এ বলা হয়েছে, বিধিমালার অধীন প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির জন্য ন্যূনতম ছয়জন শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। উপবিধি-৩ অনুযায়ী, শিক্ষক নিয়োগের জন্য বহুল প্রচারিত একটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। তাতে শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতাসহ অন্য বিষয়াদি উল্লেখ থাকতে হবে।

৪ ও ৫ নম্বর উপবিধিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে নির্দিষ্ট একটি বোর্ড থাকবে। এ বোর্ডে অবশ্যই জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার একজন প্রতিনিধি থাকবেন। কোনো প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকের প্রয়োজনীয়তা থাকলে, তা শিক্ষাবর্ষ শেষ হওয়ার একমাসের মধ্যে জানাতে হবে। শিক্ষকের বেতন-ভাতা বহন করবে বিদ্যালয়। অন্যদিকে স্কুলে প্রতি ৩০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক থাকা বাধ্যতামূলক হবে।

এদিকে, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিবন্ধন বিধিমালায় এর বাইরেও বেশ কিছু নিয়ম রাখা হয়েছে। বিধিমালার ৩৩টি ধারায় উল্লেখযোগ্য নিয়ম ও শর্তগুলো হলো- ঢাকাসহ দেশের সব বিভাগীয় শহরে স্কুল খুলতে ৮ শতক জমি বা সমপরিমাপের ভবন থাকতে হবে, ব্যক্তি নামে স্কুল খুলতে ৫ লাখ টাকার তহবিল, পাঠদানের অনুমতি পেতে আলাদা আবেদন, অনুমতির পর নিবন্ধন, নিবন্ধন নবায়ন, ইউএনও-ডিসির প্রতিনিধি রেখে স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন ও এনসিটিবির অনুমোদিত পাঠ্যবই পড়ানো ইত্যাদি।

রাজধানীর রামপুরার উলন রোডের একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের পরিচালক নাম অপ্রকাশিত রেখে বলেন, কিন্ডারগার্টেন স্কুলে দেশের মোট শিক্ষার্থীর বড় একটি অংশ পড়ালেখা করে। তুলনামূলক কম বেতনে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ তাদের সন্তানদের এখানে পড়তে দিচ্ছে। কিন্তু সরকার কঠোর বিধিমালা করে স্কুলগুলো বন্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, যেহেতু সরকার কিন্ডারগার্টেনগুলো নিয়মের মধ্যে আনতে চাইছে, তাদের নিয়ন্ত্রণে নিতে চাইছেন; তাহলে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো এখানেও শিক্ষকদের বেতন-ভাতার কিছু অংশ দেওয়া উচিত। তা না হলে এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অচিরেই বন্ধ হয়ে যাবে।

বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান এম ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, নতুন বিধিমালায় শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে অনেকটা সরকারি নীতিমালা অনুসরণের নির্দেশনা রয়েছে। কমপক্ষে স্নাতক পাস শিক্ষক নিতে হবে। পত্রিকায়ও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। স্নাতক পাস একজন গ্র্যাজুয়েট এত অল্প বেতনে তো স্কুলে শিক্ষকতা করতে পারবেন না। তাকে বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী মানসম্মত বেতন-ভাতা দিতে হবে। সেটা কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো দেবে কোথা থেকে?

তিনি বলেন, বিধিমালা করে আপনি হাজারও শর্ত চাপিয়ে দেবেন, কোনো সহযোগিতা দেবেন না; সেটা তো কাম্য নয়। আমাদের দাবি, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার নির্দিষ্ট একটি অংশ সরকারকে পরিশোধ করতে হবে। অবশ্যই দায়ভার কিছুটা হলেও সরকারকে নিতে হবে।

এ বিষয়ে জানতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) শাহ রেজওয়ান হায়াত বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।


আরও খবর
ইবিতে উচ্চশব্দে গান-বাজনা নিষিদ্ধ

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




সাগরে নিম্নচাপ

৪ বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি মাসে নিম্নচাপ কিংবা ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা ছিল আবহাওয়াবিদদের। এমন আশঙ্কার মধ্যেই বুধবার পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ কারণে দেশের চার বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে এখন পর্যন্ত নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা কম বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

আজ সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় থাকা নিম্নচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় আছে। এটি সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। নিম্নচাপটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোতে ও ঘনীভূত হতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা সৃষ্টি হয়ে চলেছে। সাগর উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে থাকা মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা বলেন, নিম্নচাপটি যদি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়, তবে সুন্দরবনের পাশ দিয়ে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে মিধিলি। এটি মালদ্বীপের দেওয়া নাম।


আরও খবর
কমবে বৃষ্টি, বাড়বে শীতের অনুভূতি

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




সারাদেশে র‍্যাবের ৪৩২ টহল দল, ঢাকায় ১৪৮

প্রকাশিত:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আজ থেকে ষষ্ঠ দফায় টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা কয়েকটি রাজনৈতিক দল। এসময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীতে র‌্যাব ফোর্সের ১৪৮টি দলসহ সারাদেশে ৪৩২টি টহল দল মোতায়েন করা হয়েছে।

বুধবার (২২ নভেম্বর) সকালে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আ ন ম ইমরান খান বলেন, যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা প্রদানে দেশের বিভিন্ন স্থানে দূরপাল্লার গণপরিবহন ও পণ্যবাহী পরিবহনকে র‌্যাব টহলের মাধ্যমে এস্কর্ট প্রদান করে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

যেকোনো ধরনের নাশকতা ও সহিংসতা প্রতিরোধে বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে গোয়েন্দারা ছদ্মবেশে নজরদারি অব্যাহত রেখেছে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন>> সারা দেশে ২৩২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

এদিকে গত ২৮ অক্টোবর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত ২৪ দিনে বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা দলগুলোর হরতাল-অবরোধ ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে সারাদেশে ১৯৭টি যানবাহন ও স্থাপনায় অগ্নিসংযোগের তথ্য পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। এসময়ে গড়ে প্রতিদিন প্রায় সাতটি যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে গড়ে প্রতিদিন প্রায় পাঁচটি করে বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

ঢাকা সিটি করপোরেশনের অগ্নিসংযোগের ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় সবচেয়ে বেশি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৬০টি, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৩৫টি আগুনের ঘটনা ঘটে।


আরও খবর



বিএনপি নির্বাচনে এলে তফসিল রিসিডিউল করা যেতে পারে: সিইসি

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আমাদের কমিশনাররা বলেছেন যদি বিএনপি নির্বাচনে আসে তফসিল রিসিডিউল করা যেতে পারে, এটা নির্বাচন পেছানো বলা যায় না। তফসিল রিসিডিউল করে তাদের (বিএনপি) অ্যাকোমোডেট করা হবে। রোববার (২৬ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি এসব কথা বলেন।

বিএনপি ভোটে না আসলে কী করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এগুলো নিয়ে আমি উত্তর দেবো না। বিএনপিকে একবার নয়, দুবার নয়, পাঁচবার নয়, দশবার আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তারা আসেনি। এখনো সময় আছে। সমঝোতা হলে আমাদের জন্য সহজ হয়ে যায়। আশা করি, তারা যদি আসে পুরো জাতির জন্য সৌভাগ্য হবে। আমরা চাই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হোক

তফসিল পেছানোর বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের নির্বাচন কমিশনাররা তফসিল পুনর্নির্ধারণের কথা বলেছেন। এর অর্থ এই নয় যে ভোটের তারিখ পেছানো হবে।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আমরা এখতিয়ারের বাইরে যাবো না। প্রশাসনের রদবদল কে কখন করেছিল? বিচারপতি লতিফুর রহমান সাহেব করেছেন। তিনি সিইসি ছিলেন কি-না জানি না। তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ছিলেন। আমরা নির্বাচনের স্বার্থে যেটা ভালো মনে করবো সেটা করবো। আমরা এখতিয়ারের বাইরের যাবো না। এখতিয়ারের মধ্যে যা আছে করবো।

সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, সেনাবাহিনী (সশস্ত্র বাহিনী) নিয়ে একেবারে শেষ পর্যায়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো। যদি প্রয়োজন মনে করি, চাইলে তারা (সরকার) আমাদের দেবে। এ নিয়ে কোনো সংশয় নেই।

অন্য আরেক প্রশ্নের জবাবে সাবেক এ আইন সচিব বলেন, নির্বাচন পূর্ব সময় হচ্ছে তফসিল ঘোষণার পর থেকে ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ করা পর্যন্ত। এতে কতগুলো ধাপ আছে। যখনই তফসিল ঘোষণা করে থাকি একটা ধাপ হচ্ছে মনোনয়নপত্র দাখিল পর্যন্ত। এরপর বাছাই। এরপরও কিছু স্টেজ থাকে। এরপর আপিল স্টেজ থাকে। শুনানি করে সিদ্ধান্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়ে দেবো। এরপর থাকে প্রত্যাহার। সেগুলো বিবেচনায় নিয়ে রিটার্নিং অফিসার চূড়ান্তভাবে বরাদ্দ করবেন। তারপর বলবেন এখন আপনারা প্রচার করতে পারবেন। এরপর ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে সেটা থেমে যাবে।

সিইসি বলেন, বলা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী একটি বৈঠক করেছেন। আইনে প্রার্থীর কথা বলা আছে। এক্ষেত্রে এখন কেউ প্রচার চালাতে পারে। কেননা, এখনো কেউ প্রার্থী হয়নি। এছাড়া কোন আইনে বলা আছে যে, দলের মনোনয়নপত্র বিক্রির সময় শোডাউন করা যাবে না।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।


আরও খবর



মাতারবাড়ি সমুদ্রবন্দর টার্মিনালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন আজ

প্রকাশিত:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দরের প্রথম টার্মিনালের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ৩টায় এক অনুষ্ঠানে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর চ্যানেল উদ্বোধন এবং প্রথম টার্মিনাল নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তিনি।

মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের নথি বলছে, মাতারবাড়ি বন্দর দেশের অর্থনীতির জন্য গেম চেঞ্জারের ভূমিকা পালন করবে। এই বন্দরে জোয়ার-ভাটায় যেকোনও সময়ে ৮ হাজার টিইইউএসর জাহাজ ভিড়তে পারবে। এছাড়া শিপিং লাইনগুলো জাহাজ নিয়োজিত করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সুবিধা ভোগ করবে। ফলে পণ্য পরিবহন খরচ উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসবে। এ ছাড়া বন্দরকে ঘিরে মাতারবাড়ি মহেশখালী এলাকায় ব্যাপক শিল্পায়নসহ গড়ে উঠবে অর্থনৈতিক অঞ্চল। ফলে সৃষ্টি হবে ব্যাপক কর্মসংস্থানের।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বন্দরকে কেন্দ্র করে মাতারবাড়ি মহেশখালী এলাকায় যে নগরায়ণ হবে তা গোটা এলাকাকে দক্ষিণ এশিয়ার সিঙ্গাপুরে পরিণত করবে। এই বন্দর ঘিরে যে ব্যাপক অর্থনৈতিক কর্মযজ্ঞ হবে তা দেশের অর্থনীতি তথা জিডিপিতে ২-৩ শতাংশ অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়।

২০২৬ সালে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা আছে। মাতারবাড়ি বন্দর হবে বাণিজ্যিক হাব। চট্টগ্রাম বন্দর অর্থনীতির লাইফ লাইন, মাতারবাড়ি বন্দরও হবে প্যারালাল অর্থনীতির লাইফ লাইন।

উল্লেখ্য, দেশের প্রথম ও একমাত্র গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপনের জন্য ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি ২০ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। মাতারবাড়ি টার্মিনাল বাস্তবায়িত হলে ১৬ মিটার বা ততধিক গভীরতাসম্পন্ন বাণিজ্যিক জাহাজ গমনাগমন করতে সক্ষম হবে, যা দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে মাইলস্টোন হিসেবে কাজ করবে।

এখানে বড় ধরনের ফিডার ভেসেল আসবে। অর্থ ও সময় বাঁচবে। গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে ৩৫০ মিটার প্রশস্ত ও ১৬ মিটার গভীরতা সম্পন্ন ১৪ দশমিক ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ অ্যাপ্রোচ চ্যানেলের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে।

এছাড়া অ্যাপ্রোচ চ্যানেলের উত্তর পার্শ্বে ২ হাজার ১৫০ মিটার দীর্ঘ ও দক্ষিণ পার্শ্বে ৬৭০ মিটার দীর্ঘ ব্রেক ওয়াটার (ঢেউ নিরোধক বাঁধ) নির্মাণকাজ সমাপ্ত হয়েছে। ২০২৬ সালের মধ্যে আনুমানিক ০.৬ থেকে ১.১ মিলিয়ন টিইইউস (বিশ ফুট দৈর্ঘ্যের কন্টেইনার) এবং ২০৪১ সালের মধ্যে আনুমানিক ২.২ হতে ২.৬ মিলিয়ন টিইইউস কন্টেইনার কার্গো হ্যান্ডেল করা সম্ভব হবে।

প্রকল্পের সড়ক ও জনপথ অংশে ২৭.৭ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে মাতারবাড়ি বন্দরের সাথে ন্যাশনাল হাইওয়ের সংযোগ স্থাপন করার কাজ চলমান রয়েছে।


আরও খবর